নিউইয়র্ক ০১:৩৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪, ৭ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

একগুচ্ছ কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামার সিদ্ধান্ত বিএনপির

হককথা ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ০২:১৩:১৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ জুলাই ২০২৪
  • / ১০৯ বার পঠিত

একগুচ্ছ কর্মসূচি নিয়ে ফের মাঠে নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির পাশাপাশি ভারতের সঙ্গে অসম সমঝোতা ও চুক্তি এবং সরকারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে এ আন্দোলন করবে দলটি। ঢাকাসহ সব মহানগর ও জেলা সদরে ৩ দিনের সমাবেশ শেষে সোমবার রাতে স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কি ধরনের কর্মসূচি দেওয়া হবে, সে বিষয়ে পরামর্শ নিতে দলটির যুগ্ম মহাসচিবদের সঙ্গে আজ (বুধবার) বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। এরপর যুগপৎ আন্দোলনে থাকা মিত্র রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক করে কর্মসূচি চূড়ান্ত করা হবে। বৃহস্পতিবার গণফোরাম (একাংশ), গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য ও জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন-এনডিএমের সঙ্গে বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটির বৈঠক রয়েছে। পর্যায়ক্রমে অন্য মিত্র রাজনৈতিক দলের সঙ্গেও বৈঠক করবে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে এসব তথ্য।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে ওই স্থায়ী কমিটির সভা হয়। সূত্রমতে, সভায় সদ্য ঘোষিত বিএনপির ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ, চট্টগ্রাম ও বরিশাল মহানগর কমিটির প্রশংসা করে নেতারা বলেন, এখন দ্রুত সময়ের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ আহ্বায়ক কমিটি দিতে হবে। আগামী দিনের কর্মসূচি নিয়ে দীর্ঘ সময় আলোচনা হয়। দ্রুত সময়ের মধ্যে মাঠে নামার বিষয়ে একমত পোষণ করেন নেতারা। একই সঙ্গে ফের যুগপৎ আন্দোলনের বিষয়েও কথা বলেন স্থায়ী কমিটির একজন নেতা। পরে মিত্রদের সঙ্গে বৈঠকের সিদ্ধান্ত হয়। সূত্রমতে, আজ বিকালে নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যুগ্ম মহাসচিবদের সঙ্গে বৈঠকে কর্মসূচির দিনক্ষণ ঠিক করা হতে পারে। যা নিয়ে মিত্র রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক করবে।

জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান বলেন, ‘খুব শিগগিরই নতুন কর্মসূচি ঘোষণা দেওয়া হবে।’ দলটির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, বুধবার (আজ) তাদের একটি বৈঠক আছে। দলের গুরুত্বপূর্ণ একাধিক নেতা মনে করেন, প্রধানমন্ত্রী ভারত সফরে দুদেশের মধ্যে ১০টি সমঝোতা চুক্তি হয়েছে। প্রতিটি চুক্তিই দেশের স্বার্থবিরোধী। এ ঘটনায় দেশের রাজনৈতিক দলসহ সাধারণ মানুষের ক্ষোভ বাড়ছে। এ বিষয়টিকে ধামাচাপা দিতে আদালতকে ব্যবহার করে কোটা ও শিক্ষকদের পেনশনের বিষয়টি সামনে আনা হয়েছে। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের ‘যৌক্তিক’ আন্দোলনে তাদের নৈতিক সমর্থন আছে। জানা গেছে, এই আন্দোলনের মধ্যেই সমমনা রাজনৈতিক দলকে সঙ্গে নিয়ে সরকারকে চাপে ফেলতে রাজপথে নামার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে ব্যাংক লুটপাটসহ সরকারের নানা দুর্নীতির বিরুদ্ধে রাজপথে নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মঙ্গলবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে স্থায়ী কমিটির সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত জানিয়ে বলেন, সভায় দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে ঢাকাসহ সারা দেশের মহানগর ও জেলায় বিক্ষোভ সমাবেশ সফল করায় সন্তোষ প্রকাশ করা হয়। দেশনেত্রীর নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে পরবর্তী কর্মসূচি নির্ধারণের জন্য ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সংশ্লিষ্ট নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন। তিনি আরও বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি ও মূল্যস্ফীতির ঊর্ধ্বগতি, নজিরবিহীন দুর্নীতি, দেশের ও বাইরের ব্যাংকগুলো থেকে ঢালাও ঋণ গ্রহণের ফলে ঋণ ফাঁদ সৃষ্টি হচ্ছে এবং জনগণের ওপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি হচ্ছে। সভায় এ বিষয় নিয়ে বিস্তারিত তথ্যসমৃদ্ধ প্রতিবেদন তৈরি করে জনগণের সামনে নিয়ে আসার জন্য লিফলেট বিতরণ, সমাবেশ, মিছিল ইত্যাদির মাধ্যমে জনসচেতনতা বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এই বিষয়ে কর্মসূচি গ্রহণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

