জয়ের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র প্রতিহত করা হবে : বাংলাদেশে জ্বালাও পোড়াওয়ে জড়িতদের ফাঁসিতে ঝোলানোর আহবান
- প্রকাশের সময় : ০৩:৪৭:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ মার্চ ২০১৫
- / ৫৩৬ বার পঠিত
নিউইয়র্ক: বাংলাদেশে জ্বালাও পোড়াওয়ে জড়িতদের বাড়ি বাড়ি থেকে ধরে এনে ফাঁসিতে ঝোলানোর আহবান জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ। অপরদিকে বিএনপি নেতা সাদেক হোসেন খোকার ‘প্রবাসে বসে বাংলাদেশের রাজনীতি না করার’ বক্তব্যের উল্লেখ করে, নেতৃবৃন্দ তার উদ্দেশ্যে পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে বলেন, তিনি কেন বাংলাদেশে না গিয়ে প্রবাসে বসে রাজনীতি করছেন? এছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজিব ওয়াজেদ জয়ের বিরুদ্ধে আনা ৩০০ মিলিয়ন ডলাররের অনিয়মের অভিযোগের প্রতিবাদ করলেও এ ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ভিন্ন বক্তব্য দিয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে দলীয় নেতৃবৃন্দ উপরোক্ত কথা বলেন। গত ১১ মার্চ বুধবার সন্ধ্যায় সিটির জ্যাকসন হাইটস্থ পালকি পার্টি সেন্টারে এই সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিশেষ করে বিএনপি-জামায়াত চক্রের পেট্রোল বোমা সংস্কৃতির প্রেক্ষাপটে সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করা হলেও এদিন প্রকাশিত একটি পত্রিকায় ‘জয়ের ৩০০ মিলিয়ন ডলার’ বিষয়ে একটি খবর প্রকাশের ঘটনায় শেষ পর্যন্ত সাংবাদিক সম্মেলনে জয়কে ঘিরেও প্রশ্ন উঠে বেশী। উল্লেখ্য, মুক্তিযোদ্ধাবিষয়ক মন্ত্রী মোজাম্মেল হকের সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত মন্ত্রী সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত হননি।
সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদুর রহমান সাজ্জাদ ও যুগ্ম সম্পাদক আব্দুস সামাদ আজাদ। এসময় যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সৈয়দ বসারত আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক ফারুক আহমেদ, প্রবাসী কল্যাণ সম্পাদক সোলায়মান আলী, কার্যকরী সদস্য কামরুল হীরা প্রমুখ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সাংবাদিক সম্মেলনে ড. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের গড়া তথাকথিত গণতান্ত্রিক দলটি এখন মানুষ মারার রাজনীতি করছে। বিএনপি ক্ষমতায় যাওয়ার লোভে দেশে একদিকে তারা পেট্রোল বোমায় মানুষ পুড়িয়ে মারছে, অন্যদিকে বিদেশের মাটিতে বসে ষড়যন্ত্রের রাজনীতি করছে। কিন্তু দেশের জনগণ তাদের এই আন্দোলনের সঙ্গে নেই। অসুস্থ রাজনীতির কারণে বিএনপি এখন জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন। তিনি বলেন, যারা পেট্রোল বোমা মেরে মানুষ হত্যা করছে তাদের দ্রুত বিচারের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি দেয়া উচিত। পেট্রোল বোমাবাজদের প্রয়োজনে মৃত্যুদন্ড দেয়া উচিত বলে মন্তব্য করেন সিদ্দিকুর রহমান। তিনি বলেন, বিএনপি যত আন্দোলনই করুক না কেনো আগামী চার বছরের আগে দেশে কোনো নির্বাচন হবে না।
ড. সিদ্দিকুর রহমান আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রীপুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় একজন প্রতিষ্ঠিত রাজনীতিবিদ। তিনি বাংলাদেশের ভবিষ্যত নেতা। বিএনপি-জামায়াত জোট তার বিরুদ্ধে নানামুখী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকবে এটাই স্বাভাবিক। কারণ দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে বিএনপি-জামায়াত জোটের অবস্থা নড়বড়ে হয়ে গেছে। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে জয়কে অপহরণের ষড়যন্ত্র ফাঁস হয়ে গেছে এবং এর সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে এক বিএনপি নেতার পুত্রের সাজাও হয়েছে। ভবিষ্যতে সজীব ওয়াজেদ জয়ের বিরুদ্ধে যে কোনো ষড়যন্ত্র প্রতিহত করা হবে।
সজিব ওয়াজেদ জয় সম্পর্কিত প্রশ্নের জবাবে ড. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, সজিব ওয়াজেদ জয়ের ৩০০ মিলিয়ন ডলার মালিক সম্পর্কিত খবরটি কোন খবরই নয়। কারণ বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নেতা জয় সম্পর্কে কয়েকটি মিডিয়ায় দূরভিসন্দিমূলক অহরহ সংবাদ প্রকাশিত হয়ে আসছে। তার (জয়) সম্পর্কে কোন তথ্য জানতে চাইলে তার সাথেই যোগাযোগ করা উচিৎ। এর আগে সাজ্জাদুর রহমান সাজ্জাদ বলেন, জয় প্রধানমন্ত্রীর ডিজিটাল অবৈতনিক উপদেষ্টা। তাকে অপহরণ সম্পর্কিত খবর উদ্বেগজনক। যুক্তরাষ্ট্রের আইনের আওতায় দোষীদের বিচারের আওতায় আনার দাবী জানান।
জয়ের আয়ের উৎস কি এমন এক প্রশ্নের জবাবে প্রথমে সাজ্জাদ বলেন, জয় একজন হার্ভার গ্র্যাজুয়েট ও কম্পিউটার প্রোগ্রামার। তিনি ঘরে বসেই অনেক অর্থ আয় করেন। তাছাড়া তার স্ত্রী একজন পোদার আইনজীবী (এটর্নী)। তিনিও প্রচুর অর্থ আয় করেন। এব্যাপারে ড. সিদ্দিক বলেন, জয়ের ব্যাপারে কোন কিছু জানতে চাইলে তাকেই (জয়) করা উচিৎ। তিনি যুক্তরাষ্ট্রেই থাকেন।
মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের আওয়ামী নেতাদের সাথে জামায়াতী এক নেতার সাথে দেখা হওয়ার খবর সম্পর্কিত প্রশ্নের জবাবে ড. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, এব্যাপারে কোন তথ্য আমাদের জানা নেই। আর ব্যক্তিগত সফরে আসা কোন মন্ত্রী কোথায় গেলেন বা না গেলেন, কার সাথে দেখা করলেন বা করলেন না এটা তার ব্যক্তিগত বিষয়। এব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের কোন দায়-দায়িত্ব নেই।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে ড. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, বিএনপি এখন আর কোন বিরোধী দল নয়। এটি সন্ত্রাসীদের লালন-পালনকারী ক্ষুদ্র দল। এদের সাথে সংলাপের কোন প্রশ্নই উঠে না। আর ২০১৯ সালের আগে কোন নির্বাচন নয়।