নিউইয়র্ক ১২:২১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

নিউইয়র্কে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে কিডনী এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৩:৫৫:৪৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৫ জানুয়ারী ২০১৫
  • / ৯৮৮ বার পঠিত

নিউইয়র্ক: সারা বিশ্বে কিডনী রোগের প্রকোপ বাড়ছে। বাংলাদেশে প্রতি ৭জনের মধ্যে ১জন কিডনী রোগে আক্রান্ত। আর আমেরিকায় ৯ জনে ১জন। শুধু দীর্ঘস্থায়ী কিডনী রোগেই প্রতিবছর বিশ্বে মারা যাচ্ছে ১০লাখ লোক। দু’কোটি লোক অসুস্থ জীবন যাপন করছে। বাংলাদেশে ২৫ লাখ রোগীর জন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক একজন যা আমেরিকাতে ৫ হাজারের জন্য একজন। কিডনী রোগের চিকিৎসা অত্যন্ত ব্যয়বহুল। বাংলাদেশে আক্রান্তদের মাত্র ১০ শতাংশ চিকিৎসা করাতে পারে। এদের ৭৫ ভাগ অর্থের অভাবে তিনমাস পর আর চিকিৎসা করাতে পারেনা। এক প্রতিবেদনে দেখা গেছে শুধু মাত্র বাংলাদেশে প্রতি বছরে ৪০ হাজার মানুষ মারা যাচ্ছে কিডনী রোগে।
একজন কিডনী রোগীকে বেঁচে থাকার প্রয়োজনে ডায়ালাইসিস এবং স্থায়ী ভাবে আরোগ্যের জন্য কিডনী ট্রান্সপ্লান্টের প্রয়োজন পড়ে। কিন্তু দূভার্গজনক হলেও সত্য যে আমেরিকায় কিডনী কিনতে পাওয়া যায়। তাই একজন রোগীকে কিডনী ফাউন্ডেশনে নাম রেজিষ্ট্রেশন করে অপেক্ষা করতে হয় বছরের পর বছর। ২০১৪ সালের ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কিডনী ট্রান্সপ্লান্টেশনের জন্যে আমেরিকায় অপেক্ষমান রোগীর সংখ্যা ছিলো ১ লক্ষ ২২ হাজার ১৭০ জন।  প্রতি মাসে তার সাথে নতুন রোগী কিডনী ট্রান্সপ্লান্টের তালিকায় যোগ হচ্ছে। ২০১৩ সাথে ট্রান্সপ্লান্টের অপেক্ষায় থাকা ৪,৪৫৩ জন রোগী মৃত্যু বরণ করে।
রোগীদের জন্য কিডনী সংগ্রহ ত্বরান্বিত করার জন্য স্বাস্থ্য বিভাগ বহু চিন্তা-ভাবনা করে চালু করেছে নতুন একটি প্রোগ্রাম যাকে বলা হয় কিডনী বিনিময় প্রথা। এর আভিধানিক নাম হচ্ছে এনইএডি-‘নেভার এন্ডিং অলস্ট্রাস্টিক ডোনার’।
এটি হচ্ছে একটি খেলার মত। আপনি হয়তো আপনার প্রিয় জনকে বাঁচাতে একটি কিডনী দিতে চান। কিন্তু রক্তের গ্রুপ, টিস্যু ইত্যাদিতে মিলছে না। আপনি ‘নিড’ প্রোগ্রামে নাম লিখান। আপনার কিডনীর বিনিময়ে আপনার প্রিয় জনের রক্তের গ্রুপের সাথে মিল আছে এমন একজনকে তারা খুঁজে বের করবেন। আর আপনার কিডনীর গ্রুপ মিলে গেলে অন্যজনকে তারা দেবেন আপনার কিডনী। অর্থাৎ একটি কিডনী পেতে হলে একটি কিডনি দিতে হবে।
‘নিড’ প্রোগ্রামের আওতায় এই প্রক্রিয়াটাকে চিকিৎসকরা নামকরণ করেছেন ‘বিল্ডিং এ চেইস অফ লাভ’। এই ভালাবাসার শিকলের অংশ হয়ে যে কেউ একজন কিডনী রোগীর জীবন বাঁচাতে পারেন।
Kidny-2নিউ ইয়র্ক প্রেসবাইটেরিয়ান হাসপাতাল এবং ওয়েল কর্ণেল মেডিক্যাল সেন্টার প্রায় সময়ই এই কিডনী বিনিময় প্রথার অংশ হিসাবে যৌথ কিডনী অপারেশনের আয়োজন করে থাকে। বেশ কয়েকজন বাংলাদেশী এই প্রক্রিয়ায় কিডনী ট্রান্সপ্লান্ট করে বর্তমানে সুস্থ আছেন।
একটি কিডনী একজন অসুস্থ লোককে দিতে পারে নতুন জীবন। জ্বালতে পারে আশার আলো। মানব প্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে যারা নেড প্রোগ্রামে অংশ নিয়ে একজন কিডনী রোগীর জীবন বাঁচাতে এগিয়ে আসতে চান তারা ৩১০-২৬৭-৬৯০৭ (কিডনী এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম) নাম্বার যোগাযোগ করলে কর্তৃপক্ষ একটি ফর্ম পাঠিয়ে দেবে। তা পুরণ করে ৩১০-৯৮৩-৩৬২৮ নাম্বারে ফর্মটি ফ্যাক্স করে দিলে কর্তৃপক্ষ তা রিভিউ করে আপনার সাথে যোগাযোগ করবে। (সাপ্তাহিক বাংলা পত্রিকা)

