নিউইয়র্ক ০৭:১৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

চট্টগ্রাম সমিতির নির্বাচন বর্জনের হুমকী

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৮:৩২:১৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ মার্চ ২০১৭
  • / ৪১৭ বার পঠিত

নিউইয়র্ক: চট্টগ্রাম সমিতির আসন্ন নির্বাচনের অনিয়ম সংশোধন না করলে নির্বাচন বর্জনের হুমকী দিয়েছে ‘জাহাঙ্গীর-বিল্লাহ’ প্যানেল। সেই সাথে নির্বাচন ঘিরে বিভিন্ন অনিয়মের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ারও হুশিয়ারী দেন প্যানেলটির সভাপতি পদপ্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম। গত ৫ মার্চ রোববার বিকেলে জ্যাকসন হাইটসসের একটি রেস্টুরেন্টে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে এসব সিদ্ধান্তের কথা জানান জাহাঙ্গীর আলম। অনুষ্ঠানে তিনি স্পষ্ট ভাষায় বলেন যে, বর্তমান নির্বাচন কমিশন পক্ষপাতমূলক আচরণ করছে। নির্বাচনের আগেই তারা বিতর্কিত। অনুষ্ঠানে সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী মোক্তাদির বিল্লাহ অভিযোগ করে বলেন, ‘জাহাঙ্গীর-বিল্লাহ’ প্যানেলের ৪জন প্রার্থীকে অবৈধ ঘোষনা করেছে যা গঠনতন্ত্র পরিপন্থি। তিনি নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা জানান এবং খুব শীঘ্রই নির্বাচন কমিশন তাদের সিদ্ধান্তের সংশোধন করে এই প্যানেলের ২১ জন প্রার্থীর পূর্ণ প্যানেল ঘোষনা দেবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। অনুষ্ঠানে আঞ্চলিক সংগঠনের সদস্য হওয়ায় ‘জিয়া-সেলিম’ প্যানেলের ৩ জন প্রার্থী সমিতির নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না বলে তারা অভিযোগ করেন।
Chittagong Asso. USA logoউল্লেখ্য, চট্টগ্রাম সমিতির নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী ‘জাহাঙ্গীর-বিল্লাহ’ প্যানেলের ক্রীড়া সম্পাদক পদপ্রাথী প্রবীর দাশ (দিপু), কার্যকরী পরিষদের সদস্য পদপ্রার্থী পুলক কান্তি দাশ, মোহাম্মদ আকতার হোসেন ও তৌহিদ হাসান খানের প্রার্থীতা অযোগ্য বলে ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন।
অনুষ্ঠানে ‘জাহাঙ্গীর-বিল্লাহ’ প্যানেলের সভাপতি পদপ্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমাদের এই সম্মেলন কোন ব্যক্তি, বিশেষ বা বিশেষ কমিশনের প্রতি কোন প্রকার ব্যক্তিগত বা দলগত অভিযোগের জন্য নয়, দীর্ঘ ৩০ মাস পরে চট্টগ্রাম সমিতির নির্বাচন অবশ্যই প্রবাসী চট্টগ্রামবাসীসহ আপনারা এবং উত্তর আমেরিকার বাংলা ভাষাভাষি বাংলাদেশী কমিউনিটির কাছে একটি উপভোগ্য হওয়ার মত বা হওয়া উচিত। একদিকে যেমন নির্দিষ্ট সময়ের ১ বৎসর (প্রায়) পরে এই নির্বাচনের আয়োজন, অপরদিকে তেমনি সময় প্রতিকূলতায় শীতির মৌসুমে ২ এপ্রিল-২০১৭ নির্বাচন অনুষ্ঠান ঘোষণা করেছেন। নির্বাচন কমিশনের এমন একগুয়েমি সিদ্ধান্ত চট্টগ্রামবাসীকে চরমভাবে ভাবিয়ে তুলছেন। আমরা নিম্মোক্ত বিষয়গুলোর প্রতি আপনাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করব এবং চট্টগ্রামবাসীর জ্ঞাতার্থে আপনাদের জনপ্রিয় পত্রিকা ও টিভির মাধ্যমে সহযোগিতা প্রত্যাশা করি। নির্বাচন কমিশনের অনিয়ম ও গঠণতন্ত্র লঙ্ঘনসমুহ:
