নিউইয়র্ক ১০:৫২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

অর্থ স্ক্যান্ডালে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১২:৪৩:০০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৯ ডিসেম্বর ২০১৫
  • / ৫১০ বার পঠিত

নিউইয়র্ক: কার্যকরী কমিটির সভাকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের দুই পক্ষ মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছে। সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদুর রহমান সাজ্জাদের ডাকা সভাকে অবৈধ ঘোষণা করে সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান দলের ভাবমুর্তি ক্ষুন্নের অভিযোগে অভিযুক্ত করেছেন সংশ্লিষ্টদের। অপরদিকে দলীয় শৃংখলা ও ভাবমুর্তি বিরুধী তৎপরতার অভিযোগে সাংগঠনিক সম্পাদক ফারুক আহমদ ও দফতর সম্পাদক মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকীকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে সাজ্জাদুর রহমান সাজ্জাদের ডাকা সভা থেকে।
এবিষয়ে সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, সহ সভাপতি মাহবুবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদুর রহমান সাজ্জাদ এবং যুগ্ম সম্পাদক নিজাম চৌধুরীর অবৈধ সভার যেকোন সিদ্ধান্তই বৈধ বলে গন্য হবে। এনিয়ে বিভ্রান্তির অবকাশ নেই।
সিদ্দিকুর রহমান আরো বলেন, নিজাম চৌধুরী যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের ৩০ হাজার ডলার আত্মসাৎ করে দেশে চলে যান। এখন জননেত্রী শেখ হাসিনার দেয়া কমিটিকে বিতর্কিত করতে চক্রান্তের হোতা হয়ে দেশ থেকে নিউ ইয়র্ক এসেছেন। এজন্য যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের জরুরী সভা ডাকা হয়েছে মঙ্গলবার। এই সভায় চক্রান্তকারীদের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত হবে। দলীয় গঠনতন্ত্রের ২২ ধারামতে সভাপতি জরুরী সাধারণ সভা আহ্বানের ক্ষমতা রাখেন।
যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের ব্যনারে সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদুর রহমান সাজ্জাদের নেতৃত্বে গত রোববার (৬ ডিসেম্বর) নিউইয়র্কে খাবার বাড়ীতে কার্যকরী কমিটির এই সভা অনুষ্টিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন সহ সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মাহবুবুর রহমান। অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম সম্পাদক নিজাম চৌধুরী।
রুদ্ধদ্বার এই বৈঠক সম্পর্কে আলাপকালে সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদুর রহমান সাজ্জাদ বলেন,দীর্ঘ ৩ বছর পর কার্যকরী কমিটির সভা অনুষ্ঠানের জন্য দলের নেতা কর্মীরা আমাদের শুভেচ্ছা ও অভিন্দন জানিয়েছেন।
সভায় তিনটি মৌলিক সিদ্ধান্ত হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে আগামী ১৬ই ডিসেম্বর যথাযথ মর্যাদায় বাংলাদেশের মহান বিজয় দিবস উদযাপন। সংগঠন ও গঠনতন্ত্রবিরোধী তৎপরতার জন্য দলের সাংগঠনিক সম্পাদক ফারুক আহমদ ও দফতর সম্পাদক মোহাম্মদ আলীকে দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি, দলের বিভিন্ন শুন্য পদ পূরনে সহ সভাপতি মাহবুবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদুর রহমান সাজ্জাদ ও সাংগঠনিক সম্পাদক নিজাম চৌধুরীকে নিয়ে ৩ সদেস্যর একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
