নিউইয়র্ক ১১:০৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

তিনি যদি নিহত হন, তার দায়িত্ব অ্যাটর্নি জেনারেলকে নিতে হবে : মাহবুবে আলমকে ব্যারিস্টার মওদুদ

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৯:০০:১৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ মার্চ ২০১৫
  • / ৫৪০ বার পঠিত

ঢাকা: বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব, সাবেক প্রতিমন্ত্রী সালাহউদ্দিন আহমেদকে কেন খুঁজে বের করা হবে না এবং রোববার (১৫ মার্চ) তাঁকে আদালতে হাজির করার নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার (১২ মার্চ) বেলা সাড়ে ৩টার দিকে বিচারপতি কামরুল ইসলাম ও বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুরের বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। এর আগে সালাহউদ্দিন আহমেদকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আদালতে হাজির করার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে একটি আবেদন করেন তাঁর স্ত্রী সাবেক সংসদ সদস্য হাসিনা আহমেদ। দুপুরে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় তিনি আবেদনটি করেন। আবেদনে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, পুলিশের আইজিসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছে।
শুনানিতে সালাহউদ্দিন আহমেদের পক্ষের আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, ‘গত মঙ্গলবার (১০ মার্চ) রাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয় দিয়ে উত্তরার একটি বাসা থেকে তাঁকে উঠিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। এ বিষয়ে থানায় আমরা জিডি করতে চাইলেও পুলিশ জিডি গ্রহণ করেনি। দেশের একজন নাগরিক হিসেবে তাঁকে উদ্ধার করা জরুরী। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিষয়টি অস্বীকার করায় আমরা তাঁর জীবননাশের আশঙ্কা করছি। তাই তাঁকে উদ্ধার করার জন্য আদালতের নির্দেশনা কামনা করছি।’ রুলের বিরোধিতা করে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, ‘পুলিশের আইজির মাধ্যমে নিশ্চিত হয়েছি যে আইন শৃঙ্খলাবাহিনী তাঁকে গ্রেপ্তার বা আটক করেনি। রাজনীতিবিদরা নিজে পলাতক থেকে অনেক সময় রাজনৈতিকভাবে ফায়দা লোটার জন্য এ ধরনের আচরণ করে থাকেন।’ এ সময় আদালত অ্যাটর্নি জেনারেলকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করছি, তাঁকে আটক করা হয়নি। কিন্তু তিনি নিখোঁজ রয়েছেন, নাগরিক হিসেবে তাঁকে উদ্ধার করাটাও রাষ্ট্রের দায়িত্ব। পুলিশের এই বিষয়ে জিডি না নেওয়ার কোনো কারণ দেখি না।’ পুলিশ কেন জিডি নেয়নি সে প্রশ্ন রাখেন আদালত। আদালত আরো বলেন, ‘তিনি রাজনৈতিক ব্যক্তি হতে পারেন, তাই বলে কি আপনারা জিডি না নিয়ে এই ধরনের আচরণ করবেন?’
এ সময় অ্যাটর্নি জনারেল আদালতকে বলেন, ‘তাঁর বিরুদ্ধে অনেক মামলা রয়েছে। যেসব মামলায় তিনি অভিযুক্ত ও পলাতক আসামি। তাই পুলিশ হয়তো জিডি গ্রহণ করেনি।’ এ সময় সালাহউদ্দিন আহমেদের পক্ষের অপর আইনজীবী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, ‘তাঁকে যদি উদ্ধার না করা হয়, তাঁর দায়-দায়িত্ব কি অ্যাটর্নি জেনারেল নেবেন? তিনি (সালাহউদ্দিন আহমেদ) যদি নিহত হন, তখন তাঁর দায়িত্ব অ্যাটর্নি জেনারেলকে নিতে হবে।’ এ পর্যায়ে আদালত রুল জারি করেন।
এর আগে হাসিনা আহমেদ অভিযোগ করেন, সালাহ উদ্দিন আহমেদকে ফিরে পেতে তিনি উত্তরা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করতে গেলে পুলিশ তা গ্রহণ করেনি। তিনি বলেন, কোনো যৌক্তিক প্রেক্ষাপট ছাড়া সাধারণ ডায়েরি নিতে পারবে না বলে জানিয়েছে উত্তরা থানার পুলিশ। রাত সাড়ে ১০টার দিকে সালাহ উদ্দিন আহমেদের নিখোঁজ হওয়ার বিষয়ে জিডি করতে না পেরে উত্তরা থানা থেকে বের হয়ে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
এ ছাড়া বুধবার রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান এক বিবৃতিতে দাবি করেন, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও ২০-দলীয় জোটের মুখপাত্র সালাহ উদ্দিন আহমেদকে মঙ্গলবার রাতে উত্তরার একটি বাসা থেকে সাদা পোশাকে পুলিশ উঠিয়ে নিয়ে গেছে। তবে মহানগর পুলিশের উপকমিশনার মাসুদুর রহমান দাবি করেন, পুলিশ সালাহ উদ্দিনকে আটক করেনি। বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী গ্রেপ্তার হওয়ার পর সালাহউদ্দিন আহমেদ দল ও জোটের পক্ষে নিয়মিত বিবৃতি দিয়ে আসছিলেন। (দৈনিক আমার দেশ)

