নিউইয়র্ক ১২:৩৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

নিউইয়র্কের ওজনপার্কে দুর্বত্তের গুলিতে বাংলাদেশী ইমাম নিহত ॥ গুরুতর আহত একজন ॥ প্রতিবাদ মুখর সমগ্র কমিউনিটির দাবী ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৮:৫৪:৪৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ অগাস্ট ২০১৬
  • / ৬২৩ বার পঠিত

নিউইয়র্ক: বাংলাদেশী অধ্যুষিত নিউইয়র্কের ওজনপার্কে দুর্বত্তের গুলিতে বাংলাদেশী ইমাম আলাউদ্দিন আকুনজি (৫৫) নিহত হয়েছেন। একই ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন আরেক বাংলাদেশী তারা মিয়া (৬৫)। ১৩ আগষ্ট শনিবার বেলা একটা ৫০ মিনিটে মসজিদ স্থানীয় আল মসজিদ ফোরকান মসজিদ সংলগ্ন লিবারটি এভিনিউ ও ৭৯ ষ্ট্রীট-এর কোনায় এই হত্যাকান্ড ঘটে। নিহতের বাড়ী বৃহত্তর সিলেটের হবিগঞ্জ জেলায়। মাত্র তিন বছর আগে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসী হয়ে নিউইয়র্কে আনে এবং আল ফোরকান মসজিদের ইমামের দায়িত্ব নেন। আহত তারা মিয়ার বাড়ী সিলেটের গোলাপগঞ্জ। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, জোহর নামাজ শেষ আলাউদ্দীন বাড়ীতে ফিরছিলেন এসময় গাড়ী থেকে বন্দুকধারী গুলি ছুঁড়লে আলাউদ্দিন মাথায় গুলিবিদ্ধ হন এবং তারা মিয়া বুকে গুলিবিদ্ধ হন। ঘটনাটি হেইট ক্রাইম হিসেবে অভিহিত করেছেন কমিউনিটি নেতৃবৃন্দ। এদিকে ঘটনার পর পরই সিটি পুলিশ ঘটনাস্থলে কড়া নিরাপত্তা জোরদার করে তদন্ত শুরু করেছে। অপরদিকে এই ঘটনায় নিউইয়কের সমগ্র বাংলাদেশী কমিউনিটি প্রতিবাদমুখর হয়ে উঠেছে। ঘটনাস্থলে হাজার হাজার বাংলাদেশী সমবেত হয়ে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ করে প্রকৃত হত্যাকারীকে অবিলম্বে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করেছেন। সমাবেশে একটিই শ্লোগান ছিলো ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’।
Imam Pic-2জানা গেছে, বাংলাদেশী অধ্যুষিত ওজনপার্কের বাংলাদেশী অধ্যুষিত লিবার্টি এভিনিউর ও ৭৯ স্ট্রীটের কোনায় প্রকাশ্য দিবালোকে দু’জন বাংলাদেশীকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে দুর্বৃত্তরা। ঘটনাস্থলে মারা যান স্থানীয় মসজিদের ইমাম ও খতিব আলাউদ্দিন আকুনজি। এসময় তিনি মসুল্লীদের সাথে মসজিদ থেকে জোহরের নাম আদায় করে বাসার দিকে ফিরছিলেন। ঘটনার সময় ইমামের সাথে থাকা মুসল্লি ও স্থানীয় বাসিন্দা তারা মিয়াও গুরুতর আহত হন। তাকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন। ঘটনার সাথে সাথে পুরো এলাকায় নিরাপত্তা চাদরে ঢেকে দেয় এনওয়াইপিডি’সহ সংশ্লিষ্ট বাহিনী।
এদিকে ইমাম সহ দু’জনকে লক্ষ্য করে দুর্বৃত্তের গুলির ঘটনাকে যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান দলীয় প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘হেইট ক্রাইম’ সংক্রান্ত বক্তব্যের বহিঃপ্রকাশ হিসেবে বর্ণনা করেছেন প্রবাসী বাংলাদেশীরা।
অপরদিকে ঘটনার পরপরই নিউইয়র্ক সিটির কুইন্স, ব্রুকলীন, ব্রঙ্কস সহ বিভিন্ন এলাকা থেকে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন প্রবাসী বাংলাদেশী’সহ কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ও মূলধারার রাজনীতিবিদরা। জোহরের নামাজের পর প্রকাশ্য দিবালোকে এ ঘটনা কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না, বাংলাদেশী’সহ স্থানীয় বাসিন্দারা।