Tag :

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

About Author Information

নিউইয়র্কে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে কিডনী এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম

প্রকাশের সময় : ০৩:৫৫:৪৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৫ জানুয়ারী ২০১৫

নিউইয়র্ক: সারা বিশ্বে কিডনী রোগের প্রকোপ বাড়ছে। বাংলাদেশে প্রতি ৭জনের মধ্যে ১জন কিডনী রোগে আক্রান্ত। আর আমেরিকায় ৯ জনে ১জন। শুধু দীর্ঘস্থায়ী কিডনী রোগেই প্রতিবছর বিশ্বে মারা যাচ্ছে ১০লাখ লোক। দু’কোটি লোক অসুস্থ জীবন যাপন করছে। বাংলাদেশে ২৫ লাখ রোগীর জন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক একজন যা আমেরিকাতে ৫ হাজারের জন্য একজন। কিডনী রোগের চিকিৎসা অত্যন্ত ব্যয়বহুল। বাংলাদেশে আক্রান্তদের মাত্র ১০ শতাংশ চিকিৎসা করাতে পারে। এদের ৭৫ ভাগ অর্থের অভাবে তিনমাস পর আর চিকিৎসা করাতে পারেনা। এক প্রতিবেদনে দেখা গেছে শুধু মাত্র বাংলাদেশে প্রতি বছরে ৪০ হাজার মানুষ মারা যাচ্ছে কিডনী রোগে।
একজন কিডনী রোগীকে বেঁচে থাকার প্রয়োজনে ডায়ালাইসিস এবং স্থায়ী ভাবে আরোগ্যের জন্য কিডনী ট্রান্সপ্লান্টের প্রয়োজন পড়ে। কিন্তু দূভার্গজনক হলেও সত্য যে আমেরিকায় কিডনী কিনতে পাওয়া যায়। তাই একজন রোগীকে কিডনী ফাউন্ডেশনে নাম রেজিষ্ট্রেশন করে অপেক্ষা করতে হয় বছরের পর বছর। ২০১৪ সালের ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কিডনী ট্রান্সপ্লান্টেশনের জন্যে আমেরিকায় অপেক্ষমান রোগীর সংখ্যা ছিলো ১ লক্ষ ২২ হাজার ১৭০ জন।  প্রতি মাসে তার সাথে নতুন রোগী কিডনী ট্রান্সপ্লান্টের তালিকায় যোগ হচ্ছে। ২০১৩ সাথে ট্রান্সপ্লান্টের অপেক্ষায় থাকা ৪,৪৫৩ জন রোগী মৃত্যু বরণ করে।
রোগীদের জন্য কিডনী সংগ্রহ ত্বরান্বিত করার জন্য স্বাস্থ্য বিভাগ বহু চিন্তা-ভাবনা করে চালু করেছে নতুন একটি প্রোগ্রাম যাকে বলা হয় কিডনী বিনিময় প্রথা। এর আভিধানিক নাম হচ্ছে এনইএডি-‘নেভার এন্ডিং অলস্ট্রাস্টিক ডোনার’।
এটি হচ্ছে একটি খেলার মত। আপনি হয়তো আপনার প্রিয় জনকে বাঁচাতে একটি কিডনী দিতে চান। কিন্তু রক্তের গ্রুপ, টিস্যু ইত্যাদিতে মিলছে না। আপনি ‘নিড’ প্রোগ্রামে নাম লিখান। আপনার কিডনীর বিনিময়ে আপনার প্রিয় জনের রক্তের গ্রুপের সাথে মিল আছে এমন একজনকে তারা খুঁজে বের করবেন। আর আপনার কিডনীর গ্রুপ মিলে গেলে অন্যজনকে তারা দেবেন আপনার কিডনী। অর্থাৎ একটি কিডনী পেতে হলে একটি কিডনি দিতে হবে।
‘নিড’ প্রোগ্রামের আওতায় এই প্রক্রিয়াটাকে চিকিৎসকরা নামকরণ করেছেন ‘বিল্ডিং এ চেইস অফ লাভ’। এই ভালাবাসার শিকলের অংশ হয়ে যে কেউ একজন কিডনী রোগীর জীবন বাঁচাতে পারেন।
Kidny-2নিউ ইয়র্ক প্রেসবাইটেরিয়ান হাসপাতাল এবং ওয়েল কর্ণেল মেডিক্যাল সেন্টার প্রায় সময়ই এই কিডনী বিনিময় প্রথার অংশ হিসাবে যৌথ কিডনী অপারেশনের আয়োজন করে থাকে। বেশ কয়েকজন বাংলাদেশী এই প্রক্রিয়ায় কিডনী ট্রান্সপ্লান্ট করে বর্তমানে সুস্থ আছেন।
একটি কিডনী একজন অসুস্থ লোককে দিতে পারে নতুন জীবন। জ্বালতে পারে আশার আলো। মানব প্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে যারা নেড প্রোগ্রামে অংশ নিয়ে একজন কিডনী রোগীর জীবন বাঁচাতে এগিয়ে আসতে চান তারা ৩১০-২৬৭-৬৯০৭ (কিডনী এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম) নাম্বার যোগাযোগ করলে কর্তৃপক্ষ একটি ফর্ম পাঠিয়ে দেবে। তা পুরণ করে ৩১০-৯৮৩-৩৬২৮ নাম্বারে ফর্মটি ফ্যাক্স করে দিলে কর্তৃপক্ষ তা রিভিউ করে আপনার সাথে যোগাযোগ করবে। (সাপ্তাহিক বাংলা পত্রিকা)