রাষ্ট্রপতির সাথে সাক্ষাৎ : ‘ই-ভোট’সহ আওয়ামী লীগের চার প্রস্তব
- প্রকাশের সময় : ১২:৪৯:১১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ জানুয়ারী ২০১৭
- / ৯৭৬ বার পঠিত
ঢাকা: জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং (ই ভোট) পদ্ধতি চায় আওয়ামী লীগ। এ ছাড়া নির্বাচন কমিশন গঠনে আইন প্রণয়নেরও প্রস্তাব দিয়েছে দলটি। নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে ১১ জানুয়ারী বুধবার বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ আবদুল হামিদের সাথে বৈঠক করে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধিদল। ১৯ সদস্যবিশিষ্ট দলটির নেতৃত্ব দেন দলের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
জানা গেছে, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণের প্রস্তাব করেছে আওয়ামী লীগ। এ ছাড়া নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য একটি আইন প্রণয়নের সুপারিশ করেছে দলটি। ১১৮ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি যে সিদ্ধান্ত নেবেন তার প্রতি অনুগত থাকার সুপারিশও করেছে আওয়ামী লীগ। এর আগে বিকেল ৪টায় বঙ্গভবনে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধিদলকে স্বাগত জানান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ১৯ সদস্যের প্রতিনিধিদলে ছিলেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, আবুল মাল আবদুল মুহিত, এইচ টি ইমাম, ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন ও মোহাম্মদ জমির, সভাপতিমন্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম, মতিয়া চৌধুরী, সাহারা খাতুন, সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দীপু মনি ও জাহাঙ্গীর কবীর নানক, দপ্তর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, আইন বিষয়ক সম্পাদক আবদুল মতিন খসরু, প্রচার সম্পাদক হাছান মাহমুদ ও আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
আওয়ামী লীগের চারটি প্রস্তাবে যা আছে: ক) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের অনুচ্ছেদে ১১৮-এর বিধান অনুযায়ী মহামান্য রাষ্ট্রপতি প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ দান করব্নে।
খ) প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের ক্ষেত্রে মহামান্য রাষ্ট্রপতি যেরূপ উপযুক্ত বিবেচনা করবেন, সেই প্রক্রিয়ায় তিনি প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ প্রদান করবেন।
গ) প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের লক্ষ্যে সম্ভব হলে এখনই একটি উপযুক্ত আইন প্রণয়ন অথবা অধ্যাদেশ জারি করা যেতে পারে। সময়স্বল্পতার কারণে আগামী নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের ক্ষেত্রে তা সম্ভব না হলে পরবর্তী নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের সময় যাতে এর বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের নির্দেশনার আলোকে এখন থেকেই সে উদ্যোগ গ্রহণ করা।
ঘ) সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য বর্তমানে বিরাজমান সকল বিধিবিধানের সাথে জনমানুষের ভোটাধিকার অধিকতর সুনিশ্চিত করার স্বার্থে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ‘ই-ভোটিং’-এর প্রবর্তন করা।
সন্ধ্যায় ওই বৈঠক সম্পর্কে এবং নির্বাচন কমিশন বিষয়ে আওয়ামী লীগের সুপারিশ নিয়ে সাংবাদিকদের জানান দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।