নিউইয়র্ক ০৭:৪৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ২০ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

নিউইয়র্কে ঈদ-ই মিলাদুন্নবী উদযাপিত

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১০:০১:৫৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ জানুয়ারী ২০১৫
  • / ৭২৭ বার পঠিত

নিউইয়র্ক: নিউইয়র্কে যথাযথ ধর্মীয় মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্য পূর্ণ পরিবেশের মধ্য দিয়ে পবিত্র ঈদ-ই মিলাদুন্নবী উদযাপিত হয়েছে। আঞ্জুমানে আল ইসলাহ ইউএসএর উদ্যোগে গত ৪ জানুয়ারী রোববার ব্রঙ্কসের গোল্ডেন পেলেস বেঙ্কুইট হলে এ উপলক্ষে আলোচনা ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
আঞ্জুমানে আল ইসলাহ ইউ এস এর যুগ্ম সম্পাদক মাওলানা আবুল কাশেম মোহাম্মদ ইয়াহিয়ার পরিচালনায় এবং আঞ্জুমানে আল ইসলাহ ইউ এস এ এর সভাপতি মাওলানা মঈন উদ্দীন মুহাদ্দিসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন লন্ডন দারুল হাদিস লতিফিয়া টাইটেল মাদ্রাসার প্রধান মুহাদ্দিস শাইখুল হাদিস আল্লামা আবদুল জলিল।
বিশেষ অতিথি ছিলেন আঞ্জুমানে আল ইসলাহ ইউএসএর সাবেক সভাপতি এবং ওলামা সোসাইটি ইউএসএর সভাপতি মওলানা জালাল সিদ্দিকি।
মাহফিলে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মাওলানা রুহান চৌধুরী, মাওলানা আবু জাফর, পার্কচেস্টার জামে মসজিদের খতীব মাওলানা মোহাম্মদ মঈনুল ইসলাম, মাওলানা সৈয়দ সাজিদুল হক, মাওলানা শাব্বির আহমদ, ডা. আবুল খায়ের, মাওলানা এ কে এম আবদুন নুর, মাওলানা শরিফ উদ্দিন, হাফেজ জমসেদ হোসেন প্রমুখ।
ঈদ-ই মিলাদুন্নবীর আলোচনায় বক্তারা বলেন, মহান আল্লাহ তায়ালা সমগ্র বিশ্বজগতের রহমত স্বরূপ বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-কে এই জগতে প্রেরণ করেন। মহান আল্লাহ রাসূল (সা.)-কে দুনিয়ায় প্রেরণ করে ধন্য করেছেন সমগ্র সৃষ্টিকে। হযরত মুহাম্মদ (সা.) হচ্ছেন এই বিশ্বের সকল নেয়ামতের মূল। সর্বশ্রেষ্ঠ রাসূল।
