নিউইয়র্ক ০৮:৫১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫, ৯ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

রাতের ঢাকার আতঙ্ক বিলাসবহুল গাড়ি

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১১:২৬:২৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০১৪
  • / ১৩৪৫ বার পঠিত

রাত হলেই রাজধানীর রাজপথে শোঁ-শোঁ করে চলছে নামী-দামি ব্র্যান্ডের গাড়ি। ভেতরে বসা সুঠাম দেহের যুবকেরা। দেখে কারো বোঝার সাধ্য নেই এরা কোনো ভদ্র পরিবারের সন্তান নয়। রাতের টহল পুলিশেরও সাহস হয় না এদের তল্লাশি করার; অথচ রাজধানীর রাতের রাজপথ দাবড়ে বেড়ায় এরা। রাত থেকে ভোর পর্যন্ত চলে গাড়িতে ঘোরা যুবকদের এই তাণ্ডব। এদের কবলে পড়ে সর্বস্বান্ত হচ্ছেন পথচারীরা। এতেই ক্ষ্যান্ত নয়; অপহরণ ও হতাহতের ঘটনাও ঘটছে এই গাড়িকে কেন্দ্র করে। গাড়িতে বসেই ভাগ্য নির্ধারণ করা হয় পথচারীর। মনমতো চাহিদা মিটলে ভালো, নইলে জীবন নিয়ে বাড়ি ফেরা দায়। পথচারীর পরিচয় জানার পর বাড়তে থাকে জীবিত ফিরে আসার মূল্য।

এভাবেই প্রতিনিয়ত রাজধানীতে বিলাসবহুল গাড়িকে কেন্দ্র করে রাতে ঘটছে একের পর এক অপরাধ। টার্গেটকৃত পথচারীকে গাড়িতে তুলে নিয়ে আদায় করা হচ্ছে মুক্তিপণ। কাউকে গাড়িতে তুলে মারধর করে টাকা-পয়সা, মূল্যবান জিনিসপত্র ছিনিয়ে নিয়ে ফেলে দেয়া হচ্ছে রাস্তায়। এতে হতাহতের ঘটনাও ঘটছে। কিন্তু নিরুপায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। তাদের হাতে চোর, ডাকাত, ছিনতাইকারী, অজ্ঞান পার্টি, মলম পার্টি ধরা পড়লেও ধরতে পারছে না এই দুর্বৃত্তদের।

এস এম ফারুক আহমেদ একজন ব্যবসায়ী। হাজারীবাগে তার ওষুধের দোকান। একই সাথে তিনি মোবাইলে ব্যালেন্স লোড ও বিকাশের এজেন্ট। সম্প্রতি বিলাসবহুল গাড়ির কবলে পড়ে অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচেন তিনি।

তিনি জানান, ওই দিন সন্ধ্যার পর গুলশান যাওয়ার জন্য ফার্মগেট পুলিশ বক্সের সামনে বাসের অপেক্ষা করছিলেন। এ সময় একটি সাদা রঙের গাড়ি তার সামনে থামে। চালক উত্তরা যাওয়ার জন্য যাত্রীদের ডাকতে শুরু করেন। বাস না পাওয়ায় তিনি বনানী পর্যন্ত যাওয়ার জন্য ওই গাড়িতে ওঠেন। দেখেন গাড়ির ভেতর আগে থেকেই কয়েক যুবক বসা। গাড়িটি চলার কিছুক্ষণ পর ওই যুবকেরা হঠাৎ তার দুই হাত-পা বেঁধে ফেলে এবং চোখে টিস্যু দিয়ে পেঁচানো কালো চশমা পরায়। এরপর শুরু হয় মারধর ও একের পর এক প্রশ্ন। তুই কী করিস, কোথায় থাকিস, ছেলেমেয়ে ক’জন ইত্যাদি। একপর্যায়ে বলে, তাড়াতাড়ি টাকার ব্যবস্থা কর। জীবনের মূল্য অনেক বেশি। হাউজে নিলে (যে বাসায় নিয়ে আটক রাখা হয়) পাঁচ লাখ আর গাড়ি থেকে বেঁচে যেতে চাইলে দুই লাখ- যেটা ভালো মনে হয় দ্রুত কর।

