নিউইয়র্ক ১০:৪২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

উৎসবমুখর পরিবেশে টাঙ্গাইল জেলা সমিতি ইউএসএ’র বার্ষিক বনভোজন অনুষ্ঠিত

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০২:৩৮:৩৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৭ জুলাই ২০১৫
  • / ১৭৪৫ বার পঠিত

নিউইয়র্ক: উৎসবমুখর পরিবেশে নানা আয়োজনে অনুষ্ঠিত হলো যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী টাঙ্গাইলবাসীদের সামাজিক সংগঠন টাঙ্গাইল জেলা সমিতি ইউএসএ ইনক’র বার্ষিক বনভোজন। গত ২৬ আগষ্ট রোববার নিউইয়র্কের লং আইল্যান্ডস্থ নয়নাভিরাম হেকশেয়ার ষ্টেট পার্কে দিনব্যাপী এই বনভোজনের আয়োজন করা হয়। দু’টি বাসসহ অর্ধ শতাধিক প্রাইভেট কার যোগে নিউইয়র্কের প্রায় ছয় শত প্রবাসী টাঙ্গাইলবাসী এই বনভোজনে অংশ নেন বলে সমিতির সভাপতি মিজানুর রহমান খান আপেল ইউএনএ প্রতিনিধিকে জানান জানিয়েছেন। প্রবাসী টাঙ্গাইলবাসী ছাড়াও বিভিন্ন জেলার বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশী সপরিবারে এই বনভোজনে যোগ দেন। বনভোজনের অনুষ্ঠানমালার মধ্যে ছিলো: শিশু-কিশোর-কিশোরী, মহিলা আর পুরুষদের জন্য একাধিক আকর্ষনীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আর আকর্ষনীয় র‌্যাফল ড্র। সময়ের অভাবে অনুষ্ঠানে কৃতি ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে সার্টিফিকেট বিতরণ করা সম্ভব হয়নি, তবে সংশিষ্টদের হাতে সার্টিফিকেট পৌঁছে দেয়া হবে বলে কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
Tangail Zila Somittee Logoপ্রবাসী টাঙ্গাইলাবাসীরা বনভোজন স্থলে পৌঁছার পর বেলা ১১টার দিকে জ্যাকসন হাইটসের মেরিট কাবাব রেষ্টুরেন্ট পরিবেশিত পরটা আর সুজি-আর কলা-জুস-পানি দিয়ে সকালের নাস্তা খাওয়ার পর বনভোজন অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। বনভোজনে আগতদের স্বাগত জানান সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ মিজানুর রহমান খান আপেল ও সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন সহ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। সকালের নাস্তা খাওয়ার পর শুরু হয় নানান প্রতিযোগিতা।
দুপুরে পরিবেশিত হয় জ্যামাইকার সাগর রেষ্টুরেন্ট পরিবেশিত সুস্বাদু খাবার। বিকেলে ছিলো দই-মিষ্টি আর চা-পান। পুরুষদের ফুটবল খেলায় ধলেশ্বরী একাদশ ও যমুনা একাদশ অংশ নেয়। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রবাসের জনপ্রিয় শিল্পী দম্পতি তাজ-প্রমি সঙ্গীত পরিবেশন করেন। এছাড়াও সামসুজ্জান খানও সঙ্গীত পরিবেশন করেন।
