নিউইয়র্ক ১২:৩৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেখা পেলেন না খালেদা জিয়ার : গুলশান কার্যালয়ের গেট থেকেই ফিরে গেলেন

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৫:০০:১০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ জানুয়ারী ২০১৫
  • / ৯১৫ বার পঠিত

ঢাকা: সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা হয়নি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। প্রধানমন্ত্রী যখন বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ের সামনে যান ঘড়িতে তখন রাত ৮টা ৩৩ মিনিট। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে ফিরে যান তিনি। এর আগেই বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শিমুল বিশ্বাস সাংবাদিকদের জানান, শোকাহত খালেদা জিয়া অসুস্থ। তাকে ইনজেকশন দিয়ে ঘুম পাড়িয়ে রাখা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘বিএনপি নেত্রী অসুস্থ। চিকিৎসকের পরামর্শে তাকে ইনজেকশন দিয়ে ঘুমিয়ে রাখা হয়েছে- এ বিষয়টি আমি সন্ধ্যা প্রায় সাতটার সময় প্রধানমন্ত্রীর এপিএস সাইফুজ্জামান শেখরকে জানিয়েছি।’ খালেদা জিয়া সুস্থতা বোধ করলে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়কে জানানো হবে এবং প্রধানমন্ত্রী চাইলে তখন আসতে পারবেন।
খালেদা জিয়ার বিশেষ সহকারী বলেন, ‘এরপরও প্রধানমন্ত্রী চলে এসেছেন। আমরা তার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। কিন্তু আমি শোক বই নিয়ে ছুটে গিয়ে দেখি তিনি চলে গেছেন। এ সময় তাদের দলের অন্য কাউকেও আমি পাইনি।
ওদিকে, প্রধানমন্ত্রীর গাড়িবহর খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয় ত্যাগ করার পর প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, সম্পূর্ণ মানবিক কারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে সমবেদনা জানাতে এসেছিলেন। কিন্তু তার কার্যালয়ের ফটকটি খুলে দেয়া হয়নি। বিএনপির কেউ প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনাও জানাননি। এটি সম্পূর্ণ শিষ্টাচারবিবর্জিত ও অভদ্রোচিত।
ওদিকে, পরে আবারও সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন শিমুল বিশ্বাস। তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়া এবং পুরো জাতি আজ শোকাহত। আমরা চাই না কেউ এই শোককে নিয়ে নোংরা রাজনীতি করুক। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়কে এক ঘণ্টা আগেই জানানো হয়েছিল ম্যাডাম অসুস্থ ও তাকে ইনজেকশন দিয়ে ঘুম পাড়িয়ে রাখা হয়েছে। তিনি সুস্থতা বোধ করলে জানানো হবে। তারপরও আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ না করেই প্রধানমন্ত্রী এসেছেন।  তিনি বলেন,প্রধানমন্ত্রীর গাড়িবহর আসার পরই আমি দৌড়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু অপেক্ষা না করেই প্রধানমন্ত্রী দ্রুত ফিরে গেছেন।
এদিকে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যুর সংবাদ শনিবার দুপুরে ছড়িয়ে পড়ে। শোকাহত খালেদা জিয়াকে সান্তনা দিতে আত্মীয়স্বজন ও নেতাকর্মীরা গুলশান কার্যালয়ে আসতে থাকেন।
সন্ধ্যার দিকে ছড়িয়ে পড়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খালেদা জিয়াকে সান্তনা দিতে আসছেন। এরই মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয় ঘিরে অবস্থান নিতে থাকেন। তবে শেষ পর্যন্ত বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা হয়নি প্রধানমন্ত্রীর। শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদসহ আরও কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন।
উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বামী ড. ওয়াজেদ মিয়ার মৃত্যুতে ২০০৯ সালের ৯ মে খালেদা জিয়া সুধাসদনে গিয়েছিলেন। তবে সেটা ছিল মৃত্যুর পরের দিন। মাঝখানে দুই নেত্রীর মধ্যে কথা হয়। এরপর গত ২৬ অক্টোবর অবশ্য ফোনে তাদের কথা হয়েছিল কিন্তু সেটা মোটেও উষ্ণ ছিল না। সংসদ ভবনের এলডি হলে শেখ হাসিনার সন্তানের বিয়েতেও যোগ দিয়েছিলেন খালেদা জিয়া।

