নিউইয়র্ক ১১:৩৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

শ্রদ্ধা ভালোবাসায় মওলানা ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকী পালিত

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৯:৫৯:০৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০১৪
  • / ১৩২৯ বার পঠিত

নানা আয়োজনে পালিত হল মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৩৮তম মৃত্যুবার্ষিকী। এ উপলক্ষে ১৭ নভেম্বর সোমবার সকালে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন, দেশী-বিদেশী ভাসানীভক্তরা টাঙ্গাইলের সন্তোষে তার মাজারে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন। দিবসটি উপলক্ষে দেয়াল পত্রিকা, কাঙালীভোজ, রক্তদান কর্মসূচী, আলোচনা সভা, মেলাসহ দিনব্যাপী নানা কর্মসূচি পালিত হয়। ১৯৭৬ সালের এ দিনে ৯৬ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন মওলানা ভাসানী। ঐদিন সকাল ৭টায় মওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. আলাউদ্দিন মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও মাজার জিয়ারতের মধ্য দিয়ে দিবসের কর্মসূচী শুরু করেন। পরে টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসন, জেলা আওয়ামী লীগ, কেন্দ্রীয় ও জেলা বিএনপি, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ, জাতীয় পার্টি, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ, ভাসানী অনুসারী পরিষদ, টাঙ্গাইল পৌরসভা এবং টাঙ্গাইল প্রেসক্লাব সহ বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ভাসানীর পরিবারের পক্ষ থেকে মরহুমের মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে। ভাসানী ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে মাজার এলাকায় মেলার আয়োজন করা হয়। মেলায় ৩২টি স্টল অংশ নেয়। টাঙ্গাইল থেকে মওলানা ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকী পালনের খবর জানিয়েছেন সাংবাদিক আতাউর রহমান আজাদ ও রেফাজুর রহমান।
zr4o9ba5-290x290ভাসানীর শিক্ষা নিয়ে বিএনপি অধিকার আদায়ে সংগ্রাম করছে
মওলানা ভাসানীর ৩৮তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে সন্তোষে জেলা বিএনপির সমাবেশে বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আসম হান্নান শাহ বলেছেন, মওলানা ভাসানী আজীবন অন্যায়, অত্যাচার আর স্বৈরাচারের বিরুদ্ধেই কথা বলেছেন। শাসকশ্রেণী তাকে ভয় পেতেন। আওয়ামী লীগ সরকারই তাকে এখানে বন্দী করে রেখেছিল। ভাসানীর কাছ থেকে শিক্ষা নিয়ে বিএনপি মানুষের অধিকার আদায়ে সংগ্রাম করছে। তিনি বলেন, আমরা আন্দোলন শুরুই করিনি তাই সরকারের কছে বিষফোঁড়া হয়েছি। আন্দোলন শুরু হলে যেমন কুকুর তেমন মুগুর ব্যবহার করা হবে।
সমাবেশে কেন্দ্রীয় কৃষকদলের সাধারণ সম্পাদক শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, শেখ হাসিনার উচিত জেলখানাগুলো তড়িৎ গতিতে সংস্কার করা। সেখানে ভালো খাবারের ব্যবস্থা করা। কারণ অচিরেই তিনি ও তার তথাকথিত মন্ত্রীরা সেখানেই ঢুকবে। আর নিরপরাধীরা সেখান থেকে বেরিয়ে আসবেন। তিনি বলেন, শহীদ জিয়ার পরিবারের কারো বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিলে সারা বাংলায় আগুন দাউ দাউ করে জ্বলে উঠবে। আগামী ডিসেম্বর থেকে ‘ঘেরাও’ আন্দোলন শুরু হবে বলে তিনি জানান। প্রথমে ইউএনও অফিস, তারপর থানা, ডিসি অফিসের পর ঢাকা ঘেরাও করা হবে। তিনি বলেন, মওলানা ভাসানী ও শহীদ জিয়া একে অপরের পরিপূরক ছিলেন। মওলানা ভাসানী সামরিক শাসন পছন্দ করতেন না কিন্তু তিনি জিয়াকে সাপোর্ট করতেন। আর জিয়াউর রহমানই ভাসানীর মৃত্যুর পর তার কফিন কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন।
