নিউইয়র্ক ০৩:০৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

অবৈধ মজুদদারি ও চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবে : প্রধানমন্ত্রী

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৩:১৩:২১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ৬৬ বার পঠিত

সব জায়গায় অবৈধ মজুদদারি ও চাঁদাবাজি বন্ধ করতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কঠোর হওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘সব জায়গায় চাঁদাবাজি ও মজুদদারি বন্ধ করতে হবে। আপনারা বিভিন্ন এলাকার প্রতিনিধি, এতে আপনাদেরও নজর দিতে হবে। একদিকে কৃষক যাতে প্রকৃত মূল্যটা পায়, সেদিকে নজর দিতে হবে। অন্যদিকে এই অহেতুক চাঁদাবাজি ও মজুদদারির জন্য যাতে পণ্যের দাম না বাড়ে, সেটিও দেখতে হবে।’

শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে গণভবনে আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ নির্দেশনা দেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এবারে নির্বাচন যেন প্রশ্নবিদ্ধ না হয়, কেউ যেন প্রশ্ন তুলতে না পারে, সেজন্য আমি নির্বাচন উন্মুক্ত করে দিয়েছি। জনগণ যাকে খুশি তাকে ভোট দেবে, তারা সেটা দিয়েছে। নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হয়েছে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘নির্বাচনে নৌকা আর স্বতন্ত্র প্রার্থীর মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছে। নির্বাচন শেষ, এখন সেটা ভুলে যেতে হবে। সবাইকে এক হয়ে কাজ করতে হবে। যেখানে যেখানে সমস্যা হবে, আমাদের কেন্দ্রীয় কমিটি সেগুলো বসে সমাধান করবে।’ তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ যেন ক্ষমতায় আসতে না পারে সেজন্য বারবার প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হয়েছিল। সরকার যে জনগণের সেটা একমাত্র আওয়ামী লীগই প্রমাণ করেছে, একটানা চারবার দেশ পরিচালনা করায়।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২০১৪, ২০১৮ সালে নির্বাচন যেন হতে না পারে সেজন্য চক্রান্ত হয়েছিল। এবারের নির্বাচনও ঠেকাতে বহু চেষ্টা হয়েছিল। এবারের নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়েছে। যারা বলেন নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ হয়নি, তাদের কাছে আমার প্রশ্ন, কীভাবে, কোথায় নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি, সেই প্রমাণ আপনাদের দিতে হবে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিশ্বের বহু বড় দেশে নির্বাচন গ্রহণযোগ্যতা পায়নি, এমনকি খুনোখুনির ঘটনাও ঘটেছে। আর আমাদের দেশে একটা শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হয়েছে। এর জন্য আমি জনপ্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সবাইকে ধন্যবাদ জানাই।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ অসাম্প্রদায়িক চেতনার দেশ, এখানে সবাই নিজ নিজ ধর্ম পালন করবে। প্রত্যেকের অধিকার সুরক্ষিত করতে হবে।’ সরকারের ধারাবাহিকতা থাকলে দেশের উন্নয়ন হয়, উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘একটা বিষয় প্রমাণ হয়েছে যে একটা দেশের সরকার ধারাবাহিকভাবে থাকলে সে দেশের উন্নয়ন হয়। আমরা সেটা প্রমাণ করেছি।’

জনপ্রতিনিধিদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচনে জনগণকে যেসব ওয়াদা দিয়েছেন, সেগুলো অক্ষরে অক্ষরে পালন করতে হবে। কোনো যেন বদনাম না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। একটা কথা মনে রাখতে হবে যে, ক্ষমতা ভোগের নয়, ত্যাগের। কারণ ওই ধনসম্পদ কোনো কাজে আসে না। মানুষের জন্য কাজ করে তাদের ভালোবাসা অর্জন করাটাই সবচেয়ে বড় কাজ। সেজন্য জনগণকে দেওয়া ওয়াদা পালন করতে হবে।’ বর্ধিত সভায় সূচনা বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। সূত্র : প্রতিদিনের বাংলাদেশ।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

