নিউইয়র্ক ০৮:২৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

নিউইয়র্কে হাসিনা-মোদি বৈঠক

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১০:৫৫:১৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫
  • / ৭৮১ বার পঠিত

নিউইয়র্ক: জাতিসংঘের ৭০তম সাধারণ অধিবেশনে অংশ নিতে নিউইয়র্ক সফররত বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বৈঠক হয়েছে। নিউইয়র্কের ম্যানহাটনের ওয়ালডর্ফ অ্যাস্টোরিয়া হোটেলে ২৪ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার দুই প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। উল্লেখ্য, তারা একই হোটেলে অবস্থান করছেন।
বৈঠকে বাংলাদেশ দলে উল্লেখযোগ্য নেতৃবৃন্দের মধ্যে ছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, প্রধানমন্ত্রীর দুই উপদেষ্টা গওহর রিজভী ও মশিউর রহমান এবং প্রধানমন্ত্রীর ছেলে ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজিব ওয়াজেদ জয় উপস্থিত ছিলেন। অপরদিকে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন দেশটির পররাষ্ট্রসচিবসহ কয়েকজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার পুত্র সজিব ওয়াজেদ জয়কে পরিচয় করিয়ে দেন।
PM Hasina-Modi-2হাসিনা-মোদীর বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রীর পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা গওহর রিজভী বলেন, বাংলাদেশ ও প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকটি ছিলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রিজিওনাল ও গ্লোবাল ইস্যুতে দু’জনের মতের মিল এক ও অভিন্ন। দুই দেশের মধ্যে সাম্প্রতিক সময়ে সম্পাদিত স্থলযোগাযোগ চুক্তি বাস্তবায়নের অগ্রগতিতে তারা দু’জনই সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। আগামীতেও ঐকমত্যের ভিত্তিতে দু’দেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় বাস্তবায়নে এক সঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকার করেন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী। সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয় বলে তিনি জানান।
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার সাম্প্রতিক সময়ের বিভিন্ন চুক্তি বাস্তবায়নে বাংলাদেশের সরকারি কর্মকর্তাদের তৎপরতার প্রশংসা করেন মোদি। কূটনৈতিক প্রটোকল বাদ দিয়ে সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে যোগাযোগ বাড়ানো উচিত বলেও আলোচনা হয় তাদের মধ্যে এমন তথ্য জানান গওহর রিজভী। তিনি জানান, দু’জনের সম্পর্ক অভিন্ন।
দু’দেশের সরকার প্রধান একই হোটেলে থাকায় এই বৈঠক, নাকি পূর্বনির্ধারিত ছিল- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে গওহর রিজভী বলেন, দু’জনের মতের মিল এমন একটা পর্যায়ে পৌঁছেছে চায়ের আড্ডায় কিংবা সৌজন্য সাক্ষাতে তারা দুজনই অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে দু’দেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন এবং সমস্যার সমাধানসহ তা বাস্তবায়নে ঐকমত্য হন।
উল্লেখ্য, গত জুন মাসে নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফরে দুই দেশের ঐতিহাসিক স্থল সীমান্ত চুক্তি বস্তবায়নের পথ তৈরি হয়। মীমাংসা হয় দীর্ঘদিন ধরে ঝুলে থাকা ছিটমহল সমস্যার।
এদিকে বৈঠকের পরপরই ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে টুইটারে এর ছবি শেয়ার করা হয়। তাতে লেখা হয়, ‘প্রতিবেশী এবং একজন মূল্যবান বন্ধুর সঙ্গে বৈঠকের পর….। জাতিসংঘ অধিবেশনে যোগ দিতে স্থানীয় সময় বুধবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাতে নিউইয়র্কে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদীও একই হোটেলে উঠেছেন।
এর আগে গত ১৯ অগাস্ট নয়া দিল্লিতে সর্বশেষ বৈঠক হয়েছিল দুই নেতার। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও জোরদার করার ওপর গুরুত্ব দিয়ে শেখ হাসিনা ওই সাক্ষাতে বলেছিলেন, বিশাল বাজারকে কাজে লাগাতে পারলে প্রতিবেশী এ দুই দেশ ‘বড় কিছু’ করতে পারে।
ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের স্ত্রী শুভ্রা মুখোপাধ্যায়ের শেষকৃত্যে অংশ নিতে সে সময় দিল্লি গিয়েছিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

