নিউইয়র্ক ০৩:৫৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ১৮ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

গাফফার চৌধুরীর সংবর্ধনাকে কেন্দ্র করে নিউইয়র্কে উত্তেজনা : বাতিল হতে পারে অনুষ্ঠানটি

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৪:৩২:৩৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ জুলাই ২০১৫
  • / ৮৭২ বার পঠিত

নিউইয়র্ক: বিতর্কিত সাংবাদিক, কলামিস্ট আব্দুল গাফফার চৌধুরীর নাগরিক সংবর্ধনা দেয়াকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা চলছে নিউইয়র্ক সিটিতে। বিভিন্ন সূত্র দাবি করেছে, শেষ পর্যন্ত অনুষ্ঠানটি বাতিল হতে পারে। স্থানীয় সময় রোববার (১২ জুলাই) জ্যাকসন হাইটসের জুইস সেন্টারে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সন্মিলিত শক্তির ব্যানারে এ সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়েছে। শুরু হবে রাত ৮টায়। এতে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সবাইকে সবান্ধব ও সপরিবারে উপস্থিত থাকার জন্যে আহবান জানানো হয়েছে সংগঠনটির পক্ষ থেকে।
অন্যদিকে ধর্মপ্রান প্রবাসী মুসলমানরা এ অনুষ্ঠানটিকে প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়েছেন। শনিবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশীদের এলাকা হিসেবে পরিচিত জ্যাকসন হাইটস এলাকায় বেশ ক’জন সাধারণ প্রবাসী বাংলাদেশীর সাথে কথা হয়। তারা ক্ষোভের সাথে জানান, এমনিতেই এখন পবিত্র রমজান মাস চলছে। এ সময় আব্দুল গাফফার চৌধুরী কেন ধর্ম নিয়ে কথা বলতে গেলেন আমাদের বোধগম্য নয়। জাতিসংঘ বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে আয়োজিত অনুষ্ঠানটির বিষয়টি উল্লেখ করে জুনাইদ আহমেদ বলেন, সেদিনের অনুষ্ঠানের বিষয়ের সাথে আব্দুল গাফফার চৌধুরীর বক্তব্যের কোন মিল নেই। তিনি সাবেক মন্ত্রী লতিফ সিদ্দিকীর মত কোনো উদ্দেশ্য নিয়ে নিউইয়র্কে এ ধরনের ধর্মবিরোধী বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন। প্রবাসী নীলিমা চৌধুরী বলেন, সামনে ঈদ। ঈদের শপিংয়ের জন্য সারা নিউইয়র্কবাসী জ্যাকসন হাইটসের বিভিন্ন দোকানে আসেন। রোববার এ এলাকায় আব্দুল গাফফার চৌধুরীর সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে আমাদের উদ্বেগের মধ্যে ফেলেছে।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ভেন্যু কর্তৃপক্ষ জুইস সেন্টার শেষ পর্যন্ত অনুষ্ঠানটি বাতিল করতে পারে। তারা জানান, গত ৩ জুলাই নিউইয়র্কে অবস্থিত জাতিসংঘ বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে আয়োজিত ‘বাংলাদেশ: অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যত’ শীর্ষক এক লেকচার সিরিজে আব্দুল গাফফার চৌধুরী পাকিস্তান ও ইসরাইল সম্পর্কে একটি ভবিষ্যৎ বাণী করেছেন। বলেছেন, আমি বেঁচে থাকবো কি না জানি না, তবে আজকে একটা কথা বলতে পারি আগামী ১৫ থেকে ২০ বছরের মধ্যে পৃথিবীতে দুটি রাষ্ট্র বিলুপ্তি হবে। কৃত্রিমভাবে সৃষ্ট এ দুটি রাষ্ট্র হচ্ছে পাকিস্তান ও ইসরাইল। একটি দেশ দক্ষিণ এশিয়াকে অশান্ত করে রেখেছে, আরেকটি দেশ মধ্যপ্রাচ্যকে অশান্তির মধ্যে রেখেছে। আমেরিকার পতনের সাথে সাথেই এদের পতন হবে। ওই অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মিশনের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত ড. এ কে আব্দুল মোমেন। সংশ্লিষ্টরা জানান, আব্দুল গাফফার চৌধুরীর ইসরাইল সম্পর্কিত এ বক্তব্য সম্পর্কে জেনেছেন ইহুদি সম্প্রদায়। তারাই জুইস সেন্টার পরিচালনা করেন। এ পরিস্থিতিতে তারা গাফফার চৌধুরীকে দেয়া নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানটি বাতিল করতে পারেন।
