নিউইয়র্ক ০৪:৫৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

মিউনিখে প্রধানমন্ত্রীর ছয় দফা প্রস্তাব

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৭:৪৫:১৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ৯১ বার পঠিত

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশ ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৬০তম মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনের জলবায়ু অর্থায়ন বিষয়ক প্যানেল আলোচনায় অংশ নিয়েছেন। সেখানে বিশ্ব নেতাদের সামনে তিনি ছয় দফা প্রস্তাব বা পরামর্শ পেশ করেছেন।

শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) তিনি এই ঘোষণা দেন। প্রধানমন্ত্রী এ সময় জানান, অস্ত্র বা যুদ্ধের পেছনে অর্থব্যয় না করে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বিনিয়োগ করা উচিত।

প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া ছয় দফা প্রস্তাব বা পরামর্শ

‘সংবেদনহীন অস্ত্র প্রতিযোগিতা বন্ধ করতে হবে এবং তার পরিবর্তে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় তহবিল সংগ্রহ ও ব্যয় দরকার। আমাদের মনে রাখা উচিত, যখন মানবতার অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়ে, সংকীর্ণ স্বার্থ অনুসরণ করে কিছুই হবে না।’

‘বিশ্বকে যুদ্ধ ও সংঘাত, অবৈধ দখলদারিত্ব এবং নিরস্ত্র বেসামরিক নাগরিক বিশেষ করে নারী ও শিশুদের নির্বিচার হত্যাকাণ্ড থেকে সরে আসতে হবে যেমনটা আমরা গাজা ও অন্যত্র দেখছি।’

‘জলবায়ু প্রভাব প্রশমন ও অভিযোজনের জন্য অর্থায়নের তীব্র ভারসাম্যহীনতা দূর করার জন্য অভিযোজন অর্থায়নের বর্তমান পর্যায় অন্তত দ্বিগুণ করা প্রয়োজন। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ড থেকে অর্থায়ন পাওয়ার জন্য আমাদের দুটি যোগ্য প্রতিষ্ঠান আছে, আরও দুটি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’

‘বৈশ্বিক অর্থায়নের ব্যবস্থাপনায় সংস্কারের ক্ষেত্রে বিশেষ করে জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর ঋণের বোঝা দূর করতে তাদের জন্য অনুদান ও সুবিধাজনক ঋণ লাভের সুযোগ বাড়ানোর মাধ্যমে অর্থপূর্ণ ফলাফল দেখাতে হবে।’ ‘বৈশ্বিক অর্থায়নের ব্যবস্থাপনায় সংস্কারের ক্ষেত্রে বিশেষ করে জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর ঋণের বোঝা দূর করতে তাদের জন্য অনুদান ও সুবিধাজনক ঋণ লাভের সুযোগ বাড়ানোর মাধ্যমে অর্থপূর্ণ ফলাফল দেখাতে হবে।’

‘জলবায়ু কর্মসূচি জন্য বেসরকারি পুঁজি প্রবাহের জন্য সরকারগুলোকে সঠিক পরিকল্পনা, নীতি ও ব্যবস্থার ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করতে হবে। পাশাপাশি, আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলিকে প্রকল্পগুলির জন্য বেসরকারি পুঁজি আকৃষ্ট করার জন্য উদ্ভাবনী, মিশ্র অর্থায়নের ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে।’

বৈঠকে বাংলাদেশের মানব উন্নয়ন সূচকে উন্নতির কথা জানিয়ে কার্বন নিঃসরণ কমাতে উন্নত দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। এর আগে জার্মানিতে আয়োজিত এ সম্মেলনে যোগ দিতে বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) স্থানীয় সময় বিকেল ৪টা ৩৪ মিনিটের দিকে সরকারপ্রধানকে বহনকারী বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইটটি দেশটির মিউনিখ বিমানবন্দরে অবতরণ করে। একই দিন সকাল ১১টা ১৩ মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে জার্মানির উদ্দেশে রওয়ানা হয়েছিলেন তিনি।

প্রসঙ্গত, মিউনিখ সিকিউরিটি সম্মেলন মূলত সমকালীন ও ভবিষ্যৎ নিরাপত্তার স্বার্থে উচ্চ-পর্যায়ের নিয়মিত আলোচনার জন্য বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ফোরাম হিসেবে বিবেচিত। ২০১৭ ও ২০১৯ সালেও মিউনিখ সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী।সূত্র : সাম্প্রতিক দেশকাল

