নিউইয়র্ক ১১:৫৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

প্রধানমন্ত্রীর সঠিক সিদ্ধান্তেই বন্ধ হচ্ছে বিমানের লোকসানী রুট ঢাকা-রোম

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৯:৫০:০২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ এপ্রিল ২০১৫
  • / ৫৯৮ বার পঠিত

ঢাকা: বছরের পর বছর শত শত কোটি টাকা লোকসানের পর ‘মাফিয়া-সিন্ডিকেট’ ভাঙ্গতে অবশেষে কিছুটা হলেও উদ্যোগী হয়েছেন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) জামাল উদ্দিন আহমেদ। তারই অংশ হিসেবে চলতি বছরের শুরুতে নতুন করে দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই উদ্যোগ নিয়েছেন ঢাকা-রোম সহ লাভজনক নয় এমন সব রুট বন্ধ করার। লোকসানী রুট চালু না রাখার পাশাপাশি বলাকা’র পুকুর চোরদেরও একে একে ‘কিক আউট’ করতে এখন বদ্ধপরিকর সাবেক এই বিমানবাহিনী প্রধান। অনেক বিলম্বে হলেও স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গ্রীন সিগনালে রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী এই সংস্থায় পরিবর্তনের যে হাওয়া বইতে শুরু করেছে, তা অব্যাহত রাখারই ইঙ্গিত দিচ্ছে নির্ভরযোগ্য সূত্র।
লোকসানী গন্তব্যের তালিকায় শীর্ষে অবস্থান করা ঢাকা-রোম রুট আসছে ১০ এপ্রিল থেকে বন্ধ হচ্ছে এমন সংবাদ ইতিমধ্যে ফলাও করে প্রচারিত হয়েছে সংবাদ মাধ্যমে। প্রতি ফ্লাইটে ৮৮ লাখ টাকা লোকসানের বোঝা বহন করা এই রুটটিকে এতোদিন ‘প্রেস্টিজিয়াস’ বলে চালিয়ে দেয়া হলেও বিশ্লেষকরা বলছেন, কঠিন বাস্তবতাকে মেনে নেয়ার সময় এসেছে আজ। বিমানের বিদেশী নতুন এমডি কাইল হেউড সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ‘বিমান যেহেতু কোন দাতব্য চিকিৎসালয় নয় তাই ব্যবসা করতে হলে লোকসানী রুট সব বন্ধ করে দেয়াই শ্রেয়’। চেয়ারম্যান জামাল উদ্দিন আহমেদেরও একই কথা, ‘রোম ফ্লাইট কখনই লাভজনক ছিল না এবং শীঘ্রই লাভজনক করার কোন সম্ভাবনাও নেই’।
সত্তরের দশকে চালু হওয়া ঢাকা-রোম রুট মাঝখানে ৭ বছর বন্ধ থাকার পর ২০১৩ সালে পুনরায় চালু হয়। লোকসানের বোঝা দিনকে দিন ভারী হবার প্রেক্ষিতে রুটটি নতুন করে বন্ধ করে দেয়ার সিদ্ধান্তে একদিকে ‘ধান্ধা’ কমে যাবার আশংকায় ঢাকাস্থ বিমানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে যেমন হতাশার সুর, অন্যদিকে ইতালীস্থ বাংলাদেশ কমিউনিটির নেতারাও প্রকাশ করেছেন তাদের মিশ্র প্রতিক্রিয়া। রুটটিকে লাভজনক করার চেষ্টা না করে বন্ধ করে দেয়ার সিদ্ধান্ত কেন? এমন প্রশ্ন রেখে কেউ কেউ নাখোশ তবে লোকসানের বোঝা আর কতকাল বইবে বিমান বা লাভজনক করার ফর্মূলা নিয়ে কথা বলছেন না কেউই।
লোকসান সত্বেও রোম-ঢাকা রুটে ফ্লাইট চালু রাখার যুক্তি দেখিয়ে বলা হচ্ছে, ইতালীতে ২ লাখের বেশি বাংলাদেশীর বসবাস এবং রেমিটেন্স পাঠিয়ে তারা বাংলাদেশের অর্থনীতির চাকাকে সচল রাখছেন। এটাও বলা হচ্ছে, বিমান যেহেতু বিনামূল্যে প্রবাসী বাংলাদেশীদের লাশ বহন করে থাকে তাই নতুন এই সিদ্ধান্তের ফলে আর্থিক ক্ষতির মুখোমুখি হবেন তারা। পর্যবেক্ষক মহল অবশ্য বলছেন, ইতালীতে যে ২ লক্ষাধিক বাংলাদেশীর কথা বলা হচ্ছে, দেশটির উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী বেনেদেত্তো দেল্লা ভেদোভার দেয়া তথ্য মোতাবেক তার মধ্যে প্রায় ১ লাখই অবৈধ। তার মানে এই ১ লাখের দেশে যাবার কাগজপত্র না থাকায় বিমানের ফ্লাইট চালু থাকলে বা বন্ধ হয়ে গেলে তাদের ওপর এর কোন প্রভাব পড়ছে না।