Tangail Dist. Logoচারিদিকে সবুজ গাছ-গাছালীতে ঘেরা মনোরম পরিবেশে প্রবাসী টাঙ্গাইলবাসী আর অতিথিরা দিনব্যাপী বনভোজন অনুষ্ঠান উপভোগ করেন। বিশেষ করে শিশু-কিশোর-কিশোরী আর বয়োবৃদ্ধরা নিজের মতো করে আনন্দ উপভোগ করেন। একদিকে গ্রীষ্মের কড়া রোদ আপরদিকে গাছপালার ছায়া সেই শীতল বাতাস সবমিলিয়ে প্রাকৃতিক পরিবেশ ছিলো আরো উপভোগ্য। গাছের নীচে সবুজ খাসের উপর কেউ বা ফোল্ডিং চেয়ার পেতে, কেউ বা রং বে রং-এর চাঁদর বিছিয়ে আরাম-আয়েশে গড়াগড়ি করে ক্লান্তি দূর করেন। তবে এবারই প্রথম বনভোজন স্থলে মশা জাতীয় প্রাণীর উৎপাত হজন করতে হয় বনভোজনে অংশগ্রহণকারীদের।
ক্রীড়া প্রতিযোগিতার মধ্যে ছিলো: ৩-৫ বছরের শিশু-কিশোর-কিশোরীদের দৌড়, ৬-৮ বছরের বালক ও বালিকাদের দৌড়, ৯-১২ বছরের বালক ও বালিকাদের দৌড়, ১৩-১৭ বছরের বালকদের দৌড়, ১৯ উর্ধ্ব বিবাহিত মহিলাদের মার্বের দৌড়, ২০ উর্ধ্ব পুরুষদের বল কিক ও ফুটবল প্রতিযোগিতা, ২০ উর্ধ্ব মহিলাদের বালি নিক্ষেপ এবং যেমন খুশী তেমন সাজো (সবার জন্য উন্মুক্ত)।
বিচারকমন্ডলীতে ছিলেন কাজী গোলাম মোস্তফা কিসলু, মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, নজরুল ইসলাম খান সপন, সৈয়দ আজিজুল ইসলাম জাহাঙ্গীর, মোহাম্মদ ইউনূস আলী মাস্টার, মোহাম্মদ মোকাদ্দেস আলী, খন্দকার আতিকুজ্জামান টুটুল, মোহাম্মদ আব্দুল লতিফ, মোহাম্মদ আফজাল আলী খান, মনির চৌধুরী ও ইঞ্জিনিয়ার সপন।
৩-৫ বছরের শিশু-কিশোর-কিশোরীদের দৌড় প্রতিযোগিতায় অদিতী প্রথম, মিম দ্বিতীয় ও আয়াল তৃতীয় স্থান লাভ করে।
৬-৮ বছরের বালকদের দৌড়ে রাফি প্রথম, ইমন দ্বিতীয় ও মহিন তৃতীয় স্থান লাভ করে।
৬-৮ বছরের বালিকাদের দৌড়ে মেঘা প্রথম, আনিকা দ্বিতীয় ও মুহিতা তৃতীয় স্থাল লাভ করে।
৯-১২ বছরের বালকদের দৌড়ে হোসেন প্রথম, আদিব দ্বিতীয় ও হাসান তৃতীয় স্থান লাভ করে।
৯-১২ বছরের বালিকাদের দৌড়ে ফাহমিদা প্রথম, ঝিনুক দ্বিতীয় ও সর্না তৃতীয় স্থান লাভ করে।
১৩-১৭ বছরের বালকদের দৌড়ে অন্তু প্রথম, সামি দ্বিতীয় ও ফারহান তৃতীয় স্থান লাভ করেন।
১৮ উর্ধ্ব মেয়েদের দৌড়ে পাপিয়া প্রথম, পাপিয়া দ্বিতীয় ও পারভীন তৃতীয় স্থান লাভ করেন্
১৯ উর্ধ্ব বিবাহিত মহিলাদের দৌড়ে জুই প্রথম, মিসফিকা দ্বিতীয় ও এমি তৃতীয় স্থান লাভ করেন।
২০ উর্ধ্ব পুরুষদের বল কিক প্রতিযোাগিতায় এবিএম সালাহউদ্দিন আহমেদ প্রথম, জাফর আহমেদ দ্বিতীয় ও অন্তু তৃতীয় স্থান লাখ করেন।
২০ উর্ধ্ব মহিলাদের বালি নিক্ষেপ প্রতিযোগিতায় সালমা আমিন প্রথম, আরজু দ্বিতীয় ও পাপিয়া তৃতীয় স্থাল লাভ করেন।
