নিউইয়র্ক ০৩:২২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৪, ১২ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও আলী আহসান মুজাহিদের ফাঁসি কার্যকর

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৮:৪৪:২৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ নভেম্বর ২০১৫
  • / ১২৯৪ বার পঠিত

ঢাকা: একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধে বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী এবং জামায়াত নেতা আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হয়েছে। শনিবার (২১ নভেম্বর) দিবাগত রাত পৌনে ১টার দিকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে তাদের মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হয়। আইজি প্রিজন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইফতেখার উদ্দিন জানান, শনিবার দিবাগত রাত ১২টা ৫৫মিনিটে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী এবং আলী আহসান মুজাহিদের ফাঁসি কার্যকর করা হয়। এ সময় নিয়ম অনুযায়ী সেখানে আইজি প্রিজন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইফতেখার উদ্দিন, ঢাকা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ তোফাজ্জল হোসেন, দুই ম্যাজিস্ট্রেট খন্দকার মুশফিকুর রহমান ও তানভীর আহমেদ, সিভিল সার্জন আবদুল মালেক মৃধা, জেলার নেছার আলম, জ্যেষ্ঠ জেল সুপার জাহাঙ্গীর কবির উপস্থিত ছিলেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদেরকে চট্টগ্রামের রাউজানে পারিবারিক কবরস্থানে আর জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মুজাহিদকে নিজ জেলা ফরিদপুর শহরের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে বলে তাদের স্বজনরা জানিয়েছেন। মূলত: রাষ্ট্রপতির কাছে সালাউদ্দিন কাদের ও মুজাহিদের প্রাণভিক্ষার আবেদন নাকচ হওয়ার পরপরই ফাঁসি কার্যকরের চূড়ান্ত প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যায়। ফাঁসি কার্যকরের আগে তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন পরিবারের সদস্যরা।
শীর্ষ এই দুই যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসি কার্যকরের মাধ্যমে জাতি কলঙ্কমুক্ত হওয়ার পথে আরও একধাপ এগিয়ে গেল বলে মনে করছেন মুক্তিযোদ্ধারা। এ রায়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছে গণজাগরণ মঞ্চ। প্রসঙ্গত, ১৯৭১ সালে চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ২০১৩ সালের ১ অক্টোবর সালাউদ্দিন কাদেরকে ফাঁসির আদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। পরে ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আদালতে আপিল করেন তিনি। আপিলের রায়ে বিএনপি এ নেতার মৃত্যুদন্ডাদেশ বহাল থাকে। আপিল বিভাগের দেওয়া পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয় গত ৩০ সেপ্টেম্বর। এর ১৪ দিনের মাথায় ওই রায় পুনর্বিবেচনার জন্য আবেদন করেন তিনি।
একাত্তরে বুদ্ধিজীবী হত্যায় ইন্ধন এবং পরিকল্পনার দায়ে সে সময়কার আলবদর বাহিনীর নেতা মুজাহিদকে ২০১৩ সালের ১৭ জুলাই ফাঁসির আদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২। এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন মুজাহিদ। চলতি বছরের ১৬ জুন ট্রাইব্যুনালের দেয়া ফাঁসির আদেশ বহাল রেখে রায় দেন আপিল বিভাগ। গত ৩০ সেপ্টেম্বর সুপ্রিমকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখা থেকে মুজাহিদের আপিলের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়। এরপর ওই রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে আবেদন করেন মুজাহিদ। (দৈনিক যুগান্তর)

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

About Author Information

সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও আলী আহসান মুজাহিদের ফাঁসি কার্যকর

প্রকাশের সময় : ০৮:৪৪:২৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ নভেম্বর ২০১৫

ঢাকা: একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধে বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী এবং জামায়াত নেতা আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হয়েছে। শনিবার (২১ নভেম্বর) দিবাগত রাত পৌনে ১টার দিকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে তাদের মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হয়। আইজি প্রিজন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইফতেখার উদ্দিন জানান, শনিবার দিবাগত রাত ১২টা ৫৫মিনিটে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী এবং আলী আহসান মুজাহিদের ফাঁসি কার্যকর করা হয়। এ সময় নিয়ম অনুযায়ী সেখানে আইজি প্রিজন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইফতেখার উদ্দিন, ঢাকা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ তোফাজ্জল হোসেন, দুই ম্যাজিস্ট্রেট খন্দকার মুশফিকুর রহমান ও তানভীর আহমেদ, সিভিল সার্জন আবদুল মালেক মৃধা, জেলার নেছার আলম, জ্যেষ্ঠ জেল সুপার জাহাঙ্গীর কবির উপস্থিত ছিলেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদেরকে চট্টগ্রামের রাউজানে পারিবারিক কবরস্থানে আর জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মুজাহিদকে নিজ জেলা ফরিদপুর শহরের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে বলে তাদের স্বজনরা জানিয়েছেন। মূলত: রাষ্ট্রপতির কাছে সালাউদ্দিন কাদের ও মুজাহিদের প্রাণভিক্ষার আবেদন নাকচ হওয়ার পরপরই ফাঁসি কার্যকরের চূড়ান্ত প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যায়। ফাঁসি কার্যকরের আগে তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন পরিবারের সদস্যরা।
শীর্ষ এই দুই যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসি কার্যকরের মাধ্যমে জাতি কলঙ্কমুক্ত হওয়ার পথে আরও একধাপ এগিয়ে গেল বলে মনে করছেন মুক্তিযোদ্ধারা। এ রায়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছে গণজাগরণ মঞ্চ। প্রসঙ্গত, ১৯৭১ সালে চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ২০১৩ সালের ১ অক্টোবর সালাউদ্দিন কাদেরকে ফাঁসির আদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। পরে ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আদালতে আপিল করেন তিনি। আপিলের রায়ে বিএনপি এ নেতার মৃত্যুদন্ডাদেশ বহাল থাকে। আপিল বিভাগের দেওয়া পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয় গত ৩০ সেপ্টেম্বর। এর ১৪ দিনের মাথায় ওই রায় পুনর্বিবেচনার জন্য আবেদন করেন তিনি।
একাত্তরে বুদ্ধিজীবী হত্যায় ইন্ধন এবং পরিকল্পনার দায়ে সে সময়কার আলবদর বাহিনীর নেতা মুজাহিদকে ২০১৩ সালের ১৭ জুলাই ফাঁসির আদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২। এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন মুজাহিদ। চলতি বছরের ১৬ জুন ট্রাইব্যুনালের দেয়া ফাঁসির আদেশ বহাল রেখে রায় দেন আপিল বিভাগ। গত ৩০ সেপ্টেম্বর সুপ্রিমকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখা থেকে মুজাহিদের আপিলের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়। এরপর ওই রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে আবেদন করেন মুজাহিদ। (দৈনিক যুগান্তর)