অন্যদিকে বাকি যে ১ লাখ বৈধ বাংলাদেশী আছেন ইতালীতে, দুর্ভাগ্যজনকভাবে তাদের অর্ধেকেরও বেশি আবার দেশে যাওয়া-আসার সময় বিমানে ভ্রমণ করেন না এবং বেছে নেন বিভিন্ন এয়ারলাইন্স। ফলে প্রতি ফ্লাইটে ৮৮ লাখ টাকা লোকসান সত্বেও শুধুমাত্র বিনামূল্যে লাশ বহন করার জন্য রোম-ঢাকা রুট চালু রাখার যৌক্তিকতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে অনেক আগেই। সরকারী সিদ্ধান্তের সমালোচকরা এটাও বলছেন, বিমানের ফ্লাইট বন্ধ হয়ে গেলে নাকি এই রুটে অন্যান্য এয়ারলাইন্সের ভাড়া দ্বিগুণ বেড়ে যাবে। এমিরেটস ও টার্কিশ সহ আরো কয়েকটি এয়ারলাইন্সের সাথে কর্মকর্তা পর্যায়ে কথা বলে এই প্রতিবেদক নিশ্চিত হয়েছেন, যে ৭ বছর বিমান ছিল না তখন ভাড়া দ্বিগুণ হয়নি এবং আজ আরো বেশি প্রতিযোগিতামূলক বাজারে সবকিছুই স্থিতিশীল থাকবে।
গৃহীত সিদ্ধান্ত মোতাবেক বিমানের রোম-ঢাকা রুট বন্ধ হবার পর সত্যিকার অর্থে কারা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন সে প্রশ্নও সামনে আসছে যৌক্তিক কারণেই। অনুসন্ধানে জানা যায়, কান্ট্রি ম্যানেজার যখন যিনি দায়িত্বে থাকেন তার সাথে যোগসাজশে এক শ্রেনীরে ব্যবসায়ীরা টিকেট বানিজ্য করে থাকেন ফ্রি স্টাইলে। ফলে আমজনতা টিকেট কিনতে গিয়ে জানতে পারে সিট নেই আবার বিমান আকাশে ওড়ার পর সিট খালি যাওয়া রীতিমতো ‘ট্রেডিশন’ বছরের পর বছর। ঢাকা-রোম রুট বন্ধ হলে বাংলাদেশের বাবা ট্যাবলেট তথা ইয়াবার ‘বিগ ভলিউম’ ডিরেক্ট চালান বাধাগ্রস্ত হবে। পাইলট-কেবিনক্রুদের রকমারী কায়-কারবারও হোঁচট খাবে সর্বাগ্রে। ‘আকাশে শান্তির নীড়’ প্রচার করে বিমান যাতে কি দেশে কি বিদেশে সবার অশান্তির কারণ না হয়, সেটাই আজ প্রত্যাশা ১৬০টি দেশে বসবাসরত ১ কোটি প্রবাসী বাংলাদেশীর।
আশার কথা, কঠিন এই সত্যটি দেরিতে হলেও আজ অনুধাবন করা হয়েছে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায়ে। কারণ বিমানের পরিচালনা পর্ষদ গত ডিসেম্বরে ভেঙ্গে দেবার পর এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) জামাল উদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে নতুন করে পর্ষদ ঢেলে সাজানো ছিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একান্ত ইচ্ছারই প্রতিফলন। প্রধানমন্ত্রীর অত্যন্ত আস্থাভাজন ও বিশ্বস্ত ব্যক্তি হিসেবে চেয়ারম্যানের সামনেও এখন নতুন চ্যালেঞ্জ। বিগত পর্ষদে দায়িত্বে থাকাকালীণ যে বিশেষ রাজনৈতিক চাপের কারণে বারবার বাধাগ্রস্ত হয়েছেন তিনি, এবার তার পুনরাবৃত্তি ঘটতে দেয়া হবে না এমন আশ্বাস প্রধানমন্ত্রীর তরফ থেকেই। এটাও সত্য যে, বিমানের মাফিয়া-সিন্ডিকেটের মূলোৎপাটনে ব্যর্থ হলে কলংকের বোঝা তারাই বহন করবেন আজীবন, যাদের হাতে এখন ক্ষমতা।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

