নিউইয়র্ক ০৮:৩০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

‘ডোনাল্ড ট্রাম্পের উস্কানিতেই ঘটছে হেইট ক্রাইম’

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১১:৫৯:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ জানুয়ারী ২০১৬
  • / ৭৯০ বার পঠিত

নিউইয়র্ক: নিউইয়র্কের এনওয়াইপডি-তে কর্মরত বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্যদের সংগঠন বাংলাদেশী আমেরিকান অ্যাসোসিয়েশন-বাপা’ মুসলিম-আমেরিকানদের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধিতে এবার মাঠে নেমেছেন। ১৬ জানুয়ারী শনিবার বাংলাদেশী অধ্যুষিত জ্যাকসন হাইটসের খাবার বাড়ি রেস্টুরেন্টের সামনে এক সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করে সংগঠনটি। এতে পুলিশ সদস্যদের নিজস্ব প্লাটফর্ম তথা‘বাপা’র ব্যানারে পবিত্র কুরআন শরীফের আয়াত থেকে ২ টি বাক্য প্রচারের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এতে বলা হয় ‘ইফ ইউ সি সামথিং, সে… সামথিং’। ‘বাংলায়- যদি কিছু দেখেন, তাহলে কিছু অন্তত বলেন’।
বাংলাদেশী এনওয়াইপডি পুলিশ কর্মকর্তারা বলেন পবিত্র কুরআনে বলা আছে ‘যে ব্যাক্তি একজন নিরাপরাধকে হত্য করে, সে পুরো মানবজাতি-ই হত্যা করলো। তাই আমরা কুরআনের একটি আয়াতের স্বপক্ষে দাড়াতে সবাইকে আহ্বান জানাচ্ছি। তারা বলেন, কিছু আমেরিকান বিশ্বাস করে যে মুসলিমরা সন্ত্রাসকে সমর্থন করে, বস্তুত তা নয়। তাদের ওই বিশ্বাসকে আমরা দ্যার্থহীন ভাষায় প্রত্যাক্ষান করি; ঠিক পবিত্র কুরআানের ওই আয়াতের মতই।
সাংবাদিক সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন ‘বাংলাদেশী-আমেরিকান পুলিশ অ্যাসোসিয়েশন-বাপা’র চেয়ারম্যান সুমন সাইদ এবং ভাইস-চেয়ারম্যান লেফট্যানেন্ট সামছুল ইসলাম। এসময় তারা রিপাবলিকান মনোনীত প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের কড়া সমালোচনা করে বলেন, তার উস্কানিমূলক বক্তব্যের কারণেই আজকে মুসলিম-আমেরিকানরা হেইট ক্রাইমের শিকার হচ্ছেন। এসব ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই। আমরা আমাদের বাংলাদেশী মুসলিম কমিউনিটিকে বলবো যে কোন সমস্যায় আমাদের বাপা’র সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।
বাপা ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, আমেরিকার নাগরিক হিসেবে বাংলাদেশী মুসলিমদেরকেও দায়িত্ব পালন করতে হবে। সন্দেহজনক কিছু দেখলে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকি জানাতে হবে। তাহলেই অনেক সমস্যা থেকে উত্তরণ ঘটবে।
সাংবাদিক সম্মেলনে বাপা’র কর্মকর্তাদের সাথে একাতœতা পোষন করে, জ্যাকসন হাইটসের স্থানীয় কাউন্সিল মেম্বার ডানিয়েল ড্রম বলেন, আমি বিশ্বাস করি না মুসলিম-আমেরিকানরা সন্ত্রাসবাদ ও হত্যাকান্ডকে সমর্থন করে। যে সব মুসলিমরা হেইট ক্রাইমের শিকার হচ্ছেন আমি তাদের দলে। আমরা হেইট ক্রাইমকে সমর্থন করি না। নিউইয়র্ক সিটিও তা করবে না।
উল্লেখ্য, বিশ্বের রাজধানী খ্যাত নিউইয়র্ক সিটিতে প্রায় ৭৫ হাজার বৈধ বাংলাদেশী বংশোদ্ভুত আমেরিকান নাগরিকের বসবাস করেন। যার, মধ্যে প্রায় এক হাজারই রয়েছেন এনওয়াইডি’সহ সিটির বিভিন্ন আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনীর সাথে সম্পৃক্ত। এসব বাহিনীতে আন্তরিকতা আর নিষ্ঠার সাথে কাজ করছেন নিউইয়র্ক শহরের পুলিশ বাহিনীতে। আর তাই বাংলাদেশী-আমেরিকান পুলিশ অ্যাসোসিয়েশন-বাপা’ নামের এই সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা করেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। তারা পবিত্র কোরআনের আয়াতের ইংরেজী ভার্সনের পাশাপাশি সম্পূর্ন বাংলায় লেখা একটি পোষ্টার সিটির জ্যাকসান হাইটস, ব্রঙ্কস, এ্যাস্টোরিয়া, জ্যামাইকা, ওজোন পার্ক সহ বিভিন্ন এলাকায় বাংলাদেশীদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর সামনে টানিয়ে দিয়েছেন। যাতে বাপা’র সাথে যোগাযোগের তথ্যও দেয়া আছে। সংগঠনের নেতাদের দাবি, এই পোষ্টার দেখে সন্ত্রাস প্রতিরোধে সহায়তা করার জন্য উদ্বুদ্ধ হতে পারেন বাংলাদেশী কমিউনিটির সকল সদস্য। (সাপ্তাহিক বাংলা পত্রিকা)

