লতিফকে ফিরিয়ে আনার দাবি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত
- প্রকাশের সময় : ০২:৪৬:৫৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০১৪
- / ১১৬৭ বার পঠিত
‘মন্ত্রিসভা থেকে অপসারিত ও আওয়ামী লীগ থেকে পদচ্যুত লতিফ সিদ্দিকীকে ইন্টারপোলের মাধ্যমে দেশে ফিরিয়ে আনার দাবি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ।
শনিবার সকালে বনানী কবরস্থানে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে শেখ রাসেলের ৫০তম জন্মদিন উপলক্ষে এবং ১৫ আগস্টের শহীদদের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে তিনি এ মন্তব্য করেন। এ সময় ফুল দিয়ে শহীদদের কবরে শ্রদ্ধা জানায় আওয়ামী যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগসহ আওয়ামী লীগের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলো।
হানিফ বলেন, ‘বাংলাদেশের ইতিহাসের অনেক হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। তবে শেখ রাসেলের হত্যাকাণ্ড সর্বনিকৃষ্ট ও ঘৃণিত হত্যাকাণ্ড। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে যে হত্যা-খুনের রাজনীতি শুরু হয়েছে তা এখনও চলমান রয়েছে।’
‘ইসলামী দলসমূহকে ধর্ম নিয়ে রাজনীতি না করতে আহ্বান’ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়া তার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা থেকে রেহাই পাবে জেনে পরিকল্পিতভাবে হাজিরার দিনে ইসলামী দলসমূহকে দিয়ে হরতাল ডাকার চেষ্টা করছেন। তিনি (খালেদা জিয়া) ও তার দলের নেতারা এখনও ষড়যন্ত্র করছেন।’
এরপর বনানীর কবরস্থান মসজিদে শেখ রাসেলসহ ১৫ আগস্টের শহীদদের স্মরণে মিলাদ-মাহফিলের আয়োজন করে আওয়ামী লীগ। গোরস্তান মসজিদের ইমামের নেতৃত্বে দোয়া ও মিলাদে অংশ নেন আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতারা।
প্রসঙ্গত, ১৯৬৪ সালের এই দিনে ধানমণ্ডির ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিবের ঘরে জন্মগ্রহণ করেন শেখ রাসেল। পাঁচ ভাই-বোনের মধ্যে শেখ রাসেলই সবার ছোট। পাঁচ ভাই-বোনের অন্যরা হলেন- শেখ হাসিনা, শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শেখ রেহানা। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে ঘাতকদের হাতে নির্মমভাবে মারা যান রাসেল। এ সময় তিনি ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র ছিলেন।