নিউইয়র্ক ০৩:৪২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

‘অনির্বাচিত-অবৈধ সরকার’ বিরোধীদলের আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতেই সিটি নির্বাচন দিয়েছে: নিউইয়র্কে খোকা

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১২:৩৯:৩৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ মার্চ ২০১৫
  • / ৫৬৯ বার পঠিত

নিউইয়র্ক: বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান, সাবেক মন্ত্রী ও ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকা ক্ষমতাসীন মহাজোট সরকারকে ‘অনির্বাচিত-অবৈধ সরকার’ আখ্যায়িত করে বলেছেন, বিএনপি নেতৃত্বাধীন বিরোধীদলের আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত আর আন্দোলনের প্রচন্ড চাপ কাটানোর করার জন্যই সিটি করপোরেশনের নির্বাচন দিয়েছে। তারপরও সুষ্ঠু নির্বাচন হলে সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির জয়ের ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই।
সিটির জ্যাকসন হাইটস্থ জুইস সেন্টারে গত ২৩ মার্চ সোমবার আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে সাদেক হোসেন খোকা উপরোক্ত কথা বলেন। কেন্দ্রীয় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব, সাবেক প্রতিমন্ত্রী সালাহউদ্দিন আহমেদের নিখোঁজের ঘটনায় এই সাংবাদিক সম্মেলন করেন খোকা। এসময় যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী বিএনপি’র সাবেক সভাপতি আব্দুল লতিফ স¤্রাট, সাবেক সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান জিল্লু, সাবেক সিনিয়র সহ সভাপতি গিয়াস আহমেদ ও শরাফত হোসেন বাবু, সাবেক সহ সভাপতি মঞ্জুর আহমদ চৌধুরী, সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মিজানুর রহমান ভূইয়া মিল্টন, বিএনপির সাবেক কোষাধ্যক্ষ জসিম ভূঁইয়া, যুক্তরাষ্ট্র যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আবু সাইদ আহমদ, বিএনপি নেতা মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, ফারুক হোসেন মজুমদার, অলিউল্ল¬াহ মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, সেলিম রেজা, ছাত্রদল নেতা আতাউর রহমান আতা প্রমুখ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
উলে¬খ্য, দুর্নীতির মামলায় সাদেক হোসেন খোকার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে। সর্বশেষ নাগরিক ঐক্যের আহ্বাক, ডাকসুর সাবেক ভিপি মাহমুদুর রহমান মান্নার সঙ্গে টেলিফোন সংলাপের ঘটনায় তার বিরুদ্ধে দায়ের করা হয়েছে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা। ক্যান্সারের চিকিৎসার জন্য প্রায় এক বছর ধরে তিনি সপরিবারে নিউইয়র্ক অবস্থান করছেন।
এদিকে এই সাংবাদিক সম্মেলনের বরাতে কয়েকটি গণমাধ্যমে ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে তার (সাদেক হোসেন খোকা) প্রার্থী হওয়ার বিষয়ে তিনি কোন কথা বলেননি বলে তার ব্যক্তিগত সূত্র জানিয়েছে। এ সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি যেহেতু ১০ বছর ধরে অবিভক্ত সিটির মেয়র ছিলাম এখন বিভক্ত সিটিতে নির্বাচনে যাওয়াটা সমীচীন মনে করি না। এছাড়া, স্বাস্থ্যগত দিক দিয়ে আমার নির্বাচন করার মতো অবস্থা নেই। বিএনপি এমন একটি দল যে কোন সিটি করপোরেশনে প্রার্থী দেয়ার মতো অন্তত ১০ জন লোক পাওয়া যাবে। সুতরাং আমাকেই থাকতে হবে- এমন কোন কথা নেই।
সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সাদেক হোসেন খোকা বলেন, চিকিৎসার জন্য এই দেশে (যুক্তরাষ্ট্র) আসার পর প্রথম কয়েক মাস আমি সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মকান্ড থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রেখেছিলাম কিন্তু সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে আমরা দেখতে পেলাম যে, দেশের বর্তমান অনির্বাচিত-অবৈধ সরকার আন্দোলন-লড়াইরত ন্যায্য দাবি মেনে দ্রুত একটি সত্যিকার নির্বাচন দেয়ার পরিবর্তে উল্টো দেশবাসীর ওপর একনায়কতান্ত্রিক জুলুম-নিপীড়ন তথা ভয়াবহ রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের মাত্রা দিন দিন বাড়িয়েই চলেছে। একদিকে সরকারের নিয়োজিত সন্ত্রাসী ও গোয়েন্দা এজেন্টদের দিয়ে যাত্রীবাহী যানবাহনে পেট্রলবোমা মেরে দেশবাসীর ন্যায্য আন্দোলন-লড়াইকে সন্ত্রাসী তৎপরতা হিসেবে চিহ্নিত করার অপপ্রয়াস চালানো হচ্ছে। অন্যদিকে জনগণের ট্যাক্সের টাকায় পরিচালিত রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বাহিনীগুলোকে জনগণের বিরুদ্ধেই এক অকল্পনীয় রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস চালানোর কাজে লেলিয়ে দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, দূরভিসন্ধিমূলকভাবে পেট্রলবোমা মেরে এবং কথিত বন্দুকযুদ্ধের নামে নিরীহ জনসাধারণকে হত্যার এক পৈশাচিক উন্মাদনায় মেতে উঠেছে সরকার। একই সঙ্গে দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় ও বৃহত্তম রাজনৈতিক দল বিএনপি এবং এর জোটভুক্ত অপর দলগুলোর কার্যালয় তালাবদ্ধ করে দিয়ে এসব দলের অধিকাংশ নেতাদেরকে মিথ্যা মামলায় কারাগারে নিক্ষেপ করা হয়েছে। আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদু, যুগ্ম মহাসচিব রিজভী আহমেদ ও মোহাম্মদ শাহজাহান এবং যুবদল সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন আলালসহ প্রায় ২০ হাজার নেতাকর্মীকে মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার করে দফায় দফায় রিমান্ডে নেয়ার মাধ্যমে দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের কালো অধ্যায়কে ক্রমশ বিস্তৃত করে চলেছে। অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে যে, আমাদের দল বা জোটের পক্ষে কেউ কথা বললেই তাকে অমানবিক কায়দায় ধরে নিয়ে অমানুষিক নির্যাতন করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, সাবেক যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী এবং বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহউদ্দিন আহমেদ, যিনি একই সঙ্গে দলের মুখপাত্রও ছিলেন, গত ১০ মার্চ রাতের বেলায় রাজধানীর উত্তরার মতো তুলনামূলক সুরক্ষিত আবাসিক এলাকা, যেখানে সার্বক্ষণিক পুলিশি টহলের পাশাপাশি স্থানীয় বাসিন্দাদের সোসাইটি কর্তৃক নিয়োজিত প্রহরীরা রাতভর প্রতিটি সড়কের মোড়ে মোড়ে পাহারায় থাকে, সেই এলাকার একটি বাসা থেকে নিরাপত্তা বাহিনীর একদল সদস্য তাকে ধরে নিয়ে যায়, যা ওই বাড়ির নিরাপত্তা রক্ষী, অন্যান্য কর্মচারী এবং আশেপাশের বাসিন্দারা সুস্পষ্টভাবেই দেখেছে। তাকে ধরে নিয়ে যাওয়ার মুহূর্তে ওই বাড়ি এবং আশেপাশের এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক গাড়িও অবস্থান নেয়, যা গত কয়েক দিনে দেশের প্রধান প্রধান সংবাদপত্রগুলোতে প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়া, সালাহউদ্দিনকে তুলে নিয়ে যাওয়ার ৩ দিন আগে তার তিনজন গাড়িচালক ও একজন কর্মচারীকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়, যাদেরকে সালাহউদ্দিনের অবস্থানের ব্যাপারে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের পর কারাগারে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। তাদের অপরাধ কি সে ব্যাপারে পুলিশ আজও কিছুই বলেনি। সালাহউদ্দিনকে তার যে বন্ধুর বাসা থেকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, সেই বন্ধু হাবিব হাসনাতের ড্রাইভার এবং কর্মচারীকেও পুলিশ ধরে নিয়ে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। এসব ঘটনা সংবাদপত্রে বিস্তারিত প্রকাশিত হয়েছে। সুতরাং সরকারি বাহিনীই যে সালাহউদ্দিনকে তুলে নিয়ে গেছে, এ নিয়ে সন্দেহ বা সংশয়ের ন্যূনতম কোন অবকাশ নেই। (সূত্র: দৈনিক মানব জমিন)

