নিউইয়র্ক ১১:৪৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

কুইন্স কেন্দ্রের টুকিটাকি

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৪:৪৯:৩৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৭ অক্টোবর ২০১৪
  • / ১১০১ বার পঠিত

নিউইয়র্ক তথা উত্তর আমেরিকায় প্রবাসী বাংলাদেশীদের ‘মাদার সামাজিক সংগঠন’ আর প্রবাসে বাংলাদেশী পার্লামেন্ট হিসেবে পরিচিত বাংলাদেশ সোসাইটি ইন্্ক নিউইয়র্কের দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন (২০১৫-২০১৬) অনুষ্ঠিত হলো ২৬ অক্টোবর রোববার। এই নির্বাচন ঘিরে কমিউনিটি ছিলো উৎসবমুখর। সোসাইটির নির্বাচনে কেন্দ্র ছিলো দু’টি। একটি কুইন্সে, অপরটি ব্রঙ্কসে। কুইন্স কেন্দ্রের নির্বাচনী টুকিটাকি নিয়ে ইউএনএ পরিবেশিত প্রতিবেদন।
প্রথম ভোটার: কুইন্স কেন্দ্র সিটির উডসাইডস্থ গুলশান ট্যারেসে ভোট গ্রহণ শুরু হয় সকাল ৯টায়। সবকিছু ঠিকঠাক। এই কেন্দ্রে প্রথম ভোট দেন কমিউনিটির পরিচিত মুখ, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক দুলাল মিয়া (হাজী এনাম)।
ব্যাপক প্রচারণা: সোসাইটির নির্বাচন ঘিরে ভোট কেন্দ্রের আশেপাশে প্রার্থীদের ব্যাপক প্রচারণা লক্ষ্য করা গেছে। ছিলো উভয় প্যানেলের পৃথক পৃথক একাধিক টেবিল। টেবিলগুলো থেকে ভোটারদের ভোটার নম্বর জানিয়ে দেন স্বেচ্ছাসেবকরা। সেই সাথে ছিলো পোস্টারিং। এক গাছের এপার থেকে আরেক গাছের ওপারে দেশীয় স্টাইলে রশিতে পোস্টার টাঙ্গিয়ে, দেয়ালে দেয়ালে পোস্টার সাটিয়ে প্রচারণা চালানো হয়। বাদ যায়নি বৈদ্যুতিক খুটি আর পোস্ট অফিসের বক্সগুলো। সেই সাথে ছিলো প্রার্থী, সমর্থকদের ব্যক্তিগত প্রচারণা।
সাবেক কর্মকর্তারা তৎপর: বাংলাদেশ সোসাইটির নির্বাচন ঘিরে সোসাইটির সাবেক নির্বাচিত উল্লেখযোগ্য কর্মকর্তাদের মধ্যে সাবেক ডা. মোহাম্মদ হামিদুজ্জামান, সভাপতি এম আজীজ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ হোসেন খান, ফখরুল আলম ও রানা ফেরদৌস চৌধুরী, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক গিয়াস আহমেদ, সাবেক সমাজকল্যাণ সম্পাদক আতাউর রহমান আতা প্রমুখের উপস্থিতি ছিলো লক্ষণীয়।
অপ্রীতিকর ঘটনা: সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসছে। শীতের ঠন্ডা হিমেল হাওয়ায় প্রার্থী, ভোটার আর সমর্থকদের উপস্থিতিতে গুলশান ট্যারেস ও এর আশাপাশের এলাকা বিশেষ করে ৩৬ এভিনিউর পরিবেশ গরম। বাড়ছে ভোটারদের উপস্থিতি। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে কেন্দ্রের সামনেই রাস্তার অপরপাশে হঠাৎ জটলা, হৈচৈ। দেখা গেলো একজন তেড়ে উঠেছেন জালালাবাদ এসোসিয়েশনব অব আমেরিকার সাবেক সভাপতি জন এন উদ্দিনের উপর। জন উদ্দিনও তেড়ে উঠেছেন। পরিস্থিতি সুখকর নয় দেখে আরেকজন জন উদ্দিকে দূরে ঠেলে দিচ্ছেন। জানা গেলো দুই প্যানেলের দুই সমর্থকদের মধ্যে কথা, আর কথাকাটাকটির এক পর্যায়ে মারমুখী অবস্থা।