অবৈধ মজুদদারি ও চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবে : প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ০৩:১৩:২১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

সব জায়গায় অবৈধ মজুদদারি ও চাঁদাবাজি বন্ধ করতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কঠোর হওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘সব জায়গায় চাঁদাবাজি ও মজুদদারি বন্ধ করতে হবে। আপনারা বিভিন্ন এলাকার প্রতিনিধি, এতে আপনাদেরও নজর দিতে হবে। একদিকে কৃষক যাতে প্রকৃত মূল্যটা পায়, সেদিকে নজর দিতে হবে। অন্যদিকে এই অহেতুক চাঁদাবাজি ও মজুদদারির জন্য যাতে পণ্যের দাম না বাড়ে, সেটিও দেখতে হবে।’

শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে গণভবনে আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ নির্দেশনা দেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এবারে নির্বাচন যেন প্রশ্নবিদ্ধ না হয়, কেউ যেন প্রশ্ন তুলতে না পারে, সেজন্য আমি নির্বাচন উন্মুক্ত করে দিয়েছি। জনগণ যাকে খুশি তাকে ভোট দেবে, তারা সেটা দিয়েছে। নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হয়েছে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘নির্বাচনে নৌকা আর স্বতন্ত্র প্রার্থীর মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছে। নির্বাচন শেষ, এখন সেটা ভুলে যেতে হবে। সবাইকে এক হয়ে কাজ করতে হবে। যেখানে যেখানে সমস্যা হবে, আমাদের কেন্দ্রীয় কমিটি সেগুলো বসে সমাধান করবে।’ তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ যেন ক্ষমতায় আসতে না পারে সেজন্য বারবার প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হয়েছিল। সরকার যে জনগণের সেটা একমাত্র আওয়ামী লীগই প্রমাণ করেছে, একটানা চারবার দেশ পরিচালনা করায়।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২০১৪, ২০১৮ সালে নির্বাচন যেন হতে না পারে সেজন্য চক্রান্ত হয়েছিল। এবারের নির্বাচনও ঠেকাতে বহু চেষ্টা হয়েছিল। এবারের নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়েছে। যারা বলেন নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ হয়নি, তাদের কাছে আমার প্রশ্ন, কীভাবে, কোথায় নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি, সেই প্রমাণ আপনাদের দিতে হবে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিশ্বের বহু বড় দেশে নির্বাচন গ্রহণযোগ্যতা পায়নি, এমনকি খুনোখুনির ঘটনাও ঘটেছে। আর আমাদের দেশে একটা শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হয়েছে। এর জন্য আমি জনপ্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সবাইকে ধন্যবাদ জানাই।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ অসাম্প্রদায়িক চেতনার দেশ, এখানে সবাই নিজ নিজ ধর্ম পালন করবে। প্রত্যেকের অধিকার সুরক্ষিত করতে হবে।’ সরকারের ধারাবাহিকতা থাকলে দেশের উন্নয়ন হয়, উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘একটা বিষয় প্রমাণ হয়েছে যে একটা দেশের সরকার ধারাবাহিকভাবে থাকলে সে দেশের উন্নয়ন হয়। আমরা সেটা প্রমাণ করেছি।’

জনপ্রতিনিধিদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচনে জনগণকে যেসব ওয়াদা দিয়েছেন, সেগুলো অক্ষরে অক্ষরে পালন করতে হবে। কোনো যেন বদনাম না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। একটা কথা মনে রাখতে হবে যে, ক্ষমতা ভোগের নয়, ত্যাগের। কারণ ওই ধনসম্পদ কোনো কাজে আসে না। মানুষের জন্য কাজ করে তাদের ভালোবাসা অর্জন করাটাই সবচেয়ে বড় কাজ। সেজন্য জনগণকে দেওয়া ওয়াদা পালন করতে হবে।’ বর্ধিত সভায় সূচনা বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। সূত্র : প্রতিদিনের বাংলাদেশ।