T. Picnic_Shafin-Shormi-Shuvoএছাড়া যেমন খুশী তেমন সাজো (সবার জন্য উন্মুক্ত)-তে নতুন প্রজন্মের অংশগ্রহণ করা ছিলো চোখে পড়ার মতো। কেউ মুক্তিযোদ্ধা, কেউ নার্স, কেউ ভিখারী কেউ গৃহবধু প্রভৃতি সাজে সজ্জিত হয়ে সবাইকে মুগ্ধ করে। ফলে তাদের সবাইকে পুরষ্কৃত করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
বনভোজন অনুষ্ঠানের অন্যতম আকর্ষণ র‌্যাফল ড্র’র পুরষ্কার ছিলো: প্রথম পুরষ্কার- নিউইয়র্ক-ঢাকা-নিউইয়র্ক এয়ার টিকিট (সৌজন্যে: ল অফিস অব স্টুওয়ার্ট এন. বেবিচ, ইএসকিউ), দ্বিতীয় পুরষ্কার- ৫০ ইঞ্চি এলসিডি টিভি (সৌজন্যে: মোহাম্মদ আশরাফুল আলম জঙ্গী), তৃতীয় পুরষ্কার- ল্যাবট্যাব (সৌজন্যে- কর্ণফুলী ইনকাম ট্যাক্স সার্ভিসেস, জ্যাকসন হাইটস), চতুর্থ পুরষ্কার- ল্যাবটপ এন্ড ট্যাব (সৌজন্যে: পার্কচেষ্টার ফ্যামিলি ফার্মেসী, ব্রঙ্কস), পঞ্চম পুরষ্কার- ছয় মাসের ফ্রি সার্ভিস (সৌজন্যে: টোটাল ব্রডকাস্টিং নেটওয়ার্ক, নিউইয়র্ক), ষষ্ঠ পুরষ্কার- ট্যাবলেট (সৌজন্যে: কাজী অটো রিপেয়ার এন্ড বডিশপ, লং আইল্যান্ড সিটি), সপ্তম পুরষ্কার- মাইক্রোওভেন (সৌজন্যে: হাডসন মোটরস এ্ড বডিশপ, উডসাইড), অষ্টম পুরষ্কার- ব্লেন্ডার (সৌজন্যে: স্টার্লিং ফার্মেসী, ব্রঙ্কস), নবম পুরষ্কার- ব্লেন্ডর (সৌজন্যে: রূপলাবন ইনক, ব্রঙ্কস), দশম পুরষ্কার- ব্লেন্ডার (সৌজন্যে: হাটবাজার, জ্যাকসন হাইটস)। এছাড়াও সমিতির সৌজন্যে ছিলো আরো পাঁচটি বিশেষ পুরষ্কার।
সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ মিজানুর রহমান খান আপেল ও সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী শফিকুল হক জুয়েল সহ আমন্ত্রিত অতিথি ও কর্মকর্তাগণ বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরষ্কার করেন। এর আগে সমিতির কর্মকর্তাদের পরিচয় করিয়ে দেয়া হয়। বনভোজন অনুষ্ঠানের বিভিন্ন পর্ব উপস্থাপনা করেন খন্দকার মাহবুব হোসেন। খেলাধুলা পরিচালনা করেন মোহাম্মদ শিহাব উদ্দিন।
এছাড়া কৃতি ছাত্র-ছাত্রীদের সার্টিফিকেট পেতে সমিতির সভাপতি মিজানুর রহমান খান আপেলের (ফোন:৯১৭-৮৬৪-৬৩৩৫) সাথে যোগাযোগ করতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
সবশেষে বনভোজন অনুষ্ঠান সফল করায় সংগঠনের সভাপতি মিজানুর রহমান খান আপেল ও সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন সকল প্রবাসী টাঙ্গাইলবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
