নিউইয়র্ক: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এলামনাই এসোসিয়েশন অফ আমেরিকার উদ্যোগে এবং বাংলাদেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় এলামনাই এসোসিয়েশন এর সহযোগিতায় জাঁকজমকপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হলো সম্মিলিত বাংলা বর্ষবরণ ১৪২২ ও বৈশাখী মেলা। নিউইর্কের জ্যাকসন হাইটসে গত ১৬ মে আয়োজিত মেলার উদ্ভোধন করেন জাবি এলামনাই এসোসিয়েশন-এর সভাপতি ও আহ্বায়ক মোহাম্মদ কবির কিরন। অনুষ্ঠানে উদ্ভোধনী বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলামনাই এসোসিয়েশন-এর সভাপতি ও সহ-আহবায়ক তাজুল ইসলাম, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এলামনাই এসোসিয়েশন-এর সভাপতি ও সহ-আহবায়ক বিষ্ণু গোপ, জাবি’র প্রাক্তন ছাত্র ড. সাদেক চৌধুরী (পরিসংখ্যান বিভাগ), মিডিয়া পার্টনার ফখরুল আলম, সাপ্তাহিক ঠিকানা’র প্রধান সম্পাদক মুহাম্মদ ফজলুর রহমান, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এলামনাই এসোসিয়েশন-এর প্রতিষ্ঠা সদস্য শাহ্নেয়াজ ডিকেন্স, মেটলাইফ এজেন্ট পরেশ শাহা ও বিশেষ অতিথি কনসাল জেনারেল শামীম আহসান।
দুপুর ১২টা থেকে মেলা চলতে থাকে। মেলায় আগত দূর দুরান্ত থেকে এলামনাই পরিবার ও সাধারন জনতা মন মাতানো মুহূর্ত উপভোগ করেন। মেলার মধ্যে এক পর্যায়ে বাংলাদেশ থেকে সদ্য আগত পেশাজীবী ঢোলক তার লম্বা চুল ও লাল পাঞ্জাবী উড়িয়ে আনন্দে ঢাক বাঁজাতে শুরু করেন। ঢাকের শব্দে তাকে কেন্দ্র করে এলামনাই পরিবার ও মেলায় আগত বিশেষ অতিথিগণ তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে দুলতে দুলতে মেলা প্রদক্ষিণ করেন। অন্যদিকে আখতার আহমেদ রাশা কর্তৃক পরিচালিত একটি চলচিত্র প্রদর্শনী চলছিল মেলা প্রাঙ্গনে অবস্থিত অডিটোরিয়ামে। এ বছর তারেক মাসুদ কর্তৃক নির্মিত ‘এ কাইন্ড অব চাইল্ডহুড’ শিশু শ্রম ভিত্তিক ডকুমেন্টারি ফিল্মটি প্রদর্শনীর জন্য নির্বাচন করা হয়। উদ্দেশ্য এই যে, প্রাচ্যে বেঁড়ে উঠা বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত প্রজন্ম যেন বাংলাদেশ নিয়ে আরও ভাবে, এবং বাংলাদেশের সাথে যোগসূত্রটি শক্ত করে বাঁধতে পারে সহমর্মিতার মর্মে।
প্রজন্ম জাহাঙ্গীরনগর পর্বে নাচ পরিবেশনা করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রজন্ম শিশু শিল্পী শৈলী ও নায়লা। অন্যান্য অতিথি শিল্পীদের পরিবেশনা খুবই প্রশংসনীয়।
সম্মিলিত বৈশাখী অনুষ্ঠানকে সফল করেন যারা তাদের নাম উল্লেখ করে মোহাম্মদ নাসিরুল্লাহ তাদের কাছে বিশেষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তারা হলেন একরামুল করিম, খালেদ মনির জোসেফ, নাহিদ সুলতানা কলি, ম্যারিস্টলা আহমেদ শ্যামলী, সুজিত পাল, মেঘনা পাল, নবনী, তইমুর, এস এম. আলম, জীবন বিশ্বাস, কাবেরী দাশ, এমদাদুল হক, সবিতা দাশ, ফরিদা ইয়াসমিন, অনুপ কুমার দাশ প্রমুখ।
জাবি এলামনাই এসোসিয়েশন-এর জেনারেল সেক্রেটারি ও অনুষ্ঠানের সদস্য সচিব মোহাম্মদ নাসিরুল্লাহ অংশগ্রহণকারী সাংস্কৃতিক শিল্পী গোষ্ঠী সমুহের বিশেষ অবদান এর কথা উল্লেখ করে বলেন, এরা নিউইয়র্কে বাংলা সংস্কৃতির বটমূল। সংস্কৃতির এই বটবৃক্ষে উল্লেখযোগ্য শাখাগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ একাডেমী অফ ফাইন আর্টস (বাফা), সঙ্গীত পরিষদ, প্রকৃতি নিউইয়র্ক, উদীচি, সুরবাহার, সুরছন্দ ও বহ্নিশিখা’র পরিবেশনা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। মনমুগ্ধকর এই অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন মেহের কবির, শামিম আরা বেগম, ও সাবিনা শারমিন নিহার।