নিউইয়র্ক ১১:৫৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

খালেদা জিয়ার প্রস্তাব ও বক্তব্য দলকে ঐক্যবদ্ধ আর সরকার পতন আন্দোলন তড়ান্বিত করবে : যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি নেতৃবৃন্দ

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০১:৩০:৫৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ মার্চ ২০১৫
  • / ৪৫১ বার পঠিত

নিউইয়র্ক: বাংলাদেশে মধ্যবর্তী নির্বাচনের দাবীতে দেশের চলমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে সঙ্কট সমাধানের লক্ষ্যে বিএনপি চেয়ারপার্সন ও ২০ দলীয় জোট নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ক্ষমতাসীন শেখ হাসিনা সরকারের উদ্দেশ্যে তিন দফা প্রস্তাব দেয়ার পাশাপাশি কাংখিত লক্ষ্য অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছেন। গত ১৩ মার্চ ঢাকায় গুলশানস্থ বেগম খালেদা জিয়া তার রাজনৈতিক কার্যালয়ে জণাকীর্ন এক সাংবাদিক সম্মেলনে তিন দফা প্রস্তাব দেন। তাতে বলা হয়েছে, প্রথমত; জনগণের গণতান্ত্রিক আন্দোলন দমনের উদ্দেশ্যে সারা দেশে যেসব নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাদের অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে। গুম, খুন ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকান্ড বন্ধ করতে হবে। পুলিশ ও যৌথ বাহিনীর হয়রানি বন্ধ করতে হবে এবং নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত হয়রানিমূলক সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। বিচারবহির্ভূত প্রতিটি হত্যাকান্ডের সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য তদন্ত করে দায়ী ব্যক্তিদের শাস্তি দিতে হবে। দ্বিতীয়ত: সভা, সমাবেশ, মিছিলসহ রাজনৈতিক কর্মকান্ডের ওপর আরোপিত সব ধরনের বিধি নিষেধ অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে। তৃতীয়ত: সবার কাছে গ্রহণযোগ্য সরকারের অধীনে সবার অংশগ্রহণে অনতিবিলম্বে জাতীয় সংসদের অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য দ্রুত সংলাপের আয়োজন করতে হবে। উল্লেখ্য, মধ্যবর্তী নির্বাচনের দাবীতে গত ৬ জানুয়ারী থেকে শুরু হওয়া দেশবাপী অবরোধের পাশাপাশি চলছে সপ্তাহে সপ্তাহে হরতাল চলছে। এই আন্দোলন-সংগ্রামে কার্যত দেশের অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়েছে। আমদানি-রফতানি বন্ধের উপক্রম হয়েছে। কৃষিপণ্যের বাজারজাতকরণেও মারাত্মক সঙ্কট সৃষ্টি হয়েছে। পেট্রোল বোমাসহ সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে দেশের জনগন ভীত-সন্ত্রস্ত জীবন-যাপন করছে। সন্ত্রাসীদের হাতে নিরীহ জনগণ প্রাণ হারাচ্ছে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতেও মানুষ হত্যার শিকার হচ্ছে। মূলত: তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারী যে একতরফা নির্বাচন করা হয়েছিল তাকে কেন্দ্র করেই এই সঙ্কট শুরু। তাই বেগম খালেদা জিয়া আবার তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনতে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী বাতিল করার দাবি জানিয়েছেন।
বেগম খালেদা জিয়ার প্রস্তাব ও সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি’র নেতৃবৃন্দ বলেছেন, তার বক্তব্য দলকে ঐক্যবদ্ধ আর সরকার পতন আন্দোলন তড়ান্বিত করবে। দলের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীরা উৎসাহিত হবে, আন্দোলনের কর্মসূচীকে এগিয়ে নিতে প্রাণ ফিরে পাবেন। বিএনপি নেতৃবৃন্দ বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া স্পষ্ট করেই বলেছেন, সন্ত্রাস আর হত্যার রাজনীতি বিএনপি করে না। বিএনপি জনগণের দল তাই দেশে গণতান্ত্রিক সরকারের লক্ষ্যে মধ্যবর্তী নির্বাচনের দাবীতে বিএনপির নেতৃত্বে ২০ দলীয় জোট লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। এই আন্দোলনের সাথে দেশের জনগণের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে বলে তারা দাবী করেন।
