নিউইয়র্ক ০৮:৫৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

তিনি এলেন, চলেও গেলেন, রয়ে গেলো নানা প্রশ্ন

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৯:১৮:১২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ জুলাই ২০১৬
  • / ৬২৩ বার পঠিত

নিউইয়র্ক: হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ। সংক্ষেপে এইচ এম এরশাদ। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সাবেক প্রধান। ঘটনাক্রমে দেশের রাষ্ট্রপতি, জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান। ক্ষমতাসীন আওয়ামী মহাজোট সরকারের বিরোধী দল কাম প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উপদেষ্টা। সামরিক ছাউনী থেকে রাষ্ট্র ক্ষমতায় ছিলেন টানা নয় বছর। পরবর্তীতে জেল-জুলুম খেটেছেন বছরের পর বছর। কারো কারো চোখে তিনি স্বৈরাচারী শাসক। কারো চোখে দেশের গ্রামবাংলার উন্নয়নের অগ্রপথিক, উপজেলা প্রশাসনের প্রবর্তক। দলীয় নেতা-কর্মীদের কাছে তিনি ‘পল্লী বন্ধু’ হিসেবে খ্যাত। সবমিলিয়ে তিনি বাংলাদেশের অন্যতম আলোচিত রাজনীতিক। এছাড়াও ব্যক্তিগত নানা ঘটনার কারণে ব্যাপক আলোচিত এই ‘রাজনৈতিক নেতা’ হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ গেলো সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্র সফর করেন। সফরটি ব্যক্তিগত থাকলেও তার সাথে ছিলেন দলীয় মহাসচিব রুহুল আমীন হাওলাদার এমপি সহ দলের একাধিক প্রেসিডিয়াম সদস্য।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এরশাদ যুক্তরাষ্ট্র সফরে আসেন ১৮ জুলাই সোমবার। ঢাকার উদ্দেশ্যে নিউইয়র্ক ত্যাগ করেন ২৪ জুলাই রোববার রাতে। যুক্তরাষ্ট্রে তার সফরকালীন সময়ের উল্লেখযোগ্য ঘটনা ২১ জুলাই জ্যাকসন হাইটসে তার সম্মানে যুক্তরাষ্ট্র জাতীয় পার্টির সম্বর্ধনার আয়োজন। এর বাইরে ওয়াশিংটনে একাধিক কংগ্রেসম্যান ও সিনেটরের সাথে সাক্ষাৎ করেন বলে দলীয় সূত্রে দাবী করা হয়েছে। এরশাদের যুক্তরাষ্ট্র সফর ঘিরে নানা প্রশ্ন দলীয় ফোরমসহ নিউইয়র্কের বাংলাদেশী কমিউনিটিতে।
প্রশ্ন উঠেছে, আওয়ামী মহাজোটের শরীক দল জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এরশাদের যুক্তরাষ্ট্র সফর কেন! এই সফরের উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য কি। তিনি কি ম্যাসেজ দিয়ে গেলেন বা কি ম্যাসেজ নিয়ে গেলেন। তার সফরের মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র জাতীয় পার্টি তথা দলীয় নেতা-কর্মীরা কি পেলেন। দলের সম্বর্ধনা সভায় কত অর্থ ব্যয় হলো ইত্যাদি ইত্যাদি।
এছাড়াও দলীয় সম্বর্ধনা সভায় এরশাদের পরস্পরবিরোধী বক্তব্যও কমিউনিটিতে ব্যাপক আলোচিত হচ্ছে। বিশেষ করে বিএনপি’র মতো বড় একটি রাজনৈতিক দলের অস্তিত্ব, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিজের বোন হিসেবে সবসময় পাশে থাকার অঙ্গীকার, জাতীয় পার্টির ক্ষমতায় যাওয়া প্রভৃতি বক্তব্যে কমিউনিটিতে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করেছে। পাশাপাশি কমিউনিটিতে প্রশ্ন উঠেছে- এরশাদ কি সত্যিকারের বিরোধী দল না কি ‘গৃহপালিত বিরোধী দল’। আর এই তথা কথিত বিরোধী দলের রাজনীতি দিয়ে দেশের গণতন্ত্র কতটুকু শক্তিশালী হবে, জাতি কতটুকু উপকৃত হবে?
