নিউইয়র্ক ১১:৩৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

অতীতের চেয়ে আরো অধিকতর সেবাদানের প্রতিশ্রুতি : ২০ বছরে ২দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার প্রেরণ

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৭:১৫:২৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ মার্চ ২০১৫
  • / ৭৩৪ বার পঠিত

নিউইয়র্ক: অতীতের চেয়ে আরো অধিকতর সেবাদানের প্রতিশ্রুতির মধ্যদিয়ে অনুষ্ঠিত হলো সোনালী এক্সচেঞ্জ কোম্পানী ইন্্ক’র গ্রাহক সমাবেশ। সমাবেশে জানানো হয় গত ২০ বছরে ২দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার (বাংলাদেশী অর্থে ২১ হাজার কোটি টাকা) প্রবাসী বাংলাদেশীরা তাদের স্বজনদের কাছে পাঠিয়েছেন। এছাড়া সরকারের ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ কর্মসূচীর ফলে সোনালী ব্যাংক অনলাইনের আওতায় আশায় দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও প্রবাস থেকে অর্থ প্রেরণ দ্রুত ও সহজতর হয়েছে। ফলে সবমিলিয়ে বৈধ পধে দেশে অর্থ প্রেরণের জন্য সোনালী এক্সচেঞ্জ এখন একটি ‘নিরাপদ ও আস্থাশীল’ প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। উল্লেখ্য, ১৯৯৪ সালে প্রতিষ্ঠিত সোনালী এক্সচেঞ্জ সোনালী ব্যাংকের একটি সাবসিডিয়ারী প্রতিষ্ঠান। নিউইয়র্ক ছাড়াও নিউজাসী, মিশিগান ও ক্যালিফোর্নিয়ার লস এঞ্জেলেসে সোনালী এক্সচেঞ্জের ১০টি শাখা রয়েছে।
সিটির জ্যামাইকায় তাজমহল পার্টি হলে গত ৭ মার্চ শনিবার সন্ধ্যায় সোনালী এক্সচেঞ্জের এই গ্রাহক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত ড. এ কে এ মোমেন এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন নিউইয়র্কে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল শামীম আহসান। অতিথি ছিলেন সোনালী ব্যাংক পরিচালনা পরিচালনা পরিষদের চেয়ারম্যান ড. এইচ এম হাবিবুর রহমান, ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রদীপ কুমার দত্ত, পরিচালক সেলিমা আহমেদ ও নাজিম আহমেদ চৌধুরী। সমাবেশে ঐতিহাসিক ৭ মার্চের তাৎপর্য ও প্রেক্ষাপট নিয়েও সংক্ষিপ্ত আলোচনা করা হয়। এ সময় বক্তারা গভীর শ্রদ্ধার সাথে ‘জাতির জনক’ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদদের স্মরণ করেন এবং তাঁদের বিদেহী আতœার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে অনুষ্ঠানে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই স্বাগত বক্তব্য রাখেন সোনালী এক্সচেঞ্জ ইন্্ক’র প্রেসিডেন্ট ও সিইও মোহাম্মদ আতাউর রহমান। আলোচনায় অংশ নেন ব্যাংকের তিন গ্রাহক যথাক্রমে সৈয়দ মোহাম্মদ উল্লাহ, এডভোকেট এন মজুমদার ও অধ্যাপিকা হুসনে আরা বেগম। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন মনজুর কাদের।