টাঙ্গাইল জেলা সমিতির বনভোজন সফল করতে গঠিত বিভিন্ন উপ কমিটির চেয়ারম্যানগণ হচ্ছেন: আব্দুর রাজ্জাক (সকালের নাস্তা), মোহাম্মদ আব্দুস সালাম (আপ্যায়ন), হারুনুর রশীদ বাবলু (বাজার), মোহাম্মদ শিহাব উদ্দিন (ক্রীড়া), মোহাম্মদ শামসুজ্জামান খান (খাদ্য), খন্দকার মাহবুব হোসেন (র‌্যাফল ড্র), মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম (বাস পর্যবেক্ষণ), এবিএম সালাহউদ্দিন আহমেদ (প্রচার ও প্রকাশনা), কাউসার আহমেদ মন্টু (সাংস্কৃতিক), মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম (হিসাব ও টিকেট পরিবেশন), মোহাম্মদ আজাদ আলী খান (স্ন্যাকস ও পানীয়)।
এছাড়া আরো যাদের সার্বিক সহযোগিতা ছিলো তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যরা হচ্ছেন: দেওয়ান আমিনুর রহমান, এনামুল ইসলাম খান তপন, সৈয়দ আজিজুল ইসলাম জাহাঙ্গীর, মোহাম্মদ ইউনূস (মাস্টার), আহমেদ সালাউদ্দিন উৎপল, ইকবাল আহমেদ, মোহাম্মদ কামাল হোসেন, মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, মোহাম্মদ আলী, মোহাম্মদ অহিদুল আলম বাবু, রামকৃষ্ণ সাহা অপু, নূর মোহাম্মদ মোস্তফা মিল্টন, নাসরীন আক্তার লাকী, মোহাম্মদ এস খান রাজেস, মোহাম্মদ মজিবর রহমান, মির্জা নূর এ আলম, মোহাম্মদ শামীম আল মামুন সপন, মোহাম্মদ আশরাফ ভুঁইয়া টনি, বদরুজ্জামান খান পিকলু, হারুন খান, সৈয়দ ইমরুল আলম শাহিদ, মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ ও মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান জাকু।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

About Author Information

উৎসবমুখর পরিবেশে টাঙ্গাইল জেলা সমিতি ইউএসএ’র বার্ষিক বনভোজন অনুষ্ঠিত

প্রকাশের সময় : ০২:৩৮:৩৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৭ জুলাই ২০১৫

নিউইয়র্ক: উৎসবমুখর পরিবেশে নানা আয়োজনে অনুষ্ঠিত হলো যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী টাঙ্গাইলবাসীদের সামাজিক সংগঠন টাঙ্গাইল জেলা সমিতি ইউএসএ ইনক’র বার্ষিক বনভোজন। গত ২৬ আগষ্ট রোববার নিউইয়র্কের লং আইল্যান্ডস্থ নয়নাভিরাম হেকশেয়ার ষ্টেট পার্কে দিনব্যাপী এই বনভোজনের আয়োজন করা হয়। দু’টি বাসসহ অর্ধ শতাধিক প্রাইভেট কার যোগে নিউইয়র্কের প্রায় ছয় শত প্রবাসী টাঙ্গাইলবাসী এই বনভোজনে অংশ নেন বলে সমিতির সভাপতি মিজানুর রহমান খান আপেল ইউএনএ প্রতিনিধিকে জানান জানিয়েছেন। প্রবাসী টাঙ্গাইলবাসী ছাড়াও বিভিন্ন জেলার বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশী সপরিবারে এই বনভোজনে যোগ দেন। বনভোজনের অনুষ্ঠানমালার মধ্যে ছিলো: শিশু-কিশোর-কিশোরী, মহিলা আর পুরুষদের জন্য একাধিক আকর্ষনীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আর আকর্ষনীয় র‌্যাফল ড্র। সময়ের অভাবে অনুষ্ঠানে কৃতি ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে সার্টিফিকেট বিতরণ করা সম্ভব হয়নি, তবে সংশিষ্টদের হাতে সার্টিফিকেট পৌঁছে দেয়া হবে বলে কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
