নিউইয়র্ক ০৭:৪৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

ঢাকায় ডিসেম্বরে একদিনে ৫০ বছরের রেকর্ড বৃষ্টি

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১১:৪৫:০২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২১
  • / ৪৫ বার পঠিত

ঢাকা ডেস্ক : ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে গতকাল সোমবার (৬ ডিসেম্বর) সারা দিনই অঝোরে বৃষ্টি ঝরেছে। গতকাল সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত রাজধানী ঢাকাতে ৯৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। যা গত ৫০ বছরের ডিসেম্বরে মাসে একদিনে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টির রেকর্ড।খবর সাম্প্রতিক দেশকাল

এদিকে গত দুইদিনের মতো আজ মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) সকাল থেকেই গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে ঢাকায়। বৃষ্টি মাথায় নিয়েই রাজধানীর কর্মজীবী মানুষ ছুটছেন গন্তব্যে। বৃষ্টির মধ্যে গণপরিবহন না পাওয়ার দুর্ভোগে পড়েছেন কর্মজীবীরা।

আজ ঢাকার জন্য দেওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রাজধানীর আকাশ থেকে মেঘ সরে যেতে পারে। তবে সিলেট ও চট্টগ্রামে আরও কিছু সময় মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। আগামী ২৪ ঘন্টা বা দুইদিনের শেষের দিকে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা হ্রাস পেতে পারে বলে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে।

গত রবিবার (৫ ডিসেম্বর) রাজধানীতে ৪২ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছিল, তা ছিল গত ৫০ বছরের মধ্যে ডিসেম্বরে একদিনের হিসাবে তৃতীয় সর্বোচ্চ।

আবহাওয়ার বিচারে এই মাসে তেমন বৃষ্টি হয় না। কিন্তু গতকাল সকাল থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি তীব্রতা পায় দুপুরে আগ থেকে। বিকেলের মধ্যে রাজধানীর মিরপুর, উত্তরা, রামপুরা-বনশ্রী, কারওয়ান বাজার থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা হয়ে পুরান ঢাকার সদরঘাট পর্যন্ত জলাবদ্ধতা তৈরি হয়। কোথাও হাঁটু আবার কোথাও কোমরপানি ভেঙে রাজধানীর অনেক অধিবাসীকে বাসায় ফিরতে হয়েছে। তবে সন্ধ্যার পর বৃষ্টির দাপট কমে আসায় প্রধান সড়কগুলো থেকে পানি কমতে শুরু করে।

আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, বঙ্গোপসাগর সৃষ্টি হওয়া ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের কারণে তৈরি হওয়া বিশাল মেঘমালা বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল থেকে শুরু করে মধ্যাঞ্চল পর্যন্ত বিস্তৃত হয়ে পড়ে। আর মেঘমালা সবচেয়ে বেশি পুঞ্জীভূত হয়েছিল রাজধানী ও এর আশপাশের এলাকায়। যে কারণে দেশের মধ্য এলাকায় বৃষ্টি বেশি ঝরেছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের জলবায়ু পর্যবেক্ষণ বিভাগের কাছে থাকা তথ্য অনুযায়ী, আজ সোমবারের আগে এর কাছাকাছি মাত্রায় বৃষ্টি হয়েছে ২০১০ সালের ৯ ডিসেম্বর ৬১ মিলিমিটার। এর আগে ১৯৭৩ সালের ৮ ও ৯ ডিসেম্বর দুইদিনে ৪৪ ও ৪২ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছিল। তবে ডিসেম্বর মাসে সারা দেশে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাতের রেকর্ড রয়েছে কক্সবাজারের টেকনাফে। ২০১২ সালের ৯ ডিসেম্বর সেখানে ১৫৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে

গতকাল সন্ধ্যায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিমবঙ্গ-বাংলাদেশ উপকূলীয় এলাকায় অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি আরও দুর্বল হয়ে লঘুচাপ আকারে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশ উপকূলীয় এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আরও দুর্বল ও গুরুত্বহীন হয়ে পড়বে।

আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান বলেন, লঘুচাপ আছে, তাই এখনও সমুদ্র বন্দরে ৩ নম্বর সতর্কতা সংকেত এবং নদী বন্দরগুলোতে ১ নম্বর সতর্কতা সংকেত বলবৎ আছে।