সাজ্জাদুর রহমান সাজ্জাদ বলেন, দলের সভাপতি কয়েকজন কোটারীর হাতের পুতুল হয়ে কাজ করছেন। তার কাছ থেকে আমরা এটা প্রত্যাশা করি না। এজন্য এই সভা থেকে তার প্রতি সার্বজনীনতা বজায় রাখার আহ্বান জানানো হয়েছে। ব্যক্তি নয় দলের স্বার্থে তাকে কাজ করতে হবে। তিনি বলেন, কার্যকরী কমিটির অনেক ক্ষমতা রয়েছে। তারা চাইলে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধেও সুপারিশ গ্রহণ করতে পারে। এজন্য কার্যকরী কমিটির অধিকাংশ সদস্যের মতামতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়ার জন্য তার প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
কার্যকরী কমিটির এই সভায় অনেকেই সভাপতির বিভিন্ন কর্মকান্ডের জন্য ক্ষোভ প্রকাশ করেছেনও বলে একটি সূত্র জানায়।
সভায় উপস্থিত সদস্যদের নাম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কার্যকরি কমিটির এই সভায় মাহাবুবুর রহমান, সাজ্জাদুর রহমান সাজ্জাদ, নিজাম চৌধুরী, আইরীন পারভীন, মহিউদ্দীন দেওয়ান, আব্দুল হাসিব মামুন, জাহাঙ্গীর হোসেন, হাজী এনাম, নুর আলম চৌধুরী, শিরিন আখতার দিবা, মোজাহিদুল ইসলাম, মাহবুবুর রহমান টুকু, এম এ করিম জাহাঙ্গীর, ড. আব্দুল বাতেন, তৈয়বুর রহমান টনি, ডেনী চৌধুরী, অহিদুর রহমান মুক্তা, শরাফ সরকার, মোস্তফা কামাল পাশা, শামসুল আবদীন, আজিজুর রহমান সাবু, মইনুল হক, হাজী নিজাম উদ্দীন, মিসেস তরফদার, হারুন আহমেদ, আনোয়ার হোসেইন, নুর নবী চৌধুরী, মোহাম্মদ মহসীন রিপন,নুরুল আবসার সেন্টু, শামসুল আবদীন, আমিনুল ইসলাম কলিন্স, আজহারুল ইসলাম মিয়া, আতাউল গনি আসাদ, আশরাফুজ্জামান, শহীদ হাসান, রফিকুল ইসলাম পাটোয়ারী, খুর্শেদ খন্দকার, আলাউদ্দীন জাহাঙ্গীর প্রমুখ।
সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক সাফল্যের স্বীকৃতি হিসেবে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন পুরস্কারপ্রাপ্তিতে তার প্রতি অভিনন্দন জানানো হয়।
এক প্রশ্নের জবাবে সাজ্জাদুর রহমান সাজ্জাদ বলেন, সভাপতি দলের নেতা-কর্মীদের নিয়ে ঐক্যবদ্বভাবে কাজ করতে চাইলে সভাপতিকে নিয়ে কাজ করতে তার কোন আপত্তি নেই।
কার্যকরী কমিটির এই সভা প্রসঙ্গে ড. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, এটা একটি অবৈধ সভা। সভাপতির অনুমতি ছাড়া সাধারণ সম্পাদক এধরনের কোন সভা ডাকতে পারেন না। তিনি বলেন, আমার অনুমতি ছাড়া সাধারণ সম্পাদক সভা ডেকে দলীয় শৃংখলা বিরোধী কাজ করেছেন।
দলের দুই নেতাকে বহিস্কার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অবৈধ সভায় অবৈধ সিদ্ধান্তকে কেউ তোয়াক্কা করবে না। নিজাম চৌধুরীর মত চক্রান্তকারী দেশ থেকে চলে এসেছেন এখানে নেতা-কর্মীদের বিভ্রান্ত করতে। আমরা তার এই চক্রান্ত সফল হতে দেবো না। তিনি বিভিন্নভাবে দলের অনুদানের ৩০ হাজার আত্মসাৎ করে বসে আছেন। এসব বিষয় নিয়ে আগামী সোমবার জরুরী বৈঠক ডাকা হয়েছে। গঠনতন্ত্রের ২২ ধারা মোতাবেক সভাপতি জরুরী প্রয়োজনে এই সভা ডাকতে পারেন।
তিনি বলেন, দীর্ঘদিন থেকে সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদুর রহমান সাজ্জাদ অনেকগুলো অবৈধ কাজ করছেন। শ্রমিক লীগের বৈধ কমিটি থাকা সত্বেয় তিনি অবৈধ একটি কমিটি ঘোষনা দিয়েছেন। অবৈধ সভা ডেকে তিনি দল তথা সরকারের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন করেছেন। সরকারের বিগত ৪ বছরের উন্নয়ন এবং সাফল্যকে তিনি প্রশ্নবিদ্ধ করার চক্রান্ত করছেন। এসব বিষয় আগামী মঙ্গলবারের সভায় আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
এদিকে সাজ্জাদুর রহমান সাজ্জাদের পক্ষের একজন নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, গত বছরে প্রধানমন্ত্রীর সংবর্ধনা উপলক্ষ্যে ৪ লক্ষ ডলারের হিসেব দিচ্ছেন না সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান। স্বচ্ছ হিসেব ছাড়া সভাপতির সাথে কোন সংলাপ হবে না। (সাপ্তাহিক বাংলা পত্রিকা)