Tangail Zila Somittee Logoপ্রবাসী টাঙ্গাইলাবাসীরা বনভোজন স্থলে পৌঁছার পর বেলা ১১টার দিকে জ্যাকসন হাইটসের মেরিট কাবাব রেষ্টুরেন্ট পরিবেশিত পরটা আর সুজি-আর কলা-জুস-পানি দিয়ে সকালের নাস্তা খাওয়ার পর বনভোজন অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। বনভোজনে আগতদের স্বাগত জানান সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ মিজানুর রহমান খান আপেল ও সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন সহ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। সকালের নাস্তা খাওয়ার পর শুরু হয় নানান প্রতিযোগিতা।
দুপুরে পরিবেশিত হয় জ্যামাইকার সাগর রেষ্টুরেন্ট পরিবেশিত সুস্বাদু খাবার। বিকেলে ছিলো দই-মিষ্টি আর চা-পান। পুরুষদের ফুটবল খেলায় ধলেশ্বরী একাদশ ও যমুনা একাদশ অংশ নেয়। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রবাসের জনপ্রিয় শিল্পী দম্পতি তাজ-প্রমি সঙ্গীত পরিবেশন করেন। এছাড়াও সামসুজ্জান খানও সঙ্গীত পরিবেশন করেন।
Tangail Dist. Logoচারিদিকে সবুজ গাছ-গাছালীতে ঘেরা মনোরম পরিবেশে প্রবাসী টাঙ্গাইলবাসী আর অতিথিরা দিনব্যাপী বনভোজন অনুষ্ঠান উপভোগ করেন। বিশেষ করে শিশু-কিশোর-কিশোরী আর বয়োবৃদ্ধরা নিজের মতো করে আনন্দ উপভোগ করেন। একদিকে গ্রীষ্মের কড়া রোদ আপরদিকে গাছপালার ছায়া সেই শীতল বাতাস সবমিলিয়ে প্রাকৃতিক পরিবেশ ছিলো আরো উপভোগ্য। গাছের নীচে সবুজ খাসের উপর কেউ বা ফোল্ডিং চেয়ার পেতে, কেউ বা রং বে রং-এর চাঁদর বিছিয়ে আরাম-আয়েশে গড়াগড়ি করে ক্লান্তি দূর করেন। তবে এবারই প্রথম বনভোজন স্থলে মশা জাতীয় প্রাণীর উৎপাত হজন করতে হয় বনভোজনে অংশগ্রহণকারীদের।
ক্রীড়া প্রতিযোগিতার মধ্যে ছিলো: ৩-৫ বছরের শিশু-কিশোর-কিশোরীদের দৌড়, ৬-৮ বছরের বালক ও বালিকাদের দৌড়, ৯-১২ বছরের বালক ও বালিকাদের দৌড়, ১৩-১৭ বছরের বালকদের দৌড়, ১৯ উর্ধ্ব বিবাহিত মহিলাদের মার্বের দৌড়, ২০ উর্ধ্ব পুরুষদের বল কিক ও ফুটবল প্রতিযোগিতা, ২০ উর্ধ্ব মহিলাদের বালি নিক্ষেপ এবং যেমন খুশী তেমন সাজো (সবার জন্য উন্মুক্ত)।
বিচারকমন্ডলীতে ছিলেন কাজী গোলাম মোস্তফা কিসলু, মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, নজরুল ইসলাম খান সপন, সৈয়দ আজিজুল ইসলাম জাহাঙ্গীর, মোহাম্মদ ইউনূস আলী মাস্টার, মোহাম্মদ মোকাদ্দেস আলী, খন্দকার আতিকুজ্জামান টুটুল, মোহাম্মদ আব্দুল লতিফ, মোহাম্মদ আফজাল আলী খান, মনির চৌধুরী ও ইঞ্জিনিয়ার সপন।