Tag :

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

ঢাকায় ডিসেম্বরে একদিনে ৫০ বছরের রেকর্ড বৃষ্টি

প্রকাশের সময় : ১১:৪৫:০২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২১

ঢাকা ডেস্ক : ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে গতকাল সোমবার (৬ ডিসেম্বর) সারা দিনই অঝোরে বৃষ্টি ঝরেছে। গতকাল সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত রাজধানী ঢাকাতে ৯৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। যা গত ৫০ বছরের ডিসেম্বরে মাসে একদিনে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টির রেকর্ড।খবর সাম্প্রতিক দেশকাল

এদিকে গত দুইদিনের মতো আজ মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) সকাল থেকেই গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে ঢাকায়। বৃষ্টি মাথায় নিয়েই রাজধানীর কর্মজীবী মানুষ ছুটছেন গন্তব্যে। বৃষ্টির মধ্যে গণপরিবহন না পাওয়ার দুর্ভোগে পড়েছেন কর্মজীবীরা।

আজ ঢাকার জন্য দেওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রাজধানীর আকাশ থেকে মেঘ সরে যেতে পারে। তবে সিলেট ও চট্টগ্রামে আরও কিছু সময় মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। আগামী ২৪ ঘন্টা বা দুইদিনের শেষের দিকে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা হ্রাস পেতে পারে বলে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে।

গত রবিবার (৫ ডিসেম্বর) রাজধানীতে ৪২ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছিল, তা ছিল গত ৫০ বছরের মধ্যে ডিসেম্বরে একদিনের হিসাবে তৃতীয় সর্বোচ্চ।

আবহাওয়ার বিচারে এই মাসে তেমন বৃষ্টি হয় না। কিন্তু গতকাল সকাল থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি তীব্রতা পায় দুপুরে আগ থেকে। বিকেলের মধ্যে রাজধানীর মিরপুর, উত্তরা, রামপুরা-বনশ্রী, কারওয়ান বাজার থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা হয়ে পুরান ঢাকার সদরঘাট পর্যন্ত জলাবদ্ধতা তৈরি হয়। কোথাও হাঁটু আবার কোথাও কোমরপানি ভেঙে রাজধানীর অনেক অধিবাসীকে বাসায় ফিরতে হয়েছে। তবে সন্ধ্যার পর বৃষ্টির দাপট কমে আসায় প্রধান সড়কগুলো থেকে পানি কমতে শুরু করে।

আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, বঙ্গোপসাগর সৃষ্টি হওয়া ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের কারণে তৈরি হওয়া বিশাল মেঘমালা বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল থেকে শুরু করে মধ্যাঞ্চল পর্যন্ত বিস্তৃত হয়ে পড়ে। আর মেঘমালা সবচেয়ে বেশি পুঞ্জীভূত হয়েছিল রাজধানী ও এর আশপাশের এলাকায়। যে কারণে দেশের মধ্য এলাকায় বৃষ্টি বেশি ঝরেছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের জলবায়ু পর্যবেক্ষণ বিভাগের কাছে থাকা তথ্য অনুযায়ী, আজ সোমবারের আগে এর কাছাকাছি মাত্রায় বৃষ্টি হয়েছে ২০১০ সালের ৯ ডিসেম্বর ৬১ মিলিমিটার। এর আগে ১৯৭৩ সালের ৮ ও ৯ ডিসেম্বর দুইদিনে ৪৪ ও ৪২ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছিল। তবে ডিসেম্বর মাসে সারা দেশে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাতের রেকর্ড রয়েছে কক্সবাজারের টেকনাফে। ২০১২ সালের ৯ ডিসেম্বর সেখানে ১৫৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে

গতকাল সন্ধ্যায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিমবঙ্গ-বাংলাদেশ উপকূলীয় এলাকায় অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি আরও দুর্বল হয়ে লঘুচাপ আকারে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশ উপকূলীয় এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আরও দুর্বল ও গুরুত্বহীন হয়ে পড়বে।

আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান বলেন, লঘুচাপ আছে, তাই এখনও সমুদ্র বন্দরে ৩ নম্বর সতর্কতা সংকেত এবং নদী বন্দরগুলোতে ১ নম্বর সতর্কতা সংকেত বলবৎ আছে।