সাংবাদিকদের আইডি সঙ্কট: সোসাইটির নির্বাচন কভার করতে গিয়ে নির্বাচন কমিশন প্রদত্ত আইডি সঙ্কট দেখা যায়। কেন্দ্রে গিয়ে জানা গেলো বিভিন্ন মিডিয়ার সামে দু’টি করে আইডি ইস্যু করা হয়েছে। এরমধ্যে এমন অনেক মিডিয়ার নামে আইডি ইস্যু করা হয়েছে যে মিডিয়াগুলো এখন আর প্রকাশিত হচ্ছে না। আবার আইডিগুলোতে নাম না থাকায় শুধু মিডিয়ার নাম থাকায় কিছুটা সমস্যাও দেখা দেয়। আইডি ইস্যু ছিলো না সাংবাদিক শিহাবউদ্দীন কিসলু, আকবর হায়দার কিরণ, সালাহউদ্দিন আহমেদ, ফটো সাংবাদিক নিহার সিদ্দকী প্রমুখ সাংবাদিকের নামে। তাছাড়া আগে থেকে সংশ্লিষ্ট মিডিয়াগুলোতে আইডি প্রেরণ না করায় অনেককেই কেন্দ্রে প্রবেশ করতে বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখোমুখী হতে হয়। এব্যাপারে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ইঞ্জিনিয়ার নূরুল হকের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমাদের ভুল হয়েছে। দুই বছর পর তো তাই অনেক ভুল হয়ে যায়’।
গেটে আটকে গেলেন তিনি: কাজী শামসুল হক। নিউইয়র্কের প্রবীণ সাংবাদিক, সাপ্তাহিক এখন সময়-এর সম্পাদক। সন্ধ্যা ৬টার দিকে ভোট কেন্দ্রে প্রবেশের সময় নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত এক কর্মকর্তা তাকে আটকে দিলেন। বিষয়টি চোখে পড়লো ফটো সাংবাদিক নিহার সিদ্দিকীর। তিনি দৃষ্টি আকর্ষণ করলেন নির্বাচন কমিশনের এক কর্মকর্তার। কাজী সাহেবকে দেখেই তিনি ছুটে গেলেন গেটে। বললেন ও এখন সময়। তারপরও নিরাপত্তা কর্মকর্তা কাজী সাহেবকে ভিতরে প্রবেশ করতে দিলেন না। বললেন, আইডি লাগবে। ততক্ষণে আইডি নিয়ে ছুটে গেছেন নির্বাচন কমিশনার। এই পরিস্থিতিতে কাজী শামসুল হক তার মন্তব্যে বললেন, বিষয়টি ভালো লাগলো।
জিতলে গড ফাদারের নামে শ্লোগান হবে: সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে কুইন্স ভোট কেন্দ্রের এক পাশে কমিউনিটির কয়েকজন নেতার মুখোমুখী হলেন সোসাইটির সাবেক সভাপতি, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী এম আজীজ। তাকে দেখেই এক নেতা বলে উঠলেন ‘আপনার প্যানেল জিতলে গড ফাদারের নামে শ্লোগান হবে। আমাদেরকে মিষ্টি খাওয়াতে হবে’। প্রত্তুত্তরে এম আজীজ বললেন, ‘গড ফাদাররা খাওয়ায় না খায়’। তার কথায় উপস্থিত সবাই হেসে উঠলেন। উল্লেখ্য, সোসাইটির নির্বাচনে ‘কুনু-রহীম’ প্যানেলের পৃষ্ঠপোষক ও সমর্থক ছিলেন এম আজীজ। ‘কুনু-রহীম’ পানেলের নির্বাচনী সভায় এম আজীজ নিজেকে ‘গড ফাদার’ দাবী করেন বলে মিডিয়ায় খবর প্রকাশিত হয়েছে।

