বাংলাদেশের ক্রম অবনতিশীল পরিস্থিতিতে জাতিসংঘের গভীর উদ্বেগ

- প্রকাশের সময় : ০৯:০২:২৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ মে ২০১৬
- / ৯০১ বার পঠিত
নিউইয়র্ক: বাংলাদেশের ক্রম অবনতিশীল পরিস্থিতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। ১৩ মে শুক্রবার জাতিসংঘের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে বিশ্বসংস্থার উদ্বেগমূলক এই দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেন মহাসচিব বান কি মুনের মুখপাত্র স্টিফেন ডোজারিক। জুলহাজ মান্নানসহ ব্লগারদের হত্যা, বিচারবহিভূত হত্যাকান্ড, সাংবাদিক শফিক রেহমান ও শওকত মাহমুদের কারা নির্যাতন, ফাঁসির দন্ড কার্যকর, বাংলাদেশ থেকে তুরস্কের রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহার ইত্যাদি বিষয় উঠে আসে ওই ব্রিফিংয়ে।
সম্প্রতি নিউইয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত একটি সম্পাদকীয়ের উদ্ধৃতি দিয়ে বাংলাদেশের এই প্রতিবেদক দেশের গণতন্ত্র ও বিচারহীন অবস্থার উন্নতিতে জাতিসংঘের ভূমিকা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ডোজারিক জাতিসংঘ মহাসচিবের উদ্বেগের কথা জানিয়ে পরিস্থিতির দ্রুত উন্নতির আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
সাংবাদিক শফিক রেহমান, শওকত মাহমুদের কারা নির্যাতনের বিষয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি। জামায়াতের আমীর মতিউর রহমান নিজামীর ফাঁসির দন্ড কার্যকরের জের ধরে তুরস্কের রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহার প্রসঙ্গে তা দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের বিষয় বলে মত দেন তিনি।
জাতিসংঘে প্রশ্নোত্তরপর্বের বাংলাদেশ অংশ নিচে তুলে ধরা হলো:
প্রশ্ন: ধন্যবাদ, স্টিফেন। গত রোববার ‘বাংলাদেশ ডিসেন্ডস ইনটু ল’লেসনেস’ শিরোনামে নিউইয়র্ক টাইমস একটি সম্পাদকীয় ছাপিয়েছে। আপনি জানেন যে, সমকামী একটি পত্রিকার সম্পাদক জুলহাস মান্নানের হত্যাকান্ডের বিষয়টি। এভাবে ব্লগারদের হত্যা করা হচ্ছে। বিচারবর্হিভূত হত্যাকান্ড বাংলাদেশে ঘটেই চলেছে।
একিসাথে সরকার বিরোধীদের উপর নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে ৮২ বছর বয়স্ক একজন সিনিয়র সম্পাদক (শফিক রেহমান) এখন কারাগারে আটক, আটক রাখা হয়েছে বাংলাদেশ ফেডারেল ইউনিয়ন অব জার্নালিস্ট (বিএফইউজে সভাপতি শওকত মাহমুদ) কেও। বাংলাদেশে এখন এসবিই ঘটছে। আইনহীনতার এ সংস্কৃতি থেকে বাংলাদেশকে উদ্ধার করতে জাতিসংঘের করণীয় কি?
মুখপাত্র: জাতিসংঘ মহাসচিব এ ব্যাপারে তার উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। বাংলাদেশের সাংবাদিক ও ব্লগারদের উপর টার্গেটকৃত সহিংসতার ঘটনায় বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনও উদ্বিগ্ন। সাম্প্রতিক মৃত্যুদন্ড কার্যকরের বিষয়টিও আমরা উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করেছি। আমরা চাই সরকার এমন একটি পরিবেশ তৈরি করুক যাতে করে সাংবাদিকরা মুক্তভাবে তাদের কাজ করতে পারে।
প্রশ্ন: আবারো বাংলাদেশ প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসা করতে চাই, সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে যে, সাম্প্রতিক মৃত্যুদন্ড কার্যকরের ঘটনাকে ‘অন্যায়’ আখ্যা দিয়ে বাংলাদেশ থেকে নিজেদের রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহার করে নিয়েছে তুরস্ক। এ বিষয়ে কি আপনি কোনো মন্তব্য করবেন?
মুখপাত্র: না। আমি মনে করি এটা বাংলাদেশ ও তুরস্কের মধ্যকার দ্বি-পাক্ষিক বিষয়। (জাস্ট নিউজ )