নিউইয়র্ক ০৮:২৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

সন্ত্রাস লাশ আর ও নষ্ট রাজনীতির চ্যাম্পিয়ন আ’লীগ, নীরব প্রতিশোধ নিতে বিএনপিকে ভোট দিন : সাংবাদিক সম্মেলনে খালেদা জিয়া

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১০:৩৬:৫২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৬ এপ্রিল ২০১৫
  • / ৬৩৮ বার পঠিত

ঢাকা: বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছেন, সন্ত্রাস লাশ আর ও নষ্ট রাজনীতির চ্যাম্পিয়ন আ’লীগ। তিনি সরকারের এই অন্যায় কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নিতে ঢাকা ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীদের ভোট দেয়ার আহবান জানান। ২৬ এপ্রিল রোববার দুপুরে রাজধানীর গুলশানে তার কার্যালয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
খালেদা জিয়া অভিযোগ করেন, তার গাড়িবহরে হামলা হয়েছে প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রীদের উসকানিতে।তিনি বলেন, আমার হাতে কোনো বাহিনী নেই। আমার আছে আল্লাহর রহমত ও দেশবাসীর সমর্থন ও দোয়া। এর ওপর নির্ভর করেই আমি রাজপথে নেমেছি। আমি জনসংযোগে নামতেই যে দৃশ্যের অবতারণা হয়েছে, তাতে তাদের এতদিনকার সব প্রচার মিথ্যা হয়ে গেছে। তাই প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রীরা প্রকাশ্যে আমার বিরুদ্ধে উসকানিমূলক বক্তব্য রেখেছেন; সন্ত্রাসী লেলিয়ে দিয়েছেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশকে সন্ত্রাসী রাষ্ট্রে পরিণত করা হয়েছে। এই সন্ত্রাসী রাষ্ট্রকেই গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে পরিণত করতে হবে।
খালেদা জিয়া বলেন, আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন দিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। তিনি অভিযোগ করে বলেন, ভোট কারচুপির পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য মাঠে সেনা মোতায়েন করা হচ্ছে না। যে সরকার মানুষের নিরাপত্তা দিতে পারে না তাদের ক্ষমা চেয়ে দায়িত্ব থেকে সরে যাওয়া উচিত।
পহেলা বৈশাখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নারী নির্যাতনের নিন্দা জানিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, যে সরকার বা প্রশাসন কোনো সামাজিক উৎসবে মানুষের নিরাপত্তা দিতে পারে না, মেয়েদের সম্মান দিতে পারে না, তাদের লজ্জিত হওয়া উচিত। ক্ষমা চেয়ে দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ানো উচিত।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমেদ ও ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আনিসুর রহমান খোকনকে আইনশৃঙ্খলা পরিচয়ে ধরে নেয়া হয়েছে- অভিযোগ করে তিনি বলেন, এক মাসেরও বেশি সময় পার হলেও তাদের খোঁজ পাওয়া যায়নি। প্রকৃতপক্ষে দেশে সাধারণ মানুষের ন্যূনতম কোনো নিরাপত্তা নেই। বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ধরে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। অনেক খুনি ধরা পড়ার পর ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
খালেদা জিয়া বলেন, দেশে একটি সরকার আছে; কিন্তু যেহেতু তারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয়, তাই মানুষের প্রতি তাদের কোনো দায়বদ্ধতা নেই। তারা বিরোধীদলের ন্যায়সঙ্গত আন্দোলন, প্রতিবাদ, বিক্ষোভ স্তব্ধ করায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়োজিত রেখেছে।
গণতন্ত্রের জন্য মানুষ বারবার রক্ত দিয়েছে উল্লেখ করে খালেদা জিয়া বলেন, দেশের গণতন্ত্রকে আজ হত্যা করা হয়েছে। সুস্থ রাজনীতিতে ফিরতে না পারলে আমাদের সমাজ পিছিয়ে পড়বে।
সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যের শেষে তিনি শেখ হাসিনাকে উদ্দেশে বলেন, ‘আপনি বিনা ভোটে ক্ষমতায় অধিষ্ঠ হয়ে ধরাকে সরা জ্ঞান করেছেন। সিটি করপোরেশন নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে করুন। এতে তো আপনার ক্ষমতা যাচ্ছে না। আপনি অনেক অপকর্ম করেছেন। এখন রাষ্ট্রক্ষমতা আপনার কাছে বাঘের পিঠে সওয়ার মতো হয়েছে। এখন আপনি নামতে ভয় পাচ্ছেন।’ তিনি বলেন, ‘আমরা আপনাকে নিরাপদে নামতে সাহায্য করব। আমরা আপনার মতো জিঘাংসাপরায়ণ নই। ধ্বংসের মনোবৃত্তি বদলান। আমি আর আপনি একই সমতলে দাঁড়িয়ে নির্বাচন করব। এরপর মানুষ যাকে বেছে নেবে, সে-ই ক্ষমতায় বসব।’(দৈনিক যুগান্তর)