বেগম খালেদা জিয়ার প্রস্তাব ও বক্তব্য সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান জিল্লু বলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন তার বক্তব্যে দেশের উদ্ভুত পরিস্থিতির কারণসহ বাস্তব পরিস্থিতি তুলে ধরেছেন। আমাদের দাবী একটিই আর তা হলো জাতীয় নির্বাচন। আমার প্রশ্ন সরকার নির্বাচনকে কেন ভয় পায়? সরকারের যদি এতোই জনপ্রিয়তা থাকুক তাহলে নির্বাচন দিক, নির্বাচনেই প্রমাণ হবে কোন দলকে জনগণ সমর্থন দেয়। তিনি বলেন, বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীদের উপর হামলা-মামলা-হুলিয়া জারী করে, আটক করে, সভা-সমাবেশ বন্ধ করার পাশাপাশি আইন-শৃংখলা বাহিনীকে নিজের মতো করে বিরোধীদলীয় নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যবহারকারী সরকারকে গণতান্ত্রিক সরকার বলা যায় না। নেত্রীর বক্তব্যে বিএনপিসহ ২০ দলীয় জোটের নেতা-কর্মীরা উজ্জীবিত হবে বলেই আমি বিশ্বাস করি।
যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি’র সাবেক সিনিয়র সহ সভাপতি শরাফত হোসেন বাবু বলেন, দেশের রাজনৈতিক সঙ্কট সমাধানের লক্ষ্যে সরকারের উদ্দেশ্যে বেগম খালেদা জিয়ার প্রস্তাব উত্তম প্রস্তাব। আমার বিশ্বাস আর প্রত্যাশা খালেদা জিয়ার প্রস্তাবে সরকার রাজী হবে এবং আগামী এপ্রিল মাসের প্রথম সপ্তাহেই বিরোধীদলের সাথে সরকারের সমঝোতা হবে। তিনি বলেন, ইতিপূর্বে যুক্তরাষ্ট্রসহ একাধিক কূটনীতিকদের সাথে খালেদা জিয়ার বৈঠকের পরই সরকারের টনক নড়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সহ সভাপতি সামসুল ইসলাম মজনু বলেন, শেখ হাসিনা সরকার বিএনপিকে যেখানে নিয়ে গেছে সে অবস্থায় আন্দোলনের বিকল্প পথ নেই। তাই বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে ২০ দলীয় জোট মধ্যবর্তী নির্বাচন দাবী করে আসছে। এই দাবী শুধু ২০ দলের দাবী নয়, এটি দেশের জনগণের দাবীতে পরিণত হয়েছে। আর দেশের চলমান সঙ্কটের প্রেক্ষাপটে সাংবাদিক সম্মেলনে বেগম খালেদা জিয়ার বক্তব্য সঙ্কট সমাধানে ভালো প্রস্তাব বলেই আমি মনে করছি।
যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি’র সাবেক যুগ্ম সম্পাদক হেলাল উদ্দিন বলেন, দেশের চলমান সঙ্কট সমাধানে ম্যাডাম খালেদা জিয়ার প্রস্তাব ও সিদ্ধান্তকে আমি ইতিবাচকভাবেই দেখছি। পাশাপাশি বিএনপির নেতা-কর্মীরা গণতান্ত্রিক আন্দোলন-সংগ্রামে সক্রিয় হতে প্রেরণা পাবে। তিনি বলেন, ‘আমি আশা করবো সরকার জাতীয় স্বার্থে নির্বাচন নিয়ে শুভবুদ্ধির পরিচয় দেবে’।
উল্লেখ্য, দীর্ঘ প্রায় তিন বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি’র কোন কমিটি নেই। কমিটির জন্য দলের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীদের পক্ষ থেকে কেন্দ্রের প্রতি দাবী থাকলেও কোন কমিটি না আসায় বা কমিটির লক্ষ্যে কোন উদ্যোগ না থাকায় দলীয় নেতা-কর্মীরা প্রবাসে বিভক্ত হয়ে আন্দোলন-সংগ্রাম, সভা-সমাবেশ অব্যহত রেখেছেন।
এদিকে লন্ডনে অবস্থানরত বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের এক উপদেষ্টা গত সপ্তাহে নিউইয়র্ক সফর করেছেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে। তবে তিনি কেন, কোন উদ্দেশ্য বা লক্ষ্যে নিউইয়র্ক সফল করেন বলে সূত্রটি তা জানাতে অপারগতা প্রকাশ করে। সফরকারী যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির কোন সভায় যোগ দেননি বা সাংগঠনিক বিষয়ে কোন আলাপও করেননি বলে সূত্র জানান। দুই বছর আগে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের একাধিক নেতা লন্ডস সফর করে তারেক রহমানের সাথে সাক্ষাৎ করে কমিটির ব্যাপারে জোর দাবী জানায়।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