Tag :

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

About Author Information

কুইন্স কেন্দ্রের টুকিটাকি

প্রকাশের সময় : ০৪:৪৯:৩৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৭ অক্টোবর ২০১৪

নিউইয়র্ক তথা উত্তর আমেরিকায় প্রবাসী বাংলাদেশীদের ‘মাদার সামাজিক সংগঠন’ আর প্রবাসে বাংলাদেশী পার্লামেন্ট হিসেবে পরিচিত বাংলাদেশ সোসাইটি ইন্্ক নিউইয়র্কের দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন (২০১৫-২০১৬) অনুষ্ঠিত হলো ২৬ অক্টোবর রোববার। এই নির্বাচন ঘিরে কমিউনিটি ছিলো উৎসবমুখর। সোসাইটির নির্বাচনে কেন্দ্র ছিলো দু’টি। একটি কুইন্সে, অপরটি ব্রঙ্কসে। কুইন্স কেন্দ্রের নির্বাচনী টুকিটাকি নিয়ে ইউএনএ পরিবেশিত প্রতিবেদন।
প্রথম ভোটার: কুইন্স কেন্দ্র সিটির উডসাইডস্থ গুলশান ট্যারেসে ভোট গ্রহণ শুরু হয় সকাল ৯টায়। সবকিছু ঠিকঠাক। এই কেন্দ্রে প্রথম ভোট দেন কমিউনিটির পরিচিত মুখ, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক দুলাল মিয়া (হাজী এনাম)।
ব্যাপক প্রচারণা: সোসাইটির নির্বাচন ঘিরে ভোট কেন্দ্রের আশেপাশে প্রার্থীদের ব্যাপক প্রচারণা লক্ষ্য করা গেছে। ছিলো উভয় প্যানেলের পৃথক পৃথক একাধিক টেবিল। টেবিলগুলো থেকে ভোটারদের ভোটার নম্বর জানিয়ে দেন স্বেচ্ছাসেবকরা। সেই সাথে ছিলো পোস্টারিং। এক গাছের এপার থেকে আরেক গাছের ওপারে দেশীয় স্টাইলে রশিতে পোস্টার টাঙ্গিয়ে, দেয়ালে দেয়ালে পোস্টার সাটিয়ে প্রচারণা চালানো হয়। বাদ যায়নি বৈদ্যুতিক খুটি আর পোস্ট অফিসের বক্সগুলো। সেই সাথে ছিলো প্রার্থী, সমর্থকদের ব্যক্তিগত প্রচারণা।
সাবেক কর্মকর্তারা তৎপর: বাংলাদেশ সোসাইটির নির্বাচন ঘিরে সোসাইটির সাবেক নির্বাচিত উল্লেখযোগ্য কর্মকর্তাদের মধ্যে সাবেক ডা. মোহাম্মদ হামিদুজ্জামান, সভাপতি এম আজীজ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ হোসেন খান, ফখরুল আলম ও রানা ফেরদৌস চৌধুরী, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক গিয়াস আহমেদ, সাবেক সমাজকল্যাণ সম্পাদক আতাউর রহমান আতা প্রমুখের উপস্থিতি ছিলো লক্ষণীয়।
অপ্রীতিকর ঘটনা: সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসছে। শীতের ঠন্ডা হিমেল হাওয়ায় প্রার্থী, ভোটার আর সমর্থকদের উপস্থিতিতে গুলশান ট্যারেস ও এর আশাপাশের এলাকা বিশেষ করে ৩৬ এভিনিউর পরিবেশ গরম। বাড়ছে ভোটারদের উপস্থিতি। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে কেন্দ্রের সামনেই রাস্তার অপরপাশে হঠাৎ জটলা, হৈচৈ। দেখা গেলো একজন তেড়ে উঠেছেন জালালাবাদ এসোসিয়েশনব অব আমেরিকার সাবেক সভাপতি জন এন উদ্দিনের উপর। জন উদ্দিনও তেড়ে উঠেছেন। পরিস্থিতি সুখকর নয় দেখে আরেকজন জন উদ্দিকে দূরে ঠেলে দিচ্ছেন। জানা গেলো দুই প্যানেলের দুই সমর্থকদের মধ্যে কথা, আর কথাকাটাকটির এক পর্যায়ে মারমুখী অবস্থা।