About Author Information

প্রধানমন্ত্রীর সঠিক সিদ্ধান্তেই বন্ধ হচ্ছে বিমানের লোকসানী রুট ঢাকা-রোম

প্রকাশের সময় : ০৯:৫০:০২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ এপ্রিল ২০১৫

ঢাকা: বছরের পর বছর শত শত কোটি টাকা লোকসানের পর ‘মাফিয়া-সিন্ডিকেট’ ভাঙ্গতে অবশেষে কিছুটা হলেও উদ্যোগী হয়েছেন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) জামাল উদ্দিন আহমেদ। তারই অংশ হিসেবে চলতি বছরের শুরুতে নতুন করে দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই উদ্যোগ নিয়েছেন ঢাকা-রোম সহ লাভজনক নয় এমন সব রুট বন্ধ করার। লোকসানী রুট চালু না রাখার পাশাপাশি বলাকা’র পুকুর চোরদেরও একে একে ‘কিক আউট’ করতে এখন বদ্ধপরিকর সাবেক এই বিমানবাহিনী প্রধান। অনেক বিলম্বে হলেও স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গ্রীন সিগনালে রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী এই সংস্থায় পরিবর্তনের যে হাওয়া বইতে শুরু করেছে, তা অব্যাহত রাখারই ইঙ্গিত দিচ্ছে নির্ভরযোগ্য সূত্র।
লোকসানী গন্তব্যের তালিকায় শীর্ষে অবস্থান করা ঢাকা-রোম রুট আসছে ১০ এপ্রিল থেকে বন্ধ হচ্ছে এমন সংবাদ ইতিমধ্যে ফলাও করে প্রচারিত হয়েছে সংবাদ মাধ্যমে। প্রতি ফ্লাইটে ৮৮ লাখ টাকা লোকসানের বোঝা বহন করা এই রুটটিকে এতোদিন ‘প্রেস্টিজিয়াস’ বলে চালিয়ে দেয়া হলেও বিশ্লেষকরা বলছেন, কঠিন বাস্তবতাকে মেনে নেয়ার সময় এসেছে আজ। বিমানের বিদেশী নতুন এমডি কাইল হেউড সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ‘বিমান যেহেতু কোন দাতব্য চিকিৎসালয় নয় তাই ব্যবসা করতে হলে লোকসানী রুট সব বন্ধ করে দেয়াই শ্রেয়’। চেয়ারম্যান জামাল উদ্দিন আহমেদেরও একই কথা, ‘রোম ফ্লাইট কখনই লাভজনক ছিল না এবং শীঘ্রই লাভজনক করার কোন সম্ভাবনাও নেই’।
সত্তরের দশকে চালু হওয়া ঢাকা-রোম রুট মাঝখানে ৭ বছর বন্ধ থাকার পর ২০১৩ সালে পুনরায় চালু হয়। লোকসানের বোঝা দিনকে দিন ভারী হবার প্রেক্ষিতে রুটটি নতুন করে বন্ধ করে দেয়ার সিদ্ধান্তে একদিকে ‘ধান্ধা’ কমে যাবার আশংকায় ঢাকাস্থ বিমানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে যেমন হতাশার সুর, অন্যদিকে ইতালীস্থ বাংলাদেশ কমিউনিটির নেতারাও প্রকাশ করেছেন তাদের মিশ্র প্রতিক্রিয়া। রুটটিকে লাভজনক করার চেষ্টা না করে বন্ধ করে দেয়ার সিদ্ধান্ত কেন? এমন প্রশ্ন রেখে কেউ কেউ নাখোশ তবে লোকসানের বোঝা আর কতকাল বইবে বিমান বা লাভজনক করার ফর্মূলা নিয়ে কথা বলছেন না কেউই।
লোকসান সত্বেও রোম-ঢাকা রুটে ফ্লাইট চালু রাখার যুক্তি দেখিয়ে বলা হচ্ছে, ইতালীতে ২ লাখের বেশি বাংলাদেশীর বসবাস এবং রেমিটেন্স পাঠিয়ে তারা বাংলাদেশের অর্থনীতির চাকাকে সচল রাখছেন। এটাও বলা হচ্ছে, বিমান যেহেতু বিনামূল্যে প্রবাসী বাংলাদেশীদের লাশ বহন করে থাকে তাই নতুন এই সিদ্ধান্তের ফলে আর্থিক ক্ষতির মুখোমুখি হবেন তারা। পর্যবেক্ষক মহল অবশ্য বলছেন, ইতালীতে যে ২ লক্ষাধিক বাংলাদেশীর কথা বলা হচ্ছে, দেশটির উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী বেনেদেত্তো দেল্লা ভেদোভার দেয়া তথ্য মোতাবেক তার মধ্যে প্রায় ১ লাখই অবৈধ। তার মানে এই ১ লাখের দেশে যাবার কাগজপত্র না থাকায় বিমানের ফ্লাইট চালু থাকলে বা বন্ধ হয়ে গেলে তাদের ওপর এর কোন প্রভাব পড়ছে না।
