নিউইয়র্ক ০৮:৫৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

নিজামীর ফাঁসি রায় বহালে নিউইয়র্কে আনন্দ সমাবেশ

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১২:৪১:০৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ জানুয়ারী ২০১৬
  • / ৮৪৩ বার পঠিত

নিউইয়র্ক: জামায়াতের আমীর মতিউর রহমান নিজামীর মৃত্যুদন্ডের রায় আপিল বিভাগ বহাল রাখায় সন্তোষ প্রকাশ করেছে নিউইয়র্কের প্রবাসী বাংলাদেশীরা। রায় ঘোষণার পরপরই নিউইয়র্কে আনন্দ সমাবেশ করেছে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা। রায় ঘোষণার আগে থেকেই নিউইয়র্কের প্রবাসী বাংলাদেশী অধ্যুষিত জ্যাকসন হাইটসের বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে বাংলাদেশীরা জড়ো হয়ে টিভির খবরের প্রতি দৃষ্টি রাখছিলেন। রায় ঘোষণার খবরে তারা উল্লাসে ফেটে পড়েন। রেস্টুরেন্টের বসেই একে অন্যকে মিষ্টিমুখ করান। পরে জ্যাকসন হাইটসের ৭৩ স্ট্রিটে এক আনন্দ সমাবেশ করে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের প্রবাসী বাংলাদেশীরা। কোনো সংগঠনের ব্যানারে এই সমাবেশ না হলে প্রবাসী মুক্তিযোদ্ধারা এবং বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের নেতা-কর্মীরা এতে যোগ দিয়ে তাদের অনুভূতি প্রকাশ করেন।
সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী মুজাহিদ আনসারীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আনন্দ সমাবেশে বক্তারা একাত্তরের ঘাতক নিজামীর ফাঁসির রায় বহাল থাকায় সরকারের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তারা বলেন, বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসী নেতৃত্বের কারণে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সম্ভব হয়েছে। বক্তারা আরো বলেন, শুধু আটক যুদ্ধাপরাধীর নয়, পাকিস্তানে থাকা ১৯৫ জন যুদ্ধাপরাধীর বিচার করতে হবে।
সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা মুকিত চৌধুরী, তোফায়েল চৌধুরী, আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুর রহিম বাদশা, মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী, আব্দুল মালেক, শিবলী সাদিক, আনিসুজ্জামান সবুজ, হোসেন সোহেল রানা প্রমূখ।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশীদের বিশিষ্টজনদের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে নিজামীর ফাঁসির রায় বহাল থাকায় স্বস্তি প্রকাশ করা হয়েছে। বাংলাদেশেিদর পক্ষ থকে জেনোসাইড ৭১-এর সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা ড. প্রদীপ রঞ্জন কর, গোলাম মোস্তফা খান মেরাজ, কমান্ডার নূরন্নবী, ডা. আব্দুল বাতেন, কামরুল হাসান চৌধুরী, সাংবাদিক শরীফ সাহাবউদ্দিনসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, এ রায়ে জাতির আশা-আকাঙক্ষা ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। (দৈনিক ইত্তেফাক)

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

About Author Information

নিজামীর ফাঁসি রায় বহালে নিউইয়র্কে আনন্দ সমাবেশ

প্রকাশের সময় : ১২:৪১:০৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ জানুয়ারী ২০১৬

নিউইয়র্ক: জামায়াতের আমীর মতিউর রহমান নিজামীর মৃত্যুদন্ডের রায় আপিল বিভাগ বহাল রাখায় সন্তোষ প্রকাশ করেছে নিউইয়র্কের প্রবাসী বাংলাদেশীরা। রায় ঘোষণার পরপরই নিউইয়র্কে আনন্দ সমাবেশ করেছে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা। রায় ঘোষণার আগে থেকেই নিউইয়র্কের প্রবাসী বাংলাদেশী অধ্যুষিত জ্যাকসন হাইটসের বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে বাংলাদেশীরা জড়ো হয়ে টিভির খবরের প্রতি দৃষ্টি রাখছিলেন। রায় ঘোষণার খবরে তারা উল্লাসে ফেটে পড়েন। রেস্টুরেন্টের বসেই একে অন্যকে মিষ্টিমুখ করান। পরে জ্যাকসন হাইটসের ৭৩ স্ট্রিটে এক আনন্দ সমাবেশ করে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের প্রবাসী বাংলাদেশীরা। কোনো সংগঠনের ব্যানারে এই সমাবেশ না হলে প্রবাসী মুক্তিযোদ্ধারা এবং বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের নেতা-কর্মীরা এতে যোগ দিয়ে তাদের অনুভূতি প্রকাশ করেন।
সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী মুজাহিদ আনসারীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আনন্দ সমাবেশে বক্তারা একাত্তরের ঘাতক নিজামীর ফাঁসির রায় বহাল থাকায় সরকারের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তারা বলেন, বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসী নেতৃত্বের কারণে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সম্ভব হয়েছে। বক্তারা আরো বলেন, শুধু আটক যুদ্ধাপরাধীর নয়, পাকিস্তানে থাকা ১৯৫ জন যুদ্ধাপরাধীর বিচার করতে হবে।
সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা মুকিত চৌধুরী, তোফায়েল চৌধুরী, আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুর রহিম বাদশা, মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী, আব্দুল মালেক, শিবলী সাদিক, আনিসুজ্জামান সবুজ, হোসেন সোহেল রানা প্রমূখ।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশীদের বিশিষ্টজনদের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে নিজামীর ফাঁসির রায় বহাল থাকায় স্বস্তি প্রকাশ করা হয়েছে। বাংলাদেশেিদর পক্ষ থকে জেনোসাইড ৭১-এর সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা ড. প্রদীপ রঞ্জন কর, গোলাম মোস্তফা খান মেরাজ, কমান্ডার নূরন্নবী, ডা. আব্দুল বাতেন, কামরুল হাসান চৌধুরী, সাংবাদিক শরীফ সাহাবউদ্দিনসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, এ রায়ে জাতির আশা-আকাঙক্ষা ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। (দৈনিক ইত্তেফাক)