নিউইয়র্ক ০৩:৩৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

পিলখানায় এলেই মনটা ভারি হয়ে যায় : প্রধানমন্ত্রী

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৫:১২:৪৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৪ মার্চ ২০২৪
  • / ৭৩ বার পঠিত

২০০৯ সালে পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহের কথা স্মরণ করে আবেগতাড়িত হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, এখানে এলেই মনটা ভারি হয়ে যায়। ২০০৯ সাল, কেবল সরকার গঠন করি। ফেব্রুয়ারির ২৪ তারিখ এখানে আমি প্যারেডে আসি। আমি অফিসারদের সঙ্গে বসে কথা বলি। অত্যন্ত মেধাবী অফিসাররা ছিলেন তখন। দুর্ভাগ্যের বিষয়, ২৫ তারিখ ঘটে এক অঘটন। সেই বিদ্রোহের ফলে বাহিনীর ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ সব মিলে ৭৪ জন জীবন হারান।

সে সময় বাহিনীর মহাপরিচালকসহ নিহত সকলের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বজনদের সহমর্মিতা জানাচ্ছি। স্বজনহারার বেদনা কত কঠিন, সেটা বোধহয় আমার থেকে বেশি কেউ উপলব্ধি করতে পারে না। তবে যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের বিচারের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। কাজেই এই ধরনের ঘটনা যেন আর কখনো না ঘটে।

সোমবার (৪ মার্চ) পিলখানায় বীর উত্তম আনোয়ার হোসেন প্যারেড গ্রাউন্ডে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ দিবস-২০২৩ এর অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

সকালে সাড়ে ৯টায় পিলখানায় উপস্থিত হন প্রধানমন্ত্রী। প্রথমে কুচকাওয়াজ পরিদর্শন ও অভিবাদন গ্রহণ করেন তিনি। পরে বিজিবিতে বীরত্বপূর্ণ ও কৃতিত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ বিজিবির ৭২ সদস্যকে পদক পরিয়ে দেন এবং জাতির পিতার স্মৃতি বিজড়িত প্রেরণা ভাস্কর্য উদ্বোধন করেন। এরপর বিজিবি সদস্যদের উদ্দেশে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, যেকোনো বাহিনীর প্রধান চালিকা শক্তি হচ্ছে শৃঙ্খলা ও চেইন অব কমান্ড। কখনো শৃ্ঙ্খলায় ব্যাঘাত ঘটাবেন না। চেইন অব কমান্ড মেনে চলবেন।

তিনি উল্লেখ করেন, ১৯৭৪ সালের ৫ ডিসেম্বর তৎকালীন বিডিআর-এর ৩য় ব্যাচের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে পিলখানায় এসে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ঈমানের সাথে কাজ করো, সৎ পথে থেকো, দেশকে ভালোবাসো। প্রধানমন্ত্রী বিজিবি’র প্রতিটি সদস্যকে বঙ্গবন্ধুর এই চিরন্তন দিকনির্দেশনা মেনে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমরা ব্যবস্থা করছি। যত খাদ্য লাগে আমরা বাইরে থেকেও নিয়ে আসছি। পাশাপাশি দেশের প্রতিটি মানুষকে উৎপাদন করতে হবে। আমার আহ্বান থাকবে, যার যা জমি আছে, বা কর্মস্থানে খাদ্যশস্য বা ফলমূল তরিতরকারি গরু ছাগল, হাঁস মুরগি পালন করেন। কারও কাছে যেন আমাদের হাত পাততে না হয়। বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশ যেন মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারে। ২০৪১ সালের মধ্যে আমরা বাংলাদেশকে স্মার্ট দেশে পরিণত করতে চাই। স্মার্ট জনশক্তি, স্মার্ট সরকার, স্মার্ট ইকোনমি, স্মার্ট সোসাইটি এভাবেই গড়ে তুলবো।

অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, বিজিবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সরকারের পদস্থ কর্মকর্তারা অংশ নেন। সূত্র : ঢাকা পোস্ট

