থার্টি ফার্স্ট নাইটে রাজধানীতে কঠোর নিরাপত্তা
![](https://hakkatha.com/wp-content/uploads/2024/05/hakkathafav.png)
- প্রকাশের সময় : ০৫:০২:৩১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৪
- / ৭২৬ বার পঠিত
২০১৪ সালের বিদায় এবং ২০১৫ সালকে স্বাগত জানাতে প্রস্তত বাংলাদেশ। তবে যাতে কোনো ধরণের অনাকাঙ্খিত ঘটনা না ঘটে সেজন্য ঢাকা মহানগর বিশেষ করে রাজধানীতে কড়া নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এরই অংশ হিসাবে ইতোমধ্যেই রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে অত্যাধুনিক বডি ওর্ন ক্যামেরা বসানো হয়েছে। বুধবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার বেনজীর আহমেদ এ উদ্বোধন করেন। অত্যাধুনিক এই ক্যামেরার মাধ্যমে কেউ কোন ধরনের অস্ত্র-মাদকসহ বেআইনী দ্রব্যাদি বহন করলে পুলিশ তা সহজেই এই ক্যামেরার সাহায্যে সনাক্ত করতে পারবেন। থার্টিফাষ্ট নাইটে উশৃঙ্খলতা রুখতে রাজধানীর অভিজাত এলাকায় বারগুলোও বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সন্ধ্যার পর থেকেই পুলিশি টহল জোরদার করা হচ্ছে।
ডিএমপি কমিশনার বেনজীর আহমেদ নগরবাসীকে ইংরেজি নববর্ষের শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি ডিএমপি’র অনুমতি ছাড়া ঢাকা শহরের হোটেল, মোটেল, ক্লাব কিংবা ঢাকার অভ্যন্তরীণ কোথাও অনুষ্ঠানের আয়োজন না করার অনুরোধ করেন। তিনি নগরবাসী শান্তিপূর্ণভাবে দিনটি উদযাপনের পরামর্শ দিয়েছেন।
সকল ডিপ্লোম্যাটিক জোন, বিশেষ করে বারিধারা ও গুলশানের কূটনৈতিক পাড়া, গীর্জা, চার্চ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকাসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। একই সাথে যাতে কেউ মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালাতে না পারে সে জন্যও রাস্তায় এ্যালকোহল ডিটেক্টর মোতায়েন থাকছে।
ডিএমপি কমিশনার নগরবাসীকে আতশবাজি না ফোটানোর আহবান জানিয়েছেন। নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থার অংশ হিসাবে আজ ৩১ ডিসেম্বর ঢাকা শহরের সকল কমার্শিয়াল বার সন্ধ্যা ৬ টার পর বন্ধ রাখা হচ্ছে। যেকোন পরিস্থিতি মোকাবেলায় সাদা পোশাকে ডিবি পুলিশ, স্ট্রাইকিং রিজার্ভ, বোমা ডিসপোজাল ইউনিট, সোয়াত টিম মোতায়েন থাকছে। এছাড়াও ডিএমপি’র সদস্যগণ এপিসি, ওয়াটার ক্যানন, মোবাইল ওয়াচ টাওয়ার, মোবাইল কমান্ড সেন্টার, স্টিল ও ভিডিও ক্যামেরা, সিসিটিভি, ভেহিকল স্ক্যানার, এ্যালকোহল ডিটেক্টর, মেটাল ডিটেক্টর ও অত্যাধুনিক বডি ওর্ন ক্যামেরাগুলোও সচল থাকছে।
এছাড়া থার্টি ফার্স্ট নাইটে মোবাইল প্যাট্রোল, ফুট প্যাট্রোল, মোটর সাইকেল প্যাট্রোল, পুলিশ চেকপোস্ট ইত্যাদির মাধ্যমে যেকোন ধরণের জনউপদ্রব ঠেকাতে পুলিশ মাঠে তৎপর থাকবে।
ঢাকার পানশালা রাতভর বন্ধ থাকবে: ঢাকা শহরের বার বা পানশালাগুলো আজ বুধবার সন্ধ্যা ছয়টা থেকে কাল বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। থার্টি ফার্স্ট নাইট এবং ইংরেজি নববর্ষের প্রথম প্রহরকে সামনে রেখে এ নির্দেশনা জারি করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ। পুলিশ বলছে ইংরেজি নববর্ষ উদযাপনকালে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির যেকোনো ধরনের আশঙ্কা রোধ করতে তারা বদ্ধপরিকর। নির্দেশনায় কিছু বিশেষ এলাকায় যাতায়াতে নিয়ন্ত্রণ এবং উন্মুক্ত স্থানে যে কোন আয়োজন না করতে বলা হয়েছে। ফাইভ স্টার হোটেলের বিষয়ে তো বলছিনা। খুচরো গুলোর বিষয়ে কিছু অবজারভেশন আছে আমাদের।পানশালা বন্ধের নির্দেশনার বিষয়ে ডিএমপির মুখপাত্র মাসুদুর রহমান
ডিএমপির মুখপাত্র মাসুদুর রহমান বলেন, “বিভিন্ন সময় কিছু লোক মাতাল হয়েছে অপরাধমূলক কাজ করে বা রেকলেস ড্রাইভিং করে এসব অনাকাঙ্খিত কিছু না ঘটে সেজন্যই এ ব্যবস্থা। উন্মুক্ত স্থানে অনুষ্ঠানের নামে এক শ্রেণীর যুবক উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করে যা আমাদের সংস্কৃতির সঙ্গে যায়না।
কিন্তু ঢাকার বার বা পানশালাগুলো তো বৈধভাবে লাইসেন্স নিয়ে ব্যবসা করছে। সেগুলোকে ব্যবসা বন্ধ রাখতে বলার কারণ কি জানতে চাইলে তিনি বলেন, ফাইভ স্টার হোটেলের বিষয়ে তো বলছিনা। খুচরো গুলোর বিষয়ে কিছু অবজারভেশন আছে আমাদের।
উন্মুক্ত স্থানে অনুষ্ঠান না করার নির্দেশনার বিষয়ে তিনি বলেন, “উন্মুক্ত স্থানে অনুষ্ঠানের নামে এক শ্রেণীর যুবক উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করে যা আমাদের সংস্কৃতির সঙ্গে যায়না”।
রাত আটটায় বিভিন্ন এলাকা প্রবেশে ডিএমপির নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে তিনি বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় বনানী বা গুলশানে যারা বসবাস করেন তারা যেতে পারবে। অন্য ক্ষেত্রে মানুষের জরুরি প্রয়োজনের বিষয়টি আমাদের বিবেচনায় রয়েছে।
সারাবিশ্বে তো থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপন করা হয় বিভিন্ন আয়োজনে। এখানে আতশবাজি বা উন্মুক্ত স্থানে আয়োজন বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। উদযাপন বন্ধ বা কড়াকড়ি আরোপ কি যৌক্তিক ?
এ ব্যাপারে মাসুদুর রহমান বলেন, “আমরা সব সময় চাই শান্তিপূর্ণ অনুষ্ঠান হোক। কোন বিশৃঙ্খলা যাতে না হয় সেজন্য আমরা সজাগ। কিছু বিষয় আছে যেহেতু আমাদের কালচারের সাথে যায়না সেজন্য কিছু ক্ষেত্রে কড়াকড়ি আরোপ করতে হয়েছে।