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

About Author Information

‘অনির্বাচিত-অবৈধ সরকার’ বিরোধীদলের আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতেই সিটি নির্বাচন দিয়েছে: নিউইয়র্কে খোকা

প্রকাশের সময় : ১২:৩৯:৩৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ মার্চ ২০১৫

নিউইয়র্ক: বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান, সাবেক মন্ত্রী ও ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকা ক্ষমতাসীন মহাজোট সরকারকে ‘অনির্বাচিত-অবৈধ সরকার’ আখ্যায়িত করে বলেছেন, বিএনপি নেতৃত্বাধীন বিরোধীদলের আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত আর আন্দোলনের প্রচন্ড চাপ কাটানোর করার জন্যই সিটি করপোরেশনের নির্বাচন দিয়েছে। তারপরও সুষ্ঠু নির্বাচন হলে সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির জয়ের ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই।
সিটির জ্যাকসন হাইটস্থ জুইস সেন্টারে গত ২৩ মার্চ সোমবার আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে সাদেক হোসেন খোকা উপরোক্ত কথা বলেন। কেন্দ্রীয় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব, সাবেক প্রতিমন্ত্রী সালাহউদ্দিন আহমেদের নিখোঁজের ঘটনায় এই সাংবাদিক সম্মেলন করেন খোকা। এসময় যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী বিএনপি’র সাবেক সভাপতি আব্দুল লতিফ স¤্রাট, সাবেক সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান জিল্লু, সাবেক সিনিয়র সহ সভাপতি গিয়াস আহমেদ ও শরাফত হোসেন বাবু, সাবেক সহ সভাপতি মঞ্জুর আহমদ চৌধুরী, সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মিজানুর রহমান ভূইয়া মিল্টন, বিএনপির সাবেক কোষাধ্যক্ষ জসিম ভূঁইয়া, যুক্তরাষ্ট্র যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আবু সাইদ আহমদ, বিএনপি নেতা মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, ফারুক হোসেন মজুমদার, অলিউল্ল¬াহ মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, সেলিম রেজা, ছাত্রদল নেতা আতাউর রহমান আতা প্রমুখ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
উলে¬খ্য, দুর্নীতির মামলায় সাদেক হোসেন খোকার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে। সর্বশেষ নাগরিক ঐক্যের আহ্বাক, ডাকসুর সাবেক ভিপি মাহমুদুর রহমান মান্নার সঙ্গে টেলিফোন সংলাপের ঘটনায় তার বিরুদ্ধে দায়ের করা হয়েছে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা। ক্যান্সারের চিকিৎসার জন্য প্রায় এক বছর ধরে তিনি সপরিবারে নিউইয়র্ক অবস্থান করছেন।
এদিকে এই সাংবাদিক সম্মেলনের বরাতে কয়েকটি গণমাধ্যমে ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে তার (সাদেক হোসেন খোকা) প্রার্থী হওয়ার বিষয়ে তিনি কোন কথা বলেননি বলে তার ব্যক্তিগত সূত্র জানিয়েছে। এ সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি যেহেতু ১০ বছর ধরে অবিভক্ত সিটির মেয়র ছিলাম এখন বিভক্ত সিটিতে নির্বাচনে যাওয়াটা সমীচীন মনে করি না। এছাড়া, স্বাস্থ্যগত দিক দিয়ে আমার নির্বাচন করার মতো অবস্থা নেই। বিএনপি এমন একটি দল যে কোন সিটি করপোরেশনে প্রার্থী দেয়ার মতো অন্তত ১০ জন লোক পাওয়া যাবে। সুতরাং আমাকেই থাকতে হবে- এমন কোন কথা নেই।
সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সাদেক হোসেন খোকা বলেন, চিকিৎসার জন্য এই দেশে (যুক্তরাষ্ট্র) আসার পর প্রথম কয়েক মাস আমি সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মকান্ড থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রেখেছিলাম কিন্তু সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে আমরা দেখতে পেলাম যে, দেশের বর্তমান অনির্বাচিত-অবৈধ সরকার আন্দোলন-লড়াইরত ন্যায্য দাবি মেনে দ্রুত একটি সত্যিকার নির্বাচন দেয়ার পরিবর্তে উল্টো দেশবাসীর ওপর একনায়কতান্ত্রিক জুলুম-নিপীড়ন তথা ভয়াবহ রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের মাত্রা দিন দিন বাড়িয়েই চলেছে। একদিকে সরকারের নিয়োজিত সন্ত্রাসী ও গোয়েন্দা এজেন্টদের দিয়ে যাত্রীবাহী যানবাহনে পেট্রলবোমা মেরে দেশবাসীর ন্যায্য আন্দোলন-লড়াইকে সন্ত্রাসী তৎপরতা হিসেবে চিহ্নিত করার অপপ্রয়াস চালানো হচ্ছে। অন্যদিকে জনগণের ট্যাক্সের টাকায় পরিচালিত রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বাহিনীগুলোকে জনগণের বিরুদ্ধেই এক অকল্পনীয় রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস চালানোর কাজে লেলিয়ে দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, দূরভিসন্ধিমূলকভাবে পেট্রলবোমা মেরে এবং কথিত বন্দুকযুদ্ধের নামে নিরীহ জনসাধারণকে হত্যার এক পৈশাচিক উন্মাদনায় মেতে উঠেছে সরকার। একই সঙ্গে দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় ও বৃহত্তম রাজনৈতিক দল বিএনপি এবং এর জোটভুক্ত অপর দলগুলোর কার্যালয় তালাবদ্ধ করে দিয়ে এসব দলের অধিকাংশ নেতাদেরকে মিথ্যা মামলায় কারাগারে নিক্ষেপ করা হয়েছে। আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদু, যুগ্ম মহাসচিব রিজভী আহমেদ ও মোহাম্মদ শাহজাহান এবং যুবদল সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন আলালসহ প্রায় ২০ হাজার নেতাকর্মীকে মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার করে দফায় দফায় রিমান্ডে নেয়ার মাধ্যমে দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের কালো অধ্যায়কে ক্রমশ বিস্তৃত করে চলেছে। অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে যে, আমাদের দল বা জোটের পক্ষে কেউ কথা বললেই তাকে অমানবিক কায়দায় ধরে নিয়ে অমানুষিক নির্যাতন করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, সাবেক যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী এবং বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহউদ্দিন আহমেদ, যিনি একই সঙ্গে দলের মুখপাত্রও ছিলেন, গত ১০ মার্চ রাতের বেলায় রাজধানীর উত্তরার মতো তুলনামূলক সুরক্ষিত আবাসিক এলাকা, যেখানে সার্বক্ষণিক পুলিশি টহলের পাশাপাশি স্থানীয় বাসিন্দাদের সোসাইটি কর্তৃক নিয়োজিত প্রহরীরা রাতভর প্রতিটি সড়কের মোড়ে মোড়ে পাহারায় থাকে, সেই এলাকার একটি বাসা থেকে নিরাপত্তা বাহিনীর একদল সদস্য তাকে ধরে নিয়ে যায়, যা ওই বাড়ির নিরাপত্তা রক্ষী, অন্যান্য কর্মচারী এবং আশেপাশের বাসিন্দারা সুস্পষ্টভাবেই দেখেছে। তাকে ধরে নিয়ে যাওয়ার মুহূর্তে ওই বাড়ি এবং আশেপাশের এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক গাড়িও অবস্থান নেয়, যা গত কয়েক দিনে দেশের প্রধান প্রধান সংবাদপত্রগুলোতে প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়া, সালাহউদ্দিনকে তুলে নিয়ে যাওয়ার ৩ দিন আগে তার তিনজন গাড়িচালক ও একজন কর্মচারীকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়, যাদেরকে সালাহউদ্দিনের অবস্থানের ব্যাপারে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের পর কারাগারে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। তাদের অপরাধ কি সে ব্যাপারে পুলিশ আজও কিছুই বলেনি। সালাহউদ্দিনকে তার যে বন্ধুর বাসা থেকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, সেই বন্ধু হাবিব হাসনাতের ড্রাইভার এবং কর্মচারীকেও পুলিশ ধরে নিয়ে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। এসব ঘটনা সংবাদপত্রে বিস্তারিত প্রকাশিত হয়েছে। সুতরাং সরকারি বাহিনীই যে সালাহউদ্দিনকে তুলে নিয়ে গেছে, এ নিয়ে সন্দেহ বা সংশয়ের ন্যূনতম কোন অবকাশ নেই। (সূত্র: দৈনিক মানব জমিন)