ফারুক দুর্বৃত্তদের জানান, তার একটি দোকান আছে, যা থেকে সামান্য আয় হয়।

তিনি আরো জানান, তাদের সাথে কথা বলার সময় তার মোবাইলে এক ব্যক্তি ফোন করেন। এ সময় দুর্বৃত্তরা সেটি রিসিভ করে। অপর প্রান্ত থেকে বলেন, ভাই আপনার রবির এজেন্ট নম্বরে ১০ হাজার টাকা পাঠালাম। এ কথা শোনার পর গাড়িতে থাকা দুর্বৃত্তরা যেন আরো পেয়ে বসে। অবশেষে তার কাছে থাকা গ্রামীণফোনের ফেক্সিলোডের মোবাইল, ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের মোবাইল ও রবির বিকাশের মোবাইল নিয়ে নেয়। এসব মোবাইলে প্রায় ৯০ হাজার টাকা ছিল। মারধর করে সিমগুলোর পিন নম্বর জেনে নেয় দুর্বৃত্তরা। গাড়ি থামিয়ে এক দোকান থেকে টাকাগুলো তুলে নেয় তারা। এরপর আবার যাত্রা শুরু করে। অবশেষে ফারুকের বাসায় ফোন দেয়া হয়। তবে বাসায় কোনো টাকা না থাকায় এবং ফারুক কৌশলে তাদের অনেক প্রশ্নের উত্তর দিয়ে নিজেকে কোনো রকম সামলে রাখেন।

এরপর রাত ৯টার দিকে অন্ধকার এক জায়গায় তাকে নামিয়ে দিয়ে গাড়িটি চলে যায়। পরে তিনি ওই এলাকার লোকদের কাছে জানতে পারেন স্থানটি আবদুল্লাহপুরের কামারপাড়া।

ফারুক জানান, গাড়িটি উত্তরার দিকে যেতে শুরু করে। রাস্তায় যানজটের কারণে অনেক সময় লাগে। আর যখন গাড়ি থামে এবং গাড়ির পাশ দিয়ে কোনো আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গাড়ি অতিক্রম করে, তখন দুর্বৃত্তরা সঙ্কেত দেয়।

বাড়তি হয়রানির আশঙ্কায় এ ঘটনায় তিনি থানায় মামলাও করেননি বলে জানান তিনি।

ঢাকা কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ওয়াজিউল্লাহ মীম ফুরকান গত ৩০ সেপ্টেম্বর ভোরে উত্তরার জসীমউদ্দীন রোডের বাসা থেকে কলেজের উদ্দেশে বের হন। বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। এ সময় একটি মাইক্রোবাস এসে দাঁড়ায় তার সামনে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই গাড়ির ভেতর থেকে এক যুবক নেমে ফুরকানকে ধাক্কা দিয়ে মাইক্রোবাসটিতে তুলে নেয়। এরপর দরজা বন্ধ করেই দুই যুবক কোমর থেকে পিস্তল বের করে। একটি পিস্তল ফুরকানের কানের কাছে ধরে বলে- ‘এটিএম কার্ড বা ক্রেডিট কার্ড দে।

কার্ড দেয়ার পর বলে, প্রকৃত সঠিক নম্বর দিবি। পিন নম্বর ভুয়া হলেই গুলি করে মেরে ফেলব।’

ভয়ে ফুরকান নম্বরটি দিয়ে দেন। এরপর মাইক্রোটি খিলক্ষেতে থামে। ফুরকানকে একজন পিস্তল ধরে রাখে। অপরজন নেমে পাশের মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের এটিএম বুথে যায়। সেখান থেকে কার্ড দিয়ে ৩ হাজার টাকা তুলে মাইক্রোবাসে ফিরে আসে। বলে ‘তোর অ্যাকাউন্টে টাকা এত কম কেন?’।

ফুরকান বলেন, “আমি স্টুডেন্ট। আমার এর থেকে বেশি টাকা থাকবে কেন?।” এরপর ফুরকানকে প্রায় এক ঘণ্টা ঘুরিয়ে ধানমণ্ডির একটি জায়গায় নামিয়ে দেয়।

এভাবে প্রায় দিনই পথচারীরা রাতে বা ভোরে রাজধানীতে বিলাসবহুল গাড়িতে চড়ে সর্বসান্ত হচ্ছেন। পুলিশের তল্লাশি বা চেকপোস্টের মধ্যে অহরহ ঘটছে এ অপরাধ।

এ ব্যাপারে ঢাকা মহানগর পুলিশের মিডিয়া সেন্টারের ডিসি মাসুদুর রহমান জানান, এসব ঘটনায় সাধারণত ভুক্তভোগীরা থানায় মামলা বা পুলিশকে জানাচ্ছেন না। ফলে দুর্বৃত্তরা আরো উৎসাহ পাচ্ছে। তবে মাঝে মধ্যে রাতে পুলিশের চেকপোস্টে দুর্বৃত্তরা ধরাও পড়ছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