Tag :

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

About Author Information

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেখা পেলেন না খালেদা জিয়ার : গুলশান কার্যালয়ের গেট থেকেই ফিরে গেলেন

প্রকাশের সময় : ০৫:০০:১০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ জানুয়ারী ২০১৫

ঢাকা: সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা হয়নি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। প্রধানমন্ত্রী যখন বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ের সামনে যান ঘড়িতে তখন রাত ৮টা ৩৩ মিনিট। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে ফিরে যান তিনি। এর আগেই বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শিমুল বিশ্বাস সাংবাদিকদের জানান, শোকাহত খালেদা জিয়া অসুস্থ। তাকে ইনজেকশন দিয়ে ঘুম পাড়িয়ে রাখা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘বিএনপি নেত্রী অসুস্থ। চিকিৎসকের পরামর্শে তাকে ইনজেকশন দিয়ে ঘুমিয়ে রাখা হয়েছে- এ বিষয়টি আমি সন্ধ্যা প্রায় সাতটার সময় প্রধানমন্ত্রীর এপিএস সাইফুজ্জামান শেখরকে জানিয়েছি।’ খালেদা জিয়া সুস্থতা বোধ করলে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়কে জানানো হবে এবং প্রধানমন্ত্রী চাইলে তখন আসতে পারবেন।
খালেদা জিয়ার বিশেষ সহকারী বলেন, ‘এরপরও প্রধানমন্ত্রী চলে এসেছেন। আমরা তার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। কিন্তু আমি শোক বই নিয়ে ছুটে গিয়ে দেখি তিনি চলে গেছেন। এ সময় তাদের দলের অন্য কাউকেও আমি পাইনি।
ওদিকে, প্রধানমন্ত্রীর গাড়িবহর খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয় ত্যাগ করার পর প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, সম্পূর্ণ মানবিক কারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে সমবেদনা জানাতে এসেছিলেন। কিন্তু তার কার্যালয়ের ফটকটি খুলে দেয়া হয়নি। বিএনপির কেউ প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনাও জানাননি। এটি সম্পূর্ণ শিষ্টাচারবিবর্জিত ও অভদ্রোচিত।
ওদিকে, পরে আবারও সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন শিমুল বিশ্বাস। তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়া এবং পুরো জাতি আজ শোকাহত। আমরা চাই না কেউ এই শোককে নিয়ে নোংরা রাজনীতি করুক। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়কে এক ঘণ্টা আগেই জানানো হয়েছিল ম্যাডাম অসুস্থ ও তাকে ইনজেকশন দিয়ে ঘুম পাড়িয়ে রাখা হয়েছে। তিনি সুস্থতা বোধ করলে জানানো হবে। তারপরও আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ না করেই প্রধানমন্ত্রী এসেছেন।  তিনি বলেন,প্রধানমন্ত্রীর গাড়িবহর আসার পরই আমি দৌড়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু অপেক্ষা না করেই প্রধানমন্ত্রী দ্রুত ফিরে গেছেন।
এদিকে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যুর সংবাদ শনিবার দুপুরে ছড়িয়ে পড়ে। শোকাহত খালেদা জিয়াকে সান্তনা দিতে আত্মীয়স্বজন ও নেতাকর্মীরা গুলশান কার্যালয়ে আসতে থাকেন।
সন্ধ্যার দিকে ছড়িয়ে পড়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খালেদা জিয়াকে সান্তনা দিতে আসছেন। এরই মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয় ঘিরে অবস্থান নিতে থাকেন। তবে শেষ পর্যন্ত বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা হয়নি প্রধানমন্ত্রীর। শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদসহ আরও কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন।
উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বামী ড. ওয়াজেদ মিয়ার মৃত্যুতে ২০০৯ সালের ৯ মে খালেদা জিয়া সুধাসদনে গিয়েছিলেন। তবে সেটা ছিল মৃত্যুর পরের দিন। মাঝখানে দুই নেত্রীর মধ্যে কথা হয়। এরপর গত ২৬ অক্টোবর অবশ্য ফোনে তাদের কথা হয়েছিল কিন্তু সেটা মোটেও উষ্ণ ছিল না। সংসদ ভবনের এলডি হলে শেখ হাসিনার সন্তানের বিয়েতেও যোগ দিয়েছিলেন খালেদা জিয়া।