About Author Information

নিউইয়র্কে হাসিনা-মোদি বৈঠক

প্রকাশের সময় : ১০:৫৫:১৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫

নিউইয়র্ক: জাতিসংঘের ৭০তম সাধারণ অধিবেশনে অংশ নিতে নিউইয়র্ক সফররত বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বৈঠক হয়েছে। নিউইয়র্কের ম্যানহাটনের ওয়ালডর্ফ অ্যাস্টোরিয়া হোটেলে ২৪ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার দুই প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। উল্লেখ্য, তারা একই হোটেলে অবস্থান করছেন।
বৈঠকে বাংলাদেশ দলে উল্লেখযোগ্য নেতৃবৃন্দের মধ্যে ছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, প্রধানমন্ত্রীর দুই উপদেষ্টা গওহর রিজভী ও মশিউর রহমান এবং প্রধানমন্ত্রীর ছেলে ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজিব ওয়াজেদ জয় উপস্থিত ছিলেন। অপরদিকে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন দেশটির পররাষ্ট্রসচিবসহ কয়েকজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার পুত্র সজিব ওয়াজেদ জয়কে পরিচয় করিয়ে দেন।
PM Hasina-Modi-2হাসিনা-মোদীর বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রীর পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা গওহর রিজভী বলেন, বাংলাদেশ ও প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকটি ছিলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রিজিওনাল ও গ্লোবাল ইস্যুতে দু’জনের মতের মিল এক ও অভিন্ন। দুই দেশের মধ্যে সাম্প্রতিক সময়ে সম্পাদিত স্থলযোগাযোগ চুক্তি বাস্তবায়নের অগ্রগতিতে তারা দু’জনই সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। আগামীতেও ঐকমত্যের ভিত্তিতে দু’দেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় বাস্তবায়নে এক সঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকার করেন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী। সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয় বলে তিনি জানান।
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার সাম্প্রতিক সময়ের বিভিন্ন চুক্তি বাস্তবায়নে বাংলাদেশের সরকারি কর্মকর্তাদের তৎপরতার প্রশংসা করেন মোদি। কূটনৈতিক প্রটোকল বাদ দিয়ে সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে যোগাযোগ বাড়ানো উচিত বলেও আলোচনা হয় তাদের মধ্যে এমন তথ্য জানান গওহর রিজভী। তিনি জানান, দু’জনের সম্পর্ক অভিন্ন।
দু’দেশের সরকার প্রধান একই হোটেলে থাকায় এই বৈঠক, নাকি পূর্বনির্ধারিত ছিল- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে গওহর রিজভী বলেন, দু’জনের মতের মিল এমন একটা পর্যায়ে পৌঁছেছে চায়ের আড্ডায় কিংবা সৌজন্য সাক্ষাতে তারা দুজনই অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে দু’দেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন এবং সমস্যার সমাধানসহ তা বাস্তবায়নে ঐকমত্য হন।
উল্লেখ্য, গত জুন মাসে নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফরে দুই দেশের ঐতিহাসিক স্থল সীমান্ত চুক্তি বস্তবায়নের পথ তৈরি হয়। মীমাংসা হয় দীর্ঘদিন ধরে ঝুলে থাকা ছিটমহল সমস্যার।
এদিকে বৈঠকের পরপরই ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে টুইটারে এর ছবি শেয়ার করা হয়। তাতে লেখা হয়, ‘প্রতিবেশী এবং একজন মূল্যবান বন্ধুর সঙ্গে বৈঠকের পর….। জাতিসংঘ অধিবেশনে যোগ দিতে স্থানীয় সময় বুধবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাতে নিউইয়র্কে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদীও একই হোটেলে উঠেছেন।
এর আগে গত ১৯ অগাস্ট নয়া দিল্লিতে সর্বশেষ বৈঠক হয়েছিল দুই নেতার। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও জোরদার করার ওপর গুরুত্ব দিয়ে শেখ হাসিনা ওই সাক্ষাতে বলেছিলেন, বিশাল বাজারকে কাজে লাগাতে পারলে প্রতিবেশী এ দুই দেশ ‘বড় কিছু’ করতে পারে।
ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের স্ত্রী শুভ্রা মুখোপাধ্যায়ের শেষকৃত্যে অংশ নিতে সে সময় দিল্লি গিয়েছিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।