About Author Information

খালেদা জিয়ার প্রস্তাব ও বক্তব্য দলকে ঐক্যবদ্ধ আর সরকার পতন আন্দোলন তড়ান্বিত করবে : যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি নেতৃবৃন্দ

প্রকাশের সময় : ০১:৩০:৫৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ মার্চ ২০১৫

নিউইয়র্ক: বাংলাদেশে মধ্যবর্তী নির্বাচনের দাবীতে দেশের চলমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে সঙ্কট সমাধানের লক্ষ্যে বিএনপি চেয়ারপার্সন ও ২০ দলীয় জোট নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ক্ষমতাসীন শেখ হাসিনা সরকারের উদ্দেশ্যে তিন দফা প্রস্তাব দেয়ার পাশাপাশি কাংখিত লক্ষ্য অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছেন। গত ১৩ মার্চ ঢাকায় গুলশানস্থ বেগম খালেদা জিয়া তার রাজনৈতিক কার্যালয়ে জণাকীর্ন এক সাংবাদিক সম্মেলনে তিন দফা প্রস্তাব দেন। তাতে বলা হয়েছে, প্রথমত; জনগণের গণতান্ত্রিক আন্দোলন দমনের উদ্দেশ্যে সারা দেশে যেসব নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাদের অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে। গুম, খুন ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকান্ড বন্ধ করতে হবে। পুলিশ ও যৌথ বাহিনীর হয়রানি বন্ধ করতে হবে এবং নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত হয়রানিমূলক সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। বিচারবহির্ভূত প্রতিটি হত্যাকান্ডের সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য তদন্ত করে দায়ী ব্যক্তিদের শাস্তি দিতে হবে। দ্বিতীয়ত: সভা, সমাবেশ, মিছিলসহ রাজনৈতিক কর্মকান্ডের ওপর আরোপিত সব ধরনের বিধি নিষেধ অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে। তৃতীয়ত: সবার কাছে গ্রহণযোগ্য সরকারের অধীনে সবার অংশগ্রহণে অনতিবিলম্বে জাতীয় সংসদের অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য দ্রুত সংলাপের আয়োজন করতে হবে। উল্লেখ্য, মধ্যবর্তী নির্বাচনের দাবীতে গত ৬ জানুয়ারী থেকে শুরু হওয়া দেশবাপী অবরোধের পাশাপাশি চলছে সপ্তাহে সপ্তাহে হরতাল চলছে। এই আন্দোলন-সংগ্রামে কার্যত দেশের অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়েছে। আমদানি-রফতানি বন্ধের উপক্রম হয়েছে। কৃষিপণ্যের বাজারজাতকরণেও মারাত্মক সঙ্কট সৃষ্টি হয়েছে। পেট্রোল বোমাসহ সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে দেশের জনগন ভীত-সন্ত্রস্ত জীবন-যাপন করছে। সন্ত্রাসীদের হাতে নিরীহ জনগণ প্রাণ হারাচ্ছে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতেও মানুষ হত্যার শিকার হচ্ছে। মূলত: তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারী যে একতরফা নির্বাচন করা হয়েছিল তাকে কেন্দ্র করেই এই সঙ্কট শুরু। তাই বেগম খালেদা জিয়া আবার তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনতে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী বাতিল করার দাবি জানিয়েছেন।
বেগম খালেদা জিয়ার প্রস্তাব ও সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি’র নেতৃবৃন্দ বলেছেন, তার বক্তব্য দলকে ঐক্যবদ্ধ আর সরকার পতন আন্দোলন তড়ান্বিত করবে। দলের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীরা উৎসাহিত হবে, আন্দোলনের কর্মসূচীকে এগিয়ে নিতে প্রাণ ফিরে পাবেন। বিএনপি নেতৃবৃন্দ বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া স্পষ্ট করেই বলেছেন, সন্ত্রাস আর হত্যার রাজনীতি বিএনপি করে না। বিএনপি জনগণের দল তাই দেশে গণতান্ত্রিক সরকারের লক্ষ্যে মধ্যবর্তী নির্বাচনের দাবীতে বিএনপির নেতৃত্বে ২০ দলীয় জোট লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। এই আন্দোলনের সাথে দেশের জনগণের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে বলে তারা দাবী করেন।
