জাবি ছাত্রলীগ নেতাসহ চারজন রিমান্ডে
- প্রকাশের সময় : ০৩:০৫:২২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
- / ২৫ বার পঠিত
বাংলাদেশ ডেস্ক : জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) স্বামীকে আবাসিক হলে আটকে রেখে এক নারীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তার ছাত্রলীগের নেতা মোস্তাফিজুর রহমানসহ চারজনকে তিন দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছেন আদালত। রোববার ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (সিজেএম) আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাবেয়া বেগম এ আদেশ দেন।
ঢাকা জেলা পুলিশের প্রসিকিউশন বিভাগে কর্মরত উপপরিদর্শক মাসুদ মিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, জাবিতে ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তার চারজনকে আদালতে হাজির করে সাত দিন করে রিমান্ডের আবেদন করে আশুলিয়া থানা পুলিশ। অপরদিকে আসামিপক্ষ থেকে রিমান্ড আবেদন বাতিল ও জামিনের আবেদন করা হয়। উভয়পক্ষের শুনানি নিয়ে আদালত প্রত্যেক আসামির তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে গৃহবধূকে ধর্ষণের ঘটনায় সাভার মডেল থানার পুলিশ ও আশুলিয়া থানার পুলিশ যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে চারজনকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- মীর মোশাররফ হোসেন হল ছাত্রলীগের সভাপতি পদপ্রার্থী এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ৪৬তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মোস্তফা মনোয়ার ওরফে সাগর সিদ্দিকী, ৪৫তম ব্যাচের হাসানুজ্জামান ও উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের ৪৭তম ব্যাচের সাব্বির হোসেনকে। এ মামলায় পলাতক রয়েছেন ভুক্তভোগীর পূর্বপরিচিত মো. মামুনুর রশিদ এবং স্বামীকে আটকে রাখায় সহায়তা ও মারধর করা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী মো. মুরাদ।
আসামিদের গ্রেপ্তারের বিষয়ে ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস ও ট্রাফিক উত্তর বিভাগ) মো. আবদুল্লাহিল কাফী সাংবাদিকদের বলেন, ভুক্তভোগী নারী ও তাঁর স্বামী আশুলিয়ায় একটি ভাড়া বাসায় থাকেন। পূর্বপরিচয়ের সূত্র ধরে একই বাসায় পাশাপাশি কক্ষে ভাড়া থাকতেন মামুনুর রশিদ।
রোববার মুঠোফোনে ভুক্তভোগী ওই নারীর স্বামীকে মামুন জানান, তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মশাররফ হোসেন হলে তাঁর পরিচিত মোস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে কিছুদিন থাকবেন। পরে তিনি ওই ব্যক্তিকে ক্যাম্পাসে এসে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে বলেন। ভুক্তভোগীর স্বামী ক্যাম্পাসে এলে হলের একটি কক্ষে মোস্তাফিজ ও মুরাদের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। একপর্যায়ে মামুন ভুক্তভোগীর স্বামীকে বলেন, সাভারের একটি ইলেকট্রনিকসের দোকানে তাঁরা কিছু টাকা পাবেন, তবে দোকানদার টাকা দিতে চাচ্ছেন না। ওই টাকার বিনিময়ে ভুক্তভোগীর স্বামীকে বাসার জন্য টিভি, ফ্রিজসহ অন্যান্য আসবাব নিতে বলেন এবং সমপরিমাণ টাকা মামুনকে দেওয়ার প্রস্তাব দেন।
পুলিশ কর্মকর্তা আবদুল্লাহিল কাফী বলেন, কিছুদিন ক্যাম্পাসে থাকবেন বলে ভুক্তভোগীর স্বামীকে মামুনের কাপড় নিয়ে ক্যাম্পাসে আসার জন্য স্ত্রীকে বলতে বলেন। স্বামী তাঁর স্ত্রীকে ক্যাম্পাসে ডেকে আনেন। রাত নয়টার দিকে ওই নারী ক্যাম্পাসে আসেন। ভুক্তভোগীর স্বামী, মামুন, মোস্তাফিজ ও মুরাদ মীর মশাররফ হোসেন হলের সামনে আসেন। একপর্যায়ে মুরাদ ভুক্তভোগীর স্বামীকে হলের এ ব্লকের ৩১৭ নম্বর কক্ষে নিয়ে বেঁধে ফেলেন ও মারধর করেন। পরে মোস্তাফিজ ও মামুন ওই নারীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মশাররফ হোসেন হলসংলগ্ন বোটানিক্যাল গার্ডেনের পাশের জঙ্গলে নিয়ে ধর্ষণ করেন। প্রায় দেড় ঘণ্টা পর ওই নারী ও তাঁর স্বামীকে ছেড়ে দেওয়া হয়। ঘটনার বিচারের দাবিতে প্রথমে তাঁরা আশুলিয়া থানায় এবং পরে সাভার মডেল থানায় যান। সূত্র : সমকাল
হককথা/নাছরিন