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

About Author Information

সন্ত্রাস লাশ আর ও নষ্ট রাজনীতির চ্যাম্পিয়ন আ’লীগ, নীরব প্রতিশোধ নিতে বিএনপিকে ভোট দিন : সাংবাদিক সম্মেলনে খালেদা জিয়া

প্রকাশের সময় : ১০:৩৬:৫২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৬ এপ্রিল ২০১৫

ঢাকা: বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছেন, সন্ত্রাস লাশ আর ও নষ্ট রাজনীতির চ্যাম্পিয়ন আ’লীগ। তিনি সরকারের এই অন্যায় কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নিতে ঢাকা ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীদের ভোট দেয়ার আহবান জানান। ২৬ এপ্রিল রোববার দুপুরে রাজধানীর গুলশানে তার কার্যালয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
খালেদা জিয়া অভিযোগ করেন, তার গাড়িবহরে হামলা হয়েছে প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রীদের উসকানিতে।তিনি বলেন, আমার হাতে কোনো বাহিনী নেই। আমার আছে আল্লাহর রহমত ও দেশবাসীর সমর্থন ও দোয়া। এর ওপর নির্ভর করেই আমি রাজপথে নেমেছি। আমি জনসংযোগে নামতেই যে দৃশ্যের অবতারণা হয়েছে, তাতে তাদের এতদিনকার সব প্রচার মিথ্যা হয়ে গেছে। তাই প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রীরা প্রকাশ্যে আমার বিরুদ্ধে উসকানিমূলক বক্তব্য রেখেছেন; সন্ত্রাসী লেলিয়ে দিয়েছেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশকে সন্ত্রাসী রাষ্ট্রে পরিণত করা হয়েছে। এই সন্ত্রাসী রাষ্ট্রকেই গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে পরিণত করতে হবে।
খালেদা জিয়া বলেন, আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন দিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। তিনি অভিযোগ করে বলেন, ভোট কারচুপির পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য মাঠে সেনা মোতায়েন করা হচ্ছে না। যে সরকার মানুষের নিরাপত্তা দিতে পারে না তাদের ক্ষমা চেয়ে দায়িত্ব থেকে সরে যাওয়া উচিত।
পহেলা বৈশাখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নারী নির্যাতনের নিন্দা জানিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, যে সরকার বা প্রশাসন কোনো সামাজিক উৎসবে মানুষের নিরাপত্তা দিতে পারে না, মেয়েদের সম্মান দিতে পারে না, তাদের লজ্জিত হওয়া উচিত। ক্ষমা চেয়ে দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ানো উচিত।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমেদ ও ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আনিসুর রহমান খোকনকে আইনশৃঙ্খলা পরিচয়ে ধরে নেয়া হয়েছে- অভিযোগ করে তিনি বলেন, এক মাসেরও বেশি সময় পার হলেও তাদের খোঁজ পাওয়া যায়নি। প্রকৃতপক্ষে দেশে সাধারণ মানুষের ন্যূনতম কোনো নিরাপত্তা নেই। বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ধরে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। অনেক খুনি ধরা পড়ার পর ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
খালেদা জিয়া বলেন, দেশে একটি সরকার আছে; কিন্তু যেহেতু তারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয়, তাই মানুষের প্রতি তাদের কোনো দায়বদ্ধতা নেই। তারা বিরোধীদলের ন্যায়সঙ্গত আন্দোলন, প্রতিবাদ, বিক্ষোভ স্তব্ধ করায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়োজিত রেখেছে।
গণতন্ত্রের জন্য মানুষ বারবার রক্ত দিয়েছে উল্লেখ করে খালেদা জিয়া বলেন, দেশের গণতন্ত্রকে আজ হত্যা করা হয়েছে। সুস্থ রাজনীতিতে ফিরতে না পারলে আমাদের সমাজ পিছিয়ে পড়বে।
সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যের শেষে তিনি শেখ হাসিনাকে উদ্দেশে বলেন, ‘আপনি বিনা ভোটে ক্ষমতায় অধিষ্ঠ হয়ে ধরাকে সরা জ্ঞান করেছেন। সিটি করপোরেশন নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে করুন। এতে তো আপনার ক্ষমতা যাচ্ছে না। আপনি অনেক অপকর্ম করেছেন। এখন রাষ্ট্রক্ষমতা আপনার কাছে বাঘের পিঠে সওয়ার মতো হয়েছে। এখন আপনি নামতে ভয় পাচ্ছেন।’ তিনি বলেন, ‘আমরা আপনাকে নিরাপদে নামতে সাহায্য করব। আমরা আপনার মতো জিঘাংসাপরায়ণ নই। ধ্বংসের মনোবৃত্তি বদলান। আমি আর আপনি একই সমতলে দাঁড়িয়ে নির্বাচন করব। এরপর মানুষ যাকে বেছে নেবে, সে-ই ক্ষমতায় বসব।’(দৈনিক যুগান্তর)