নিউইয়র্ক ০৮:০৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

ট্যাক্স সিজনের শুরুতেই আইআরএস’র নামে প্রতারণা

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০২:৩৬:২৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ মার্চ ২০১৫
  • / ৪৮৬ বার পঠিত

নিউইয়র্ক: শুরু হয়েছে ট্যাক্স সিজন। এর মধ্যেই তৎপর হয়ে উঠেছে প্রতারকরা। ইতোমধ্যে সারা যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে ভুয়া আইআরএস নামধারীদের দৌরাত্বের শিকার হয়েছে প্রায় সাড়ে তিনলাখেরও বেশী সাধারণ মানুষ। যাদের অনেকেই এসব অজ্ঞাত ব্যক্তিদের কারসাজির কারণে হারিয়েছেন লাখ লাখ ডলার। এমন ভয়ংকর তথ্যই উঠে এসেছে খোদ যুক্তরাষ্ট্র সিনেটের ফিন্যান্স কমিটির এক শুনানিতে। শুনানিতে জানানো হয়, আইআরএস এজেন্ট নামধারী অজ্ঞাত ব্যক্তিরা বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষকে ফোনের মাধ্যমে হুমকি ধামকি দিয়ে বিপুল পরিমান অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। এ ধরনের ভুয়া আইআরএস এজেন্টদের বিষয়ে সতর্ক থাকতে কমিউনিটির সবাইকে বলা হয় শুনানীতে।
গত ১২ মার্চ বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটনে যুক্তরাষ্ট্রের ফিন্যান্স কমিটির এ সংক্রান্ত শুনানিতে এমন ভয়াবহ তথ্যই উঠে এসেছে। ট্রেজারি বিভাগের ট্যাক্স এডমিনিস্ট্রেটর, ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল টিমোথি চামোস জানিয়েছেন, প্রতিটি ষ্টেটের মানুষই এ ধরনের পরিস্থিতির শিকার। এসব ভুয়া এজেন্টরা কিভাবে মানুষকে ফাঁদে ফেলে টাকা পয়সা হাতিয়ে নিচ্ছেন তার বিস্তারিত বিবরণ তুলে ধরলেন তিনি। ঐ শুনানীতে বলা হয়, এসব ভুয়া এজেন্টদের ফাঁদে পড়ে ৫ লাখ ডলার পর্যন্ত খুইয়েছেন এমন লোকও আছেন।
অভিযোগটি বেশ পুরোনো। সাধারণ মানুষেরা এর ভুক্তভোগী। হঠাৎ করেই একটি ফোন এলো। অপর প্রান্ত থেকে হয়তো বলা হলো, আপনার চলতি বছরের ট্যাক্স এতো টাকা হয়েছে, আইন আদালত থেকে বাঁচতে অমুক দিন, অমুক সময়ের মধ্যে নির্ধারিত পরিমান টাকা জমা দিতে হবে। সরল বিশ্বাসে অনেকেই টাকা জমা দিয়ে দেন আইনের হাত থেকে বাঁচতে। এটি এক বা দুজনের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলে ভালো হতো। কিন্তু এটি ছড়িয়ে পড়েছে আশক্সঙ্কাজনকভাবে পুরো যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে।
এক হিসেবে বলা হয়েছে ভুয়া এসব আইআরএস এজেন্টদের টার্গেট ৩লাখ ৬৬ হাজারেরও মানুষ। যারা বিভিন্ন সময় এসব ভূয়া এজেন্টদের কারণে নিজেদের সর্বস্ব খোয়াচ্ছেন বা খোয়াতে যাচ্ছেন।
বিষয়টি ভাবিয়ে তুলেছে ট্যাক্স বিশেষজ্ঞদেরও। তারা জানালেন বাংলাদেশী কমিউনিটিকে এ ব্যাপারে সতর্ক থাকতে। জ্যাকসন হাইটস-এর ট্যাক্স কনসালটেন্ট, খালিদ মোস্তাক বললেন, ভুয়া এজেন্টদের কাছ থেকে সাবধান থাকতে হবে কমিউনিটির লোকদের। অজ্ঞাত ফোন পেলে প্রথমে আগে নিশ্চিত হতে হবে, যিনি ফোন করেছেন তার প্রকৃত পরিচয় ফোন দাতার ঠিকানা। কোনো অবস্থাতেই তার কথা অনুযায়ী কোথায় টাকা জমা না দেয়ারও পরামর্শ দেন তিনি। পুরো বিষয়টি আরো পরিষ্কার করতে সরাসরি আইআরএস অফিসে যোগাযোগেরও পরামর্শ দেন তিনি। এছাড়াও একজন অভিজ্ঞ সিপিএ’রও পরামর্শ নিতে পারে কেউ এ ব্যাপারে।(সাপ্তাহিক বাংলা পত্রিকা)

