নিউইয়র্ক ০৬:২৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরে এবার ‌‘বাংলাদেশ-ভারত’ প্রসঙ্গ

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৬:৪৯:২৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ মার্চ ২০২৪
  • / ৬৪ বার পঠিত

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রতীক। (সংগৃহীত)

দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের আগে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরে বাংলাদেশ নিয়ে নিয়মিত আলোচনা হলেও এবার আলোচনা হয়েছে ‌‘বাংলাদেশ সরকার ও ভারত’ নিয়ে। সোমবার (১১ মার্চ, স্থানীয় সময়) যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরে অনুষ্ঠিত নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে ভারত-বাংলাদেশ ইস্যুতে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাব দেন মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার।

সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে ম্যাথিউ মিলার বলেন, বাংলাদেশ ও ভারত উভয় দেশের সম্পর্ককেই যুক্তরাষ্ট্র মূল্য দেয়। তিনি বলেন, অবাধ, মুক্ত, নিরাপদ ও সমৃদ্ধ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল নিশ্চিত করাসহ অভিন্ন স্বার্থে দুই দেশের সরকারের সঙ্গেই তারা অব্যাহতভাবে কাজ করে যাবেন।

বাংলাদেশ নির্বাচন এবং সরকার গঠন নিয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের বরাতে করা এক প্রশ্নের জবাবে মিলর বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে আমরা অবগত। আমি অবশ্যই কারও নিজস্ব সিদ্ধান্ত নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাই না, সেটি বাংলাদেশে হোক বা বিশ্বের অন্য কোথাও। কিন্তু আমরা বাংলাদেশ ও ভারত উভয় দেশের সঙ্গেই আমাদের সম্পর্ককে মূল্য দিই। এ ছাড়া অবাধ, মুক্ত, নিরাপদ ও সমৃদ্ধ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল নিশ্চিত করাসহ অভিন্ন স্বার্থে দুই দেশের সরকারের সঙ্গেই আমেরিকা অব্যাহতভাবে কাজ করে যাবে।

একই সময় নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিচার কার্যক্রমে আমেরিকার প্রতিক্রিয়া নিয়ে জানতে চাইলে মিলার বলেন, ‘এ বিষয়ে আমরা অবহিত। এর আগে মুহাম্মদ ইউনূসের মামলাকে ঘিরে যুক্তরাষ্ট্রের সরকারের উদ্বেগের বিষয়ে আমাকে কথা বলতে শুনেছেন। এতে আমি বলেছি, ড. ইউনূসকে হয়রানি ও ভয় দেখানোর জন্য বাংলাদেশের আইনের সম্ভাব্য বড় রকমের অপব্যবহার হতে পারে। বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের সরকারের সর্বোচ্চ পদমর্যাদার প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে রাষ্ট্রদূত হাস কেবল সেই মন্তব্যগুলো পুনর্ব্যক্ত করেছেন।’

এর আগে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি ড. মুহাম্মদ ইউনূস ইস্যুতে করা প্রশ্নের জবাবে মিলার বলেন, তার বিরুদ্ধে দায়ের করা একাধিক ফৌজদারি মামলার বিষয়ে আমি বলব- আমরা লক্ষ্য করেছি শ্রম মামলাটি দ্রুতগতিতে বিচারকাজ করা হয়েছে। দুর্নীতি দমন কমিশন আরও মামলার চার্জশিট অনুমোদন করেছে, যা বিশ্বজুড়ে ব্যাপক নিন্দার ঝড় তুলেছে। সূত্র : কালবেলা

হককথা/নাছরিন

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরে এবার ‌‘বাংলাদেশ-ভারত’ প্রসঙ্গ

প্রকাশের সময় : ০৬:৪৯:২৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ মার্চ ২০২৪

দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের আগে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরে বাংলাদেশ নিয়ে নিয়মিত আলোচনা হলেও এবার আলোচনা হয়েছে ‌‘বাংলাদেশ সরকার ও ভারত’ নিয়ে। সোমবার (১১ মার্চ, স্থানীয় সময়) যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরে অনুষ্ঠিত নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে ভারত-বাংলাদেশ ইস্যুতে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাব দেন মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার।

সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে ম্যাথিউ মিলার বলেন, বাংলাদেশ ও ভারত উভয় দেশের সম্পর্ককেই যুক্তরাষ্ট্র মূল্য দেয়। তিনি বলেন, অবাধ, মুক্ত, নিরাপদ ও সমৃদ্ধ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল নিশ্চিত করাসহ অভিন্ন স্বার্থে দুই দেশের সরকারের সঙ্গেই তারা অব্যাহতভাবে কাজ করে যাবেন।

বাংলাদেশ নির্বাচন এবং সরকার গঠন নিয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের বরাতে করা এক প্রশ্নের জবাবে মিলর বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে আমরা অবগত। আমি অবশ্যই কারও নিজস্ব সিদ্ধান্ত নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাই না, সেটি বাংলাদেশে হোক বা বিশ্বের অন্য কোথাও। কিন্তু আমরা বাংলাদেশ ও ভারত উভয় দেশের সঙ্গেই আমাদের সম্পর্ককে মূল্য দিই। এ ছাড়া অবাধ, মুক্ত, নিরাপদ ও সমৃদ্ধ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল নিশ্চিত করাসহ অভিন্ন স্বার্থে দুই দেশের সরকারের সঙ্গেই আমেরিকা অব্যাহতভাবে কাজ করে যাবে।

একই সময় নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিচার কার্যক্রমে আমেরিকার প্রতিক্রিয়া নিয়ে জানতে চাইলে মিলার বলেন, ‘এ বিষয়ে আমরা অবহিত। এর আগে মুহাম্মদ ইউনূসের মামলাকে ঘিরে যুক্তরাষ্ট্রের সরকারের উদ্বেগের বিষয়ে আমাকে কথা বলতে শুনেছেন। এতে আমি বলেছি, ড. ইউনূসকে হয়রানি ও ভয় দেখানোর জন্য বাংলাদেশের আইনের সম্ভাব্য বড় রকমের অপব্যবহার হতে পারে। বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের সরকারের সর্বোচ্চ পদমর্যাদার প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে রাষ্ট্রদূত হাস কেবল সেই মন্তব্যগুলো পুনর্ব্যক্ত করেছেন।’

এর আগে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি ড. মুহাম্মদ ইউনূস ইস্যুতে করা প্রশ্নের জবাবে মিলার বলেন, তার বিরুদ্ধে দায়ের করা একাধিক ফৌজদারি মামলার বিষয়ে আমি বলব- আমরা লক্ষ্য করেছি শ্রম মামলাটি দ্রুতগতিতে বিচারকাজ করা হয়েছে। দুর্নীতি দমন কমিশন আরও মামলার চার্জশিট অনুমোদন করেছে, যা বিশ্বজুড়ে ব্যাপক নিন্দার ঝড় তুলেছে। সূত্র : কালবেলা

হককথা/নাছরিন