১. কোন প্রকার চুড়ান্ত ভোটার তালিকা ছাড়া (কার্যকরি কমিটি অনুমোদিত) নির্বাচনী তফশীল ঘোষণা করেন জানুয়ারী ২৯ এবং সংশোধিত ৫ ফেব্রুয়ারী ২০১৭।
২. নির্বাচনের চুড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রনয়ন নির্বাচন কমিশন-এর কাজ না হওয়া সত্বেও অনেকটা গায়ে পড়ে ভোটার তালিকার কাজে সরাসরি হস্তক্ষেপ করা।
৩. নির্বাচনী তফশীলে উল্লেখিত নিয়মনীতি ভঙ্গ, গঠণতন্ত্রের সাথেও তফশীলের নিময়নীতিতে কোন মিল না থাকার কারণে সাংঘর্ষিক অবস্থার সৃষ্টি করা।
৪. অনৈতিকভাবে আমাদের চারজন প্রার্থীকে তাদের প্রার্থীতা বাতিল করা। (তথ্য সংযোজিত)
৫. আমাদের আনিত অভিযোগ সমিতির গঠণতন্ত্র ও নমিনেশন ফরমে আনীত প্রশ্নের আলোকে আঞ্চলিক সংগঠন (মিরসরাই সমিতির তিনজন নিয়মিত সদস্য) এবং নির্বাচিত কর্মকর্তা (অভিযোগ নামা সংযোজিত)। প্রমাণ হলেও নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত প্রদানে কালক্ষেপণ করা।
৬. অদ্যবধি “ভোটার তালিকা” প্রস্তুতির কাজ চলছে এমন শুভংকরের ফাঁকিতে ভোটাররা জানেন না এখনও ওনারা ভোট দিতে পারবে কিনা।
৭. নির্বাচনের তারিখ ও অন্যান্য কার্যত্রুম গঠনতন্ত্রের সরাসরি লঙ্ঘন একটি পক্ষের প্রতি সরাসরি সমর্থন নয় কি?
জাহাঙ্গীর আলম তার লিখিত বক্তব্যে আরো বলেন, সবশেষে আমাদের অভিযোগ না, চট্টগ্রামবাসীর প্রশ্ন আপনারা নির্বাচন কমিশনের সদস্য হয়ে কার স্বার্থে কাজ করছেন? কোন দলের প্রতিনিধি না, চট্টগ্রাম সমিতির নির্বাচন গঠণতন্ত্র মোতাবেক নির্বাচন অনুষ্ঠান করা? যদি তাই হয়, তাহলে আপনারাদের শুরু থেকে অদ্যবদি সকল কার্যত্রুম কেন তফসিল এবং গঠনতন্ত্রের সাথে সাংঘর্ষিক হবে। যখন আপনাদের মনমত হয় আপনারা বলেন, তফশীল অনুযায়ী যখন আপনাদের মনমত না হয় তখন গঠণতন্ত্র মোতাবেক। আপনাদের এ দোদল্যমান ও দ্বিমূখী অবস্থান অবশ্যই আপনাদের অনৈতিক ব্যক্তিগত এবং কারো পক্ষে নির্বাচনী প্রচারে মাঠে নামার মত। দৃশ্যত আপনাদের ভূমিকা এমন হচ্ছে যে, আপনাদের অধিনে নির্বাচনে গেলে ভোটের দিন ও সম্মানিত চট্টগ্রামবাসীরা ভোট কেন্দ্র থেকে অপমানিত হইয়া বাসায় ফিরতে হবে। কারণ আপনারা এখন পর্যন্ত ভোটারদের চুড়ান্ত তালিকা ঘোষণা দিতে পারেন নি। সংশোধন চলতেছে (সংযোজিত) মূলত: যে কাজ আপনাদের নয় এ রকম কাজ ও নির্বাচন কমিশন অনেকটা গায়ে পরে করে যাচ্ছেন। অনেকটা কোন দল বা গ্রুপের পেইড কর্মকর্তার মত।
