নিউইয়র্ক ০৮:৪৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

স্বার্থ বিসর্জন দিয়ে বন্ধুত্ব নয়-দাসত্ব হয়: খালেদা জিয়া

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৮:০৫:০২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ জুন ২০১৫
  • / ৭২৮ বার পঠিত

ঢাকা: বিনা শুল্কে ট্রানজিট দেয়ার সমালোচনা করে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, নিজের স্বার্থ বিসর্জন দিয়ে বন্ধুত্ব? এ রকম বন্ধুত্ব কেউ চায় না। সমানে সমান হলে সেটাকে বন্ধুত্ব বলে না। সেটা হয় দাসত্ব। রোববার (১৪ জুন) রাতে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে ময়মনসিংহ জেলা আইনজীবীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। তবে এ সময় খালেদা জিয়া ভারতের নাম উল্লেখ করেননি।
এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার মাহবুব হোসেন, যুগ্ম মহাসচিব মাহবুব উদ্দিন খোকন প্রমুখ বক্তব্য দেন। এতে সভাপতিত্ব করেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম ময়মনসিংহের সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম।
ট্রানজিটের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে আইনজীবীদের উদ্দেশে খালেদা বলেন, আপনারা যমুনা সেতুসহ বিভিন্ন রাস্তা দিয়ে গেলে টোল দেন। কিন্তু অন্য দেশের গাড়ি যাবে, পণ্য যাবে তাদের কিছুই দিতে হবে না। এতে যে রাস্তার ক্ষতি হবে এটা পূরণ হবে কিভাবে। ভারতের দিকে ইঙ্গিত করে বলেন, বন্ধুত্ব হয় সমানে সমানে। এর ব্যতিক্রম হলে তা আর বন্ধুত্ব থাকে না, এটা হয় দাসত্ব।
দেশের মানুষ আজ খুব খারাপ অবস্থায় আছে উল্লেখ করে খালেদা জিয়া বলেন, দেশের কোথাও স্বস্তি নেই। খবরের কাগজ খুললেই আওয়ামী লীগের গুন্ডা বাহিনীর নির্যাতনে মানুষ আজ অতিষ্ঠ। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ কখনও দেশের উন্নয়ন করে না, তারা করে নিজেদের উন্নয়ন। ক্ষমতায় এসে তারা নিজেরা লুটেপুটে খায়।
রামপালে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুকেন্দ্র স্থাপন করলে সুন্দরবনের ক্ষতি হবে, তাই বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন না করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে খালেদা জিয়া বলেন, বিদ্যুৎ দরকার। কিন্তু রামপালে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র করা হলে সুন্দরবন শেষ হয়ে যাবে। জীববৈচিত্র নষ্ট হয়ে যাবে। তিনি অন্য কোনো জায়গায় এ বিদ্যুৎকেন্দ্র করার আহ্বান জানান।
বঙ্গবন্ধুর পরিবারকে আজীবন রাষ্ট্রীয় সুবিধা দেয়ার সমোলোচনা করে তিনি বলেন, দেশে গণতন্ত্র নয় রাজতন্ত্র চলছে। এক পরিবার দেশ শাসন করছে। সাধারণ মানুষ ভাত পাবে না। আর একটা পরিবার আজীবন সুবিধা পাবে।
পুলিশের সমালোচনা করে খালেদা জিয়া বলেন, পুলিশ এখন সরকারের চেয়েও বড় হয়ে গেছে। তারা এখন বড় সরকার। গুম-খুন অত্যাচার করছে। কিন্তু পুলিশ র‌্যাব দিয়ে বেশিদিন ক্ষমতায় যায় না। তিনি অভিযোগ করেন, সরকার অন্যায়ভাবে বিএনপি-সমর্থিত নির্বাচিত মেয়েরদের বরখাস্ত করছে। এসব ক্ষেত্রে কোর্টের রায় আমাদের পক্ষে আসার কথা। কিন্তু কোর্টও নিরপেক্ষতা রাখছে না বলেও জানান তিনি।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