About Author Information

রাতের ঢাকার আতঙ্ক বিলাসবহুল গাড়ি

প্রকাশের সময় : ১১:২৬:২৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০১৪

রাত হলেই রাজধানীর রাজপথে শোঁ-শোঁ করে চলছে নামী-দামি ব্র্যান্ডের গাড়ি। ভেতরে বসা সুঠাম দেহের যুবকেরা। দেখে কারো বোঝার সাধ্য নেই এরা কোনো ভদ্র পরিবারের সন্তান নয়। রাতের টহল পুলিশেরও সাহস হয় না এদের তল্লাশি করার; অথচ রাজধানীর রাতের রাজপথ দাবড়ে বেড়ায় এরা। রাত থেকে ভোর পর্যন্ত চলে গাড়িতে ঘোরা যুবকদের এই তাণ্ডব। এদের কবলে পড়ে সর্বস্বান্ত হচ্ছেন পথচারীরা। এতেই ক্ষ্যান্ত নয়; অপহরণ ও হতাহতের ঘটনাও ঘটছে এই গাড়িকে কেন্দ্র করে। গাড়িতে বসেই ভাগ্য নির্ধারণ করা হয় পথচারীর। মনমতো চাহিদা মিটলে ভালো, নইলে জীবন নিয়ে বাড়ি ফেরা দায়। পথচারীর পরিচয় জানার পর বাড়তে থাকে জীবিত ফিরে আসার মূল্য।

এভাবেই প্রতিনিয়ত রাজধানীতে বিলাসবহুল গাড়িকে কেন্দ্র করে রাতে ঘটছে একের পর এক অপরাধ। টার্গেটকৃত পথচারীকে গাড়িতে তুলে নিয়ে আদায় করা হচ্ছে মুক্তিপণ। কাউকে গাড়িতে তুলে মারধর করে টাকা-পয়সা, মূল্যবান জিনিসপত্র ছিনিয়ে নিয়ে ফেলে দেয়া হচ্ছে রাস্তায়। এতে হতাহতের ঘটনাও ঘটছে। কিন্তু নিরুপায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। তাদের হাতে চোর, ডাকাত, ছিনতাইকারী, অজ্ঞান পার্টি, মলম পার্টি ধরা পড়লেও ধরতে পারছে না এই দুর্বৃত্তদের।

এস এম ফারুক আহমেদ একজন ব্যবসায়ী। হাজারীবাগে তার ওষুধের দোকান। একই সাথে তিনি মোবাইলে ব্যালেন্স লোড ও বিকাশের এজেন্ট। সম্প্রতি বিলাসবহুল গাড়ির কবলে পড়ে অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচেন তিনি।

তিনি জানান, ওই দিন সন্ধ্যার পর গুলশান যাওয়ার জন্য ফার্মগেট পুলিশ বক্সের সামনে বাসের অপেক্ষা করছিলেন। এ সময় একটি সাদা রঙের গাড়ি তার সামনে থামে। চালক উত্তরা যাওয়ার জন্য যাত্রীদের ডাকতে শুরু করেন। বাস না পাওয়ায় তিনি বনানী পর্যন্ত যাওয়ার জন্য ওই গাড়িতে ওঠেন। দেখেন গাড়ির ভেতর আগে থেকেই কয়েক যুবক বসা। গাড়িটি চলার কিছুক্ষণ পর ওই যুবকেরা হঠাৎ তার দুই হাত-পা বেঁধে ফেলে এবং চোখে টিস্যু দিয়ে পেঁচানো কালো চশমা পরায়। এরপর শুরু হয় মারধর ও একের পর এক প্রশ্ন। তুই কী করিস, কোথায় থাকিস, ছেলেমেয়ে ক’জন ইত্যাদি। একপর্যায়ে বলে, তাড়াতাড়ি টাকার ব্যবস্থা কর। জীবনের মূল্য অনেক বেশি। হাউজে নিলে (যে বাসায় নিয়ে আটক রাখা হয়) পাঁচ লাখ আর গাড়ি থেকে বেঁচে যেতে চাইলে দুই লাখ- যেটা ভালো মনে হয় দ্রুত কর।