উল্লেখ্য, কিভাবে একটা ভোটার তালিকা চুড়ান্ত হবে সে রকম গ্রহণযোগ্য অনকে প্রস্তাব নির্বাচন কমিশনের বরাবরে দিলেও ওনারা এগুলোর তোয়াক্কা করেননা। শুধু শুনা ছাড়া যেমন “বিচারমানি তাল গাছ আমার” নীতি চট্টগ্রামবাসীর এ প্রাণের মেলাকে প্রশ্নবৃন্দ্ব করে চলেছেন। অতএব আপনাদের এহন ব্যর্থতার দায়ভার কেন চট্টগ্রামবাসীকে বহন করবে বা জাহাঙ্গীর-বিল্লাহ পরিষদের সম্মানিত চারজন প্রার্থীর প্রার্থীতা বাতিল মেনে নেবে। আপনারা কেনই বা অন্য আর একটি প্যানেলের তিনজন প্রার্থীকে সব তথ্য প্রমাণ পাওয়ার পরেও বাতিল করতে গড়িমসি করতেছেন। চট্টগ্রামবাসী ও জাহাঙ্গীর-বিল্লাহ পরিষদ সম্মানিত সাংবাদিক ভাইদের মাধ্যমে জানতে চায়।
আমাদের অন্যায় আবদার নয়, সমিতির গঠণতন্ত্র, আপনাদের ঘোষিত তফশীল এবং সর্বোপরি কোন দলকে সরাসরি সমর্থন করে কমিশনের কাজ করা ছাড়া এখনও পর্যন্ত নির্বাচন কমিশন হিসেবে নির্বাচন পরিচালনার কোন যোগ্যতাই প্রমাণ করতে পারেননি। বরং সমিতিকে একটি আইনানুগত অবস্থানে পৌঁছাইয়া চট্টগ্রামবাসীর আমানত (প্রায় ৫০ হাজার অধিক) ডলার অবৈধভাবে হাতে রেখে মামলার মত ন্যাক্কারজনক কাজে উৎসাহ যোগাচ্ছেন।
তাই আমরা স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ এবং সবার গ্রহনযোগ্য একটি স্বাধীন নির্বাচন কমিশন এ মুহুর্তে জরুরী মনে করি এবং কার্যকরী কমিটির প্রধানদের কাছে বর্তমান নির্বাচন কমিশনকে অব্যাহতি দেওয়ার আবেদন রাখতেছি। অন্যথায় জাহাঙ্গীর-বিল্লাহ পরিষদ চট্টগ্রামবাসীকে সাথে নিয়ে আপনাদের অপসারণ নিশ্চিত করবে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

About Author Information

চট্টগ্রাম সমিতির নির্বাচন বর্জনের হুমকী

প্রকাশের সময় : ০৮:৩২:১৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ মার্চ ২০১৭

নিউইয়র্ক: চট্টগ্রাম সমিতির আসন্ন নির্বাচনের অনিয়ম সংশোধন না করলে নির্বাচন বর্জনের হুমকী দিয়েছে ‘জাহাঙ্গীর-বিল্লাহ’ প্যানেল। সেই সাথে নির্বাচন ঘিরে বিভিন্ন অনিয়মের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ারও হুশিয়ারী দেন প্যানেলটির সভাপতি পদপ্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম। গত ৫ মার্চ রোববার বিকেলে জ্যাকসন হাইটসসের একটি রেস্টুরেন্টে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে এসব সিদ্ধান্তের কথা জানান জাহাঙ্গীর আলম। অনুষ্ঠানে তিনি স্পষ্ট ভাষায় বলেন যে, বর্তমান নির্বাচন কমিশন পক্ষপাতমূলক আচরণ করছে। নির্বাচনের আগেই তারা বিতর্কিত। অনুষ্ঠানে সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী মোক্তাদির বিল্লাহ অভিযোগ করে বলেন, ‘জাহাঙ্গীর-বিল্লাহ’ প্যানেলের ৪জন প্রার্থীকে অবৈধ ঘোষনা করেছে যা গঠনতন্ত্র পরিপন্থি। তিনি নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা জানান এবং খুব শীঘ্রই নির্বাচন কমিশন তাদের সিদ্ধান্তের সংশোধন করে এই প্যানেলের ২১ জন প্রার্থীর পূর্ণ প্যানেল ঘোষনা দেবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। অনুষ্ঠানে আঞ্চলিক সংগঠনের সদস্য হওয়ায় ‘জিয়া-সেলিম’ প্যানেলের ৩ জন প্রার্থী সমিতির নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না বলে তারা অভিযোগ করেন।