About Author Information

স্বার্থ বিসর্জন দিয়ে বন্ধুত্ব নয়-দাসত্ব হয়: খালেদা জিয়া

প্রকাশের সময় : ০৮:০৫:০২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ জুন ২০১৫

ঢাকা: বিনা শুল্কে ট্রানজিট দেয়ার সমালোচনা করে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, নিজের স্বার্থ বিসর্জন দিয়ে বন্ধুত্ব? এ রকম বন্ধুত্ব কেউ চায় না। সমানে সমান হলে সেটাকে বন্ধুত্ব বলে না। সেটা হয় দাসত্ব। রোববার (১৪ জুন) রাতে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে ময়মনসিংহ জেলা আইনজীবীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। তবে এ সময় খালেদা জিয়া ভারতের নাম উল্লেখ করেননি।
এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার মাহবুব হোসেন, যুগ্ম মহাসচিব মাহবুব উদ্দিন খোকন প্রমুখ বক্তব্য দেন। এতে সভাপতিত্ব করেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম ময়মনসিংহের সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম।
ট্রানজিটের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে আইনজীবীদের উদ্দেশে খালেদা বলেন, আপনারা যমুনা সেতুসহ বিভিন্ন রাস্তা দিয়ে গেলে টোল দেন। কিন্তু অন্য দেশের গাড়ি যাবে, পণ্য যাবে তাদের কিছুই দিতে হবে না। এতে যে রাস্তার ক্ষতি হবে এটা পূরণ হবে কিভাবে। ভারতের দিকে ইঙ্গিত করে বলেন, বন্ধুত্ব হয় সমানে সমানে। এর ব্যতিক্রম হলে তা আর বন্ধুত্ব থাকে না, এটা হয় দাসত্ব।
দেশের মানুষ আজ খুব খারাপ অবস্থায় আছে উল্লেখ করে খালেদা জিয়া বলেন, দেশের কোথাও স্বস্তি নেই। খবরের কাগজ খুললেই আওয়ামী লীগের গুন্ডা বাহিনীর নির্যাতনে মানুষ আজ অতিষ্ঠ। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ কখনও দেশের উন্নয়ন করে না, তারা করে নিজেদের উন্নয়ন। ক্ষমতায় এসে তারা নিজেরা লুটেপুটে খায়।
রামপালে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুকেন্দ্র স্থাপন করলে সুন্দরবনের ক্ষতি হবে, তাই বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন না করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে খালেদা জিয়া বলেন, বিদ্যুৎ দরকার। কিন্তু রামপালে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র করা হলে সুন্দরবন শেষ হয়ে যাবে। জীববৈচিত্র নষ্ট হয়ে যাবে। তিনি অন্য কোনো জায়গায় এ বিদ্যুৎকেন্দ্র করার আহ্বান জানান।
বঙ্গবন্ধুর পরিবারকে আজীবন রাষ্ট্রীয় সুবিধা দেয়ার সমোলোচনা করে তিনি বলেন, দেশে গণতন্ত্র নয় রাজতন্ত্র চলছে। এক পরিবার দেশ শাসন করছে। সাধারণ মানুষ ভাত পাবে না। আর একটা পরিবার আজীবন সুবিধা পাবে।
পুলিশের সমালোচনা করে খালেদা জিয়া বলেন, পুলিশ এখন সরকারের চেয়েও বড় হয়ে গেছে। তারা এখন বড় সরকার। গুম-খুন অত্যাচার করছে। কিন্তু পুলিশ র‌্যাব দিয়ে বেশিদিন ক্ষমতায় যায় না। তিনি অভিযোগ করেন, সরকার অন্যায়ভাবে বিএনপি-সমর্থিত নির্বাচিত মেয়েরদের বরখাস্ত করছে। এসব ক্ষেত্রে কোর্টের রায় আমাদের পক্ষে আসার কথা। কিন্তু কোর্টও নিরপেক্ষতা রাখছে না বলেও জানান তিনি।