তারা বলেন, আমাদের প্রিয়নবী মহানবী (সা.) কে সৃষ্টি করা না হলে আল্ল¬াহ কিছুই সৃষ্টি করতেন না। মহান আল্লাহ বিশ্বজগতের শান্তির দূত হিসেবে হযরত মুহাম্মদ সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে এ জগতে প্রেরণ করেন। পাপাচার, অত্যাচার, মিথ্যা, কুসংস্কার ও সংঘাতজর্জরিত পৃথিবীতে তিনি মানবতার মুক্তিদাতা ও ত্রাণকর্তা হিসেবে আবির্ভূত হন। বিশ্বনবীর আবির্ভাবে পৃথিবীতে মানুষ ইহলৌকিক ও পারলৌকিক জগতের মুক্তির সন্ধান পায় এবং নিজেদের কল্যাণ লাভ করে। মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) মানুষের মর্যাদা ও অধিকার প্রতিষ্ঠা করেন। বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর শিক্ষা সমগ্র মানবজাতির জন্য অনুসরণীয় ও অনুকরণীয়। মহানবী (সা.) এর সুমহান আদর্শ অনুসরণের মধ্যেই রয়েছে প্রতিটি মানুষের অফুরন্ত কল্যাণ ও সফলতা। মহানবী (সা.)’র প্রতি দুরুদ ও সালাম পেশ করে আমরা লাভবান হতে পারি। আজকের অশান্ত ও দ্বন্দ্ব-সংঘাতময় বিশ্বে প্রিয়নবী (সা.) এর আদর্শ  অনুসরণের মাধ্যমেই বিশ্বে শান্তি ও কল্যাণ নিশ্চিত হতে পারে।
বক্তারা বলেন, ইসলাম শান্তি ও মানবতার ধর্ম। ইসলামের প্রকৃত শিক্ষা কথায় নয় কাজে এবং নিজের জীবনে বাস্তবায়নের মাধ্যমে তুলে ধরতে হবে। ইসলামের শান্তি ও সহমর্মিতার শিক্ষা সবার সামনে তুলে ধরলে ইসলাম সম্পর্কে ভ্রান্ত ধারণা দূর হবে।
বক্তারা বলেন, কতিপয় আলেম নামধারী ব্যক্তি মিলাদুন্নবী (সা.) উদযাপনকে বিদাত হিসেবে উল্লেখ করে তা পালন হতে বিরত থাকার জন্য মুসলমানদের মনগড়া তথ্য প্রদান করছেন। এ ধরনের লোকদের শাস্তি প্রসঙ্গে মহান আল্ল¬াহ কুরআনে উল্লেখ করেন, ‘নিঃসন্দেহে যারা আল্ল¬াহ ও তার রসুল সম্বন্ধে মন্দ কথা বলে আল্লাহ তাদের ধিক্কার দিয়েছেন ইহকালে ও পরকালে, আর তাদের জন্য তৈরি হয়েছে লাঞ্ছনাদায়ক শাস্তি।’ স্বয়ং আল্লাহ ও তার ফেরেশতারা যেখানে মহানবীর প্রতি দুরুদ ও সালাম পেশ করেন, সেখানে কতিপয় ফেৎনাবাজ আলেম মিলাদ-কিয়ামকে বিদাত বলে অপপ্রচার করে।
আঞ্জুমানে আল ইসলাহ ইউ এস এর সদস্যরা ছাড়াও বিপুল সংখ্যক মুসল্লী মাহফিলে যোগ দেন। পরে মুসলিম উম্মা ও বিশ্ব মানবতার শান্তি কামনা করে বিশেষ মুনাজাত করা হয়।