হককথা/নাছরিন

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

মিউনিখে প্রধানমন্ত্রীর ছয় দফা প্রস্তাব

প্রকাশের সময় : ০৭:৪৫:১৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

বাংলাদেশ ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৬০তম মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনের জলবায়ু অর্থায়ন বিষয়ক প্যানেল আলোচনায় অংশ নিয়েছেন। সেখানে বিশ্ব নেতাদের সামনে তিনি ছয় দফা প্রস্তাব বা পরামর্শ পেশ করেছেন।

শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) তিনি এই ঘোষণা দেন। প্রধানমন্ত্রী এ সময় জানান, অস্ত্র বা যুদ্ধের পেছনে অর্থব্যয় না করে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বিনিয়োগ করা উচিত।

প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া ছয় দফা প্রস্তাব বা পরামর্শ

‘সংবেদনহীন অস্ত্র প্রতিযোগিতা বন্ধ করতে হবে এবং তার পরিবর্তে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় তহবিল সংগ্রহ ও ব্যয় দরকার। আমাদের মনে রাখা উচিত, যখন মানবতার অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়ে, সংকীর্ণ স্বার্থ অনুসরণ করে কিছুই হবে না।’

‘বিশ্বকে যুদ্ধ ও সংঘাত, অবৈধ দখলদারিত্ব এবং নিরস্ত্র বেসামরিক নাগরিক বিশেষ করে নারী ও শিশুদের নির্বিচার হত্যাকাণ্ড থেকে সরে আসতে হবে যেমনটা আমরা গাজা ও অন্যত্র দেখছি।’

‘জলবায়ু প্রভাব প্রশমন ও অভিযোজনের জন্য অর্থায়নের তীব্র ভারসাম্যহীনতা দূর করার জন্য অভিযোজন অর্থায়নের বর্তমান পর্যায় অন্তত দ্বিগুণ করা প্রয়োজন। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ড থেকে অর্থায়ন পাওয়ার জন্য আমাদের দুটি যোগ্য প্রতিষ্ঠান আছে, আরও দুটি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’

‘বৈশ্বিক অর্থায়নের ব্যবস্থাপনায় সংস্কারের ক্ষেত্রে বিশেষ করে জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর ঋণের বোঝা দূর করতে তাদের জন্য অনুদান ও সুবিধাজনক ঋণ লাভের সুযোগ বাড়ানোর মাধ্যমে অর্থপূর্ণ ফলাফল দেখাতে হবে।’ ‘বৈশ্বিক অর্থায়নের ব্যবস্থাপনায় সংস্কারের ক্ষেত্রে বিশেষ করে জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর ঋণের বোঝা দূর করতে তাদের জন্য অনুদান ও সুবিধাজনক ঋণ লাভের সুযোগ বাড়ানোর মাধ্যমে অর্থপূর্ণ ফলাফল দেখাতে হবে।’

‘জলবায়ু কর্মসূচি জন্য বেসরকারি পুঁজি প্রবাহের জন্য সরকারগুলোকে সঠিক পরিকল্পনা, নীতি ও ব্যবস্থার ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করতে হবে। পাশাপাশি, আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলিকে প্রকল্পগুলির জন্য বেসরকারি পুঁজি আকৃষ্ট করার জন্য উদ্ভাবনী, মিশ্র অর্থায়নের ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে।’

বৈঠকে বাংলাদেশের মানব উন্নয়ন সূচকে উন্নতির কথা জানিয়ে কার্বন নিঃসরণ কমাতে উন্নত দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। এর আগে জার্মানিতে আয়োজিত এ সম্মেলনে যোগ দিতে বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) স্থানীয় সময় বিকেল ৪টা ৩৪ মিনিটের দিকে সরকারপ্রধানকে বহনকারী বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইটটি দেশটির মিউনিখ বিমানবন্দরে অবতরণ করে। একই দিন সকাল ১১টা ১৩ মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে জার্মানির উদ্দেশে রওয়ানা হয়েছিলেন তিনি।

প্রসঙ্গত, মিউনিখ সিকিউরিটি সম্মেলন মূলত সমকালীন ও ভবিষ্যৎ নিরাপত্তার স্বার্থে উচ্চ-পর্যায়ের নিয়মিত আলোচনার জন্য বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ফোরাম হিসেবে বিবেচিত। ২০১৭ ও ২০১৯ সালেও মিউনিখ সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী।সূত্র : সাম্প্রতিক দেশকাল

হককথা/নাছরিন