অনুষ্ঠানে ড. এ কে এ মোমেন বলেন, যারা হুন্ডির মাধ্যমে এখনো দেশে অর্থ প্রেরণ করে তারা বোকার রাজ্যে বাস করছে। এই অর্থ বেহাত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। অপরদিকে বৈধ পথে অর্থ প্রেরকারীদের জন্য সরবার নানামুখী সুবিধা দিচ্ছে। তিনি বলেন, গত বছর সারাবিশ্বে রেমিটেন্সের পরিমাণ ছিল ৪৮০ বিলিয়ন ডলার। চলতি বছর তা বৃদ্ধি পেয়ে ৬০০ বিলিয়ন ডলার হবে বলে অর্থনীতিবিদরা আশা প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, প্রবাস থেকে প্রেরিত অর্থের ওপর কোথাও কোথাও ১০ শতাংশ পর্যন্ত ফি নেয়া হচ্ছে। জাতিসংঘ চেষ্টা করছে এই ফি কমিয়ে আনতে। এই কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে বাংলাদেশ চাচ্ছে ফি ১ শতাংশে নামিয়ে আনতে।
সোনালী ব্যাংকের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান বলেন, গত ৩ বছরে আমরা অনেক ক্ষেত্রেই স্বচ্ছতা প্রদর্শনে সক্ষম হয়েছি। সকল শাখা অনলাইনের আওতায় আসায় আমলাতান্ত্রিক জটিলতা যেমন হ্রাস পাচ্ছে, একইভাবে অনিয়মের বিষয়গুলোও ক্রমে দূর হচ্ছে। তিনি জানান, সোনালী ব্যাংকে ৭৫ হাজার কোটি টাকার আমানত রয়েছে। এই অর্থে দেশের আর্থ-সামাজিক অবকাঠামোর উন্নয়নে যেকোন প্রকল্প বাস্তবায়ন সম্ভব। তিনি বলেন, অর্থ কেলেঙ্কারীর বিষয়ে আমরা আগের চেয়ে অনেক সজাগ।
সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রদীপ কুমার দত্ত বলেন, সোনালী এক্সচেঞ্জের প্রতি প্রবাসীদের আস্থা ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। যা আমি খুশির খবর। এতে আমরাও খুশী। বাংলাদেশে সোনালী ব্যাংকের কার্যক্রমের প্রতিফলন ঘটছে হচ্ছে প্রবাসীদের সন্তষ্টির মধ্য দিয়ে। আমরা চেষ্টা করছি, প্রবাসীদের জন্য রেমিটেন্স ফি আরো কমাতে। ব্যাংকের সেবার মান আরো বৃদ্ধি করা হবে।
অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে গ্রাহকদের সমন্বয়ে আকর্ষনীয় র‌্যাফল ড্র অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রথম পুরষ্কার ‘নিউইয়র্ক-ঢাকা-নিউইয়র্ক’ রুটে এয়ার টিকেট লাভ করেন ম্যানহাটান শাখার গ্রাহক মোহাম্মদ বি ইসলাম, দ্বিতীয় পুরষ্কার ল্যাপটপ লাভ করেন আটলান্টা শাখার গ্রাহক মনির হোসেন এবং তৃতীয় পুরষ্কার আইপড লাভ করেন এস্টোরিয়া শাখার গ্রাহক শাহাজাদী খান। সর্বস্তরের প্রবাসী বাংলাদেশী সমাবেশে অংশ নেন।

