মন্ত্রী মহসিন আলীর মরদেহ ঢাকায়

- প্রকাশের সময় : ০৬:৩৪:২৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫
- / ৭২৪ বার পঠিত
ঢাকা: মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় পরিষদের সদস্য সৈয়দ মহসিন আলীর মরদেহ ঢাকা আনা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাতে সৈয়দ মহসিন আলীর মরদেহ বহনকারী সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটটি সিঙ্গাপুর থেকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিতসহ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ও জাতীয় নেতৃবৃন্দ তার মরদেহ গ্রহণ করেন। এ সময় তাকে দেখতে সর্বস্তরের জনতার ঢল নামে। পরে মহসিন আলীর মরদেহ ৩৪ নম্ব^র মিন্টু রোডে মন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে আনা হয়। এরপর বারডেম হিমাগারে (মরচুয়ারি) তার মরদেহ রাখা হয়।
বুধবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টায় সৈয়দ মহসিন আলীর মরদেহ ঢাকা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নিয়ে যাওয়া হবে। সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা জানানোর জন্য সেখানে মরদেহ এক ঘণ্টা রাখা হবে। এরপর মহসিন আলীর মরদেহ জাতীয় ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার, মন্ত্রী পরিষদের সদস্যবৃন্দ, চিফ হুইপ, হুইপ ও সংসদ সদস্যবৃন্দ মন্ত্রীর প্রতি শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। এ সময় তাকে গার্ড-অব-অনার প্রদান করা হবে। পরে সেখানে তার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
এরপর তাকে সেখান থেকে হেলিকপ্টারে মন্ত্রীর মরদেহ মৌলভীবাজার জেলা স্টেডিয়ামে এবং শহরে তার বাসভবন দর্জিমহলে নিয়ে যাওয়া হবে। পরে তার মরদেহ মৌলভীবাজার সরকারি হাইস্কুল মাঠে শহীদ মিনারে বিকাল ২টা থেকে ৪টা পর্যন্ত রাখা হবে। সর্বস্তরের মানুষ এখানে তার প্রতি শ্রদ্ধা দিবেদন করবেন। বাদ আসর হযরত সৈয়দ শাহ মোস্তফা বোগদাদির (র.) মাজারের পশ্চিম পাশে মা-বাবার কবরের পাশে তার দাফন সম্পন্ন হবে।
উল্লেখ্য, সৈয়দ মহসিন আলী সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিতসাধীন অবস্থায় ১৪ সেপ্টেম্বর সোমবার বাংলাদেশ সময় সকাল ৯টা ৫৯ মিনিটে সৈয়দ মহসিন আলী ইন্তেকাল করেন।
মন্ত্রী মহসিন আলী দীর্ঘদিন ধরে ডায়াবেটিস ও হার্টের সমস্যায় ভুগছিলেন। হঠাৎ শ্বাসকষ্টের সমস্যা দেখা দেয়ায় ৩ সেপ্টেম্বর তাকে রাজধানীর বারডেম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হওয়ায় ৫ সেপ্টেম্বর তাকে এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সে করে সিঙ্গাপুর নেয়া হয় এবং সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে ১০ দিন চিকিতসা চলে।