জেলা বিএনপি’র সভাপতি এডভোকেট আহমেদ আযম খানের সভাপতিত্বে সভায় বক্তৃতা করেন, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) মাহমুদুল হাসান, কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-দপ্তর সম্পাদক শামীমুর রহমান শামীম, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী, লুৎফর রহমান মতিন, সাংবাদিক শওকত মাহমুদ, আবদুল হাই শিকদার, জেলা বিএনপি’র সহ-সভাপতি ছাইদুল হক ছাদু, যুগ্ম-সম্পাদক আতাউর রহমান জিন্নাহ, সদর থানা শাখার সভাপতি এমএ হামিদ, শহর শাখার সভাপতি হাসানুজ্জামিল শাহীন, জেলা কৃষকদলের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হক সানু, জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের আহ্বায়ক জিয়াউল হক শাহীন, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সহ-সভাপতি আজমল হোসেন পাইলট, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আশরাফ পাহেলী, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান খান শফিক, জেলা শ্রমিকদলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক একেএম মনিরুল হক, জেলা তাঁতীদলের সভাপতি শাহ আলম, জাতীয়তাবাদী মহিলাদলের সাধারণ সম্পাদক রুক্সি মেহেদী প্রমুখ। সভা পরিচারনা করেন জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক সামছুল আলম তোফা।
Vashani_Daily Sangramদেশে গণতন্ত্রবিরোধী শক্তি ক্ষমতায় : বি. চৌধুরী
বিকল্প ধারার সভাপতি ও সাবেক রাষ্ট্রপতি ডা. এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেছেন, দেশে বর্তমানে গণতন্ত্রবিরোধী শক্তি ক্ষমতায় রয়েছে। তাদেরকে হটাতে মওলানা ভাসানীর আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে সবাইকে আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে।
গত ১৭ নভেম্বর সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবে মওলানা ভাসানীর ৩৮তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ভাসানী অনুসারী পরিষদ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন জাহ্ঙ্গাীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ও ভাসানী অনুসারী পরিষদের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. জসীম উদ্দিন আহমদ। প্রধান বক্তা ছিলেন ভাসানী অনুসারী পরিষদের মহাসচিব শেখ রফিকুল ইসলাম বাবুল। আরো বক্তৃতা করেন সাবেকমন্ত্রী ও জাতীয় পার্টির মহাসচিব মোস্তফা জামাল হায়দার, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য লে. জে. (অব:) মাহবুবুর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ড. মাহবুবউল্লাহ, বিশিষ্ট আইনজীবী ড. তুহিন মালিক প্রমুখ।
বি. চৌধুরী আরো বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাস ভাসানীকে ছাড়া লেখা যাবে না। যারা এখন তাকে বাদ দিয়ে ইতিহাস লিখছেন তারা মস্তবড় ভুল করছেন। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিষয়ে মওলানা ভাসানীই প্রথম চিন্তা করেছিলেন। কিন্তু দেশের ভুলেভরা ইতিহাসে স্বাধীনতা ঘোষণার প্রথম ব্যক্তিটির নাম নেই। তিনি বলেন, বাংলাদেশের কোনো রাজনৈতিক নেতাকে যদি সৎ বলা হয় তাহলে তিনি হলেন মওলানা ভাসানী। ভাসানীর আদর্শ তার অনেক অনুসারী অনুসরণ করছে না জানিয়ে বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেন, ভাসানীর সাথে অনেকেই ছিলেন, কিন্তু তার আদর্শ কতজন অনুসরণ করেছে? আমরা এতবড় আলো পেয়েছিলাম; কিন্তু তার আলোটাকে ধারণ করতে পারিনি।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

