নিউইয়র্ক: নর্থ আমেরিকান বাংলাদেশী ইসলামিক কমিউনিটি-এনএবিআইসি (নাবিক)-এর ২৫তম কনভেনশন আগামী ১৬ আগষ্ট রোববার। জ্যামাইকাস্থ সেন্ট জনস ইউনিভার্সিটিতে দিনব্যাপাী এই কনভেনশন অনুষ্ঠিত হবে। চলছে কনভেনশনের প্রস্তুতি। আর এই প্রস্তুতির অংশ হিসেবে ২২ মার্চ রোববার দুপুরে ‘গেট টু নো এনএবিআইসি প্রজেক্টস’ শীর্ষক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
সিটির ফ্রেস মেডোস্থ আলীবাবা রেষ্টুরেন্টে আয়োজিত ব্যাতিক্রমী এই অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন নতুন প্রজন্মের প্রতিনিধি আদনান আলী ও রেহাত মান্নান। অনুষ্ঠানে নাবিক সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন সংগঠননের সভাপতি ডা. রাসেদ নিজাম ও ইউনিভার্সিটি অব ম্যাসাসুচেটস-এর এক্সিকিউটিভ ভাইস চ্যান্সেলর ড. আতাউল করীম। তারা বলেন, হাসপাতাল, ডেইরী ফার্ম, স্কুল প্রভৃতি জনকল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠান ও প্রজেক্টের মাধ্যমে নাবিক বয়স-ধর্ম-বর্ণ নির্বশেষে বাংলাদেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করছে। প্রয়োজনে জরুরী ভিত্তিতেও শীতকালীন ও বন্যার সময় দু:স্থ ও দূর্গতদের মাঝে শীত রিলিফ (বস্ত্র/খাদ্য) প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে নাবিক-এর বিভিন্ন প্রজেক্ট ও কার্যক্রমের ভিডিও চিত্র প্রদর্শন করা হয়। এছাড়ও ছিলো নাবিক সম্পর্কিত প্রশ্নোত্তর।
নাবিক-এর ২৫তম কনভেনশন সম্পর্কে বলা হয় এত খ্যাতিমান ইসলামিক স্কলার যেমন ইমাম সেরাজ ওয়াহহাজ, ইমাম জাহিদ সাকির, ড. আলতাফ হোসেইন, ব্যারিষ্টার রাইস ভুঁইয়া প্রমুখ বক্তব্য রাখবেন। কনভেনশনে থাকবে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক বিষয়ক সেমিনারসহ নতুন প্রজন্মের জন্য প্রতিযোগিতা।
ডা. রাসেদ নিজাম ও ড. আতাউল করীম নাবিক-এর কনভেনশন সফল করা এবং নাবিক-এর সদস্য হওয়ার জন্য উপস্থিত সুধীদের প্রতি আহ্বান জানান। অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন ইমাম শামসে আলী। অনুষ্ঠান আয়োজনের সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন নাবিক-এর সহ সভাপতি ড. নিজাম ও ড. পীর এনাম।
উল্লেখ্য, কতিপয় বাংলাদেশীর উদ্যোগে ১৯৯০ সালে নাবিক প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেয়া হয়। বর্তমানে এটি একটি মডেল প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশের নাবিক-এর ২০ লাখ ডলারের বিভিন্ন প্রজেক্ট বিদ্যমান রয়েছে। নাবিকের মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যের মধ্যে রয়েছে ইসলামিক এওয়ারনেস বৃদ্ধি, বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক কল্যাণে আমেরিকান মুসলিমদের দৃষ্টি আকর্ষণ, বাংলাদেশী-আমেরিকান মুসলিম কমিউনিটির কল্যাণ, উত্তর আমেরিকান মুসলিম কমিউনিটির সাথে বাংলাদেশের জনগণের সাথে সেতুবন্ধন, বাংলাদেশের জনগণের কল্যাণ সাধন প্রভৃতি।
নিউইয়র্কের বাংলাদেশী-আমেরিকান মুসলিম কমিউনিটির সর্বস্তরের অর্ধ শতাধিক ব্যক্তিবর্গ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।