নিউইয়র্ক ০২:৫৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

সেনানিবাস এলাকায় লাশ : কলেজ ছাত্রী তনুকে ধর্ষণের পর হত্যা

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৯:৪০:৫৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ মার্চ ২০১৬
  • / ১০০১ বার পঠিত

কুমিল্লা: কুমিল্লা সেনানীবাসের ভেতরে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের ছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। রোববার রাতে (২০ মার্চ) ময়নামতি সেনানিবাসের অলিপুর এলাকায় একটি কালভার্টের কাছ থেকে পুলিশ ছাত্রীর লাশ উদ্ধার করে। নিহতের নাম সোহাগী জাহান তনু (১৯)। তিনি কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের ইতিহাস বিভাগের (সম্মান) ছাত্রী এবং একই কলেজের নাট্য সংগঠন ‘ভিক্টোরিয়া কলেজ থিয়েটারের (ভিসিটি) সদস্য।
সোহাগী কুমিল্লার তিতাস উপজেলার বাসিন্দা ইয়ার হোসেনের মেয়ে। ইয়ার হোসেন ময়নামতি সেনানিবাস এলাকায় অলিপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী। সেই সুবাদে সোহাগীরা অনেক দিন ধরেই অলিপুর এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করে আসছে। দুই ভাই এক বোনের মধ্যে সোহাগী মেঝো। সোহাগীর পরিবারের বরাত দিয়ে ভিক্টোরিয়া কলেজ থিয়েটারের (ভিসিটি) এক সদস্য জানান যায়, পরিবারের অস্বচ্ছলতার কারণে সোহাগী পাড়াশোনার পাশিপাশি বাসার কাছে অলিপুর গ্রামেই এক বাসায় টিউশনি করে লেখাপড়ার খরচ চালিয়ে আসছিল।
ঘটনার দিন ২০ মার্চ বিকেল সাড়ে ৫ টার দিকে প্রতিদিনের মতো সোহাগী ঘর থেকে বের হন। বাসায় ফিরতে দেরি হওয়ায় পরিবারের সদস্যরা তার সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করে। কিন্তু চেষ্টা ব্যর্থ হলে যে বাসায় টিউশনি করতেন সেখানে খোঁজ নিয়ে জানতে পারে সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টায় ওই বাসা থেকে তিনি বের হয়ে গেছেন।
খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে রাত সাড়ে ১০টার দিকে ময়নামতি সেনানিবাসের অভ্যন্তরে পাওয়ার হাউসের পানির ট্যাংক সংলগ্ন স্থানে সোহাগীর মৃতদেহ পাওয়া যায়। গলাকাটা মৃতদেহ নগ্ন অবস্থায় কালভার্টের পাশে ঝোপঝাড়ের ভেতর পড়েছিলো। নাক দিয়ে রক্ত ঝরছিলো। মোবাইল ফোনটিও পড়েছিল পাশে।
মৃতদেহ উদ্ধার করে প্রথমে সেনানিবাসের সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) নেয়া হয়। পরে ময়না তদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। এ ব্যাপারে ভিসিটির সদস্যরা অভিযোগ করেন, হত্যার বিষয়ে সোহাগীর পরিবার যেন কোনো তথ্য দিতে না পারে, সেজন্য দিনভর তাদের নজরদারীতে রাখা হয়। বন্ধ করে রাখা হয় তাদের মোবাইল ফোনও। এমনকি সোহাগীর সহপাঠীদেরও সেখানে যেতে দেয়া হয়নি।
এ ব্যাপারে কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ-আল-মামুন বলেন, ‘আমি ঘটনাস্থল গিয়েছি। সোহাগীর মরদেহ দেখে প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তাকে ধর্ষণ ও শারীরিকভাবে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে।’ সোহাগী হত্যার ঘটনায় কুমিল্লা কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

About Author Information

সেনানিবাস এলাকায় লাশ : কলেজ ছাত্রী তনুকে ধর্ষণের পর হত্যা

প্রকাশের সময় : ০৯:৪০:৫৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ মার্চ ২০১৬

কুমিল্লা: কুমিল্লা সেনানীবাসের ভেতরে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের ছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। রোববার রাতে (২০ মার্চ) ময়নামতি সেনানিবাসের অলিপুর এলাকায় একটি কালভার্টের কাছ থেকে পুলিশ ছাত্রীর লাশ উদ্ধার করে। নিহতের নাম সোহাগী জাহান তনু (১৯)। তিনি কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের ইতিহাস বিভাগের (সম্মান) ছাত্রী এবং একই কলেজের নাট্য সংগঠন ‘ভিক্টোরিয়া কলেজ থিয়েটারের (ভিসিটি) সদস্য।
সোহাগী কুমিল্লার তিতাস উপজেলার বাসিন্দা ইয়ার হোসেনের মেয়ে। ইয়ার হোসেন ময়নামতি সেনানিবাস এলাকায় অলিপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী। সেই সুবাদে সোহাগীরা অনেক দিন ধরেই অলিপুর এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করে আসছে। দুই ভাই এক বোনের মধ্যে সোহাগী মেঝো। সোহাগীর পরিবারের বরাত দিয়ে ভিক্টোরিয়া কলেজ থিয়েটারের (ভিসিটি) এক সদস্য জানান যায়, পরিবারের অস্বচ্ছলতার কারণে সোহাগী পাড়াশোনার পাশিপাশি বাসার কাছে অলিপুর গ্রামেই এক বাসায় টিউশনি করে লেখাপড়ার খরচ চালিয়ে আসছিল।
ঘটনার দিন ২০ মার্চ বিকেল সাড়ে ৫ টার দিকে প্রতিদিনের মতো সোহাগী ঘর থেকে বের হন। বাসায় ফিরতে দেরি হওয়ায় পরিবারের সদস্যরা তার সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করে। কিন্তু চেষ্টা ব্যর্থ হলে যে বাসায় টিউশনি করতেন সেখানে খোঁজ নিয়ে জানতে পারে সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টায় ওই বাসা থেকে তিনি বের হয়ে গেছেন।
খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে রাত সাড়ে ১০টার দিকে ময়নামতি সেনানিবাসের অভ্যন্তরে পাওয়ার হাউসের পানির ট্যাংক সংলগ্ন স্থানে সোহাগীর মৃতদেহ পাওয়া যায়। গলাকাটা মৃতদেহ নগ্ন অবস্থায় কালভার্টের পাশে ঝোপঝাড়ের ভেতর পড়েছিলো। নাক দিয়ে রক্ত ঝরছিলো। মোবাইল ফোনটিও পড়েছিল পাশে।
মৃতদেহ উদ্ধার করে প্রথমে সেনানিবাসের সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) নেয়া হয়। পরে ময়না তদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। এ ব্যাপারে ভিসিটির সদস্যরা অভিযোগ করেন, হত্যার বিষয়ে সোহাগীর পরিবার যেন কোনো তথ্য দিতে না পারে, সেজন্য দিনভর তাদের নজরদারীতে রাখা হয়। বন্ধ করে রাখা হয় তাদের মোবাইল ফোনও। এমনকি সোহাগীর সহপাঠীদেরও সেখানে যেতে দেয়া হয়নি।
এ ব্যাপারে কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ-আল-মামুন বলেন, ‘আমি ঘটনাস্থল গিয়েছি। সোহাগীর মরদেহ দেখে প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তাকে ধর্ষণ ও শারীরিকভাবে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে।’ সোহাগী হত্যার ঘটনায় কুমিল্লা কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।