Tag :

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

About Author Information

ট্যাক্স সিজনের শুরুতেই আইআরএস’র নামে প্রতারণা

প্রকাশের সময় : ০২:৩৬:২৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ মার্চ ২০১৫

নিউইয়র্ক: শুরু হয়েছে ট্যাক্স সিজন। এর মধ্যেই তৎপর হয়ে উঠেছে প্রতারকরা। ইতোমধ্যে সারা যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে ভুয়া আইআরএস নামধারীদের দৌরাত্বের শিকার হয়েছে প্রায় সাড়ে তিনলাখেরও বেশী সাধারণ মানুষ। যাদের অনেকেই এসব অজ্ঞাত ব্যক্তিদের কারসাজির কারণে হারিয়েছেন লাখ লাখ ডলার। এমন ভয়ংকর তথ্যই উঠে এসেছে খোদ যুক্তরাষ্ট্র সিনেটের ফিন্যান্স কমিটির এক শুনানিতে। শুনানিতে জানানো হয়, আইআরএস এজেন্ট নামধারী অজ্ঞাত ব্যক্তিরা বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষকে ফোনের মাধ্যমে হুমকি ধামকি দিয়ে বিপুল পরিমান অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। এ ধরনের ভুয়া আইআরএস এজেন্টদের বিষয়ে সতর্ক থাকতে কমিউনিটির সবাইকে বলা হয় শুনানীতে।
গত ১২ মার্চ বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটনে যুক্তরাষ্ট্রের ফিন্যান্স কমিটির এ সংক্রান্ত শুনানিতে এমন ভয়াবহ তথ্যই উঠে এসেছে। ট্রেজারি বিভাগের ট্যাক্স এডমিনিস্ট্রেটর, ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল টিমোথি চামোস জানিয়েছেন, প্রতিটি ষ্টেটের মানুষই এ ধরনের পরিস্থিতির শিকার। এসব ভুয়া এজেন্টরা কিভাবে মানুষকে ফাঁদে ফেলে টাকা পয়সা হাতিয়ে নিচ্ছেন তার বিস্তারিত বিবরণ তুলে ধরলেন তিনি। ঐ শুনানীতে বলা হয়, এসব ভুয়া এজেন্টদের ফাঁদে পড়ে ৫ লাখ ডলার পর্যন্ত খুইয়েছেন এমন লোকও আছেন।
অভিযোগটি বেশ পুরোনো। সাধারণ মানুষেরা এর ভুক্তভোগী। হঠাৎ করেই একটি ফোন এলো। অপর প্রান্ত থেকে হয়তো বলা হলো, আপনার চলতি বছরের ট্যাক্স এতো টাকা হয়েছে, আইন আদালত থেকে বাঁচতে অমুক দিন, অমুক সময়ের মধ্যে নির্ধারিত পরিমান টাকা জমা দিতে হবে। সরল বিশ্বাসে অনেকেই টাকা জমা দিয়ে দেন আইনের হাত থেকে বাঁচতে। এটি এক বা দুজনের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলে ভালো হতো। কিন্তু এটি ছড়িয়ে পড়েছে আশক্সঙ্কাজনকভাবে পুরো যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে।
এক হিসেবে বলা হয়েছে ভুয়া এসব আইআরএস এজেন্টদের টার্গেট ৩লাখ ৬৬ হাজারেরও মানুষ। যারা বিভিন্ন সময় এসব ভূয়া এজেন্টদের কারণে নিজেদের সর্বস্ব খোয়াচ্ছেন বা খোয়াতে যাচ্ছেন।
বিষয়টি ভাবিয়ে তুলেছে ট্যাক্স বিশেষজ্ঞদেরও। তারা জানালেন বাংলাদেশী কমিউনিটিকে এ ব্যাপারে সতর্ক থাকতে। জ্যাকসন হাইটস-এর ট্যাক্স কনসালটেন্ট, খালিদ মোস্তাক বললেন, ভুয়া এজেন্টদের কাছ থেকে সাবধান থাকতে হবে কমিউনিটির লোকদের। অজ্ঞাত ফোন পেলে প্রথমে আগে নিশ্চিত হতে হবে, যিনি ফোন করেছেন তার প্রকৃত পরিচয় ফোন দাতার ঠিকানা। কোনো অবস্থাতেই তার কথা অনুযায়ী কোথায় টাকা জমা না দেয়ারও পরামর্শ দেন তিনি। পুরো বিষয়টি আরো পরিষ্কার করতে সরাসরি আইআরএস অফিসে যোগাযোগেরও পরামর্শ দেন তিনি। এছাড়াও একজন অভিজ্ঞ সিপিএ’রও পরামর্শ নিতে পারে কেউ এ ব্যাপারে।(সাপ্তাহিক বাংলা পত্রিকা)