নিউইয়র্ক ১০:৩৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

কমিউনিটি অ্যাকটিভিষ্ট শিরীন কামালের ছেলে জাহিরের ইন্তেকাল

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১১:২৪:২৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ মার্চ ২০১৫
  • / ৪৮৬ বার পঠিত

নিউইয়র্ক: গত শনিবার (১৪ মার্চ) রাতে কমিউনিটি অ্যাকটিভিষ্ট শিরীন কামালের একমাত্র ছেলে জাহির-বিন-কামাল (২৯) কোলন ক্যান্সারের সাথে যুদ্ধে পরাজিত হয়ে জামাইকার কুইন্স হাসপাতালে শেষ নি:স্বাস ত্যাগ করে (ইন্নানিল্লাহি ওয়া-ইন্না ইলাইহে রাজেউন)। দুই বোনের প্রিয় ভাই ও মা-বাবার অতি আদরের ধন-এর এভাবে চলে যাওয়াটা পরিবারের কেউ মানতে পারছেন না। মাত্র ১ বছর আগে জাহিরের কোলন ক্যান্সার ধরা পড়ে।
জামাইকা মুসলিম সেন্টারে তার জানাযায় মায়ের বুকফাটা চিৎকার ‘তুই আমাকে রেখে কেন গেলি বাবা, আমাকে নিয়ে যা। বাবারে উঠ, চোখ খোল…………’ উপস্থিত সকলের মনে গভীরভাবে আঘাত করে। আমি কখনই মৃত ব্যক্তির ছবি তুলি না। আমার ব্যাগে ক্যামেরা ছিল। আমি ক্যামেরা বের করে একজন সাংবাদিক ভাইকে দিয়ে কিছু ছবি তুলে ভাবীর পরিবারকে দেব ছেলের শেষ স্মৃতি হিসেবে। কিন্তু একি, আমার ক্যামেরা অন হচ্ছে না! কয়েকবার চেষ্টা করার পরও অন হলো না। জাহিরদের বাসাতে আমি কয়েকটা ছবি তুলেছি। ব্যাটারি ফুল। বাসায় ফেরার সময় গাড়িতে ক্যামেরা অন করলাম। অন হয়ে গেল। অবাক কান্ড! মনে হলো, আমি যা চাইনি তা আমার ক্যামেরাও করেনি। জাহিরের অসময়ের মৃত্যুতে আমি ভীষণভাবে শোকাহত।
শিরীন ভাবী কবে স্বাভাবিক জীবন যাপন করবেন আমি বলতে পারবো না। কেউ পারবে না। কাঁদতে কাঁদতে ও না খেয়ে থাকতে থাকতে তিনি আধমরা হয়ে গেছেন। আমিও দুই ছেলের মা। উনার শোক দেখে আমারও বুক খালি হয়ে গেছে। উনাকে আমি কোনো সান্তনা দিতে পারিনি কারণ পৃথিবীর কোনো ভাষাতেই তাকে এখন ছেলের শোক ভুলানো সম্ভব না। মসজিদে একটা ব্যাপার লক্ষ্য করেছি, মহিলারা তাকে ঘিরে নানা মন্তব্য করছেন। এতে তিনি আরও উত্তেজিত হয়ে পড়ছিলেন। গভীর শোকের সময় সান্তনার ভাষা হলো চুপ থাকা এবং শোকার্ত ব্যক্তির বিলাপ শোনা। কারণ তখন শিরীন ভাবি ছেলে ছাড়া কোনো কথা বলছিলেন না। আমি দোয়া করি মহান আল্লাহর কাছে জাহিরকে হারানোর শোক যেন তিনি তাদের পরিবারকে বহন করার শক্তি দেন। জাহিরের আত্মার শান্তির জন্য দোয়া করি। সবাই জাহির ও ওর পরিবারের জন্য দোয়া করুন। আমিন। -ফেসবুক থেকে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

About Author Information

কমিউনিটি অ্যাকটিভিষ্ট শিরীন কামালের ছেলে জাহিরের ইন্তেকাল

প্রকাশের সময় : ১১:২৪:২৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ মার্চ ২০১৫

নিউইয়র্ক: গত শনিবার (১৪ মার্চ) রাতে কমিউনিটি অ্যাকটিভিষ্ট শিরীন কামালের একমাত্র ছেলে জাহির-বিন-কামাল (২৯) কোলন ক্যান্সারের সাথে যুদ্ধে পরাজিত হয়ে জামাইকার কুইন্স হাসপাতালে শেষ নি:স্বাস ত্যাগ করে (ইন্নানিল্লাহি ওয়া-ইন্না ইলাইহে রাজেউন)। দুই বোনের প্রিয় ভাই ও মা-বাবার অতি আদরের ধন-এর এভাবে চলে যাওয়াটা পরিবারের কেউ মানতে পারছেন না। মাত্র ১ বছর আগে জাহিরের কোলন ক্যান্সার ধরা পড়ে।
জামাইকা মুসলিম সেন্টারে তার জানাযায় মায়ের বুকফাটা চিৎকার ‘তুই আমাকে রেখে কেন গেলি বাবা, আমাকে নিয়ে যা। বাবারে উঠ, চোখ খোল…………’ উপস্থিত সকলের মনে গভীরভাবে আঘাত করে। আমি কখনই মৃত ব্যক্তির ছবি তুলি না। আমার ব্যাগে ক্যামেরা ছিল। আমি ক্যামেরা বের করে একজন সাংবাদিক ভাইকে দিয়ে কিছু ছবি তুলে ভাবীর পরিবারকে দেব ছেলের শেষ স্মৃতি হিসেবে। কিন্তু একি, আমার ক্যামেরা অন হচ্ছে না! কয়েকবার চেষ্টা করার পরও অন হলো না। জাহিরদের বাসাতে আমি কয়েকটা ছবি তুলেছি। ব্যাটারি ফুল। বাসায় ফেরার সময় গাড়িতে ক্যামেরা অন করলাম। অন হয়ে গেল। অবাক কান্ড! মনে হলো, আমি যা চাইনি তা আমার ক্যামেরাও করেনি। জাহিরের অসময়ের মৃত্যুতে আমি ভীষণভাবে শোকাহত।
শিরীন ভাবী কবে স্বাভাবিক জীবন যাপন করবেন আমি বলতে পারবো না। কেউ পারবে না। কাঁদতে কাঁদতে ও না খেয়ে থাকতে থাকতে তিনি আধমরা হয়ে গেছেন। আমিও দুই ছেলের মা। উনার শোক দেখে আমারও বুক খালি হয়ে গেছে। উনাকে আমি কোনো সান্তনা দিতে পারিনি কারণ পৃথিবীর কোনো ভাষাতেই তাকে এখন ছেলের শোক ভুলানো সম্ভব না। মসজিদে একটা ব্যাপার লক্ষ্য করেছি, মহিলারা তাকে ঘিরে নানা মন্তব্য করছেন। এতে তিনি আরও উত্তেজিত হয়ে পড়ছিলেন। গভীর শোকের সময় সান্তনার ভাষা হলো চুপ থাকা এবং শোকার্ত ব্যক্তির বিলাপ শোনা। কারণ তখন শিরীন ভাবি ছেলে ছাড়া কোনো কথা বলছিলেন না। আমি দোয়া করি মহান আল্লাহর কাছে জাহিরকে হারানোর শোক যেন তিনি তাদের পরিবারকে বহন করার শক্তি দেন। জাহিরের আত্মার শান্তির জন্য দোয়া করি। সবাই জাহির ও ওর পরিবারের জন্য দোয়া করুন। আমিন। -ফেসবুক থেকে।