নিউইয়র্ক ০১:৩৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪, ৭ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

ভারত চায় তিস্তা ব্যবস্থাপনা বাংলাদেশ পানি বণ্টন চুক্তি

হককথা ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ০৭:৫৬:৫৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৪ জুন ২০২৪
  • / ৮০ বার পঠিত

পানি বণ্টন চুক্তিতে নয়, ভারত তিস্তা সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশকে সহযোগিতা করতে আগ্রহী। তবে ঢাকা চাইছে দিল্লি যাতে দ্রুততম সময়ের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় পানি বণ্টন চুক্তিটি সই করে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারতে রাষ্ট্রীয় সফর নিয়ে শনিবার রাতে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, নয়াদিল্লির বৈঠকে পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনাকে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনা করেন দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী। বৈঠকে গঙ্গার পানি বণ্টন চুক্তি নবায়নে যৌথ কারিগরি কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়। এ সময় তিস্তা নদীর ব্যবস্থাপনা ও সংরক্ষণে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করতে ভারতের পক্ষ থেকে আগ্রহ দেখানো হয়। তবে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে দ্রুত সময়ের মধ্যে তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি সইয়ের কথা পুনর্ব্যক্ত করা হয়।

বৈঠকে সীমান্তে হতাহত শূন্যে নামিয়ে আনতে জোর দিয়েছে দুই দেশ। দুই দেশের সীমান্তরক্ষীরা মাদক চোরাচালান, অবৈধ চলাচল এবং মানব পাচার রোধে একত্রে কাজ করবে বলে আলোচনা হয়।

বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এর মধ্যে রাজনীতি ও নিরাপত্তা সহযোগিতা, প্রতিরক্ষা সহযোগিতা, সীমান্ত ব্যবস্থাপনা, বাণিজ্য ও কানেক্টিভিটি, অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, উন্নয়ন সহযোগিতা, সংস্কৃতি ও মানুষে মানুষে যোগাযোগ নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

দুই নেতাই ‘স্মার্ট বাংলাদেশ ভিশন-২০৪১’ এবং ‘বিকশিত ভারত-২০৪৭’ লক্ষ্য অর্জনে একে অপরকে সহযোগিতার বিষয়ে একমত হয়েছেন। বৈঠকে তারা নতুন খাতের মধ্যে ডিজিটাল লেনদেন ব্যবস্থা, মহাকাশ প্রযুক্তি, নবায়নযোগ্য জ্বালানি এবং সুনীল অর্থনীতিতে সহযোগিতার বিষয়ে একমত হয়েছেন।

দুই দেশের বাণিজ্যে বাণিজ্য আরও কীভাবে বাড়ানো যায় তা নিয়ে আলোচনা করেছেন তারা। দুই দেশের মানুষের কল্যাণে অর্থনৈতিক সহযোগিতা বাড়ানোর বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা করা হয়েছে। বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে চাল, গম, চিনি, পেঁয়াজ, আদা এবং রসুনের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের অনুমানযোগ্য সরবরাহ নিশ্চিতে অনুরোধ করেছে। এ ছাড়া বাণিজ্য ও ব্যবসায় চলমান সহযোগিতা আরও বাড়াতে কম্প্রিহেনসিভ ইকোনমিক পার্টনারশিপ অ্যাগ্রিমেন্ট (সেপা) দ্রুত সইয়ের বিষয়ে জোর দিয়েছেন দুই প্রধানমন্ত্রী।

বৈঠকে ভারতের দেওয়া ঋণের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এর আওতায় থাকা প্রকল্পগুলোর মসৃণ, সময়মতো এবং সাশ্রয়ী বাস্তবায়নের আহ্বান জানানো হয়েছে। এ সময়ে সিরাজগঞ্জে ভারতের ঋণে একটি অভ্যন্তরীণ কনটেইনার ডিপো তৈরি করে দেওয়ার প্রস্তাব দেয় দিল্লি। বৈঠকে বাংলাদেশে ভারতের ‘রুপি কার্ড’ এবং ভারতে বাংলাদেশি ‘টাকা পে’ চালু করার বিষয়ে দুই দেশ একমত হয়েছে। সূত্র: সমকাল।