দলীয় চেয়ারম্যান এরশাদের যুক্তরাষ্ট্র সফর সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্র জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক আবু তালেব চৌধুরী চান্দু বলেন, দীর্ঘদিন পর নেতার যুক্তরাষ্ট্র সফরের মধ্যদিয়ে দলীয় নেতা-কর্মীরা মানসিক আর সাংগঠনিকভাবে চাঙ্গা হয়েছেন। কেননা, গত বছর তার যুক্তরাষ্ট্র সফরের কথা ছিলো। কিন্তু সেই সময় ‘গ্রীণ সিগন্যাল’ না থাকায় তিনি আসতে পারেননি। এনিয়ে যুক্তরাষ্ট্র জাতীয় পার্টির নেতা-কর্মীরা চিন্তিত ছিলেন। তিনি বলেন, আমরা আমাদের নেতাকে কাছে পেয়েছি, নিজেদের সমস্যা ও সম্ভাবনা নিয়ে কথা বলেছি, তাকে পেয়ে দলীয় নেতা-কর্মীরা চাঙ্গা হয়েছেন- এটাই আমাদের বড় পাওনা।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্র জাতীয় পার্টির এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে: ২৪ জুলাই রোববার রাত ৯ঃ৩০ মিনিটে কুয়েত এয়ারলাইন্সযোগে ৭ দিনের সফর শেষে দলীয় চেয়াম্যান এইচ এম এরশাদ তার সফরসঙ্গীসহ জেএফকে বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশের উদ্যোশে যুক্তরাষ্ট্র ত্যাগ করেন। জেএফকে বিমান বন্দরে এই সফল রাষ্ট্রনায়ককে ফুলের তোড়া দিয়ে বিদায় জানান যুক্তরাষ্ট্র জাপা’র ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও কেন্দ্রীয় নেতা হাজী আব্দুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আবু তালেব চৌধুরী চান্দু, প্রধান সমন্বয়কারী আব্দুর নূর বড় ভূইয়া, উপদেষ্টা ইসমাইল খান আনসারী, সিনিয়র সহ সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য জসিম উদ্দিন চৌধুরী, সহ সভাপতি ছবির লস্কর, অ্যাডভোকেট আলহাজ্ব হারিস উদ্দিন আহমেদ ও কে এম নাছিম, সাংগঠিক সম্পাদক ওসমান চৌধুরী, যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক লুৎফুর রহমান, নিউইয়র্ক ষ্টেট কমিটির সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ হাসান মিলন, নিউইয়র্ক সিটি কমিটির মহিলা সম্পাদিকা শাহানাজ বেগম, সদস্য বিনা বর্মন, রাজশাহী জেলা জাতীয় পার্টির সাবেক সভাপতি ও কেন্দ্রীয় সদস্য সাহাবউদ্দিন বাচ্চু, জাপা নেতা আলতাফ হোসেন, আইটি ইঞ্জিনিয়ার মোঃ মুহসিন, জাপা’র সদস্য ফয়েজউল্লাহ নাঈমসহ বিপুল সংখ্যক জাতীয় পার্টির নেতা ও কর্মীবৃন্দ।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র সফরকালে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসাইন মুহাম্মদ এরশাদ নিউইয়র্কসহ যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে জাতীয় পার্টির বিভিন্ন অংগ সংগঠনের উদ্যোগে আয়োজিত বিভিন্ন সভা-সমাবেশ ও গণ সংবর্ধনায় উপস্থিত থেকে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত জাতীয় পার্টিসহ সর্বস্তরের প্রবাসী বাংলাদেশীদের সাথে সাক্ষাত ও মতবিনিময় করেন। সেই সাথে হুসাইন মুহাম্মদ এরশাদ জাতীয় পার্টি যুক্তরাষ্ট্র শাখার সকল কার্যক্রম পর্যালোচনা করেন এবং দলের কার্যক্রমে সন্তোষ করে পার্টিকে আরো শক্তিশালী করার জন্য সবাইকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান। যুক্তরাষ্ট্র ত্যাগ করার পূর্বে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী সকল বাংলাদেশীকে সহযোগিতা করার জন্যও তিনি ধন্যবাদ জানান এবং সবার কাছে দোয়া কামনা করেন।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