Tag :

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

About Author Information

অতীতের চেয়ে আরো অধিকতর সেবাদানের প্রতিশ্রুতি : ২০ বছরে ২দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার প্রেরণ

প্রকাশের সময় : ০৭:১৫:২৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ মার্চ ২০১৫

নিউইয়র্ক: অতীতের চেয়ে আরো অধিকতর সেবাদানের প্রতিশ্রুতির মধ্যদিয়ে অনুষ্ঠিত হলো সোনালী এক্সচেঞ্জ কোম্পানী ইন্্ক’র গ্রাহক সমাবেশ। সমাবেশে জানানো হয় গত ২০ বছরে ২দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার (বাংলাদেশী অর্থে ২১ হাজার কোটি টাকা) প্রবাসী বাংলাদেশীরা তাদের স্বজনদের কাছে পাঠিয়েছেন। এছাড়া সরকারের ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ কর্মসূচীর ফলে সোনালী ব্যাংক অনলাইনের আওতায় আশায় দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও প্রবাস থেকে অর্থ প্রেরণ দ্রুত ও সহজতর হয়েছে। ফলে সবমিলিয়ে বৈধ পধে দেশে অর্থ প্রেরণের জন্য সোনালী এক্সচেঞ্জ এখন একটি ‘নিরাপদ ও আস্থাশীল’ প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। উল্লেখ্য, ১৯৯৪ সালে প্রতিষ্ঠিত সোনালী এক্সচেঞ্জ সোনালী ব্যাংকের একটি সাবসিডিয়ারী প্রতিষ্ঠান। নিউইয়র্ক ছাড়াও নিউজাসী, মিশিগান ও ক্যালিফোর্নিয়ার লস এঞ্জেলেসে সোনালী এক্সচেঞ্জের ১০টি শাখা রয়েছে।
সিটির জ্যামাইকায় তাজমহল পার্টি হলে গত ৭ মার্চ শনিবার সন্ধ্যায় সোনালী এক্সচেঞ্জের এই গ্রাহক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত ড. এ কে এ মোমেন এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন নিউইয়র্কে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল শামীম আহসান। অতিথি ছিলেন সোনালী ব্যাংক পরিচালনা পরিচালনা পরিষদের চেয়ারম্যান ড. এইচ এম হাবিবুর রহমান, ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রদীপ কুমার দত্ত, পরিচালক সেলিমা আহমেদ ও নাজিম আহমেদ চৌধুরী। সমাবেশে ঐতিহাসিক ৭ মার্চের তাৎপর্য ও প্রেক্ষাপট নিয়েও সংক্ষিপ্ত আলোচনা করা হয়। এ সময় বক্তারা গভীর শ্রদ্ধার সাথে ‘জাতির জনক’ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদদের স্মরণ করেন এবং তাঁদের বিদেহী আতœার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে অনুষ্ঠানে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই স্বাগত বক্তব্য রাখেন সোনালী এক্সচেঞ্জ ইন্্ক’র প্রেসিডেন্ট ও সিইও মোহাম্মদ আতাউর রহমান। আলোচনায় অংশ নেন ব্যাংকের তিন গ্রাহক যথাক্রমে সৈয়দ মোহাম্মদ উল্লাহ, এডভোকেট এন মজুমদার ও অধ্যাপিকা হুসনে আরা বেগম। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন মনজুর কাদের।
অনুষ্ঠানে ড. এ কে এ মোমেন বলেন, যারা হুন্ডির মাধ্যমে এখনো দেশে অর্থ প্রেরণ করে তারা বোকার রাজ্যে বাস করছে। এই অর্থ বেহাত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। অপরদিকে বৈধ পথে অর্থ প্রেরকারীদের জন্য সরবার নানামুখী সুবিধা দিচ্ছে। তিনি বলেন, গত বছর সারাবিশ্বে রেমিটেন্সের পরিমাণ ছিল ৪৮০ বিলিয়ন ডলার। চলতি বছর তা বৃদ্ধি পেয়ে ৬০০ বিলিয়ন ডলার হবে বলে অর্থনীতিবিদরা আশা প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, প্রবাস থেকে প্রেরিত অর্থের ওপর কোথাও কোথাও ১০ শতাংশ পর্যন্ত ফি নেয়া হচ্ছে। জাতিসংঘ চেষ্টা করছে এই ফি কমিয়ে আনতে। এই কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে বাংলাদেশ চাচ্ছে ফি ১ শতাংশে নামিয়ে আনতে।
সোনালী ব্যাংকের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান বলেন, গত ৩ বছরে আমরা অনেক ক্ষেত্রেই স্বচ্ছতা প্রদর্শনে সক্ষম হয়েছি। সকল শাখা অনলাইনের আওতায় আসায় আমলাতান্ত্রিক জটিলতা যেমন হ্রাস পাচ্ছে, একইভাবে অনিয়মের বিষয়গুলোও ক্রমে দূর হচ্ছে। তিনি জানান, সোনালী ব্যাংকে ৭৫ হাজার কোটি টাকার আমানত রয়েছে। এই অর্থে দেশের আর্থ-সামাজিক অবকাঠামোর উন্নয়নে যেকোন প্রকল্প বাস্তবায়ন সম্ভব। তিনি বলেন, অর্থ কেলেঙ্কারীর বিষয়ে আমরা আগের চেয়ে অনেক সজাগ।
সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রদীপ কুমার দত্ত বলেন, সোনালী এক্সচেঞ্জের প্রতি প্রবাসীদের আস্থা ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। যা আমি খুশির খবর। এতে আমরাও খুশী। বাংলাদেশে সোনালী ব্যাংকের কার্যক্রমের প্রতিফলন ঘটছে হচ্ছে প্রবাসীদের সন্তষ্টির মধ্য দিয়ে। আমরা চেষ্টা করছি, প্রবাসীদের জন্য রেমিটেন্স ফি আরো কমাতে। ব্যাংকের সেবার মান আরো বৃদ্ধি করা হবে।
অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে গ্রাহকদের সমন্বয়ে আকর্ষনীয় র‌্যাফল ড্র অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রথম পুরষ্কার ‘নিউইয়র্ক-ঢাকা-নিউইয়র্ক’ রুটে এয়ার টিকেট লাভ করেন ম্যানহাটান শাখার গ্রাহক মোহাম্মদ বি ইসলাম, দ্বিতীয় পুরষ্কার ল্যাপটপ লাভ করেন আটলান্টা শাখার গ্রাহক মনির হোসেন এবং তৃতীয় পুরষ্কার আইপড লাভ করেন এস্টোরিয়া শাখার গ্রাহক শাহাজাদী খান। সর্বস্তরের প্রবাসী বাংলাদেশী সমাবেশে অংশ নেন।