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

About Author Information

অর্থ স্ক্যান্ডালে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ

প্রকাশের সময় : ১২:৪৩:০০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৯ ডিসেম্বর ২০১৫

নিউইয়র্ক: কার্যকরী কমিটির সভাকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের দুই পক্ষ মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছে। সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদুর রহমান সাজ্জাদের ডাকা সভাকে অবৈধ ঘোষণা করে সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান দলের ভাবমুর্তি ক্ষুন্নের অভিযোগে অভিযুক্ত করেছেন সংশ্লিষ্টদের। অপরদিকে দলীয় শৃংখলা ও ভাবমুর্তি বিরুধী তৎপরতার অভিযোগে সাংগঠনিক সম্পাদক ফারুক আহমদ ও দফতর সম্পাদক মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকীকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে সাজ্জাদুর রহমান সাজ্জাদের ডাকা সভা থেকে।
এবিষয়ে সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, সহ সভাপতি মাহবুবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদুর রহমান সাজ্জাদ এবং যুগ্ম সম্পাদক নিজাম চৌধুরীর অবৈধ সভার যেকোন সিদ্ধান্তই বৈধ বলে গন্য হবে। এনিয়ে বিভ্রান্তির অবকাশ নেই।
সিদ্দিকুর রহমান আরো বলেন, নিজাম চৌধুরী যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের ৩০ হাজার ডলার আত্মসাৎ করে দেশে চলে যান। এখন জননেত্রী শেখ হাসিনার দেয়া কমিটিকে বিতর্কিত করতে চক্রান্তের হোতা হয়ে দেশ থেকে নিউ ইয়র্ক এসেছেন। এজন্য যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের জরুরী সভা ডাকা হয়েছে মঙ্গলবার। এই সভায় চক্রান্তকারীদের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত হবে। দলীয় গঠনতন্ত্রের ২২ ধারামতে সভাপতি জরুরী সাধারণ সভা আহ্বানের ক্ষমতা রাখেন।
যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের ব্যনারে সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদুর রহমান সাজ্জাদের নেতৃত্বে গত রোববার (৬ ডিসেম্বর) নিউইয়র্কে খাবার বাড়ীতে কার্যকরী কমিটির এই সভা অনুষ্টিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন সহ সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মাহবুবুর রহমান। অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম সম্পাদক নিজাম চৌধুরী।
রুদ্ধদ্বার এই বৈঠক সম্পর্কে আলাপকালে সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদুর রহমান সাজ্জাদ বলেন,দীর্ঘ ৩ বছর পর কার্যকরী কমিটির সভা অনুষ্ঠানের জন্য দলের নেতা কর্মীরা আমাদের শুভেচ্ছা ও অভিন্দন জানিয়েছেন।
সভায় তিনটি মৌলিক সিদ্ধান্ত হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে আগামী ১৬ই ডিসেম্বর যথাযথ মর্যাদায় বাংলাদেশের মহান বিজয় দিবস উদযাপন। সংগঠন ও গঠনতন্ত্রবিরোধী তৎপরতার জন্য দলের সাংগঠনিক সম্পাদক ফারুক আহমদ ও দফতর সম্পাদক মোহাম্মদ আলীকে দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি, দলের বিভিন্ন শুন্য পদ পূরনে সহ সভাপতি মাহবুবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদুর রহমান সাজ্জাদ ও সাংগঠনিক সম্পাদক নিজাম চৌধুরীকে নিয়ে ৩ সদেস্যর একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