About Author Information

শ্রদ্ধা ভালোবাসায় মওলানা ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকী পালিত

প্রকাশের সময় : ০৯:৫৯:০৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০১৪

নানা আয়োজনে পালিত হল মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৩৮তম মৃত্যুবার্ষিকী। এ উপলক্ষে ১৭ নভেম্বর সোমবার সকালে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন, দেশী-বিদেশী ভাসানীভক্তরা টাঙ্গাইলের সন্তোষে তার মাজারে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন। দিবসটি উপলক্ষে দেয়াল পত্রিকা, কাঙালীভোজ, রক্তদান কর্মসূচী, আলোচনা সভা, মেলাসহ দিনব্যাপী নানা কর্মসূচি পালিত হয়। ১৯৭৬ সালের এ দিনে ৯৬ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন মওলানা ভাসানী। ঐদিন সকাল ৭টায় মওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. আলাউদ্দিন মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও মাজার জিয়ারতের মধ্য দিয়ে দিবসের কর্মসূচী শুরু করেন। পরে টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসন, জেলা আওয়ামী লীগ, কেন্দ্রীয় ও জেলা বিএনপি, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ, জাতীয় পার্টি, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ, ভাসানী অনুসারী পরিষদ, টাঙ্গাইল পৌরসভা এবং টাঙ্গাইল প্রেসক্লাব সহ বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ভাসানীর পরিবারের পক্ষ থেকে মরহুমের মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে। ভাসানী ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে মাজার এলাকায় মেলার আয়োজন করা হয়। মেলায় ৩২টি স্টল অংশ নেয়। টাঙ্গাইল থেকে মওলানা ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকী পালনের খবর জানিয়েছেন সাংবাদিক আতাউর রহমান আজাদ ও রেফাজুর রহমান।
zr4o9ba5-290x290ভাসানীর শিক্ষা নিয়ে বিএনপি অধিকার আদায়ে সংগ্রাম করছে
মওলানা ভাসানীর ৩৮তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে সন্তোষে জেলা বিএনপির সমাবেশে বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আসম হান্নান শাহ বলেছেন, মওলানা ভাসানী আজীবন অন্যায়, অত্যাচার আর স্বৈরাচারের বিরুদ্ধেই কথা বলেছেন। শাসকশ্রেণী তাকে ভয় পেতেন। আওয়ামী লীগ সরকারই তাকে এখানে বন্দী করে রেখেছিল। ভাসানীর কাছ থেকে শিক্ষা নিয়ে বিএনপি মানুষের অধিকার আদায়ে সংগ্রাম করছে। তিনি বলেন, আমরা আন্দোলন শুরুই করিনি তাই সরকারের কছে বিষফোঁড়া হয়েছি। আন্দোলন শুরু হলে যেমন কুকুর তেমন মুগুর ব্যবহার করা হবে।
সমাবেশে কেন্দ্রীয় কৃষকদলের সাধারণ সম্পাদক শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, শেখ হাসিনার উচিত জেলখানাগুলো তড়িৎ গতিতে সংস্কার করা। সেখানে ভালো খাবারের ব্যবস্থা করা। কারণ অচিরেই তিনি ও তার তথাকথিত মন্ত্রীরা সেখানেই ঢুকবে। আর নিরপরাধীরা সেখান থেকে বেরিয়ে আসবেন। তিনি বলেন, শহীদ জিয়ার পরিবারের কারো বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিলে সারা বাংলায় আগুন দাউ দাউ করে জ্বলে উঠবে। আগামী ডিসেম্বর থেকে ‘ঘেরাও’ আন্দোলন শুরু হবে বলে তিনি জানান। প্রথমে ইউএনও অফিস, তারপর থানা, ডিসি অফিসের পর ঢাকা ঘেরাও করা হবে। তিনি বলেন, মওলানা ভাসানী ও শহীদ জিয়া একে অপরের পরিপূরক ছিলেন। মওলানা ভাসানী সামরিক শাসন পছন্দ করতেন না কিন্তু তিনি জিয়াকে সাপোর্ট করতেন। আর জিয়াউর রহমানই ভাসানীর মৃত্যুর পর তার কফিন কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন।
জেলা বিএনপি’র সভাপতি এডভোকেট আহমেদ আযম খানের সভাপতিত্বে সভায় বক্তৃতা করেন, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) মাহমুদুল হাসান, কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-দপ্তর সম্পাদক শামীমুর রহমান শামীম, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী, লুৎফর রহমান মতিন, সাংবাদিক শওকত মাহমুদ, আবদুল হাই শিকদার, জেলা বিএনপি’র সহ-সভাপতি ছাইদুল হক ছাদু, যুগ্ম-সম্পাদক আতাউর রহমান জিন্নাহ, সদর থানা শাখার সভাপতি এমএ হামিদ, শহর শাখার সভাপতি হাসানুজ্জামিল শাহীন, জেলা কৃষকদলের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হক সানু, জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের আহ্বায়ক জিয়াউল হক শাহীন, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সহ-সভাপতি আজমল হোসেন পাইলট, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আশরাফ পাহেলী, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান খান শফিক, জেলা শ্রমিকদলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক একেএম মনিরুল হক, জেলা তাঁতীদলের সভাপতি শাহ আলম, জাতীয়তাবাদী মহিলাদলের সাধারণ সম্পাদক রুক্সি মেহেদী প্রমুখ। সভা পরিচারনা করেন জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক সামছুল আলম তোফা।
Vashani_Daily Sangramদেশে গণতন্ত্রবিরোধী শক্তি ক্ষমতায় : বি. চৌধুরী
বিকল্প ধারার সভাপতি ও সাবেক রাষ্ট্রপতি ডা. এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেছেন, দেশে বর্তমানে গণতন্ত্রবিরোধী শক্তি ক্ষমতায় রয়েছে। তাদেরকে হটাতে মওলানা ভাসানীর আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে সবাইকে আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে।
গত ১৭ নভেম্বর সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবে মওলানা ভাসানীর ৩৮তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ভাসানী অনুসারী পরিষদ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন জাহ্ঙ্গাীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ও ভাসানী অনুসারী পরিষদের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. জসীম উদ্দিন আহমদ। প্রধান বক্তা ছিলেন ভাসানী অনুসারী পরিষদের মহাসচিব শেখ রফিকুল ইসলাম বাবুল। আরো বক্তৃতা করেন সাবেকমন্ত্রী ও জাতীয় পার্টির মহাসচিব মোস্তফা জামাল হায়দার, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য লে. জে. (অব:) মাহবুবুর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ড. মাহবুবউল্লাহ, বিশিষ্ট আইনজীবী ড. তুহিন মালিক প্রমুখ।
বি. চৌধুরী আরো বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাস ভাসানীকে ছাড়া লেখা যাবে না। যারা এখন তাকে বাদ দিয়ে ইতিহাস লিখছেন তারা মস্তবড় ভুল করছেন। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিষয়ে মওলানা ভাসানীই প্রথম চিন্তা করেছিলেন। কিন্তু দেশের ভুলেভরা ইতিহাসে স্বাধীনতা ঘোষণার প্রথম ব্যক্তিটির নাম নেই। তিনি বলেন, বাংলাদেশের কোনো রাজনৈতিক নেতাকে যদি সৎ বলা হয় তাহলে তিনি হলেন মওলানা ভাসানী। ভাসানীর আদর্শ তার অনেক অনুসারী অনুসরণ করছে না জানিয়ে বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেন, ভাসানীর সাথে অনেকেই ছিলেন, কিন্তু তার আদর্শ কতজন অনুসরণ করেছে? আমরা এতবড় আলো পেয়েছিলাম; কিন্তু তার আলোটাকে ধারণ করতে পারিনি।