নিউইয়র্ক ০২:৪৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

বক্তব্য প্রত্যাহারের প্রশ্নই ওঠে না : তথ্য প্রতিমন্ত্রী

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৪:৫৪:৫৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২১
  • / ১২ বার পঠিত

ঢাকা ডেস্ক : বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নাতনীকে নিয়ে অশালীন মন্তব্য করাসহ সাম্প্রতিক নানা সমালোচিত মন্তব্যের কারণে তথ্য প্রতিমন্ত্রী মো. মুরাদ হাসানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি দাবি জানিয়েছেন নারী অধিকার কর্মীরা। খবর সাম্প্রতিক দেশকাল

তবে মুরাদ বিবিসিকে বলেছেন, তিনি এসব বক্তব্য দিয়ে কোনও ভুল করেননি। এগুলো তিনি প্রত্যাহারও করবেন না কিংবা প্রত্যাহার করার ব্যাপারে সরকার ও দলের উপর থেকে কোনও চাপও নেই।

সম্প্রতি একটি ইউটিউব ভিডিওতে খালেদা জিয়ার নাতনিকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী। পরে গত শনিবার একটি টিভি টকশোতে উপস্থিত বিএনপির এক সাবেক নারী এমপিকে ‘মানসিক রোগী’ বলে অভিহিত করে তার সঙ্গে বিতণ্ডায় লিপ্ত হন তিনি।

এই দুটি ঘটনা নিয়ে গত দুইদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে তুমুল সমালোচনা হচ্ছে। এমনকি আওয়ামী লীগের কট্টর সমর্থক বলে পরিচিত অনেকেই ফেসবুকে মুরাদের সমালোচনা করে বক্তব্য দিচ্ছেন।

এর আগেও নানা রকম বক্তব্যের জন্য আলোচনা উঠে এসেছেন জামালপুর-৪ আসনের এমপি মুরাদ হাসান।

বিবিসিকে তিনি বলেন, তিনি বক্তব্য দেয়ার আগে তাকে ‘নোংরা ভাষায়’ আক্রমণ করে কথা বলেছেন শীর্ষস্থানীয় ওই বিএনপি নেতার মেয়ে।

তিনি আরও বলেন, ‘আমার মেয়ের বয়সের চেয়ে সে এক বছরের বড়। আমার কন্যার মতো বয়সী হয়ে যে নোংরা ভাষায় আমাকে নিয়ে ট্রল করেছে, সেটা তো কুচিন্তনীয়। এটা আমার কাছে খুব দুঃখজনক মনে হয়েছে। তার সম্পর্কে সামাজিক মাধ্যমের অনেক ছবি আমার কাছে চলে এসেছে।’

আর টকশোতে হাজির হয়ে বিএনপি নেত্রী সৈয়দা আসিফা আশরাফী পাপিয়াকে আক্রমণ করে মন্তব্য করা প্রসঙ্গে মুরাদ হাসান বলেন, ‘আপনি যদি ওই টকশোটা দেখেন, তাহলেই বুঝতে পারবেন আমি কেন বলেছি। আমি একজন চিকিৎসক। সেই হিসেবে তার সম্পর্কে আমার যে অবজারভেশন, সেটা আমি বলেছি। সেটা ভুল হলে আমি দুঃখিত।’

পেশায় চিকিৎসক মুরাদ হাসান আওয়ামী লীগপন্থী চিকিৎসকদের সংগঠন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) ও একাত্তরের ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির কেন্দ্রীয় সদস্য। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর গঠিত সরকারে প্রথমে মুরাদ হাসানকে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেয়া হয়। পরবর্তীতে ২০১৯ সালের মে মাসে স্বাস্থ্য থেকে তাকে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেয়া হয়।

যেসব বক্তব্য নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে, সেগুলোকে ভুল বলে স্বীকার করেন কি না কিংবা প্রত্যাহার করবেন কি না জানতে চাইলে তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘প্রশ্নই ওঠে না।’

তিনি বিবিসিকে আরও বলেন, তার বক্তব্য নিয়ে নানারকম সমালোচনা হলেও তার ওপর দল বা সরকারের তরফ থেকে বক্তব্য প্রত্যাহারের কোনও চাপ নেই।