সাজ্জাদুর রহমান সাজ্জাদ বলেন, দলের সভাপতি কয়েকজন কোটারীর হাতের পুতুল হয়ে কাজ করছেন। তার কাছ থেকে আমরা এটা প্রত্যাশা করি না। এজন্য এই সভা থেকে তার প্রতি সার্বজনীনতা বজায় রাখার আহ্বান জানানো হয়েছে। ব্যক্তি নয় দলের স্বার্থে তাকে কাজ করতে হবে। তিনি বলেন, কার্যকরী কমিটির অনেক ক্ষমতা রয়েছে। তারা চাইলে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধেও সুপারিশ গ্রহণ করতে পারে। এজন্য কার্যকরী কমিটির অধিকাংশ সদস্যের মতামতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়ার জন্য তার প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
কার্যকরী কমিটির এই সভায় অনেকেই সভাপতির বিভিন্ন কর্মকান্ডের জন্য ক্ষোভ প্রকাশ করেছেনও বলে একটি সূত্র জানায়।
সভায় উপস্থিত সদস্যদের নাম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কার্যকরি কমিটির এই সভায় মাহাবুবুর রহমান, সাজ্জাদুর রহমান সাজ্জাদ, নিজাম চৌধুরী, আইরীন পারভীন, মহিউদ্দীন দেওয়ান, আব্দুল হাসিব মামুন, জাহাঙ্গীর হোসেন, হাজী এনাম, নুর আলম চৌধুরী, শিরিন আখতার দিবা, মোজাহিদুল ইসলাম, মাহবুবুর রহমান টুকু, এম এ করিম জাহাঙ্গীর, ড. আব্দুল বাতেন, তৈয়বুর রহমান টনি, ডেনী চৌধুরী, অহিদুর রহমান মুক্তা, শরাফ সরকার, মোস্তফা কামাল পাশা, শামসুল আবদীন, আজিজুর রহমান সাবু, মইনুল হক, হাজী নিজাম উদ্দীন, মিসেস তরফদার, হারুন আহমেদ, আনোয়ার হোসেইন, নুর নবী চৌধুরী, মোহাম্মদ মহসীন রিপন,নুরুল আবসার সেন্টু, শামসুল আবদীন, আমিনুল ইসলাম কলিন্স, আজহারুল ইসলাম মিয়া, আতাউল গনি আসাদ, আশরাফুজ্জামান, শহীদ হাসান, রফিকুল ইসলাম পাটোয়ারী, খুর্শেদ খন্দকার, আলাউদ্দীন জাহাঙ্গীর প্রমুখ।
সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক সাফল্যের স্বীকৃতি হিসেবে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন পুরস্কারপ্রাপ্তিতে তার প্রতি অভিনন্দন জানানো হয়।
এক প্রশ্নের জবাবে সাজ্জাদুর রহমান সাজ্জাদ বলেন, সভাপতি দলের নেতা-কর্মীদের নিয়ে ঐক্যবদ্বভাবে কাজ করতে চাইলে সভাপতিকে নিয়ে কাজ করতে তার কোন আপত্তি নেই।
কার্যকরী কমিটির এই সভা প্রসঙ্গে ড. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, এটা একটি অবৈধ সভা। সভাপতির অনুমতি ছাড়া সাধারণ সম্পাদক এধরনের কোন সভা ডাকতে পারেন না। তিনি বলেন, আমার অনুমতি ছাড়া সাধারণ সম্পাদক সভা ডেকে দলীয় শৃংখলা বিরোধী কাজ করেছেন।
দলের দুই নেতাকে বহিস্কার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অবৈধ সভায় অবৈধ সিদ্ধান্তকে কেউ তোয়াক্কা করবে না। নিজাম চৌধুরীর মত চক্রান্তকারী দেশ থেকে চলে এসেছেন এখানে নেতা-কর্মীদের বিভ্রান্ত করতে। আমরা তার এই চক্রান্ত সফল হতে দেবো না। তিনি বিভিন্নভাবে দলের অনুদানের ৩০ হাজার আত্মসাৎ করে বসে আছেন। এসব বিষয় নিয়ে আগামী সোমবার জরুরী বৈঠক ডাকা হয়েছে। গঠনতন্ত্রের ২২ ধারা মোতাবেক সভাপতি জরুরী প্রয়োজনে এই সভা ডাকতে পারেন।
তিনি বলেন, দীর্ঘদিন থেকে সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদুর রহমান সাজ্জাদ অনেকগুলো অবৈধ কাজ করছেন। শ্রমিক লীগের বৈধ কমিটি থাকা সত্বেয় তিনি অবৈধ একটি কমিটি ঘোষনা দিয়েছেন। অবৈধ সভা ডেকে তিনি দল তথা সরকারের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন করেছেন। সরকারের বিগত ৪ বছরের উন্নয়ন এবং সাফল্যকে তিনি প্রশ্নবিদ্ধ করার চক্রান্ত করছেন। এসব বিষয় আগামী মঙ্গলবারের সভায় আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
এদিকে সাজ্জাদুর রহমান সাজ্জাদের পক্ষের একজন নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, গত বছরে প্রধানমন্ত্রীর সংবর্ধনা উপলক্ষ্যে ৪ লক্ষ ডলারের হিসেব দিচ্ছেন না সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান। স্বচ্ছ হিসেব ছাড়া সভাপতির সাথে কোন সংলাপ হবে না। (সাপ্তাহিক বাংলা পত্রিকা)