Imam_Murder_Spotনিহত ইমাম আলাউদ্দিন আকুনজি আল ফোরকান জামে মসজিদে দীর্ঘ ৩ বছর ধরে ইমামতি করে আসছিলেন। প্রতিদিনের মতো ১৩ আগষ্ট শনিবার জোহরের নামাজ শেষে নিজ গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রওনা দেন কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস অজ্ঞাত দুর্বৃত্তের গুলিতে প্রাণ হারান মসজিদের ইমাম। আগামী ২৩ আগস্ট ইমাম আকনজি’র বাংলাদেশে যাওয়ার কথা ছিলো। এজন্য তিনি প্রস্তুতিও নিচ্ছিলেন। আসাছে কোরবানীর ঈদ দেশের মাটিতে পরিজনদের সাথে কাটানোর ইচ্ছে ছিল তার। এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ইমাম আলাউদ্দিনের মরদেহ স্থানীয় হাসপাতালে রয়েছে। তার মরদেহ নিউইয়র্কে নাকি বাংলাদেশে দাফন করা হবে এব্যাপারে এখনো কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি অমায়িক, ভদ্র ও নিরহংকারী মানুষ ছিলেন বলে এলাকাবাসীরা জানান।
Imam_Murder_Spot watch NYPDঘটনার পরপরই পুরো মসজিদ ঘিরে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। ঘটনার তদন্তে এনওয়াইপিডি’র বিশেষ টিম মসজিদ পরিদর্শন ও পর্যবেক্ষণ করছেন। সন্ধ্যায় নিউইয়র্ক সিটি প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঘটনাস্থলেই ইমাম খুনের ঘটনা সম্পর্কে মিডিয়াকে অবহিত করেন।
প্রবাসী বাংলাদেশী ইমাম খুনের খবর শুনে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান নিউইয়র্কস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেট নিযুক্ত কনসাল জেনারেল শামীম আহসান। এসময় তিনি ঘটনার জন্য বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে গভীর শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করে বলেন, ঘটনাটি অত্যন্ত দু:খ ও বেদনাদায়ক। তিনি বলেন, নিউইয়র্কের বিভিন্ন স্থানে বাংলাদেশীরা হেইট ক্রাইমের শিকার হচ্ছেন। বিষয়গুলো কনস্যুলের পক্ষ থেকে সিটি প্রশাসন সহ সংশ্লিষ্ট মহলকে অবহিত করে প্রতিকার দাবী করা হয়েছে। কনসাল জেনারেল হতাহতদের পরিবারের জন্য কনস্যুনেলেটের পক্ষ থেকে সব ধরণের সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
Imam Murder Protestপ্রতিবাদ সমাবেশ: ইমাম আলাউদ্দিন আকুনজি হত্যার প্রতিবাদে তাৎক্ষনিকভাবে ঘটনাস্থলেই শনিবার সন্ধ্যা ৭টায় প্রবাসী বাংলাদেশীরা এক প্রতিবাদ সমাবেশ করেন। সমাবেশে বাংলাদেশ সোসাইটি ইনক’র সভাপতি আজমল হোসেন কুনু, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফখরুল আলম, জালালাবাদ এসোসিয়েশন অব আমেরিকা’র সভাপতি বদরুল হোসেন খান, কমিউনিটি অ্যাক্টিভিষ্ট এডভোকেট মোহাম্মদ এন মজুমদার, মুজাহিদুল ইসলাম, আব্দুল শহীদ, কবীর চৌধুরী, মিসবা আবদীন, আবু নাসের, মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম দেলোয়ার, ইমাম আব্দুল মালিক, ষ্টেট অ্যাসেম্বলীম্যান মাইক মিলার প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। বক্তারা ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে ঘটনাটিকে হেইট ক্রাইম হিসেবে অবহিত করে প্রকৃত হত্যাকারীকে অবিলম্বে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করেন। সমাবেশে একটিই শ্লোগান ছিলো ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’। শত-সহস্র প্রবাসী বাংলাদেশী এই সমাবেশে যোগ দেন।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