সাংবাদিকদের আইডি সঙ্কট: সোসাইটির নির্বাচন কভার করতে গিয়ে নির্বাচন কমিশন প্রদত্ত আইডি সঙ্কট দেখা যায়। কেন্দ্রে গিয়ে জানা গেলো বিভিন্ন মিডিয়ার সামে দু’টি করে আইডি ইস্যু করা হয়েছে। এরমধ্যে এমন অনেক মিডিয়ার নামে আইডি ইস্যু করা হয়েছে যে মিডিয়াগুলো এখন আর প্রকাশিত হচ্ছে না। আবার আইডিগুলোতে নাম না থাকায় শুধু মিডিয়ার নাম থাকায় কিছুটা সমস্যাও দেখা দেয়। আইডি ইস্যু ছিলো না সাংবাদিক শিহাবউদ্দীন কিসলু, আকবর হায়দার কিরণ, সালাহউদ্দিন আহমেদ, ফটো সাংবাদিক নিহার সিদ্দকী প্রমুখ সাংবাদিকের নামে। তাছাড়া আগে থেকে সংশ্লিষ্ট মিডিয়াগুলোতে আইডি প্রেরণ না করায় অনেককেই কেন্দ্রে প্রবেশ করতে বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখোমুখী হতে হয়। এব্যাপারে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ইঞ্জিনিয়ার নূরুল হকের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমাদের ভুল হয়েছে। দুই বছর পর তো তাই অনেক ভুল হয়ে যায়’।
গেটে আটকে গেলেন তিনি: কাজী শামসুল হক। নিউইয়র্কের প্রবীণ সাংবাদিক, সাপ্তাহিক এখন সময়-এর সম্পাদক। সন্ধ্যা ৬টার দিকে ভোট কেন্দ্রে প্রবেশের সময় নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত এক কর্মকর্তা তাকে আটকে দিলেন। বিষয়টি চোখে পড়লো ফটো সাংবাদিক নিহার সিদ্দিকীর। তিনি দৃষ্টি আকর্ষণ করলেন নির্বাচন কমিশনের এক কর্মকর্তার। কাজী সাহেবকে দেখেই তিনি ছুটে গেলেন গেটে। বললেন ও এখন সময়। তারপরও নিরাপত্তা কর্মকর্তা কাজী সাহেবকে ভিতরে প্রবেশ করতে দিলেন না। বললেন, আইডি লাগবে। ততক্ষণে আইডি নিয়ে ছুটে গেছেন নির্বাচন কমিশনার। এই পরিস্থিতিতে কাজী শামসুল হক তার মন্তব্যে বললেন, বিষয়টি ভালো লাগলো।
জিতলে গড ফাদারের নামে শ্লোগান হবে: সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে কুইন্স ভোট কেন্দ্রের এক পাশে কমিউনিটির কয়েকজন নেতার মুখোমুখী হলেন সোসাইটির সাবেক সভাপতি, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী এম আজীজ। তাকে দেখেই এক নেতা বলে উঠলেন ‘আপনার প্যানেল জিতলে গড ফাদারের নামে শ্লোগান হবে। আমাদেরকে মিষ্টি খাওয়াতে হবে’। প্রত্তুত্তরে এম আজীজ বললেন, ‘গড ফাদাররা খাওয়ায় না খায়’। তার কথায় উপস্থিত সবাই হেসে উঠলেন। উল্লেখ্য, সোসাইটির নির্বাচনে ‘কুনু-রহীম’ প্যানেলের পৃষ্ঠপোষক ও সমর্থক ছিলেন এম আজীজ। ‘কুনু-রহীম’ পানেলের নির্বাচনী সভায় এম আজীজ নিজেকে ‘গড ফাদার’ দাবী করেন বলে মিডিয়ায় খবর প্রকাশিত হয়েছে।