About Author Information

তিনি এলেন, চলেও গেলেন, রয়ে গেলো নানা প্রশ্ন

প্রকাশের সময় : ০৯:১৮:১২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ জুলাই ২০১৬

নিউইয়র্ক: হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ। সংক্ষেপে এইচ এম এরশাদ। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সাবেক প্রধান। ঘটনাক্রমে দেশের রাষ্ট্রপতি, জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান। ক্ষমতাসীন আওয়ামী মহাজোট সরকারের বিরোধী দল কাম প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উপদেষ্টা। সামরিক ছাউনী থেকে রাষ্ট্র ক্ষমতায় ছিলেন টানা নয় বছর। পরবর্তীতে জেল-জুলুম খেটেছেন বছরের পর বছর। কারো কারো চোখে তিনি স্বৈরাচারী শাসক। কারো চোখে দেশের গ্রামবাংলার উন্নয়নের অগ্রপথিক, উপজেলা প্রশাসনের প্রবর্তক। দলীয় নেতা-কর্মীদের কাছে তিনি ‘পল্লী বন্ধু’ হিসেবে খ্যাত। সবমিলিয়ে তিনি বাংলাদেশের অন্যতম আলোচিত রাজনীতিক। এছাড়াও ব্যক্তিগত নানা ঘটনার কারণে ব্যাপক আলোচিত এই ‘রাজনৈতিক নেতা’ হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ গেলো সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্র সফর করেন। সফরটি ব্যক্তিগত থাকলেও তার সাথে ছিলেন দলীয় মহাসচিব রুহুল আমীন হাওলাদার এমপি সহ দলের একাধিক প্রেসিডিয়াম সদস্য।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এরশাদ যুক্তরাষ্ট্র সফরে আসেন ১৮ জুলাই সোমবার। ঢাকার উদ্দেশ্যে নিউইয়র্ক ত্যাগ করেন ২৪ জুলাই রোববার রাতে। যুক্তরাষ্ট্রে তার সফরকালীন সময়ের উল্লেখযোগ্য ঘটনা ২১ জুলাই জ্যাকসন হাইটসে তার সম্মানে যুক্তরাষ্ট্র জাতীয় পার্টির সম্বর্ধনার আয়োজন। এর বাইরে ওয়াশিংটনে একাধিক কংগ্রেসম্যান ও সিনেটরের সাথে সাক্ষাৎ করেন বলে দলীয় সূত্রে দাবী করা হয়েছে। এরশাদের যুক্তরাষ্ট্র সফর ঘিরে নানা প্রশ্ন দলীয় ফোরমসহ নিউইয়র্কের বাংলাদেশী কমিউনিটিতে।
প্রশ্ন উঠেছে, আওয়ামী মহাজোটের শরীক দল জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এরশাদের যুক্তরাষ্ট্র সফর কেন! এই সফরের উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য কি। তিনি কি ম্যাসেজ দিয়ে গেলেন বা কি ম্যাসেজ নিয়ে গেলেন। তার সফরের মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র জাতীয় পার্টি তথা দলীয় নেতা-কর্মীরা কি পেলেন। দলের সম্বর্ধনা সভায় কত অর্থ ব্যয় হলো ইত্যাদি ইত্যাদি।
এছাড়াও দলীয় সম্বর্ধনা সভায় এরশাদের পরস্পরবিরোধী বক্তব্যও কমিউনিটিতে ব্যাপক আলোচিত হচ্ছে। বিশেষ করে বিএনপি’র মতো বড় একটি রাজনৈতিক দলের অস্তিত্ব, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিজের বোন হিসেবে সবসময় পাশে থাকার অঙ্গীকার, জাতীয় পার্টির ক্ষমতায় যাওয়া প্রভৃতি বক্তব্যে কমিউনিটিতে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করেছে। পাশাপাশি কমিউনিটিতে প্রশ্ন উঠেছে- এরশাদ কি সত্যিকারের বিরোধী দল না কি ‘গৃহপালিত বিরোধী দল’। আর এই তথা কথিত বিরোধী দলের রাজনীতি দিয়ে দেশের গণতন্ত্র কতটুকু শক্তিশালী হবে, জাতি কতটুকু উপকৃত হবে?