৩-৫ বছরের শিশু-কিশোর-কিশোরীদের দৌড় প্রতিযোগিতায় অদিতী প্রথম, মিম দ্বিতীয় ও আয়াল তৃতীয় স্থান লাভ করে।
৬-৮ বছরের বালকদের দৌড়ে রাফি প্রথম, ইমন দ্বিতীয় ও মহিন তৃতীয় স্থান লাভ করে।
৬-৮ বছরের বালিকাদের দৌড়ে মেঘা প্রথম, আনিকা দ্বিতীয় ও মুহিতা তৃতীয় স্থাল লাভ করে।
৯-১২ বছরের বালকদের দৌড়ে হোসেন প্রথম, আদিব দ্বিতীয় ও হাসান তৃতীয় স্থান লাভ করে।
৯-১২ বছরের বালিকাদের দৌড়ে ফাহমিদা প্রথম, ঝিনুক দ্বিতীয় ও সর্না তৃতীয় স্থান লাভ করে।
১৩-১৭ বছরের বালকদের দৌড়ে অন্তু প্রথম, সামি দ্বিতীয় ও ফারহান তৃতীয় স্থান লাভ করেন।
১৮ উর্ধ্ব মেয়েদের দৌড়ে পাপিয়া প্রথম, পাপিয়া দ্বিতীয় ও পারভীন তৃতীয় স্থান লাভ করেন্
১৯ উর্ধ্ব বিবাহিত মহিলাদের দৌড়ে জুই প্রথম, মিসফিকা দ্বিতীয় ও এমি তৃতীয় স্থান লাভ করেন।
২০ উর্ধ্ব পুরুষদের বল কিক প্রতিযোাগিতায় এবিএম সালাহউদ্দিন আহমেদ প্রথম, জাফর আহমেদ দ্বিতীয় ও অন্তু তৃতীয় স্থান লাখ করেন।
২০ উর্ধ্ব মহিলাদের বালি নিক্ষেপ প্রতিযোগিতায় সালমা আমিন প্রথম, আরজু দ্বিতীয় ও পাপিয়া তৃতীয় স্থাল লাভ করেন।
T. Picnic_Shafin-Shormi-Shuvoএছাড়া যেমন খুশী তেমন সাজো (সবার জন্য উন্মুক্ত)-তে নতুন প্রজন্মের অংশগ্রহণ করা ছিলো চোখে পড়ার মতো। কেউ মুক্তিযোদ্ধা, কেউ নার্স, কেউ ভিখারী কেউ গৃহবধু প্রভৃতি সাজে সজ্জিত হয়ে সবাইকে মুগ্ধ করে। ফলে তাদের সবাইকে পুরষ্কৃত করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
বনভোজন অনুষ্ঠানের অন্যতম আকর্ষণ র‌্যাফল ড্র’র পুরষ্কার ছিলো: প্রথম পুরষ্কার- নিউইয়র্ক-ঢাকা-নিউইয়র্ক এয়ার টিকিট (সৌজন্যে: ল অফিস অব স্টুওয়ার্ট এন. বেবিচ, ইএসকিউ), দ্বিতীয় পুরষ্কার- ৫০ ইঞ্চি এলসিডি টিভি (সৌজন্যে: মোহাম্মদ আশরাফুল আলম জঙ্গী), তৃতীয় পুরষ্কার- ল্যাবট্যাব (সৌজন্যে- কর্ণফুলী ইনকাম ট্যাক্স সার্ভিসেস, জ্যাকসন হাইটস), চতুর্থ পুরষ্কার- ল্যাবটপ এন্ড ট্যাব (সৌজন্যে: পার্কচেষ্টার ফ্যামিলি ফার্মেসী, ব্রঙ্কস), পঞ্চম পুরষ্কার- ছয় মাসের ফ্রি সার্ভিস (সৌজন্যে: টোটাল ব্রডকাস্টিং নেটওয়ার্ক, নিউইয়র্ক), ষষ্ঠ পুরষ্কার- ট্যাবলেট (সৌজন্যে: কাজী অটো রিপেয়ার এন্ড বডিশপ, লং আইল্যান্ড সিটি), সপ্তম পুরষ্কার- মাইক্রোওভেন (সৌজন্যে: হাডসন মোটরস এ্ড বডিশপ, উডসাইড), অষ্টম পুরষ্কার- ব্লেন্ডার (সৌজন্যে: স্টার্লিং ফার্মেসী, ব্রঙ্কস), নবম পুরষ্কার- ব্লেন্ডর (সৌজন্যে: রূপলাবন ইনক, ব্রঙ্কস), দশম পুরষ্কার- ব্লেন্ডার (সৌজন্যে: হাটবাজার, জ্যাকসন হাইটস)। এছাড়াও সমিতির সৌজন্যে ছিলো আরো পাঁচটি বিশেষ পুরষ্কার।
সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ মিজানুর রহমান খান আপেল ও সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী শফিকুল হক জুয়েল সহ আমন্ত্রিত অতিথি ও কর্মকর্তাগণ বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরষ্কার করেন। এর আগে সমিতির কর্মকর্তাদের পরিচয় করিয়ে দেয়া হয়। বনভোজন অনুষ্ঠানের বিভিন্ন পর্ব উপস্থাপনা করেন খন্দকার মাহবুব হোসেন। খেলাধুলা পরিচালনা করেন মোহাম্মদ শিহাব উদ্দিন।
এছাড়া কৃতি ছাত্র-ছাত্রীদের সার্টিফিকেট পেতে সমিতির সভাপতি মিজানুর রহমান খান আপেলের (ফোন:৯১৭-৮৬৪-৬৩৩৫) সাথে যোগাযোগ করতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
সবশেষে বনভোজন অনুষ্ঠান সফল করায় সংগঠনের সভাপতি মিজানুর রহমান খান আপেল ও সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন সকল প্রবাসী টাঙ্গাইলবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
টাঙ্গাইল জেলা সমিতির বনভোজন সফল করতে গঠিত বিভিন্ন উপ কমিটির চেয়ারম্যানগণ হচ্ছেন: আব্দুর রাজ্জাক (সকালের নাস্তা), মোহাম্মদ আব্দুস সালাম (আপ্যায়ন), হারুনুর রশীদ বাবলু (বাজার), মোহাম্মদ শিহাব উদ্দিন (ক্রীড়া), মোহাম্মদ শামসুজ্জামান খান (খাদ্য), খন্দকার মাহবুব হোসেন (র‌্যাফল ড্র), মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম (বাস পর্যবেক্ষণ), এবিএম সালাহউদ্দিন আহমেদ (প্রচার ও প্রকাশনা), কাউসার আহমেদ মন্টু (সাংস্কৃতিক), মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম (হিসাব ও টিকেট পরিবেশন), মোহাম্মদ আজাদ আলী খান (স্ন্যাকস ও পানীয়)।
এছাড়া আরো যাদের সার্বিক সহযোগিতা ছিলো তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যরা হচ্ছেন: দেওয়ান আমিনুর রহমান, এনামুল ইসলাম খান তপন, সৈয়দ আজিজুল ইসলাম জাহাঙ্গীর, মোহাম্মদ ইউনূস (মাস্টার), আহমেদ সালাউদ্দিন উৎপল, ইকবাল আহমেদ, মোহাম্মদ কামাল হোসেন, মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, মোহাম্মদ আলী, মোহাম্মদ অহিদুল আলম বাবু, রামকৃষ্ণ সাহা অপু, নূর মোহাম্মদ মোস্তফা মিল্টন, নাসরীন আক্তার লাকী, মোহাম্মদ এস খান রাজেস, মোহাম্মদ মজিবর রহমান, মির্জা নূর এ আলম, মোহাম্মদ শামীম আল মামুন সপন, মোহাম্মদ আশরাফ ভুঁইয়া টনি, বদরুজ্জামান খান পিকলু, হারুন খান, সৈয়দ ইমরুল আলম শাহিদ, মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ ও মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান জাকু।