নিউইয়র্ক ০২:৫৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ২৩ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

অনিশ্চিয়তায় প্রকল্প : সদস্যদের অর্থ আদায়ে মামলা

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৮:১৪:২১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬
  • / ৬১৯ বার পঠিত

নিউইয়র্ক: সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও পরিচালনা আর কর্মকর্তাদের মধ্যকার মতদ্বৈতার কারণে অনিশ্চয়তার মুখোমুখি দাঁড়িয়েছে প্রবাসী বাংলাদেশীদের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত আমেরিকা বাংলাদেশ এগ্রো (এবি এগ্রো) ইনক প্রকল্পটি। ফলে বিপাকে পড়েছেন প্রতিষ্ঠানটির প্রায় অর্ধশত শেয়ার হোল্ডার (সদস্য)। উদ্ভুত পরিস্থিতিতে কর্মকর্তাসহ শেয়ার হোল্ডারগণ তাদের শেয়ার ফেরৎ নিয়ে প্রতিষ্ঠানটি থেকে সড়ে যাওয়ারও সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ইতিমধ্যে কেউ কেউ সড়েও পড়েছেন। এদিকে পরিচালক (অর্থ) এএফএম শামসুজ্জোহা নামের এক শেয়ার হোল্ডার এবি এগ্রোর সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহবুব এস খানের বিরুদ্ধে স্থানীয় সিভিল কোর্টে মামলা করেছেন। খবর ইউএনএ’র।
জানা গেছে, কুইন্সের সাতফিন বুলেভার্ডস্থ সিভিল কোর্ট অব দ্যা সিটি অব নিউইয়র্ক-এ মাহবুব এস খানের বিরুদ্ধে এএফএম শামসুজ্জোহা দায়েরকৃত মামলায় (ইনডেক্স নং ৪১৩৯.এসসিকিউ ২০১৫ ১, তারিখ: ডিসম্বের ৩, ২০১৫) ৫০০০ ডলার ফেরৎ দেয়ার দাবী করা হয়েছে। এব্যাপারে মামলার বিবাদী মাহবুব এস খান বলেন, বাদী শামসুজ্জোহার দাবী মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। তিনি ব্যক্তিগতভাবে আমাকে কোন অর্থ দেননি, আমিও তার কাছ থেকে। এবি এগ্রোর শেয়ার হোল্ডার হিসেবে তিনি ৫০০০ হাজার ডলার (ব্যাংক চেকের মাধ্যমে প্রদত্ত) দিয়েছিলেন এবং তৎকালীন সময়ে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে তার অর্থ গ্রহণ করে ব্যাংক অ্যাকাউন্টে (টিডি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নম্বর ৪৩১৬৮০৫৩৩৬, তারিখ: সেপ্টেম্বর ৪, ২০১৫) জমা দেয়া হয়। পরবর্তীতে একজন শেয়ার হোল্ডার হিসেবে আমার শেয়ার (অর্থ) ফেরৎ নিয়ে চলতি বছরের জানুয়ারী মাসে এবি এগ্রো থেকে পদত্যাগ করায় প্রতিষ্ঠানটির সাথে আমার আর কোন সম্পর্ক নেই এবং অন্যান্য শেয়ার হোল্ডারদেও মতো শামসুজ্জোহার অর্থের দায়ও আমার নেই। তিনি (শামসুজ্জোহা) ব্যক্তিগতভাবে আমাকে কোন অর্থ দেননি এবং আমার কাছে কোন অর্থ পানও না। গত সপ্তাহে কোর্ট মামলাটি ‘ডিসমিস’ করে দিয়েছেন দাবী করে মাহবুব এস শাহেদ বলেন, এবি এগ্রো প্রবাসী বাংলাদেশীদের কষ্টের অর্থে প্রতিষ্ঠিত। আমি চাই প্রতিষ্ঠানটি সুষ্ঠু ও স্বচ্ছভাবে পরিচালিত হোক, নতুবা সকল শেয়ার হোল্ডারদের শেয়ার (অর্থ) ফেরৎ দেয়া হোক। এব্যাপারে তিনি সংশ্লিস্ট সকলকে সহযোগিতা দেয়ারও আশ্বাস দেন।
এদিকে এবি এগ্রোর পরিচালক (অর্থ) এএফএম শামসুজ্জোহার সাথে ২৮ সেপ্টেম্বর বুধবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি। তিনি ফোন কলও পিক করেননি।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