হককথা/নাছরিন

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

পিলখানায় এলেই মনটা ভারি হয়ে যায় : প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ০৫:১২:৪৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৪ মার্চ ২০২৪

২০০৯ সালে পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহের কথা স্মরণ করে আবেগতাড়িত হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, এখানে এলেই মনটা ভারি হয়ে যায়। ২০০৯ সাল, কেবল সরকার গঠন করি। ফেব্রুয়ারির ২৪ তারিখ এখানে আমি প্যারেডে আসি। আমি অফিসারদের সঙ্গে বসে কথা বলি। অত্যন্ত মেধাবী অফিসাররা ছিলেন তখন। দুর্ভাগ্যের বিষয়, ২৫ তারিখ ঘটে এক অঘটন। সেই বিদ্রোহের ফলে বাহিনীর ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ সব মিলে ৭৪ জন জীবন হারান।

সে সময় বাহিনীর মহাপরিচালকসহ নিহত সকলের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বজনদের সহমর্মিতা জানাচ্ছি। স্বজনহারার বেদনা কত কঠিন, সেটা বোধহয় আমার থেকে বেশি কেউ উপলব্ধি করতে পারে না। তবে যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের বিচারের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। কাজেই এই ধরনের ঘটনা যেন আর কখনো না ঘটে।

সোমবার (৪ মার্চ) পিলখানায় বীর উত্তম আনোয়ার হোসেন প্যারেড গ্রাউন্ডে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ দিবস-২০২৩ এর অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

সকালে সাড়ে ৯টায় পিলখানায় উপস্থিত হন প্রধানমন্ত্রী। প্রথমে কুচকাওয়াজ পরিদর্শন ও অভিবাদন গ্রহণ করেন তিনি। পরে বিজিবিতে বীরত্বপূর্ণ ও কৃতিত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ বিজিবির ৭২ সদস্যকে পদক পরিয়ে দেন এবং জাতির পিতার স্মৃতি বিজড়িত প্রেরণা ভাস্কর্য উদ্বোধন করেন। এরপর বিজিবি সদস্যদের উদ্দেশে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, যেকোনো বাহিনীর প্রধান চালিকা শক্তি হচ্ছে শৃঙ্খলা ও চেইন অব কমান্ড। কখনো শৃ্ঙ্খলায় ব্যাঘাত ঘটাবেন না। চেইন অব কমান্ড মেনে চলবেন।

তিনি উল্লেখ করেন, ১৯৭৪ সালের ৫ ডিসেম্বর তৎকালীন বিডিআর-এর ৩য় ব্যাচের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে পিলখানায় এসে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ঈমানের সাথে কাজ করো, সৎ পথে থেকো, দেশকে ভালোবাসো। প্রধানমন্ত্রী বিজিবি’র প্রতিটি সদস্যকে বঙ্গবন্ধুর এই চিরন্তন দিকনির্দেশনা মেনে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমরা ব্যবস্থা করছি। যত খাদ্য লাগে আমরা বাইরে থেকেও নিয়ে আসছি। পাশাপাশি দেশের প্রতিটি মানুষকে উৎপাদন করতে হবে। আমার আহ্বান থাকবে, যার যা জমি আছে, বা কর্মস্থানে খাদ্যশস্য বা ফলমূল তরিতরকারি গরু ছাগল, হাঁস মুরগি পালন করেন। কারও কাছে যেন আমাদের হাত পাততে না হয়। বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশ যেন মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারে। ২০৪১ সালের মধ্যে আমরা বাংলাদেশকে স্মার্ট দেশে পরিণত করতে চাই। স্মার্ট জনশক্তি, স্মার্ট সরকার, স্মার্ট ইকোনমি, স্মার্ট সোসাইটি এভাবেই গড়ে তুলবো।

অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, বিজিবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সরকারের পদস্থ কর্মকর্তারা অংশ নেন। সূত্র : ঢাকা পোস্ট

হককথা/নাছরিন