Tag :

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

ভারত চায় তিস্তা ব্যবস্থাপনা বাংলাদেশ পানি বণ্টন চুক্তি

প্রকাশের সময় : ০৭:৫৬:৫৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৪ জুন ২০২৪

পানি বণ্টন চুক্তিতে নয়, ভারত তিস্তা সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশকে সহযোগিতা করতে আগ্রহী। তবে ঢাকা চাইছে দিল্লি যাতে দ্রুততম সময়ের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় পানি বণ্টন চুক্তিটি সই করে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারতে রাষ্ট্রীয় সফর নিয়ে শনিবার রাতে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, নয়াদিল্লির বৈঠকে পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনাকে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনা করেন দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী। বৈঠকে গঙ্গার পানি বণ্টন চুক্তি নবায়নে যৌথ কারিগরি কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়। এ সময় তিস্তা নদীর ব্যবস্থাপনা ও সংরক্ষণে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করতে ভারতের পক্ষ থেকে আগ্রহ দেখানো হয়। তবে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে দ্রুত সময়ের মধ্যে তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি সইয়ের কথা পুনর্ব্যক্ত করা হয়।

বৈঠকে সীমান্তে হতাহত শূন্যে নামিয়ে আনতে জোর দিয়েছে দুই দেশ। দুই দেশের সীমান্তরক্ষীরা মাদক চোরাচালান, অবৈধ চলাচল এবং মানব পাচার রোধে একত্রে কাজ করবে বলে আলোচনা হয়।

বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এর মধ্যে রাজনীতি ও নিরাপত্তা সহযোগিতা, প্রতিরক্ষা সহযোগিতা, সীমান্ত ব্যবস্থাপনা, বাণিজ্য ও কানেক্টিভিটি, অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, উন্নয়ন সহযোগিতা, সংস্কৃতি ও মানুষে মানুষে যোগাযোগ নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

দুই নেতাই ‘স্মার্ট বাংলাদেশ ভিশন-২০৪১’ এবং ‘বিকশিত ভারত-২০৪৭’ লক্ষ্য অর্জনে একে অপরকে সহযোগিতার বিষয়ে একমত হয়েছেন। বৈঠকে তারা নতুন খাতের মধ্যে ডিজিটাল লেনদেন ব্যবস্থা, মহাকাশ প্রযুক্তি, নবায়নযোগ্য জ্বালানি এবং সুনীল অর্থনীতিতে সহযোগিতার বিষয়ে একমত হয়েছেন।

দুই দেশের বাণিজ্যে বাণিজ্য আরও কীভাবে বাড়ানো যায় তা নিয়ে আলোচনা করেছেন তারা। দুই দেশের মানুষের কল্যাণে অর্থনৈতিক সহযোগিতা বাড়ানোর বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা করা হয়েছে। বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে চাল, গম, চিনি, পেঁয়াজ, আদা এবং রসুনের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের অনুমানযোগ্য সরবরাহ নিশ্চিতে অনুরোধ করেছে। এ ছাড়া বাণিজ্য ও ব্যবসায় চলমান সহযোগিতা আরও বাড়াতে কম্প্রিহেনসিভ ইকোনমিক পার্টনারশিপ অ্যাগ্রিমেন্ট (সেপা) দ্রুত সইয়ের বিষয়ে জোর দিয়েছেন দুই প্রধানমন্ত্রী।

বৈঠকে ভারতের দেওয়া ঋণের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এর আওতায় থাকা প্রকল্পগুলোর মসৃণ, সময়মতো এবং সাশ্রয়ী বাস্তবায়নের আহ্বান জানানো হয়েছে। এ সময়ে সিরাজগঞ্জে ভারতের ঋণে একটি অভ্যন্তরীণ কনটেইনার ডিপো তৈরি করে দেওয়ার প্রস্তাব দেয় দিল্লি। বৈঠকে বাংলাদেশে ভারতের ‘রুপি কার্ড’ এবং ভারতে বাংলাদেশি ‘টাকা পে’ চালু করার বিষয়ে দুই দেশ একমত হয়েছে। সূত্র: সমকাল।