Tag :

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

বক্তব্য প্রত্যাহারের প্রশ্নই ওঠে না : তথ্য প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ০৪:৫৪:৫৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২১

ঢাকা ডেস্ক : বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নাতনীকে নিয়ে অশালীন মন্তব্য করাসহ সাম্প্রতিক নানা সমালোচিত মন্তব্যের কারণে তথ্য প্রতিমন্ত্রী মো. মুরাদ হাসানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি দাবি জানিয়েছেন নারী অধিকার কর্মীরা। খবর সাম্প্রতিক দেশকাল

তবে মুরাদ বিবিসিকে বলেছেন, তিনি এসব বক্তব্য দিয়ে কোনও ভুল করেননি। এগুলো তিনি প্রত্যাহারও করবেন না কিংবা প্রত্যাহার করার ব্যাপারে সরকার ও দলের উপর থেকে কোনও চাপও নেই।

সম্প্রতি একটি ইউটিউব ভিডিওতে খালেদা জিয়ার নাতনিকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী। পরে গত শনিবার একটি টিভি টকশোতে উপস্থিত বিএনপির এক সাবেক নারী এমপিকে ‘মানসিক রোগী’ বলে অভিহিত করে তার সঙ্গে বিতণ্ডায় লিপ্ত হন তিনি।

এই দুটি ঘটনা নিয়ে গত দুইদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে তুমুল সমালোচনা হচ্ছে। এমনকি আওয়ামী লীগের কট্টর সমর্থক বলে পরিচিত অনেকেই ফেসবুকে মুরাদের সমালোচনা করে বক্তব্য দিচ্ছেন।

এর আগেও নানা রকম বক্তব্যের জন্য আলোচনা উঠে এসেছেন জামালপুর-৪ আসনের এমপি মুরাদ হাসান।

বিবিসিকে তিনি বলেন, তিনি বক্তব্য দেয়ার আগে তাকে ‘নোংরা ভাষায়’ আক্রমণ করে কথা বলেছেন শীর্ষস্থানীয় ওই বিএনপি নেতার মেয়ে।

তিনি আরও বলেন, ‘আমার মেয়ের বয়সের চেয়ে সে এক বছরের বড়। আমার কন্যার মতো বয়সী হয়ে যে নোংরা ভাষায় আমাকে নিয়ে ট্রল করেছে, সেটা তো কুচিন্তনীয়। এটা আমার কাছে খুব দুঃখজনক মনে হয়েছে। তার সম্পর্কে সামাজিক মাধ্যমের অনেক ছবি আমার কাছে চলে এসেছে।’

আর টকশোতে হাজির হয়ে বিএনপি নেত্রী সৈয়দা আসিফা আশরাফী পাপিয়াকে আক্রমণ করে মন্তব্য করা প্রসঙ্গে মুরাদ হাসান বলেন, ‘আপনি যদি ওই টকশোটা দেখেন, তাহলেই বুঝতে পারবেন আমি কেন বলেছি। আমি একজন চিকিৎসক। সেই হিসেবে তার সম্পর্কে আমার যে অবজারভেশন, সেটা আমি বলেছি। সেটা ভুল হলে আমি দুঃখিত।’

পেশায় চিকিৎসক মুরাদ হাসান আওয়ামী লীগপন্থী চিকিৎসকদের সংগঠন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) ও একাত্তরের ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির কেন্দ্রীয় সদস্য। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর গঠিত সরকারে প্রথমে মুরাদ হাসানকে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেয়া হয়। পরবর্তীতে ২০১৯ সালের মে মাসে স্বাস্থ্য থেকে তাকে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেয়া হয়।

যেসব বক্তব্য নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে, সেগুলোকে ভুল বলে স্বীকার করেন কি না কিংবা প্রত্যাহার করবেন কি না জানতে চাইলে তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘প্রশ্নই ওঠে না।’

তিনি বিবিসিকে আরও বলেন, তার বক্তব্য নিয়ে নানারকম সমালোচনা হলেও তার ওপর দল বা সরকারের তরফ থেকে বক্তব্য প্রত্যাহারের কোনও চাপ নেই।