অন্য দিকে মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ, ইসলাম ধর্ম এবং পর্দা নিয়ে সম্প্রতি আব্দুল গাফফার চৌধুরীর দেয়া বক্তব্যকে ঘিরে দেশ-বিদেশে এখনো নিন্দা ও প্রতিবাদের ঝড় তুঙ্গে। এরই মধ্যে আজ তাকে আবারো সংবর্ধনা দেয়ার উদ্যোগ নেয়ায় বিস্মিত স্থানীয় আলেম সমাজ এবং প্রবাসী ধর্মপ্রাণ বাংলাদেশীরা। রসুলুল্লাহ (স:)কে ছাড়িয়ে মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহকে জড়িয়ে স্থানীয় সময় গত শুক্রবার (১০ জুলাই) টাইম টিভির সাথে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। বলেছেন, ‘আল্লাহর যে ৯৯ নাম, এগুলো কাবা শরীফের দেবদেবীর নাম ছিল। একটি বড় প্রমাণ হলো যে, আমাদের রসুল্লাহর (স.) বাবার নাম ছিল আবদুল্লাহ। আল্লাহ শব্দটি আসছে কাবা শরীফের প্রধান যে মূর্তিটি ছিল তার নাম ইলাত, কেউ বলে ইলাহ, কেউ বলে ইলাত। এর থেকে আসছে।’
এর আগে গেল ৩ জুলাই শুক্রবার ম্যানহাটনের বাংলাদেশ মিশনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে একক বক্তব্যে রাসুল ও পর্দা নিয়ে তার মন্তব্যের বিষয় সম্পর্কে তিনি বলেন, আমি ওই দিন যে বক্তব্য দিয়েছি তা যথার্থ ছিল। এটাকে নিয়ে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে চিহ্নিত জামায়াত ও হেফাজতিরা। জাতিসংঘ মিশনের দেয়া বক্তব্য নিয়ে তারা রাজনৈতিক প্রপাগন্ডায় নেমেছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
তার ওই সেদিনের বক্তব্য ঘিরে ফুঁসে উঠে প্রবাসী ধর্মপ্রাণ মানুষ। এর হাওয়া লেগেছে বাংলাদেশেও। পরবর্তী ৭ জুলাই রোববারের পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচিও পন্ড হয়ে যায়। জ্যামাইকা থেকে ব্রুকলীনে গিয়েও শেষ রক্ষায় হয়নি আবদুল গাফফার চৌধুরীর। সেখানেও প্রতিরোধের মুখে পড়তে হয় আয়োজকদের। তার ওই বক্তব্যকে ঘিরে শুক্রবারও সিটির বিভিন্ন মসজিদে মসজিদের খুতবায় নিন্দা জানানো হয়। এ ছাড়া ৮ জুলাই সোমবার নিউইয়র্কে এক সাংবাদিক সম্মেলনে আলেম-ওলামারা গাফফার চৌধুরীকে প্রকাশ্যে তওবা করে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানান। অন্যথায় তার বিরুদ্ধে মসজিদে বিশেষ খুতবা পাঠের হুঁশিয়ারিও দেন আলেম সমাজ।
তিনি যুক্তরাষ্ট্র সফর প্রসঙ্গে বলেছেন, আমি নিউইয়র্কে এসেছি ব্যক্তিগত ব্যাপারে এবং কিছুটা আমন্ত্রিত হয়ে। এখানে আমাদের বাংলাদেশ মিশনে আমাদের মহামান্য রাষ্ট্রদূতই বলবো মোমেন সাহেব (জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি)-এর আমন্ত্রণে একটি সিরিজ লেকচারে অংশগ্রহণ করার জন্য। এ লেকচারটি হয়ে গেছে। আর ব্যক্তিগতভাবে আমি এখানে এসছি এই জন্য যে, আমি প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার ওপর একটি ডক্যুমেন্টারি করছি। এখানে কিছু বিখ্যাত লোকের তার সম্পর্কে মন্তব্য রেকর্ড করার জন্য। দু’কারণেই এসেছি। (দৈনিক নয়া দিগন্ত)

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

About Author Information

গাফফার চৌধুরীর সংবর্ধনাকে কেন্দ্র করে নিউইয়র্কে উত্তেজনা : বাতিল হতে পারে অনুষ্ঠানটি

প্রকাশের সময় : ০৪:৩২:৩৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ জুলাই ২০১৫

নিউইয়র্ক: বিতর্কিত সাংবাদিক, কলামিস্ট আব্দুল গাফফার চৌধুরীর নাগরিক সংবর্ধনা দেয়াকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা চলছে নিউইয়র্ক সিটিতে। বিভিন্ন সূত্র দাবি করেছে, শেষ পর্যন্ত অনুষ্ঠানটি বাতিল হতে পারে। স্থানীয় সময় রোববার (১২ জুলাই) জ্যাকসন হাইটসের জুইস সেন্টারে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সন্মিলিত শক্তির ব্যানারে এ সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়েছে। শুরু হবে রাত ৮টায়। এতে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সবাইকে সবান্ধব ও সপরিবারে উপস্থিত থাকার জন্যে আহবান জানানো হয়েছে সংগঠনটির পক্ষ থেকে।
অন্যদিকে ধর্মপ্রান প্রবাসী মুসলমানরা এ অনুষ্ঠানটিকে প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়েছেন। শনিবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশীদের এলাকা হিসেবে পরিচিত জ্যাকসন হাইটস এলাকায় বেশ ক’জন সাধারণ প্রবাসী বাংলাদেশীর সাথে কথা হয়। তারা ক্ষোভের সাথে জানান, এমনিতেই এখন পবিত্র রমজান মাস চলছে। এ সময় আব্দুল গাফফার চৌধুরী কেন ধর্ম নিয়ে কথা বলতে গেলেন আমাদের বোধগম্য নয়। জাতিসংঘ বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে আয়োজিত অনুষ্ঠানটির বিষয়টি উল্লেখ করে জুনাইদ আহমেদ বলেন, সেদিনের অনুষ্ঠানের বিষয়ের সাথে আব্দুল গাফফার চৌধুরীর বক্তব্যের কোন মিল নেই। তিনি সাবেক মন্ত্রী লতিফ সিদ্দিকীর মত কোনো উদ্দেশ্য নিয়ে নিউইয়র্কে এ ধরনের ধর্মবিরোধী বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন। প্রবাসী নীলিমা চৌধুরী বলেন, সামনে ঈদ। ঈদের শপিংয়ের জন্য সারা নিউইয়র্কবাসী জ্যাকসন হাইটসের বিভিন্ন দোকানে আসেন। রোববার এ এলাকায় আব্দুল গাফফার চৌধুরীর সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে আমাদের উদ্বেগের মধ্যে ফেলেছে।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ভেন্যু কর্তৃপক্ষ জুইস সেন্টার শেষ পর্যন্ত অনুষ্ঠানটি বাতিল করতে পারে। তারা জানান, গত ৩ জুলাই নিউইয়র্কে অবস্থিত জাতিসংঘ বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে আয়োজিত ‘বাংলাদেশ: অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যত’ শীর্ষক এক লেকচার সিরিজে আব্দুল গাফফার চৌধুরী পাকিস্তান ও ইসরাইল সম্পর্কে একটি ভবিষ্যৎ বাণী করেছেন। বলেছেন, আমি বেঁচে থাকবো কি না জানি না, তবে আজকে একটা কথা বলতে পারি আগামী ১৫ থেকে ২০ বছরের মধ্যে পৃথিবীতে দুটি রাষ্ট্র বিলুপ্তি হবে। কৃত্রিমভাবে সৃষ্ট এ দুটি রাষ্ট্র হচ্ছে পাকিস্তান ও ইসরাইল। একটি দেশ দক্ষিণ এশিয়াকে অশান্ত করে রেখেছে, আরেকটি দেশ মধ্যপ্রাচ্যকে অশান্তির মধ্যে রেখেছে। আমেরিকার পতনের সাথে সাথেই এদের পতন হবে। ওই অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মিশনের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত ড. এ কে আব্দুল মোমেন। সংশ্লিষ্টরা জানান, আব্দুল গাফফার চৌধুরীর ইসরাইল সম্পর্কিত এ বক্তব্য সম্পর্কে জেনেছেন ইহুদি সম্প্রদায়। তারাই জুইস সেন্টার পরিচালনা করেন। এ পরিস্থিতিতে তারা গাফফার চৌধুরীকে দেয়া নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানটি বাতিল করতে পারেন।
অন্য দিকে মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ, ইসলাম ধর্ম এবং পর্দা নিয়ে সম্প্রতি আব্দুল গাফফার চৌধুরীর দেয়া বক্তব্যকে ঘিরে দেশ-বিদেশে এখনো নিন্দা ও প্রতিবাদের ঝড় তুঙ্গে। এরই মধ্যে আজ তাকে আবারো সংবর্ধনা দেয়ার উদ্যোগ নেয়ায় বিস্মিত স্থানীয় আলেম সমাজ এবং প্রবাসী ধর্মপ্রাণ বাংলাদেশীরা। রসুলুল্লাহ (স:)কে ছাড়িয়ে মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহকে জড়িয়ে স্থানীয় সময় গত শুক্রবার (১০ জুলাই) টাইম টিভির সাথে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। বলেছেন, ‘আল্লাহর যে ৯৯ নাম, এগুলো কাবা শরীফের দেবদেবীর নাম ছিল। একটি বড় প্রমাণ হলো যে, আমাদের রসুল্লাহর (স.) বাবার নাম ছিল আবদুল্লাহ। আল্লাহ শব্দটি আসছে কাবা শরীফের প্রধান যে মূর্তিটি ছিল তার নাম ইলাত, কেউ বলে ইলাহ, কেউ বলে ইলাত। এর থেকে আসছে।’
এর আগে গেল ৩ জুলাই শুক্রবার ম্যানহাটনের বাংলাদেশ মিশনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে একক বক্তব্যে রাসুল ও পর্দা নিয়ে তার মন্তব্যের বিষয় সম্পর্কে তিনি বলেন, আমি ওই দিন যে বক্তব্য দিয়েছি তা যথার্থ ছিল। এটাকে নিয়ে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে চিহ্নিত জামায়াত ও হেফাজতিরা। জাতিসংঘ মিশনের দেয়া বক্তব্য নিয়ে তারা রাজনৈতিক প্রপাগন্ডায় নেমেছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
তার ওই সেদিনের বক্তব্য ঘিরে ফুঁসে উঠে প্রবাসী ধর্মপ্রাণ মানুষ। এর হাওয়া লেগেছে বাংলাদেশেও। পরবর্তী ৭ জুলাই রোববারের পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচিও পন্ড হয়ে যায়। জ্যামাইকা থেকে ব্রুকলীনে গিয়েও শেষ রক্ষায় হয়নি আবদুল গাফফার চৌধুরীর। সেখানেও প্রতিরোধের মুখে পড়তে হয় আয়োজকদের। তার ওই বক্তব্যকে ঘিরে শুক্রবারও সিটির বিভিন্ন মসজিদে মসজিদের খুতবায় নিন্দা জানানো হয়। এ ছাড়া ৮ জুলাই সোমবার নিউইয়র্কে এক সাংবাদিক সম্মেলনে আলেম-ওলামারা গাফফার চৌধুরীকে প্রকাশ্যে তওবা করে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানান। অন্যথায় তার বিরুদ্ধে মসজিদে বিশেষ খুতবা পাঠের হুঁশিয়ারিও দেন আলেম সমাজ।
তিনি যুক্তরাষ্ট্র সফর প্রসঙ্গে বলেছেন, আমি নিউইয়র্কে এসেছি ব্যক্তিগত ব্যাপারে এবং কিছুটা আমন্ত্রিত হয়ে। এখানে আমাদের বাংলাদেশ মিশনে আমাদের মহামান্য রাষ্ট্রদূতই বলবো মোমেন সাহেব (জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি)-এর আমন্ত্রণে একটি সিরিজ লেকচারে অংশগ্রহণ করার জন্য। এ লেকচারটি হয়ে গেছে। আর ব্যক্তিগতভাবে আমি এখানে এসছি এই জন্য যে, আমি প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার ওপর একটি ডক্যুমেন্টারি করছি। এখানে কিছু বিখ্যাত লোকের তার সম্পর্কে মন্তব্য রেকর্ড করার জন্য। দু’কারণেই এসেছি। (দৈনিক নয়া দিগন্ত)