About Author Information

অনিশ্চিয়তায় প্রকল্প : সদস্যদের অর্থ আদায়ে মামলা

প্রকাশের সময় : ০৮:১৪:২১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬

নিউইয়র্ক: সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও পরিচালনা আর কর্মকর্তাদের মধ্যকার মতদ্বৈতার কারণে অনিশ্চয়তার মুখোমুখি দাঁড়িয়েছে প্রবাসী বাংলাদেশীদের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত আমেরিকা বাংলাদেশ এগ্রো (এবি এগ্রো) ইনক প্রকল্পটি। ফলে বিপাকে পড়েছেন প্রতিষ্ঠানটির প্রায় অর্ধশত শেয়ার হোল্ডার (সদস্য)। উদ্ভুত পরিস্থিতিতে কর্মকর্তাসহ শেয়ার হোল্ডারগণ তাদের শেয়ার ফেরৎ নিয়ে প্রতিষ্ঠানটি থেকে সড়ে যাওয়ারও সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ইতিমধ্যে কেউ কেউ সড়েও পড়েছেন। এদিকে পরিচালক (অর্থ) এএফএম শামসুজ্জোহা নামের এক শেয়ার হোল্ডার এবি এগ্রোর সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহবুব এস খানের বিরুদ্ধে স্থানীয় সিভিল কোর্টে মামলা করেছেন। খবর ইউএনএ’র।
জানা গেছে, কুইন্সের সাতফিন বুলেভার্ডস্থ সিভিল কোর্ট অব দ্যা সিটি অব নিউইয়র্ক-এ মাহবুব এস খানের বিরুদ্ধে এএফএম শামসুজ্জোহা দায়েরকৃত মামলায় (ইনডেক্স নং ৪১৩৯.এসসিকিউ ২০১৫ ১, তারিখ: ডিসম্বের ৩, ২০১৫) ৫০০০ ডলার ফেরৎ দেয়ার দাবী করা হয়েছে। এব্যাপারে মামলার বিবাদী মাহবুব এস খান বলেন, বাদী শামসুজ্জোহার দাবী মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। তিনি ব্যক্তিগতভাবে আমাকে কোন অর্থ দেননি, আমিও তার কাছ থেকে। এবি এগ্রোর শেয়ার হোল্ডার হিসেবে তিনি ৫০০০ হাজার ডলার (ব্যাংক চেকের মাধ্যমে প্রদত্ত) দিয়েছিলেন এবং তৎকালীন সময়ে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে তার অর্থ গ্রহণ করে ব্যাংক অ্যাকাউন্টে (টিডি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নম্বর ৪৩১৬৮০৫৩৩৬, তারিখ: সেপ্টেম্বর ৪, ২০১৫) জমা দেয়া হয়। পরবর্তীতে একজন শেয়ার হোল্ডার হিসেবে আমার শেয়ার (অর্থ) ফেরৎ নিয়ে চলতি বছরের জানুয়ারী মাসে এবি এগ্রো থেকে পদত্যাগ করায় প্রতিষ্ঠানটির সাথে আমার আর কোন সম্পর্ক নেই এবং অন্যান্য শেয়ার হোল্ডারদেও মতো শামসুজ্জোহার অর্থের দায়ও আমার নেই। তিনি (শামসুজ্জোহা) ব্যক্তিগতভাবে আমাকে কোন অর্থ দেননি এবং আমার কাছে কোন অর্থ পানও না। গত সপ্তাহে কোর্ট মামলাটি ‘ডিসমিস’ করে দিয়েছেন দাবী করে মাহবুব এস শাহেদ বলেন, এবি এগ্রো প্রবাসী বাংলাদেশীদের কষ্টের অর্থে প্রতিষ্ঠিত। আমি চাই প্রতিষ্ঠানটি সুষ্ঠু ও স্বচ্ছভাবে পরিচালিত হোক, নতুবা সকল শেয়ার হোল্ডারদের শেয়ার (অর্থ) ফেরৎ দেয়া হোক। এব্যাপারে তিনি সংশ্লিস্ট সকলকে সহযোগিতা দেয়ারও আশ্বাস দেন।
এদিকে এবি এগ্রোর পরিচালক (অর্থ) এএফএম শামসুজ্জোহার সাথে ২৮ সেপ্টেম্বর বুধবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি। তিনি ফোন কলও পিক করেননি।