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

About Author Information

‘ডোনাল্ড ট্রাম্পের উস্কানিতেই ঘটছে হেইট ক্রাইম’

প্রকাশের সময় : ১১:৫৯:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ জানুয়ারী ২০১৬

নিউইয়র্ক: নিউইয়র্কের এনওয়াইপডি-তে কর্মরত বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্যদের সংগঠন বাংলাদেশী আমেরিকান অ্যাসোসিয়েশন-বাপা’ মুসলিম-আমেরিকানদের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধিতে এবার মাঠে নেমেছেন। ১৬ জানুয়ারী শনিবার বাংলাদেশী অধ্যুষিত জ্যাকসন হাইটসের খাবার বাড়ি রেস্টুরেন্টের সামনে এক সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করে সংগঠনটি। এতে পুলিশ সদস্যদের নিজস্ব প্লাটফর্ম তথা‘বাপা’র ব্যানারে পবিত্র কুরআন শরীফের আয়াত থেকে ২ টি বাক্য প্রচারের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এতে বলা হয় ‘ইফ ইউ সি সামথিং, সে… সামথিং’। ‘বাংলায়- যদি কিছু দেখেন, তাহলে কিছু অন্তত বলেন’।
বাংলাদেশী এনওয়াইপডি পুলিশ কর্মকর্তারা বলেন পবিত্র কুরআনে বলা আছে ‘যে ব্যাক্তি একজন নিরাপরাধকে হত্য করে, সে পুরো মানবজাতি-ই হত্যা করলো। তাই আমরা কুরআনের একটি আয়াতের স্বপক্ষে দাড়াতে সবাইকে আহ্বান জানাচ্ছি। তারা বলেন, কিছু আমেরিকান বিশ্বাস করে যে মুসলিমরা সন্ত্রাসকে সমর্থন করে, বস্তুত তা নয়। তাদের ওই বিশ্বাসকে আমরা দ্যার্থহীন ভাষায় প্রত্যাক্ষান করি; ঠিক পবিত্র কুরআানের ওই আয়াতের মতই।
সাংবাদিক সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন ‘বাংলাদেশী-আমেরিকান পুলিশ অ্যাসোসিয়েশন-বাপা’র চেয়ারম্যান সুমন সাইদ এবং ভাইস-চেয়ারম্যান লেফট্যানেন্ট সামছুল ইসলাম। এসময় তারা রিপাবলিকান মনোনীত প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের কড়া সমালোচনা করে বলেন, তার উস্কানিমূলক বক্তব্যের কারণেই আজকে মুসলিম-আমেরিকানরা হেইট ক্রাইমের শিকার হচ্ছেন। এসব ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই। আমরা আমাদের বাংলাদেশী মুসলিম কমিউনিটিকে বলবো যে কোন সমস্যায় আমাদের বাপা’র সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।
বাপা ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, আমেরিকার নাগরিক হিসেবে বাংলাদেশী মুসলিমদেরকেও দায়িত্ব পালন করতে হবে। সন্দেহজনক কিছু দেখলে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকি জানাতে হবে। তাহলেই অনেক সমস্যা থেকে উত্তরণ ঘটবে।
সাংবাদিক সম্মেলনে বাপা’র কর্মকর্তাদের সাথে একাতœতা পোষন করে, জ্যাকসন হাইটসের স্থানীয় কাউন্সিল মেম্বার ডানিয়েল ড্রম বলেন, আমি বিশ্বাস করি না মুসলিম-আমেরিকানরা সন্ত্রাসবাদ ও হত্যাকান্ডকে সমর্থন করে। যে সব মুসলিমরা হেইট ক্রাইমের শিকার হচ্ছেন আমি তাদের দলে। আমরা হেইট ক্রাইমকে সমর্থন করি না। নিউইয়র্ক সিটিও তা করবে না।
উল্লেখ্য, বিশ্বের রাজধানী খ্যাত নিউইয়র্ক সিটিতে প্রায় ৭৫ হাজার বৈধ বাংলাদেশী বংশোদ্ভুত আমেরিকান নাগরিকের বসবাস করেন। যার, মধ্যে প্রায় এক হাজারই রয়েছেন এনওয়াইডি’সহ সিটির বিভিন্ন আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনীর সাথে সম্পৃক্ত। এসব বাহিনীতে আন্তরিকতা আর নিষ্ঠার সাথে কাজ করছেন নিউইয়র্ক শহরের পুলিশ বাহিনীতে। আর তাই বাংলাদেশী-আমেরিকান পুলিশ অ্যাসোসিয়েশন-বাপা’ নামের এই সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা করেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। তারা পবিত্র কোরআনের আয়াতের ইংরেজী ভার্সনের পাশাপাশি সম্পূর্ন বাংলায় লেখা একটি পোষ্টার সিটির জ্যাকসান হাইটস, ব্রঙ্কস, এ্যাস্টোরিয়া, জ্যামাইকা, ওজোন পার্ক সহ বিভিন্ন এলাকায় বাংলাদেশীদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর সামনে টানিয়ে দিয়েছেন। যাতে বাপা’র সাথে যোগাযোগের তথ্যও দেয়া আছে। সংগঠনের নেতাদের দাবি, এই পোষ্টার দেখে সন্ত্রাস প্রতিরোধে সহায়তা করার জন্য উদ্বুদ্ধ হতে পারেন বাংলাদেশী কমিউনিটির সকল সদস্য। (সাপ্তাহিক বাংলা পত্রিকা)