Chittagong Asso. USA logoউল্লেখ্য, চট্টগ্রাম সমিতির নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী ‘জাহাঙ্গীর-বিল্লাহ’ প্যানেলের ক্রীড়া সম্পাদক পদপ্রাথী প্রবীর দাশ (দিপু), কার্যকরী পরিষদের সদস্য পদপ্রার্থী পুলক কান্তি দাশ, মোহাম্মদ আকতার হোসেন ও তৌহিদ হাসান খানের প্রার্থীতা অযোগ্য বলে ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন।
অনুষ্ঠানে ‘জাহাঙ্গীর-বিল্লাহ’ প্যানেলের সভাপতি পদপ্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমাদের এই সম্মেলন কোন ব্যক্তি, বিশেষ বা বিশেষ কমিশনের প্রতি কোন প্রকার ব্যক্তিগত বা দলগত অভিযোগের জন্য নয়, দীর্ঘ ৩০ মাস পরে চট্টগ্রাম সমিতির নির্বাচন অবশ্যই প্রবাসী চট্টগ্রামবাসীসহ আপনারা এবং উত্তর আমেরিকার বাংলা ভাষাভাষি বাংলাদেশী কমিউনিটির কাছে একটি উপভোগ্য হওয়ার মত বা হওয়া উচিত। একদিকে যেমন নির্দিষ্ট সময়ের ১ বৎসর (প্রায়) পরে এই নির্বাচনের আয়োজন, অপরদিকে তেমনি সময় প্রতিকূলতায় শীতির মৌসুমে ২ এপ্রিল-২০১৭ নির্বাচন অনুষ্ঠান ঘোষণা করেছেন। নির্বাচন কমিশনের এমন একগুয়েমি সিদ্ধান্ত চট্টগ্রামবাসীকে চরমভাবে ভাবিয়ে তুলছেন। আমরা নিম্মোক্ত বিষয়গুলোর প্রতি আপনাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করব এবং চট্টগ্রামবাসীর জ্ঞাতার্থে আপনাদের জনপ্রিয় পত্রিকা ও টিভির মাধ্যমে সহযোগিতা প্রত্যাশা করি। নির্বাচন কমিশনের অনিয়ম ও গঠণতন্ত্র লঙ্ঘনসমুহ:
১. কোন প্রকার চুড়ান্ত ভোটার তালিকা ছাড়া (কার্যকরি কমিটি অনুমোদিত) নির্বাচনী তফশীল ঘোষণা করেন জানুয়ারী ২৯ এবং সংশোধিত ৫ ফেব্রুয়ারী ২০১৭।
২. নির্বাচনের চুড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রনয়ন নির্বাচন কমিশন-এর কাজ না হওয়া সত্বেও অনেকটা গায়ে পড়ে ভোটার তালিকার কাজে সরাসরি হস্তক্ষেপ করা।
৩. নির্বাচনী তফশীলে উল্লেখিত নিয়মনীতি ভঙ্গ, গঠণতন্ত্রের সাথেও তফশীলের নিময়নীতিতে কোন মিল না থাকার কারণে সাংঘর্ষিক অবস্থার সৃষ্টি করা।
৪. অনৈতিকভাবে আমাদের চারজন প্রার্থীকে তাদের প্রার্থীতা বাতিল করা। (তথ্য সংযোজিত)
৫. আমাদের আনিত অভিযোগ সমিতির গঠণতন্ত্র ও নমিনেশন ফরমে আনীত প্রশ্নের আলোকে আঞ্চলিক সংগঠন (মিরসরাই সমিতির তিনজন নিয়মিত সদস্য) এবং নির্বাচিত কর্মকর্তা (অভিযোগ নামা সংযোজিত)। প্রমাণ হলেও নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত প্রদানে কালক্ষেপণ করা।
৬. অদ্যবধি “ভোটার তালিকা” প্রস্তুতির কাজ চলছে এমন শুভংকরের ফাঁকিতে ভোটাররা জানেন না এখনও ওনারা ভোট দিতে পারবে কিনা।
৭. নির্বাচনের তারিখ ও অন্যান্য কার্যত্রুম গঠনতন্ত্রের সরাসরি লঙ্ঘন একটি পক্ষের প্রতি সরাসরি সমর্থন নয় কি?
জাহাঙ্গীর আলম তার লিখিত বক্তব্যে আরো বলেন, সবশেষে আমাদের অভিযোগ না, চট্টগ্রামবাসীর প্রশ্ন আপনারা নির্বাচন কমিশনের সদস্য হয়ে কার স্বার্থে কাজ করছেন? কোন দলের প্রতিনিধি না, চট্টগ্রাম সমিতির নির্বাচন গঠণতন্ত্র মোতাবেক নির্বাচন অনুষ্ঠান করা? যদি তাই হয়, তাহলে আপনারাদের শুরু থেকে অদ্যবদি সকল কার্যত্রুম কেন তফসিল এবং গঠনতন্ত্রের সাথে সাংঘর্ষিক হবে। যখন আপনাদের মনমত হয় আপনারা বলেন, তফশীল অনুযায়ী যখন আপনাদের মনমত না হয় তখন গঠণতন্ত্র মোতাবেক। আপনাদের এ দোদল্যমান ও দ্বিমূখী অবস্থান অবশ্যই আপনাদের অনৈতিক ব্যক্তিগত এবং কারো পক্ষে নির্বাচনী প্রচারে মাঠে নামার মত। দৃশ্যত আপনাদের ভূমিকা এমন হচ্ছে যে, আপনাদের অধিনে নির্বাচনে গেলে ভোটের দিন ও সম্মানিত চট্টগ্রামবাসীরা ভোট কেন্দ্র থেকে অপমানিত হইয়া বাসায় ফিরতে হবে। কারণ আপনারা এখন পর্যন্ত ভোটারদের চুড়ান্ত তালিকা ঘোষণা দিতে পারেন নি। সংশোধন চলতেছে (সংযোজিত) মূলত: যে কাজ আপনাদের নয় এ রকম কাজ ও নির্বাচন কমিশন অনেকটা গায়ে পরে করে যাচ্ছেন। অনেকটা কোন দল বা গ্রুপের পেইড কর্মকর্তার মত।
উল্লেখ্য, কিভাবে একটা ভোটার তালিকা চুড়ান্ত হবে সে রকম গ্রহণযোগ্য অনকে প্রস্তাব নির্বাচন কমিশনের বরাবরে দিলেও ওনারা এগুলোর তোয়াক্কা করেননা। শুধু শুনা ছাড়া যেমন “বিচারমানি তাল গাছ আমার” নীতি চট্টগ্রামবাসীর এ প্রাণের মেলাকে প্রশ্নবৃন্দ্ব করে চলেছেন। অতএব আপনাদের এহন ব্যর্থতার দায়ভার কেন চট্টগ্রামবাসীকে বহন করবে বা জাহাঙ্গীর-বিল্লাহ পরিষদের সম্মানিত চারজন প্রার্থীর প্রার্থীতা বাতিল মেনে নেবে। আপনারা কেনই বা অন্য আর একটি প্যানেলের তিনজন প্রার্থীকে সব তথ্য প্রমাণ পাওয়ার পরেও বাতিল করতে গড়িমসি করতেছেন। চট্টগ্রামবাসী ও জাহাঙ্গীর-বিল্লাহ পরিষদ সম্মানিত সাংবাদিক ভাইদের মাধ্যমে জানতে চায়।
আমাদের অন্যায় আবদার নয়, সমিতির গঠণতন্ত্র, আপনাদের ঘোষিত তফশীল এবং সর্বোপরি কোন দলকে সরাসরি সমর্থন করে কমিশনের কাজ করা ছাড়া এখনও পর্যন্ত নির্বাচন কমিশন হিসেবে নির্বাচন পরিচালনার কোন যোগ্যতাই প্রমাণ করতে পারেননি। বরং সমিতিকে একটি আইনানুগত অবস্থানে পৌঁছাইয়া চট্টগ্রামবাসীর আমানত (প্রায় ৫০ হাজার অধিক) ডলার অবৈধভাবে হাতে রেখে মামলার মত ন্যাক্কারজনক কাজে উৎসাহ যোগাচ্ছেন।
তাই আমরা স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ এবং সবার গ্রহনযোগ্য একটি স্বাধীন নির্বাচন কমিশন এ মুহুর্তে জরুরী মনে করি এবং কার্যকরী কমিটির প্রধানদের কাছে বর্তমান নির্বাচন কমিশনকে অব্যাহতি দেওয়ার আবেদন রাখতেছি। অন্যথায় জাহাঙ্গীর-বিল্লাহ পরিষদ চট্টগ্রামবাসীকে সাথে নিয়ে আপনাদের অপসারণ নিশ্চিত করবে।