Tag :

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

About Author Information

নিউইয়র্কে ঈদ-ই মিলাদুন্নবী উদযাপিত

প্রকাশের সময় : ১০:০১:৫৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ জানুয়ারী ২০১৫

নিউইয়র্ক: নিউইয়র্কে যথাযথ ধর্মীয় মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্য পূর্ণ পরিবেশের মধ্য দিয়ে পবিত্র ঈদ-ই মিলাদুন্নবী উদযাপিত হয়েছে। আঞ্জুমানে আল ইসলাহ ইউএসএর উদ্যোগে গত ৪ জানুয়ারী রোববার ব্রঙ্কসের গোল্ডেন পেলেস বেঙ্কুইট হলে এ উপলক্ষে আলোচনা ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
আঞ্জুমানে আল ইসলাহ ইউ এস এর যুগ্ম সম্পাদক মাওলানা আবুল কাশেম মোহাম্মদ ইয়াহিয়ার পরিচালনায় এবং আঞ্জুমানে আল ইসলাহ ইউ এস এ এর সভাপতি মাওলানা মঈন উদ্দীন মুহাদ্দিসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন লন্ডন দারুল হাদিস লতিফিয়া টাইটেল মাদ্রাসার প্রধান মুহাদ্দিস শাইখুল হাদিস আল্লামা আবদুল জলিল।
বিশেষ অতিথি ছিলেন আঞ্জুমানে আল ইসলাহ ইউএসএর সাবেক সভাপতি এবং ওলামা সোসাইটি ইউএসএর সভাপতি মওলানা জালাল সিদ্দিকি।
মাহফিলে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মাওলানা রুহান চৌধুরী, মাওলানা আবু জাফর, পার্কচেস্টার জামে মসজিদের খতীব মাওলানা মোহাম্মদ মঈনুল ইসলাম, মাওলানা সৈয়দ সাজিদুল হক, মাওলানা শাব্বির আহমদ, ডা. আবুল খায়ের, মাওলানা এ কে এম আবদুন নুর, মাওলানা শরিফ উদ্দিন, হাফেজ জমসেদ হোসেন প্রমুখ।
ঈদ-ই মিলাদুন্নবীর আলোচনায় বক্তারা বলেন, মহান আল্লাহ তায়ালা সমগ্র বিশ্বজগতের রহমত স্বরূপ বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-কে এই জগতে প্রেরণ করেন। মহান আল্লাহ রাসূল (সা.)-কে দুনিয়ায় প্রেরণ করে ধন্য করেছেন সমগ্র সৃষ্টিকে। হযরত মুহাম্মদ (সা.) হচ্ছেন এই বিশ্বের সকল নেয়ামতের মূল। সর্বশ্রেষ্ঠ রাসূল।
তারা বলেন, আমাদের প্রিয়নবী মহানবী (সা.) কে সৃষ্টি করা না হলে আল্ল¬াহ কিছুই সৃষ্টি করতেন না। মহান আল্লাহ বিশ্বজগতের শান্তির দূত হিসেবে হযরত মুহাম্মদ সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে এ জগতে প্রেরণ করেন। পাপাচার, অত্যাচার, মিথ্যা, কুসংস্কার ও সংঘাতজর্জরিত পৃথিবীতে তিনি মানবতার মুক্তিদাতা ও ত্রাণকর্তা হিসেবে আবির্ভূত হন। বিশ্বনবীর আবির্ভাবে পৃথিবীতে মানুষ ইহলৌকিক ও পারলৌকিক জগতের মুক্তির সন্ধান পায় এবং নিজেদের কল্যাণ লাভ করে। মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) মানুষের মর্যাদা ও অধিকার প্রতিষ্ঠা করেন। বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর শিক্ষা সমগ্র মানবজাতির জন্য অনুসরণীয় ও অনুকরণীয়। মহানবী (সা.) এর সুমহান আদর্শ অনুসরণের মধ্যেই রয়েছে প্রতিটি মানুষের অফুরন্ত কল্যাণ ও সফলতা। মহানবী (সা.)’র প্রতি দুরুদ ও সালাম পেশ করে আমরা লাভবান হতে পারি। আজকের অশান্ত ও দ্বন্দ্ব-সংঘাতময় বিশ্বে প্রিয়নবী (সা.) এর আদর্শ  অনুসরণের মাধ্যমেই বিশ্বে শান্তি ও কল্যাণ নিশ্চিত হতে পারে।
বক্তারা বলেন, ইসলাম শান্তি ও মানবতার ধর্ম। ইসলামের প্রকৃত শিক্ষা কথায় নয় কাজে এবং নিজের জীবনে বাস্তবায়নের মাধ্যমে তুলে ধরতে হবে। ইসলামের শান্তি ও সহমর্মিতার শিক্ষা সবার সামনে তুলে ধরলে ইসলাম সম্পর্কে ভ্রান্ত ধারণা দূর হবে।
বক্তারা বলেন, কতিপয় আলেম নামধারী ব্যক্তি মিলাদুন্নবী (সা.) উদযাপনকে বিদাত হিসেবে উল্লেখ করে তা পালন হতে বিরত থাকার জন্য মুসলমানদের মনগড়া তথ্য প্রদান করছেন। এ ধরনের লোকদের শাস্তি প্রসঙ্গে মহান আল্ল¬াহ কুরআনে উল্লেখ করেন, ‘নিঃসন্দেহে যারা আল্ল¬াহ ও তার রসুল সম্বন্ধে মন্দ কথা বলে আল্লাহ তাদের ধিক্কার দিয়েছেন ইহকালে ও পরকালে, আর তাদের জন্য তৈরি হয়েছে লাঞ্ছনাদায়ক শাস্তি।’ স্বয়ং আল্লাহ ও তার ফেরেশতারা যেখানে মহানবীর প্রতি দুরুদ ও সালাম পেশ করেন, সেখানে কতিপয় ফেৎনাবাজ আলেম মিলাদ-কিয়ামকে বিদাত বলে অপপ্রচার করে।
আঞ্জুমানে আল ইসলাহ ইউ এস এর সদস্যরা ছাড়াও বিপুল সংখ্যক মুসল্লী মাহফিলে যোগ দেন। পরে মুসলিম উম্মা ও বিশ্ব মানবতার শান্তি কামনা করে বিশেষ মুনাজাত করা হয়।