নারায়নগঞ্জে শিক্ষক অবমাননা : নিউইয়র্কে প্রতিবাদ সমাবেশ : সেলিম ওসমান এমপি’র বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী
- প্রকাশের সময় : ০৯:০৬:৪৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ মে ২০১৬
- / ৬৯৩ বার পঠিত
নিউইয়র্ক: নারায়নগঞ্জের পিয়ার সাত্তার লতিফ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধা শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তকে কান ধরে উঠবস করানো, রাজশাহী ভার্সিটির শিক্ষক হত্যা, দুই শিক্ষকের জেল, বৌদ্ধভিক্ষু-ইমাম-পুরোহিত হত্যা, ব্লগার ও ভিন্ন মতাবলম্বীদের হত্যা, দেশব্যাপী সংখ্যালঘু নির্যাতনের প্রতিবাদে নিউইয়র্কে প্রতিবাদ সমাবেশ হয়েছে। সমাবেশ থেকে নারায়নগঞ্জে শিক্ষক অবমাননার দায়ে সেলিম ওসমান এমপি’র বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করে এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়। এছাড়ও সমাবেশ থেকে অবিলম্বে নারায়নগঞ্জে ‘ওসমান পরবারের’ ত্রাসের রাজত্বের অবসান ঘটানোর দাবী জানিয়ে শিক্ষক অবমাননার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়। সমাবেশকারীরা সেলিম ওসমান এপির ছবিতে অগ্নি সংযোগও করেন। খবর ইউএনএ’র।
সিটির জ্যাকসন হাইটস্থ ডাইভারসিটি প্লাজায় ২১ মে শনিবার সন্ধ্যায় উল্লেখিত প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। বৃষ্টি-বাদলা উপেক্ষা করে সর্বস্তরের প্রবাসীরা এতে যোগ দেন। বাংলাদেশ মাইনরিটি রাইটস ম্যুভেমন্ট ইউএসএ, ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি, গণজাগরণ মঞ্চ, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট উত্তর আমেরিকা, সম্প্রীতি মঞ্চ, উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী প্রভৃতি সংগঠন উদ্যোগে আয়োজিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন শিতাংশু গুহ, সুব্রত বিশ্বাস, নবেন্দু দত্ত, শুভ রায়, মিনহাজ আহমেদ, মিথুন আহমদ, গোপাল স্যানাল, স্বীকৃতি বড়ুয়া, শিবলী সাদিক, হোসনে আরা বেগম, সমিরণ বড়ুয়া, টমাস দুলু রায়, রণবীর বড়ুয়া, দিলীপ বড়ুয়া প্রমুখ। প্রবীণ সাংবাদিক সৈয়দ মোহন্মদ উল্লাহ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে উদাত্ত কন্ঠে বাংলাদেশের সকল শিক্ষকের প্রতি সন্মান দেখিয়ে ঘোষণা করা হয়: “উই আর সরি স্যার”। একই সাথে ধামরাইয়ে বাথরুম থেকে টেনে এনে শিক্ষিকাকে মারধরের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ এবং অপরাধীদের শাস্তি দাবী করা হয়। সমাবেশ সেলিম ওসমান অডিও টেপে সাংবাদিকদের যে ভাষায় গালিগালাজ করেছেন তারও নিন্দা এবং এই তাকে (সেলিম ওসমান) ‘অসভ্য এমপি’ আখ্যায়িত করে বর্জন করার জন্যে সাংবাদিকদের প্রতি আহবান জানানো হয়। সমাবেশে কুষ্টিয়ার সমাজকর্মী ও হোমিও চিৎ্সিকে গলা কেটে হত্যায়ও ক্ষোভ প্রকাশ করছে এবং আহত তার সাথী অধ্যাপকের দ্রুত আরোগ্য কামনা করা হয়।
সমাবেশ থেকে দেশে যাতে আর একজন ব্লগার হত্যা না হয়, কোন মুক্তমনা যাতে খুন না হয়, কোন ভিক্ষু-পুরোহিত বা ইমামের যাতে জীবনহানি না ঘটে সেদিকে নজর দেয়ার জন্যে সরকারের প্রতি আহবান এবং দেশের সমুদ্র উপকূলে ‘রোয়ানুর তান্ডবে’ নিহতদের প্রতি গভীর সমবেদনা ও শোক প্রকাশ এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করা হয়। সভায় ঘোষণা করছে যে, বাংলাদেশে মৌলবাদের কোন ঠাঁই নাই, বাংলাদেশ হবে একটি ধর্মনিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র। যেখানে সকল মানুষ সমান অধিকার নিয়ে বসবাস করবে।