অন্যদিকে বাকি যে ১ লাখ বৈধ বাংলাদেশী আছেন ইতালীতে, দুর্ভাগ্যজনকভাবে তাদের অর্ধেকেরও বেশি আবার দেশে যাওয়া-আসার সময় বিমানে ভ্রমণ করেন না এবং বেছে নেন বিভিন্ন এয়ারলাইন্স। ফলে প্রতি ফ্লাইটে ৮৮ লাখ টাকা লোকসান সত্বেও শুধুমাত্র বিনামূল্যে লাশ বহন করার জন্য রোম-ঢাকা রুট চালু রাখার যৌক্তিকতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে অনেক আগেই। সরকারী সিদ্ধান্তের সমালোচকরা এটাও বলছেন, বিমানের ফ্লাইট বন্ধ হয়ে গেলে নাকি এই রুটে অন্যান্য এয়ারলাইন্সের ভাড়া দ্বিগুণ বেড়ে যাবে। এমিরেটস ও টার্কিশ সহ আরো কয়েকটি এয়ারলাইন্সের সাথে কর্মকর্তা পর্যায়ে কথা বলে এই প্রতিবেদক নিশ্চিত হয়েছেন, যে ৭ বছর বিমান ছিল না তখন ভাড়া দ্বিগুণ হয়নি এবং আজ আরো বেশি প্রতিযোগিতামূলক বাজারে সবকিছুই স্থিতিশীল থাকবে।
গৃহীত সিদ্ধান্ত মোতাবেক বিমানের রোম-ঢাকা রুট বন্ধ হবার পর সত্যিকার অর্থে কারা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন সে প্রশ্নও সামনে আসছে যৌক্তিক কারণেই। অনুসন্ধানে জানা যায়, কান্ট্রি ম্যানেজার যখন যিনি দায়িত্বে থাকেন তার সাথে যোগসাজশে এক শ্রেনীরে ব্যবসায়ীরা টিকেট বানিজ্য করে থাকেন ফ্রি স্টাইলে। ফলে আমজনতা টিকেট কিনতে গিয়ে জানতে পারে সিট নেই আবার বিমান আকাশে ওড়ার পর সিট খালি যাওয়া রীতিমতো ‘ট্রেডিশন’ বছরের পর বছর। ঢাকা-রোম রুট বন্ধ হলে বাংলাদেশের বাবা ট্যাবলেট তথা ইয়াবার ‘বিগ ভলিউম’ ডিরেক্ট চালান বাধাগ্রস্ত হবে। পাইলট-কেবিনক্রুদের রকমারী কায়-কারবারও হোঁচট খাবে সর্বাগ্রে। ‘আকাশে শান্তির নীড়’ প্রচার করে বিমান যাতে কি দেশে কি বিদেশে সবার অশান্তির কারণ না হয়, সেটাই আজ প্রত্যাশা ১৬০টি দেশে বসবাসরত ১ কোটি প্রবাসী বাংলাদেশীর।
আশার কথা, কঠিন এই সত্যটি দেরিতে হলেও আজ অনুধাবন করা হয়েছে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায়ে। কারণ বিমানের পরিচালনা পর্ষদ গত ডিসেম্বরে ভেঙ্গে দেবার পর এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) জামাল উদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে নতুন করে পর্ষদ ঢেলে সাজানো ছিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একান্ত ইচ্ছারই প্রতিফলন। প্রধানমন্ত্রীর অত্যন্ত আস্থাভাজন ও বিশ্বস্ত ব্যক্তি হিসেবে চেয়ারম্যানের সামনেও এখন নতুন চ্যালেঞ্জ। বিগত পর্ষদে দায়িত্বে থাকাকালীণ যে বিশেষ রাজনৈতিক চাপের কারণে বারবার বাধাগ্রস্ত হয়েছেন তিনি, এবার তার পুনরাবৃত্তি ঘটতে দেয়া হবে না এমন আশ্বাস প্রধানমন্ত্রীর তরফ থেকেই। এটাও সত্য যে, বিমানের মাফিয়া-সিন্ডিকেটের মূলোৎপাটনে ব্যর্থ হলে কলংকের বোঝা তারাই বহন করবেন আজীবন, যাদের হাতে এখন ক্ষমতা।