নিউইয়র্ক ১২:১৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ১৯ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

বিএনপি নেতা ফজলুর রহমান পটলের দাফন সম্পন্ন

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১০:৩২:০১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৪ অগাস্ট ২০১৬
  • / ৭৫০ বার পঠিত

ঢাকা: বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক মন্ত্রী ফজলুর রহমান পটলের জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারযোগে কফিন নাটোরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার নিজ গ্রাম গৌরীপুরে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। উল্লেখ্য, ১১ আগষ্ট বৃহস্পতিবার রাতে কলকাতার রবীন্দ্রসদন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সাবেক ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী ফজলুর রহমান পটল। ৬৬ বছর বয়সী সাবেক এই বিএনপি নেতা কিডনিসহ নানা জটিলতায় ভুগছিলেন। তিনি গত ১৬ এপ্রিল থেকে কলকাতার কিডনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
১৩ আগষ্ট শনিবার বিকাল সাড়ে ৪টায় রিসেন্ট এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তার মরদেহ পৌঁছায়। বিমানবন্দর থেকে তার মরদেহ বনশ্রীর বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়। এশার নামাজের পর বনশ্রী জামে মসজিদে মরহুমের প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
Patal Janaja_14 Aug'2016এরপর রাত ১১টায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া মরহুমের বাসায় গিয়ে প্রয়াত নেতার কফিনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। পরে বারডেমের হিমঘরে নিয়ে যাওয়া হয় তার কফিন।
১৪ আগষ্ট রোববার সকাল ১০টায় বারডেম থেকে ফজলুর রহমানের পটলের কফিন নয়া পল্টনে দলের কার্যালয়ের সামনে অস্থায়ী মঞ্চে রাখা হয়। সেখানে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ জ্যেষ্ঠ নেতারা দলীয় পতাকা দিয়ে কফিন ঢেকে দেন। এখানে দ্বিতীয় জানাজা হয়। জানাজায় বিএনপি মহাসচিব, জ্যেষ্ঠ নেতারা ছাড়াও দলটির নেতা-কর্মীরা অংশ নেন। পরে মরহুমের কফিনে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে নীরবে দাঁড়িয়ে থেকে শ্রদ্ধা জানান নেতারা।
এরপর ফজলুর রহমান পটলের মরদেহ নেওয়া হয় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায়। সেখানে জানাজায় অংশ নেন ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয়, উপাধ্যক্ষ আব্দুস শহীদ, শামসুল হক টুকু, সাবেক বিরোধী দলীয় চীফ হুইপ জয়নুল আবেদিন ফারুক, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজ উদ্দিন আহমেদসহ জাতীয় সংসদের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
ফজলুর রহমান পটল নাটোর-১ (লালপুর-বাগাতিপাড়া) আসন থেকে তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের প্যানেল থেকে ভিপি নির্বাচিত হয়েছিলেন। পরে তিনি বিএনপিতে যোগ দেন। (দৈনিক ইত্তেফাক)

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

About Author Information

বিএনপি নেতা ফজলুর রহমান পটলের দাফন সম্পন্ন

প্রকাশের সময় : ১০:৩২:০১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৪ অগাস্ট ২০১৬

ঢাকা: বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক মন্ত্রী ফজলুর রহমান পটলের জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারযোগে কফিন নাটোরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার নিজ গ্রাম গৌরীপুরে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। উল্লেখ্য, ১১ আগষ্ট বৃহস্পতিবার রাতে কলকাতার রবীন্দ্রসদন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সাবেক ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী ফজলুর রহমান পটল। ৬৬ বছর বয়সী সাবেক এই বিএনপি নেতা কিডনিসহ নানা জটিলতায় ভুগছিলেন। তিনি গত ১৬ এপ্রিল থেকে কলকাতার কিডনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
১৩ আগষ্ট শনিবার বিকাল সাড়ে ৪টায় রিসেন্ট এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তার মরদেহ পৌঁছায়। বিমানবন্দর থেকে তার মরদেহ বনশ্রীর বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়। এশার নামাজের পর বনশ্রী জামে মসজিদে মরহুমের প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
Patal Janaja_14 Aug'2016এরপর রাত ১১টায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া মরহুমের বাসায় গিয়ে প্রয়াত নেতার কফিনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। পরে বারডেমের হিমঘরে নিয়ে যাওয়া হয় তার কফিন।
১৪ আগষ্ট রোববার সকাল ১০টায় বারডেম থেকে ফজলুর রহমানের পটলের কফিন নয়া পল্টনে দলের কার্যালয়ের সামনে অস্থায়ী মঞ্চে রাখা হয়। সেখানে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ জ্যেষ্ঠ নেতারা দলীয় পতাকা দিয়ে কফিন ঢেকে দেন। এখানে দ্বিতীয় জানাজা হয়। জানাজায় বিএনপি মহাসচিব, জ্যেষ্ঠ নেতারা ছাড়াও দলটির নেতা-কর্মীরা অংশ নেন। পরে মরহুমের কফিনে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে নীরবে দাঁড়িয়ে থেকে শ্রদ্ধা জানান নেতারা।
এরপর ফজলুর রহমান পটলের মরদেহ নেওয়া হয় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায়। সেখানে জানাজায় অংশ নেন ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয়, উপাধ্যক্ষ আব্দুস শহীদ, শামসুল হক টুকু, সাবেক বিরোধী দলীয় চীফ হুইপ জয়নুল আবেদিন ফারুক, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজ উদ্দিন আহমেদসহ জাতীয় সংসদের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
ফজলুর রহমান পটল নাটোর-১ (লালপুর-বাগাতিপাড়া) আসন থেকে তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের প্যানেল থেকে ভিপি নির্বাচিত হয়েছিলেন। পরে তিনি বিএনপিতে যোগ দেন। (দৈনিক ইত্তেফাক)