বেগম খালেদা জিয়ার প্রস্তাব ও বক্তব্য সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান জিল্লু বলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন তার বক্তব্যে দেশের উদ্ভুত পরিস্থিতির কারণসহ বাস্তব পরিস্থিতি তুলে ধরেছেন। আমাদের দাবী একটিই আর তা হলো জাতীয় নির্বাচন। আমার প্রশ্ন সরকার নির্বাচনকে কেন ভয় পায়? সরকারের যদি এতোই জনপ্রিয়তা থাকুক তাহলে নির্বাচন দিক, নির্বাচনেই প্রমাণ হবে কোন দলকে জনগণ সমর্থন দেয়। তিনি বলেন, বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীদের উপর হামলা-মামলা-হুলিয়া জারী করে, আটক করে, সভা-সমাবেশ বন্ধ করার পাশাপাশি আইন-শৃংখলা বাহিনীকে নিজের মতো করে বিরোধীদলীয় নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যবহারকারী সরকারকে গণতান্ত্রিক সরকার বলা যায় না। নেত্রীর বক্তব্যে বিএনপিসহ ২০ দলীয় জোটের নেতা-কর্মীরা উজ্জীবিত হবে বলেই আমি বিশ্বাস করি।
যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি’র সাবেক সিনিয়র সহ সভাপতি শরাফত হোসেন বাবু বলেন, দেশের রাজনৈতিক সঙ্কট সমাধানের লক্ষ্যে সরকারের উদ্দেশ্যে বেগম খালেদা জিয়ার প্রস্তাব উত্তম প্রস্তাব। আমার বিশ্বাস আর প্রত্যাশা খালেদা জিয়ার প্রস্তাবে সরকার রাজী হবে এবং আগামী এপ্রিল মাসের প্রথম সপ্তাহেই বিরোধীদলের সাথে সরকারের সমঝোতা হবে। তিনি বলেন, ইতিপূর্বে যুক্তরাষ্ট্রসহ একাধিক কূটনীতিকদের সাথে খালেদা জিয়ার বৈঠকের পরই সরকারের টনক নড়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সহ সভাপতি সামসুল ইসলাম মজনু বলেন, শেখ হাসিনা সরকার বিএনপিকে যেখানে নিয়ে গেছে সে অবস্থায় আন্দোলনের বিকল্প পথ নেই। তাই বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে ২০ দলীয় জোট মধ্যবর্তী নির্বাচন দাবী করে আসছে। এই দাবী শুধু ২০ দলের দাবী নয়, এটি দেশের জনগণের দাবীতে পরিণত হয়েছে। আর দেশের চলমান সঙ্কটের প্রেক্ষাপটে সাংবাদিক সম্মেলনে বেগম খালেদা জিয়ার বক্তব্য সঙ্কট সমাধানে ভালো প্রস্তাব বলেই আমি মনে করছি।
যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি’র সাবেক যুগ্ম সম্পাদক হেলাল উদ্দিন বলেন, দেশের চলমান সঙ্কট সমাধানে ম্যাডাম খালেদা জিয়ার প্রস্তাব ও সিদ্ধান্তকে আমি ইতিবাচকভাবেই দেখছি। পাশাপাশি বিএনপির নেতা-কর্মীরা গণতান্ত্রিক আন্দোলন-সংগ্রামে সক্রিয় হতে প্রেরণা পাবে। তিনি বলেন, ‘আমি আশা করবো সরকার জাতীয় স্বার্থে নির্বাচন নিয়ে শুভবুদ্ধির পরিচয় দেবে’।
উল্লেখ্য, দীর্ঘ প্রায় তিন বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি’র কোন কমিটি নেই। কমিটির জন্য দলের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীদের পক্ষ থেকে কেন্দ্রের প্রতি দাবী থাকলেও কোন কমিটি না আসায় বা কমিটির লক্ষ্যে কোন উদ্যোগ না থাকায় দলীয় নেতা-কর্মীরা প্রবাসে বিভক্ত হয়ে আন্দোলন-সংগ্রাম, সভা-সমাবেশ অব্যহত রেখেছেন।
এদিকে লন্ডনে অবস্থানরত বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের এক উপদেষ্টা গত সপ্তাহে নিউইয়র্ক সফর করেছেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে। তবে তিনি কেন, কোন উদ্দেশ্য বা লক্ষ্যে নিউইয়র্ক সফল করেন বলে সূত্রটি তা জানাতে অপারগতা প্রকাশ করে। সফরকারী যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির কোন সভায় যোগ দেননি বা সাংগঠনিক বিষয়ে কোন আলাপও করেননি বলে সূত্র জানান। দুই বছর আগে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের একাধিক নেতা লন্ডস সফর করে তারেক রহমানের সাথে সাক্ষাৎ করে কমিটির ব্যাপারে জোর দাবী জানায়।