About Author Information

নিউইয়র্কের ওজনপার্কে দুর্বত্তের গুলিতে বাংলাদেশী ইমাম নিহত ॥ গুরুতর আহত একজন ॥ প্রতিবাদ মুখর সমগ্র কমিউনিটির দাবী ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’

প্রকাশের সময় : ০৮:৫৪:৪৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ অগাস্ট ২০১৬

নিউইয়র্ক: বাংলাদেশী অধ্যুষিত নিউইয়র্কের ওজনপার্কে দুর্বত্তের গুলিতে বাংলাদেশী ইমাম আলাউদ্দিন আকুনজি (৫৫) নিহত হয়েছেন। একই ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন আরেক বাংলাদেশী তারা মিয়া (৬৫)। ১৩ আগষ্ট শনিবার বেলা একটা ৫০ মিনিটে মসজিদ স্থানীয় আল মসজিদ ফোরকান মসজিদ সংলগ্ন লিবারটি এভিনিউ ও ৭৯ ষ্ট্রীট-এর কোনায় এই হত্যাকান্ড ঘটে। নিহতের বাড়ী বৃহত্তর সিলেটের হবিগঞ্জ জেলায়। মাত্র তিন বছর আগে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসী হয়ে নিউইয়র্কে আনে এবং আল ফোরকান মসজিদের ইমামের দায়িত্ব নেন। আহত তারা মিয়ার বাড়ী সিলেটের গোলাপগঞ্জ। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, জোহর নামাজ শেষ আলাউদ্দীন বাড়ীতে ফিরছিলেন এসময় গাড়ী থেকে বন্দুকধারী গুলি ছুঁড়লে আলাউদ্দিন মাথায় গুলিবিদ্ধ হন এবং তারা মিয়া বুকে গুলিবিদ্ধ হন। ঘটনাটি হেইট ক্রাইম হিসেবে অভিহিত করেছেন কমিউনিটি নেতৃবৃন্দ। এদিকে ঘটনার পর পরই সিটি পুলিশ ঘটনাস্থলে কড়া নিরাপত্তা জোরদার করে তদন্ত শুরু করেছে। অপরদিকে এই ঘটনায় নিউইয়কের সমগ্র বাংলাদেশী কমিউনিটি প্রতিবাদমুখর হয়ে উঠেছে। ঘটনাস্থলে হাজার হাজার বাংলাদেশী সমবেত হয়ে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ করে প্রকৃত হত্যাকারীকে অবিলম্বে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করেছেন। সমাবেশে একটিই শ্লোগান ছিলো ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’।
Imam Pic-2জানা গেছে, বাংলাদেশী অধ্যুষিত ওজনপার্কের বাংলাদেশী অধ্যুষিত লিবার্টি এভিনিউর ও ৭৯ স্ট্রীটের কোনায় প্রকাশ্য দিবালোকে দু’জন বাংলাদেশীকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে দুর্বৃত্তরা। ঘটনাস্থলে মারা যান স্থানীয় মসজিদের ইমাম ও খতিব আলাউদ্দিন আকুনজি। এসময় তিনি মসুল্লীদের সাথে মসজিদ থেকে জোহরের নাম আদায় করে বাসার দিকে ফিরছিলেন। ঘটনার সময় ইমামের সাথে থাকা মুসল্লি ও স্থানীয় বাসিন্দা তারা মিয়াও গুরুতর আহত হন। তাকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন। ঘটনার সাথে সাথে পুরো এলাকায় নিরাপত্তা চাদরে ঢেকে দেয় এনওয়াইপিডি’সহ সংশ্লিষ্ট বাহিনী।
এদিকে ইমাম সহ দু’জনকে লক্ষ্য করে দুর্বৃত্তের গুলির ঘটনাকে যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান দলীয় প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘হেইট ক্রাইম’ সংক্রান্ত বক্তব্যের বহিঃপ্রকাশ হিসেবে বর্ণনা করেছেন প্রবাসী বাংলাদেশীরা।
অপরদিকে ঘটনার পরপরই নিউইয়র্ক সিটির কুইন্স, ব্রুকলীন, ব্রঙ্কস সহ বিভিন্ন এলাকা থেকে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন প্রবাসী বাংলাদেশী’সহ কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ও মূলধারার রাজনীতিবিদরা। জোহরের নামাজের পর প্রকাশ্য দিবালোকে এ ঘটনা কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না, বাংলাদেশী’সহ স্থানীয় বাসিন্দারা।