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

About Author Information

তিনি যদি নিহত হন, তার দায়িত্ব অ্যাটর্নি জেনারেলকে নিতে হবে : মাহবুবে আলমকে ব্যারিস্টার মওদুদ

প্রকাশের সময় : ০৯:০০:১৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ মার্চ ২০১৫

ঢাকা: বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব, সাবেক প্রতিমন্ত্রী সালাহউদ্দিন আহমেদকে কেন খুঁজে বের করা হবে না এবং রোববার (১৫ মার্চ) তাঁকে আদালতে হাজির করার নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার (১২ মার্চ) বেলা সাড়ে ৩টার দিকে বিচারপতি কামরুল ইসলাম ও বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুরের বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। এর আগে সালাহউদ্দিন আহমেদকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আদালতে হাজির করার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে একটি আবেদন করেন তাঁর স্ত্রী সাবেক সংসদ সদস্য হাসিনা আহমেদ। দুপুরে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় তিনি আবেদনটি করেন। আবেদনে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, পুলিশের আইজিসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছে।
শুনানিতে সালাহউদ্দিন আহমেদের পক্ষের আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, ‘গত মঙ্গলবার (১০ মার্চ) রাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয় দিয়ে উত্তরার একটি বাসা থেকে তাঁকে উঠিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। এ বিষয়ে থানায় আমরা জিডি করতে চাইলেও পুলিশ জিডি গ্রহণ করেনি। দেশের একজন নাগরিক হিসেবে তাঁকে উদ্ধার করা জরুরী। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিষয়টি অস্বীকার করায় আমরা তাঁর জীবননাশের আশঙ্কা করছি। তাই তাঁকে উদ্ধার করার জন্য আদালতের নির্দেশনা কামনা করছি।’ রুলের বিরোধিতা করে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, ‘পুলিশের আইজির মাধ্যমে নিশ্চিত হয়েছি যে আইন শৃঙ্খলাবাহিনী তাঁকে গ্রেপ্তার বা আটক করেনি। রাজনীতিবিদরা নিজে পলাতক থেকে অনেক সময় রাজনৈতিকভাবে ফায়দা লোটার জন্য এ ধরনের আচরণ করে থাকেন।’ এ সময় আদালত অ্যাটর্নি জেনারেলকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করছি, তাঁকে আটক করা হয়নি। কিন্তু তিনি নিখোঁজ রয়েছেন, নাগরিক হিসেবে তাঁকে উদ্ধার করাটাও রাষ্ট্রের দায়িত্ব। পুলিশের এই বিষয়ে জিডি না নেওয়ার কোনো কারণ দেখি না।’ পুলিশ কেন জিডি নেয়নি সে প্রশ্ন রাখেন আদালত। আদালত আরো বলেন, ‘তিনি রাজনৈতিক ব্যক্তি হতে পারেন, তাই বলে কি আপনারা জিডি না নিয়ে এই ধরনের আচরণ করবেন?’
এ সময় অ্যাটর্নি জনারেল আদালতকে বলেন, ‘তাঁর বিরুদ্ধে অনেক মামলা রয়েছে। যেসব মামলায় তিনি অভিযুক্ত ও পলাতক আসামি। তাই পুলিশ হয়তো জিডি গ্রহণ করেনি।’ এ সময় সালাহউদ্দিন আহমেদের পক্ষের অপর আইনজীবী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, ‘তাঁকে যদি উদ্ধার না করা হয়, তাঁর দায়-দায়িত্ব কি অ্যাটর্নি জেনারেল নেবেন? তিনি (সালাহউদ্দিন আহমেদ) যদি নিহত হন, তখন তাঁর দায়িত্ব অ্যাটর্নি জেনারেলকে নিতে হবে।’ এ পর্যায়ে আদালত রুল জারি করেন।
এর আগে হাসিনা আহমেদ অভিযোগ করেন, সালাহ উদ্দিন আহমেদকে ফিরে পেতে তিনি উত্তরা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করতে গেলে পুলিশ তা গ্রহণ করেনি। তিনি বলেন, কোনো যৌক্তিক প্রেক্ষাপট ছাড়া সাধারণ ডায়েরি নিতে পারবে না বলে জানিয়েছে উত্তরা থানার পুলিশ। রাত সাড়ে ১০টার দিকে সালাহ উদ্দিন আহমেদের নিখোঁজ হওয়ার বিষয়ে জিডি করতে না পেরে উত্তরা থানা থেকে বের হয়ে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
এ ছাড়া বুধবার রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান এক বিবৃতিতে দাবি করেন, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও ২০-দলীয় জোটের মুখপাত্র সালাহ উদ্দিন আহমেদকে মঙ্গলবার রাতে উত্তরার একটি বাসা থেকে সাদা পোশাকে পুলিশ উঠিয়ে নিয়ে গেছে। তবে মহানগর পুলিশের উপকমিশনার মাসুদুর রহমান দাবি করেন, পুলিশ সালাহ উদ্দিনকে আটক করেনি। বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী গ্রেপ্তার হওয়ার পর সালাহউদ্দিন আহমেদ দল ও জোটের পক্ষে নিয়মিত বিবৃতি দিয়ে আসছিলেন। (দৈনিক আমার দেশ)