দলীয় চেয়ারম্যান এরশাদের যুক্তরাষ্ট্র সফর সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্র জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক আবু তালেব চৌধুরী চান্দু বলেন, দীর্ঘদিন পর নেতার যুক্তরাষ্ট্র সফরের মধ্যদিয়ে দলীয় নেতা-কর্মীরা মানসিক আর সাংগঠনিকভাবে চাঙ্গা হয়েছেন। কেননা, গত বছর তার যুক্তরাষ্ট্র সফরের কথা ছিলো। কিন্তু সেই সময় ‘গ্রীণ সিগন্যাল’ না থাকায় তিনি আসতে পারেননি। এনিয়ে যুক্তরাষ্ট্র জাতীয় পার্টির নেতা-কর্মীরা চিন্তিত ছিলেন। তিনি বলেন, আমরা আমাদের নেতাকে কাছে পেয়েছি, নিজেদের সমস্যা ও সম্ভাবনা নিয়ে কথা বলেছি, তাকে পেয়ে দলীয় নেতা-কর্মীরা চাঙ্গা হয়েছেন- এটাই আমাদের বড় পাওনা।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্র জাতীয় পার্টির এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে: ২৪ জুলাই রোববার রাত ৯ঃ৩০ মিনিটে কুয়েত এয়ারলাইন্সযোগে ৭ দিনের সফর শেষে দলীয় চেয়াম্যান এইচ এম এরশাদ তার সফরসঙ্গীসহ জেএফকে বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশের উদ্যোশে যুক্তরাষ্ট্র ত্যাগ করেন। জেএফকে বিমান বন্দরে এই সফল রাষ্ট্রনায়ককে ফুলের তোড়া দিয়ে বিদায় জানান যুক্তরাষ্ট্র জাপা’র ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও কেন্দ্রীয় নেতা হাজী আব্দুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আবু তালেব চৌধুরী চান্দু, প্রধান সমন্বয়কারী আব্দুর নূর বড় ভূইয়া, উপদেষ্টা ইসমাইল খান আনসারী, সিনিয়র সহ সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য জসিম উদ্দিন চৌধুরী, সহ সভাপতি ছবির লস্কর, অ্যাডভোকেট আলহাজ্ব হারিস উদ্দিন আহমেদ ও কে এম নাছিম, সাংগঠিক সম্পাদক ওসমান চৌধুরী, যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক লুৎফুর রহমান, নিউইয়র্ক ষ্টেট কমিটির সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ হাসান মিলন, নিউইয়র্ক সিটি কমিটির মহিলা সম্পাদিকা শাহানাজ বেগম, সদস্য বিনা বর্মন, রাজশাহী জেলা জাতীয় পার্টির সাবেক সভাপতি ও কেন্দ্রীয় সদস্য সাহাবউদ্দিন বাচ্চু, জাপা নেতা আলতাফ হোসেন, আইটি ইঞ্জিনিয়ার মোঃ মুহসিন, জাপা’র সদস্য ফয়েজউল্লাহ নাঈমসহ বিপুল সংখ্যক জাতীয় পার্টির নেতা ও কর্মীবৃন্দ।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র সফরকালে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসাইন মুহাম্মদ এরশাদ নিউইয়র্কসহ যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে জাতীয় পার্টির বিভিন্ন অংগ সংগঠনের উদ্যোগে আয়োজিত বিভিন্ন সভা-সমাবেশ ও গণ সংবর্ধনায় উপস্থিত থেকে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত জাতীয় পার্টিসহ সর্বস্তরের প্রবাসী বাংলাদেশীদের সাথে সাক্ষাত ও মতবিনিময় করেন। সেই সাথে হুসাইন মুহাম্মদ এরশাদ জাতীয় পার্টি যুক্তরাষ্ট্র শাখার সকল কার্যক্রম পর্যালোচনা করেন এবং দলের কার্যক্রমে সন্তোষ করে পার্টিকে আরো শক্তিশালী করার জন্য সবাইকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান। যুক্তরাষ্ট্র ত্যাগ করার পূর্বে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী সকল বাংলাদেশীকে সহযোগিতা করার জন্যও তিনি ধন্যবাদ জানান এবং সবার কাছে দোয়া কামনা করেন।