Imam_Murder_Spotনিহত ইমাম আলাউদ্দিন আকুনজি আল ফোরকান জামে মসজিদে দীর্ঘ ৩ বছর ধরে ইমামতি করে আসছিলেন। প্রতিদিনের মতো ১৩ আগষ্ট শনিবার জোহরের নামাজ শেষে নিজ গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রওনা দেন কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস অজ্ঞাত দুর্বৃত্তের গুলিতে প্রাণ হারান মসজিদের ইমাম। আগামী ২৩ আগস্ট ইমাম আকনজি’র বাংলাদেশে যাওয়ার কথা ছিলো। এজন্য তিনি প্রস্তুতিও নিচ্ছিলেন। আসাছে কোরবানীর ঈদ দেশের মাটিতে পরিজনদের সাথে কাটানোর ইচ্ছে ছিল তার। এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ইমাম আলাউদ্দিনের মরদেহ স্থানীয় হাসপাতালে রয়েছে। তার মরদেহ নিউইয়র্কে নাকি বাংলাদেশে দাফন করা হবে এব্যাপারে এখনো কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি অমায়িক, ভদ্র ও নিরহংকারী মানুষ ছিলেন বলে এলাকাবাসীরা জানান।
Imam_Murder_Spot watch NYPDঘটনার পরপরই পুরো মসজিদ ঘিরে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। ঘটনার তদন্তে এনওয়াইপিডি’র বিশেষ টিম মসজিদ পরিদর্শন ও পর্যবেক্ষণ করছেন। সন্ধ্যায় নিউইয়র্ক সিটি প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঘটনাস্থলেই ইমাম খুনের ঘটনা সম্পর্কে মিডিয়াকে অবহিত করেন।
প্রবাসী বাংলাদেশী ইমাম খুনের খবর শুনে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান নিউইয়র্কস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেট নিযুক্ত কনসাল জেনারেল শামীম আহসান। এসময় তিনি ঘটনার জন্য বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে গভীর শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করে বলেন, ঘটনাটি অত্যন্ত দু:খ ও বেদনাদায়ক। তিনি বলেন, নিউইয়র্কের বিভিন্ন স্থানে বাংলাদেশীরা হেইট ক্রাইমের শিকার হচ্ছেন। বিষয়গুলো কনস্যুলের পক্ষ থেকে সিটি প্রশাসন সহ সংশ্লিষ্ট মহলকে অবহিত করে প্রতিকার দাবী করা হয়েছে। কনসাল জেনারেল হতাহতদের পরিবারের জন্য কনস্যুনেলেটের পক্ষ থেকে সব ধরণের সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
Imam Murder Protestপ্রতিবাদ সমাবেশ: ইমাম আলাউদ্দিন আকুনজি হত্যার প্রতিবাদে তাৎক্ষনিকভাবে ঘটনাস্থলেই শনিবার সন্ধ্যা ৭টায় প্রবাসী বাংলাদেশীরা এক প্রতিবাদ সমাবেশ করেন। সমাবেশে বাংলাদেশ সোসাইটি ইনক’র সভাপতি আজমল হোসেন কুনু, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফখরুল আলম, জালালাবাদ এসোসিয়েশন অব আমেরিকা’র সভাপতি বদরুল হোসেন খান, কমিউনিটি অ্যাক্টিভিষ্ট এডভোকেট মোহাম্মদ এন মজুমদার, মুজাহিদুল ইসলাম, আব্দুল শহীদ, কবীর চৌধুরী, মিসবা আবদীন, আবু নাসের, মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম দেলোয়ার, ইমাম আব্দুল মালিক, ষ্টেট অ্যাসেম্বলীম্যান মাইক মিলার প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। বক্তারা ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে ঘটনাটিকে হেইট ক্রাইম হিসেবে অবহিত করে প্রকৃত হত্যাকারীকে অবিলম্বে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করেন। সমাবেশে একটিই শ্লোগান ছিলো ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’। শত-সহস্র প্রবাসী বাংলাদেশী এই সমাবেশে যোগ দেন।