মির্জা ফখরুল আরও বলেন, সভায় সম্প্রতি ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী কর্তৃক লালমনিরহাট ও ঠাকুরগাঁও সীমান্তে দুই বাংলাদেশিকে গুলি করে হত্যার তীব্র নিন্দা জানানো হয়। সীমান্ত হত্যা বন্ধের জন্য সরকারি কোনো উদ্যোগ না থাকায় তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করা হয়। সভা মনে করে অবৈধ সরকার সীমান্ত হত্যা বন্ধ করতে ভারতের ওপরে প্রয়োজনীয় চাপ সৃষ্টি করতে ব্যর্থ হওয়ায় এ ধরনের হত্যাকাণ্ড ঘটছে। অবিলম্বে এ সীমান্ত হত্যা বন্ধ করার জন্য কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আহ্বান জানানো হয়।

জাতীয় নির্বাহী কমিটি ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পদে ৪৫ নেতাকে পদায়নের পর ২২ জুন নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যুগ্ম মহাসচিবদের বৈঠক হয়। এতে ভার্চুয়ালি ছিলেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ওই বৈঠকেই সাম্প্রতিক সময়ে সরকার ও ক্ষমতা ঘনিষ্ঠদের দুর্নীতি-লুটপাট, দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি, দেশবিরোধী চুক্তিসহ নানা বিষয়ে কর্মসূচি দেওয়ার প্রস্তাব করেছিলেন যুগ্ম মহাসচিবরা। সেই প্রস্তাবনা নিয়ে এর আগেও স্থায়ী কমিটির সভায় আলোচনা হয়। যুগ্ম মহাসচিবদের আজকের বৈঠকে কর্মসূচি সুনির্দিষ্ট করা হবে বলে জানা গেছে। সূত্র: যুগান্তর।

Tag :

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

একগুচ্ছ কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামার সিদ্ধান্ত বিএনপির

প্রকাশের সময় : ০২:১৩:১৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ জুলাই ২০২৪

একগুচ্ছ কর্মসূচি নিয়ে ফের মাঠে নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির পাশাপাশি ভারতের সঙ্গে অসম সমঝোতা ও চুক্তি এবং সরকারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে এ আন্দোলন করবে দলটি। ঢাকাসহ সব মহানগর ও জেলা সদরে ৩ দিনের সমাবেশ শেষে সোমবার রাতে স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কি ধরনের কর্মসূচি দেওয়া হবে, সে বিষয়ে পরামর্শ নিতে দলটির যুগ্ম মহাসচিবদের সঙ্গে আজ (বুধবার) বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। এরপর যুগপৎ আন্দোলনে থাকা মিত্র রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক করে কর্মসূচি চূড়ান্ত করা হবে। বৃহস্পতিবার গণফোরাম (একাংশ), গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য ও জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন-এনডিএমের সঙ্গে বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটির বৈঠক রয়েছে। পর্যায়ক্রমে অন্য মিত্র রাজনৈতিক দলের সঙ্গেও বৈঠক করবে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে এসব তথ্য।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে ওই স্থায়ী কমিটির সভা হয়। সূত্রমতে, সভায় সদ্য ঘোষিত বিএনপির ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ, চট্টগ্রাম ও বরিশাল মহানগর কমিটির প্রশংসা করে নেতারা বলেন, এখন দ্রুত সময়ের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ আহ্বায়ক কমিটি দিতে হবে। আগামী দিনের কর্মসূচি নিয়ে দীর্ঘ সময় আলোচনা হয়। দ্রুত সময়ের মধ্যে মাঠে নামার বিষয়ে একমত পোষণ করেন নেতারা। একই সঙ্গে ফের যুগপৎ আন্দোলনের বিষয়েও কথা বলেন স্থায়ী কমিটির একজন নেতা। পরে মিত্রদের সঙ্গে বৈঠকের সিদ্ধান্ত হয়। সূত্রমতে, আজ বিকালে নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যুগ্ম মহাসচিবদের সঙ্গে বৈঠকে কর্মসূচির দিনক্ষণ ঠিক করা হতে পারে। যা নিয়ে মিত্র রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক করবে।

জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান বলেন, ‘খুব শিগগিরই নতুন কর্মসূচি ঘোষণা দেওয়া হবে।’ দলটির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, বুধবার (আজ) তাদের একটি বৈঠক আছে। দলের গুরুত্বপূর্ণ একাধিক নেতা মনে করেন, প্রধানমন্ত্রী ভারত সফরে দুদেশের মধ্যে ১০টি সমঝোতা চুক্তি হয়েছে। প্রতিটি চুক্তিই দেশের স্বার্থবিরোধী। এ ঘটনায় দেশের রাজনৈতিক দলসহ সাধারণ মানুষের ক্ষোভ বাড়ছে। এ বিষয়টিকে ধামাচাপা দিতে আদালতকে ব্যবহার করে কোটা ও শিক্ষকদের পেনশনের বিষয়টি সামনে আনা হয়েছে। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের ‘যৌক্তিক’ আন্দোলনে তাদের নৈতিক সমর্থন আছে। জানা গেছে, এই আন্দোলনের মধ্যেই সমমনা রাজনৈতিক দলকে সঙ্গে নিয়ে সরকারকে চাপে ফেলতে রাজপথে নামার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে ব্যাংক লুটপাটসহ সরকারের নানা দুর্নীতির বিরুদ্ধে রাজপথে নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মঙ্গলবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে স্থায়ী কমিটির সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত জানিয়ে বলেন, সভায় দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে ঢাকাসহ সারা দেশের মহানগর ও জেলায় বিক্ষোভ সমাবেশ সফল করায় সন্তোষ প্রকাশ করা হয়। দেশনেত্রীর নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে পরবর্তী কর্মসূচি নির্ধারণের জন্য ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সংশ্লিষ্ট নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন। তিনি আরও বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি ও মূল্যস্ফীতির ঊর্ধ্বগতি, নজিরবিহীন দুর্নীতি, দেশের ও বাইরের ব্যাংকগুলো থেকে ঢালাও ঋণ গ্রহণের ফলে ঋণ ফাঁদ সৃষ্টি হচ্ছে এবং জনগণের ওপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি হচ্ছে। সভায় এ বিষয় নিয়ে বিস্তারিত তথ্যসমৃদ্ধ প্রতিবেদন তৈরি করে জনগণের সামনে নিয়ে আসার জন্য লিফলেট বিতরণ, সমাবেশ, মিছিল ইত্যাদির মাধ্যমে জনসচেতনতা বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এই বিষয়ে কর্মসূচি গ্রহণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

মির্জা ফখরুল আরও বলেন, সভায় সম্প্রতি ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী কর্তৃক লালমনিরহাট ও ঠাকুরগাঁও সীমান্তে দুই বাংলাদেশিকে গুলি করে হত্যার তীব্র নিন্দা জানানো হয়। সীমান্ত হত্যা বন্ধের জন্য সরকারি কোনো উদ্যোগ না থাকায় তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করা হয়। সভা মনে করে অবৈধ সরকার সীমান্ত হত্যা বন্ধ করতে ভারতের ওপরে প্রয়োজনীয় চাপ সৃষ্টি করতে ব্যর্থ হওয়ায় এ ধরনের হত্যাকাণ্ড ঘটছে। অবিলম্বে এ সীমান্ত হত্যা বন্ধ করার জন্য কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আহ্বান জানানো হয়।

জাতীয় নির্বাহী কমিটি ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পদে ৪৫ নেতাকে পদায়নের পর ২২ জুন নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যুগ্ম মহাসচিবদের বৈঠক হয়। এতে ভার্চুয়ালি ছিলেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ওই বৈঠকেই সাম্প্রতিক সময়ে সরকার ও ক্ষমতা ঘনিষ্ঠদের দুর্নীতি-লুটপাট, দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি, দেশবিরোধী চুক্তিসহ নানা বিষয়ে কর্মসূচি দেওয়ার প্রস্তাব করেছিলেন যুগ্ম মহাসচিবরা। সেই প্রস্তাবনা নিয়ে এর আগেও স্থায়ী কমিটির সভায় আলোচনা হয়। যুগ্ম মহাসচিবদের আজকের বৈঠকে কর্মসূচি সুনির্দিষ্ট করা হবে বলে জানা গেছে। সূত্র: যুগান্তর।