ফারুক দুর্বৃত্তদের জানান, তার একটি দোকান আছে, যা থেকে সামান্য আয় হয়।

তিনি আরো জানান, তাদের সাথে কথা বলার সময় তার মোবাইলে এক ব্যক্তি ফোন করেন। এ সময় দুর্বৃত্তরা সেটি রিসিভ করে। অপর প্রান্ত থেকে বলেন, ভাই আপনার রবির এজেন্ট নম্বরে ১০ হাজার টাকা পাঠালাম। এ কথা শোনার পর গাড়িতে থাকা দুর্বৃত্তরা যেন আরো পেয়ে বসে। অবশেষে তার কাছে থাকা গ্রামীণফোনের ফেক্সিলোডের মোবাইল, ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের মোবাইল ও রবির বিকাশের মোবাইল নিয়ে নেয়। এসব মোবাইলে প্রায় ৯০ হাজার টাকা ছিল। মারধর করে সিমগুলোর পিন নম্বর জেনে নেয় দুর্বৃত্তরা। গাড়ি থামিয়ে এক দোকান থেকে টাকাগুলো তুলে নেয় তারা। এরপর আবার যাত্রা শুরু করে। অবশেষে ফারুকের বাসায় ফোন দেয়া হয়। তবে বাসায় কোনো টাকা না থাকায় এবং ফারুক কৌশলে তাদের অনেক প্রশ্নের উত্তর দিয়ে নিজেকে কোনো রকম সামলে রাখেন।

এরপর রাত ৯টার দিকে অন্ধকার এক জায়গায় তাকে নামিয়ে দিয়ে গাড়িটি চলে যায়। পরে তিনি ওই এলাকার লোকদের কাছে জানতে পারেন স্থানটি আবদুল্লাহপুরের কামারপাড়া।

ফারুক জানান, গাড়িটি উত্তরার দিকে যেতে শুরু করে। রাস্তায় যানজটের কারণে অনেক সময় লাগে। আর যখন গাড়ি থামে এবং গাড়ির পাশ দিয়ে কোনো আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গাড়ি অতিক্রম করে, তখন দুর্বৃত্তরা সঙ্কেত দেয়।

বাড়তি হয়রানির আশঙ্কায় এ ঘটনায় তিনি থানায় মামলাও করেননি বলে জানান তিনি।

ঢাকা কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ওয়াজিউল্লাহ মীম ফুরকান গত ৩০ সেপ্টেম্বর ভোরে উত্তরার জসীমউদ্দীন রোডের বাসা থেকে কলেজের উদ্দেশে বের হন। বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। এ সময় একটি মাইক্রোবাস এসে দাঁড়ায় তার সামনে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই গাড়ির ভেতর থেকে এক যুবক নেমে ফুরকানকে ধাক্কা দিয়ে মাইক্রোবাসটিতে তুলে নেয়। এরপর দরজা বন্ধ করেই দুই যুবক কোমর থেকে পিস্তল বের করে। একটি পিস্তল ফুরকানের কানের কাছে ধরে বলে- ‘এটিএম কার্ড বা ক্রেডিট কার্ড দে।

কার্ড দেয়ার পর বলে, প্রকৃত সঠিক নম্বর দিবি। পিন নম্বর ভুয়া হলেই গুলি করে মেরে ফেলব।’

ভয়ে ফুরকান নম্বরটি দিয়ে দেন। এরপর মাইক্রোটি খিলক্ষেতে থামে। ফুরকানকে একজন পিস্তল ধরে রাখে। অপরজন নেমে পাশের মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের এটিএম বুথে যায়। সেখান থেকে কার্ড দিয়ে ৩ হাজার টাকা তুলে মাইক্রোবাসে ফিরে আসে। বলে ‘তোর অ্যাকাউন্টে টাকা এত কম কেন?’।

ফুরকান বলেন, “আমি স্টুডেন্ট। আমার এর থেকে বেশি টাকা থাকবে কেন?।” এরপর ফুরকানকে প্রায় এক ঘণ্টা ঘুরিয়ে ধানমণ্ডির একটি জায়গায় নামিয়ে দেয়।

এভাবে প্রায় দিনই পথচারীরা রাতে বা ভোরে রাজধানীতে বিলাসবহুল গাড়িতে চড়ে সর্বসান্ত হচ্ছেন। পুলিশের তল্লাশি বা চেকপোস্টের মধ্যে অহরহ ঘটছে এ অপরাধ।

এ ব্যাপারে ঢাকা মহানগর পুলিশের মিডিয়া সেন্টারের ডিসি মাসুদুর রহমান জানান, এসব ঘটনায় সাধারণত ভুক্তভোগীরা থানায় মামলা বা পুলিশকে জানাচ্ছেন না। ফলে দুর্বৃত্তরা আরো উৎসাহ পাচ্ছে। তবে মাঝে মধ্যে রাতে পুলিশের চেকপোস্টে দুর্বৃত্তরা ধরাও পড়ছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে।