নিউইয়র্ক ০৯:০১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

দেশে ফিরেই সরকার পতন আন্দোলনে শরীক হবো : যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি’র সংবাদিক সম্মেলনে খোকা

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৮:২৫:৫২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ ডিসেম্বর ২০১৪
  • / ১০৪৩ বার পঠিত

নিউইয়র্ক: হামলা-মামলার ভয়ে দেশত্যাগ করিনি। শারীরিক অসুস্থ্যতা জনিত কারনেই যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছি। সুস্থ্য হয়ে দেশে ফিরেই ফ্যাসিস সরকার পতনের আন্দোলনে শরীক হবো। ২১ ডিসেম্বর রোববার জ্যাকসন হাইটসের পালকি পার্টি সেন্টারে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি আয়োজিত সংবাদিক সম্মেলনে এসব কথা বলেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকা। ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র, মন্ত্রী এবং বিএনপির প্রভাবশালী এই নেতা বলেন, ‘বর্তমার সরকার অবৈধভাবে ক্ষমতায় এসেই বাকশালী শাসন কায়েশ করেছে। বিএনপি নেত্রীর সভা-সমাবেশে মানুষের ঢল দেখে ভয়ে বাধা দিচ্ছে সরকার’। অগণতান্ত্রিক উপায়ে ক্ষমতা টিকে থাকা যায় না হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে তিনি আরো জানান, ‘সরকার মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতানা ধ্বংসকারি সরকারকে উৎখাত করতেই বিএনপির সাথে সাধারণ মানুষও দেশ রক্ষার আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়বে। দেশের গণতন্ত্র এবং স্বাধীনতার সার্বভৌমত্ব রক্ষায় দেশের জনগণ আজ ঐক্যবদ্ধ। বিএনপি ক্ষমতার জন্য লড়াই করছে না। দেশ রক্ষায় আন্দোলনই প্রধান উদ্দেশ্য।
দেশের চলমান রাজনীতি এবং সরকার বিরোধী আন্দোলনের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন তিনি। কথা বলেন লন্ডনে তারেক রহমানের সাথে বৈঠক বিষয়ে। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব তিনি বলেন, ‘তারেক রহমান হচ্ছেন দলের দ্বিতীয় ব্যক্তি। আমি হচ্ছি ভাইস চেয়ারম্যান। সভাবতই লন্ডন সফরে তাঁর সাথে আমার বিভিন্ন বিষয়ে আলাপ-আলোচনা হয়েছে। তবে, বঙ্গবন্ধু রাজাকার তারেক রহমানের এমন মন্তব্য একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আপনি সমর্থন করেন কিনা? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাব এড়িয়ে যান খোকা। তার পরিবর্তে প্রশ্নের কৌশলে উত্তর দেন দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন। তিনি বলেন, ‘তারেক রহমান যে সব কথা বলেছেন- সেগুলো তাজউদ্দিন কন্যা শারমিন আহমদ এবং একে খন্দকারের বইয়ের সূত্র থেকেই বলেছেন’। বিএনপি’র সাংগঠনিক ভিত্তি এবং ছাত্রদলের অভ্যন্তরীণ কোন্দল বিষয়ে জানতে চাইলে সাদেক হোসেন খোকা বলেন, ‘বিএনপি একটি বৃহৎ গণতান্ত্রিক দল। এখানে কোন কোন্দল নেই। আছে মর্যাদার লড়াই। তবে, ছাত্র দলের কমিটিকে ঘিরে যে বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে তা ঠিক হয়নি। বর্তমানে ছাত্রদলও সুসংগঠতি। দু’জনকে বহি:স্কার করা হয়েছে। ছাত্রদল এখন বিশ্ববিদ্যালয়’সহ সর্বত্র অনেক শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে’।
যুক্তরাষ্ট্রে দীর্ঘ সাত মাস ধরে অবস্থান করলেও এই প্রথম গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকা। প্রথমবারের মত তাঁর শারিরীক অসুস্থ্যতার কথাও তুলে ধরেন তিনি। সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত সাংবাদিকরা তার শাররীরিক অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি মাইক্রোফোন তুলে দেন তার পাশেই বসা চিকিৎসক যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি’রন প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ডা. মুজিবুর রহমান মজুমদারের হাতে। তখনই খোকার চিকিৎসক জানান, ‘আমাদের নেতা নিউইয়র্ক চিকিৎসারত আছেন। তিনি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে রয়েছেন। তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত। তার কেমো থেরাপি চলছে। ডাক্তারের পরামর্শক্রমে চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরবেন। সাংবাদিক সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সাদেক হোসেন খোকার অনুমতিক্রমেই ডা. মুজিবুর রহমান মজুমদার আনুষ্ঠানিকভাবে এই ঘোষণা দেন। যদিও এর আগে খোকা আসলেই অসুস্থ্য কিনা সেটা নিয়ে নানা মনে বিভিন্ন প্রশ্ন ছিলো। তখন থেকেই গুঞ্জন ছিল তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত। শিকাগো সিটি কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে জিয়াউর রহমান সড়ক চালুর বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের দায়ের করা মামলার রায় বিএনপি’র পক্ষে আসায় আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে সেই গুঞ্জনেরই অবসান হলো। উল্লেখ্য, চলতি বছর ২৩ জুন চিকিৎসার জন্য নিউইয়র্কে আসেন সাদেক হোসেন খোকা। এরপর গেলো মাসে লন্ডন সফর করে ফের নিউইয়র্কে আসেন তিনি।
Ziaur Rahman Wayজিয়াউর রহমান ওয়ে’র পক্ষে আদালতের রায়:
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরের নর্থ ক্লার্ক সড়কের একটি অংশ ‘জিয়াউর রহমান ওয়ে’ রাখার পক্ষেই রায় দিয়েছেন দেশটির একটি আদালত। ১৬ ডিসেম্বর মঙ্গলবার আদালত এ আদেশ দেয়। এর আগে ওই নামফলক তুলে ফেলার জন্য মামলা করে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ। মামলায় তারা অভিযোগ করে, ‘জিয়াউর রহমান এ সম্মানের যোগ্য নন’। এর আগে গেল সেপ্টেম্বরে সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের নামে ওই সড়কের নামকরণ করা হয় ‘জিয়াউর রহমান ওয়ে’। রায়ের পরে বাদী পক্ষের আইনজীবী আল-হারুন হুসাইন গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন করা হবে। ‘জিয়াউর রহমান ওয়ে’ নামকরণের পক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন শিকাগো শহরের ৪৯ ওয়ার্ডের কমিটির সদস্য জো মুর। উল্লেখ্য, দীর্ঘ ১৮ বছর আগ থেকেই শিকাগোতে জিয়াউর রহমানের নামে একটি ওয়ের নামকরণের উদ্যোগ নেন বিশিষ্ট কমিউনিটি নেতা ও বিএনপির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি শাহ্ মোসাদ্দিক মিন্টু। এরই ধারাবাহিকতায় গেল ২৫ মে একটি বিল উত্থাপন করে সিটি প্রশাসন। উত্থাপিত বিলের উপর ভোট গ্রহণ হয়। ৪০-৪৮ ভোটে বিলটি পাশ হয়।  পাশ হওয়ার পরই ১৪ সেপ্টেম্বর কাউন্সিলর জো মুর জিয়াউর রহমান ওয়ের উদ্বোধন করেন। উদ্বোধন হওয়ার পর ২৩ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ আপত্তি জানিয়ে আদালতে মামলা করেন। দীর্ঘ শুনানি শেষে ১৬ ডিসেম্বর মঙ্গলবার জিয়াউর রহমান ওয়ে বহাল রাখার পক্ষে রায় দেন আদালত।
আদালতের এই রায়ের পরই প্রথমবারের মতো আনুষ্ঠানিক সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি। রোববারের সাংবাদিক সম্মেলনে অংশ নেন শিকাগো এবং যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি ও এর অংগ সংগঠনের নেতা কর্মীরা। জিয়াউর রহমান ওয়ের উদ্যোক্তাদের মধ্যে অন্যতম ইলিনিউসের কাউন্সিল মেম্বার ও বিএনপি নেতা শাহ্ মোজাম্মেল জানান, ‘আমরা দীর্ঘ সময় ধরে আমাদের মহান নেতা এবং শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের নামে একটি ওয়ে নামকরণের উদ্যোগ নিই। আমরা সফলও হই। কিন্তু বিরোধী পক্ষরা আমাদের বিরুদ্ধে মামলা করে। মামলাতেও আমরা জয় লাভ করি। বিজয়ের মাসে এটা আমাদের আরেকটি বিজয়। আমাদের দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যানও উচ্ছ্বসিত আমাদের এই বিজয়ে। এছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বাংলাদেশী ও বিএনপির নেতাকর্মীরা এই রায়ের ফলে আনন্দ উল্লাস করে। আমরা মনে করি সত্যের জয় কখনো বাধা দিয়ে রুদ্ধ করা যায় না’। (সাপ্তাহিক বাংলা পত্রিকা)

Tag :

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

About Author Information

দেশে ফিরেই সরকার পতন আন্দোলনে শরীক হবো : যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি’র সংবাদিক সম্মেলনে খোকা

প্রকাশের সময় : ০৮:২৫:৫২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ ডিসেম্বর ২০১৪

নিউইয়র্ক: হামলা-মামলার ভয়ে দেশত্যাগ করিনি। শারীরিক অসুস্থ্যতা জনিত কারনেই যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছি। সুস্থ্য হয়ে দেশে ফিরেই ফ্যাসিস সরকার পতনের আন্দোলনে শরীক হবো। ২১ ডিসেম্বর রোববার জ্যাকসন হাইটসের পালকি পার্টি সেন্টারে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি আয়োজিত সংবাদিক সম্মেলনে এসব কথা বলেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকা। ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র, মন্ত্রী এবং বিএনপির প্রভাবশালী এই নেতা বলেন, ‘বর্তমার সরকার অবৈধভাবে ক্ষমতায় এসেই বাকশালী শাসন কায়েশ করেছে। বিএনপি নেত্রীর সভা-সমাবেশে মানুষের ঢল দেখে ভয়ে বাধা দিচ্ছে সরকার’। অগণতান্ত্রিক উপায়ে ক্ষমতা টিকে থাকা যায় না হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে তিনি আরো জানান, ‘সরকার মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতানা ধ্বংসকারি সরকারকে উৎখাত করতেই বিএনপির সাথে সাধারণ মানুষও দেশ রক্ষার আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়বে। দেশের গণতন্ত্র এবং স্বাধীনতার সার্বভৌমত্ব রক্ষায় দেশের জনগণ আজ ঐক্যবদ্ধ। বিএনপি ক্ষমতার জন্য লড়াই করছে না। দেশ রক্ষায় আন্দোলনই প্রধান উদ্দেশ্য।
দেশের চলমান রাজনীতি এবং সরকার বিরোধী আন্দোলনের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন তিনি। কথা বলেন লন্ডনে তারেক রহমানের সাথে বৈঠক বিষয়ে। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব তিনি বলেন, ‘তারেক রহমান হচ্ছেন দলের দ্বিতীয় ব্যক্তি। আমি হচ্ছি ভাইস চেয়ারম্যান। সভাবতই লন্ডন সফরে তাঁর সাথে আমার বিভিন্ন বিষয়ে আলাপ-আলোচনা হয়েছে। তবে, বঙ্গবন্ধু রাজাকার তারেক রহমানের এমন মন্তব্য একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আপনি সমর্থন করেন কিনা? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাব এড়িয়ে যান খোকা। তার পরিবর্তে প্রশ্নের কৌশলে উত্তর দেন দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন। তিনি বলেন, ‘তারেক রহমান যে সব কথা বলেছেন- সেগুলো তাজউদ্দিন কন্যা শারমিন আহমদ এবং একে খন্দকারের বইয়ের সূত্র থেকেই বলেছেন’। বিএনপি’র সাংগঠনিক ভিত্তি এবং ছাত্রদলের অভ্যন্তরীণ কোন্দল বিষয়ে জানতে চাইলে সাদেক হোসেন খোকা বলেন, ‘বিএনপি একটি বৃহৎ গণতান্ত্রিক দল। এখানে কোন কোন্দল নেই। আছে মর্যাদার লড়াই। তবে, ছাত্র দলের কমিটিকে ঘিরে যে বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে তা ঠিক হয়নি। বর্তমানে ছাত্রদলও সুসংগঠতি। দু’জনকে বহি:স্কার করা হয়েছে। ছাত্রদল এখন বিশ্ববিদ্যালয়’সহ সর্বত্র অনেক শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে’।
যুক্তরাষ্ট্রে দীর্ঘ সাত মাস ধরে অবস্থান করলেও এই প্রথম গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকা। প্রথমবারের মত তাঁর শারিরীক অসুস্থ্যতার কথাও তুলে ধরেন তিনি। সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত সাংবাদিকরা তার শাররীরিক অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি মাইক্রোফোন তুলে দেন তার পাশেই বসা চিকিৎসক যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি’রন প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ডা. মুজিবুর রহমান মজুমদারের হাতে। তখনই খোকার চিকিৎসক জানান, ‘আমাদের নেতা নিউইয়র্ক চিকিৎসারত আছেন। তিনি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে রয়েছেন। তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত। তার কেমো থেরাপি চলছে। ডাক্তারের পরামর্শক্রমে চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরবেন। সাংবাদিক সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সাদেক হোসেন খোকার অনুমতিক্রমেই ডা. মুজিবুর রহমান মজুমদার আনুষ্ঠানিকভাবে এই ঘোষণা দেন। যদিও এর আগে খোকা আসলেই অসুস্থ্য কিনা সেটা নিয়ে নানা মনে বিভিন্ন প্রশ্ন ছিলো। তখন থেকেই গুঞ্জন ছিল তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত। শিকাগো সিটি কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে জিয়াউর রহমান সড়ক চালুর বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের দায়ের করা মামলার রায় বিএনপি’র পক্ষে আসায় আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে সেই গুঞ্জনেরই অবসান হলো। উল্লেখ্য, চলতি বছর ২৩ জুন চিকিৎসার জন্য নিউইয়র্কে আসেন সাদেক হোসেন খোকা। এরপর গেলো মাসে লন্ডন সফর করে ফের নিউইয়র্কে আসেন তিনি।
Ziaur Rahman Wayজিয়াউর রহমান ওয়ে’র পক্ষে আদালতের রায়:
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরের নর্থ ক্লার্ক সড়কের একটি অংশ ‘জিয়াউর রহমান ওয়ে’ রাখার পক্ষেই রায় দিয়েছেন দেশটির একটি আদালত। ১৬ ডিসেম্বর মঙ্গলবার আদালত এ আদেশ দেয়। এর আগে ওই নামফলক তুলে ফেলার জন্য মামলা করে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ। মামলায় তারা অভিযোগ করে, ‘জিয়াউর রহমান এ সম্মানের যোগ্য নন’। এর আগে গেল সেপ্টেম্বরে সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের নামে ওই সড়কের নামকরণ করা হয় ‘জিয়াউর রহমান ওয়ে’। রায়ের পরে বাদী পক্ষের আইনজীবী আল-হারুন হুসাইন গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন করা হবে। ‘জিয়াউর রহমান ওয়ে’ নামকরণের পক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন শিকাগো শহরের ৪৯ ওয়ার্ডের কমিটির সদস্য জো মুর। উল্লেখ্য, দীর্ঘ ১৮ বছর আগ থেকেই শিকাগোতে জিয়াউর রহমানের নামে একটি ওয়ের নামকরণের উদ্যোগ নেন বিশিষ্ট কমিউনিটি নেতা ও বিএনপির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি শাহ্ মোসাদ্দিক মিন্টু। এরই ধারাবাহিকতায় গেল ২৫ মে একটি বিল উত্থাপন করে সিটি প্রশাসন। উত্থাপিত বিলের উপর ভোট গ্রহণ হয়। ৪০-৪৮ ভোটে বিলটি পাশ হয়।  পাশ হওয়ার পরই ১৪ সেপ্টেম্বর কাউন্সিলর জো মুর জিয়াউর রহমান ওয়ের উদ্বোধন করেন। উদ্বোধন হওয়ার পর ২৩ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ আপত্তি জানিয়ে আদালতে মামলা করেন। দীর্ঘ শুনানি শেষে ১৬ ডিসেম্বর মঙ্গলবার জিয়াউর রহমান ওয়ে বহাল রাখার পক্ষে রায় দেন আদালত।
আদালতের এই রায়ের পরই প্রথমবারের মতো আনুষ্ঠানিক সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি। রোববারের সাংবাদিক সম্মেলনে অংশ নেন শিকাগো এবং যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি ও এর অংগ সংগঠনের নেতা কর্মীরা। জিয়াউর রহমান ওয়ের উদ্যোক্তাদের মধ্যে অন্যতম ইলিনিউসের কাউন্সিল মেম্বার ও বিএনপি নেতা শাহ্ মোজাম্মেল জানান, ‘আমরা দীর্ঘ সময় ধরে আমাদের মহান নেতা এবং শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের নামে একটি ওয়ে নামকরণের উদ্যোগ নিই। আমরা সফলও হই। কিন্তু বিরোধী পক্ষরা আমাদের বিরুদ্ধে মামলা করে। মামলাতেও আমরা জয় লাভ করি। বিজয়ের মাসে এটা আমাদের আরেকটি বিজয়। আমাদের দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যানও উচ্ছ্বসিত আমাদের এই বিজয়ে। এছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বাংলাদেশী ও বিএনপির নেতাকর্মীরা এই রায়ের ফলে আনন্দ উল্লাস করে। আমরা মনে করি সত্যের জয় কখনো বাধা দিয়ে রুদ্ধ করা যায় না’। (সাপ্তাহিক বাংলা পত্রিকা)