নিউইয়র্ক ১১:৩৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

টাঙ্গাইলের মেয়রের বিরুদ্ধে এবার অস্ত্র মামলার প্রস্তুতি

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৭:১০:৫১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ জুলাই ২০১৫
  • / ৭৭৬ বার পঠিত

টাঙ্গাইল: টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র সহিদুর রহমান খানের (মুক্তি) সার্বক্ষণিক সঙ্গী কাদের জোয়ার্দ্দারের কাছ থেকে দুটি পিস্তল, তিনটি ম্যাগাজিন ও তিনটি গুলি উদ্ধার করেছে পুলিশ। কাদের পুলিশকে জানিয়েছেন, পিস্তল দুটি মেয়র সহিদুর রহমানের। পুলিশ বলেছে, আগামী সাত দিনের মধ্যে এই অস্ত্র মামলায় অভিযোগপত্র দেওয়া হবে। এতে মেয়র সহিদুর, কাদের ও মেয়রের আরেক সার্বক্ষণিক সঙ্গী নাসিরুদ্দীন নুরুকে আসামি করা হচ্ছে। এর আগে বিভিন্ন সময়ে মেয়রের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় হত্যাসহ ৩৭টি মামলা হয়েছে। অবশ্য এর কোনোটিতে তাঁকে বিচারের মুখোমুখি হতে হয়নি।
গত বৃহস্পতিবার (৩০ জুলাই) দুপুরে টাঙ্গাইল সদরের পোড়াবাড়ী নামক স্থানে কাদেরের বাড়ি থেকে একটি ও তাঁদের শ্যালো মেশিনঘরের মাটির নিচ থেকে অপর অস্ত্রটি উদ্ধার করা হয়। গত ১৬ জুলাই রাতে মেয়রের শহরের বাসায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ ২৭ জনকে গ্রেপ্তার করে। এর মধ্যে কাদের জোয়ার্দ্দারও ছিলেন। পরে অবশ্য কাদের আদালত থেকে জামিনে মুক্ত হন। জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কাছে খবর ছিল, কাদেরের কাছে মেয়রের অস্ত্র আছে। এর ভিত্তিতেই বৃহস্প্রতিবার সকাল ১০টার দিকে টাঙ্গাইল শহর বাইপাসের রাবনা মোড় থেকে কাদেরকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশ। পরে গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-ডিবি) গোলাম মাহফীজুর রহমানের নেতৃত্বে কাদেরের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তাঁকে সঙ্গে নিয়েই অস্ত্র দুটি উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ জানায়, কাদের পুলিশের কাছে স্বীকারোক্তি দিয়ে বলেছেন, কয়েক মাস আগে শহরের কলেজপাড়া এলাকায় মেয়রের বাসার বৈঠকখানায় এই অস্ত্র দুটি তাঁর কাছে রাখতে দেওয়া হয়। প্রয়োজনে ব্যবহার করতেও বলা হয়। মেয়রের সামনে অস্ত্র দুটি তাঁর কাছে দেন মেয়রের দেহরক্ষী হিসেবে পরিচিত নাসিরুদ্দীন নুরু। পিস্তলের সঙ্গে একটি গুলির খোসা পাওয়া গেছে। পুলিশ বলছে, এই গুলিটি ব্যবহার করা হয়েছে। এ ছাড়া আরও তিনটি গুলি পিস্তলের সঙ্গে পাওয়া গেছে।
অস্ত্র উদ্ধারের পর বৃহস্প্রতিবার মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নেয় গোয়েন্দা পুলিশ। গোয়েন্দা পুলিশের উপ পরিদর্শক রাশিদুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা করছেন। এতে মেয়র সহিদুর, কাদের জোয়ার্দ্দার ও নুরুকে আসামি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন গোলাম মাহফীজুর। তিনি বলেন, আজ শুক্রবার কাদেরকে আদালতে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড চাওয়া হবে। তিনি বলেন, আশা করা যাচ্ছে তদন্ত শেষে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে এই মামলার অভিযোগপত্র আদালতে জমা দেওয়া সম্ভব হবে।
এঁদের মধ্যে মেয়র ও নুরু টাঙ্গাইলের আওয়ামী লীগ নেতা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলার অন্যতম সন্দেহভাজন। তবে ওই মামলার সঙ্গে কাদেরের কোনো সম্পৃক্ততা পুলিশ এখনো পর্যন্ত পায়নি।
এর আগে গত ২৭ ডিসেম্বর মেয়র সহিদুরের মামাতো ভাই পুনমকে চারটি অস্ত্রসহ পুলিশ গ্রেপ্তার করে। এই মামলায় মেয়রের অপর দুই ভাই ব্যবসায়ী নেতা জাহিদুর রহমান কাকন ও ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি সানিয়াত খান বাপ্পার বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে অভিযোগপত্র দিয়েছে পুলিশ।
এ ছাড়া কয়েক মাস আগে পুলিশ একটি বিদেশি পিস্তলসহ শহরের বিশ্বাস বেতকা এলাকা থেকে স্বপন নামক এক যুবককে গ্রেপ্তার করে। স্বপন পুলিশকে জানায়, এটি জাহিদুর রহমান কাকন দিয়েছিল। এই মামলায় কাকন ও স্বপনের বিরুদ্ধে পুলিশ অভিযোগপত্র দিয়েছে। (প্রথম আলো)

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

About Author Information

টাঙ্গাইলের মেয়রের বিরুদ্ধে এবার অস্ত্র মামলার প্রস্তুতি

প্রকাশের সময় : ০৭:১০:৫১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ জুলাই ২০১৫

টাঙ্গাইল: টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র সহিদুর রহমান খানের (মুক্তি) সার্বক্ষণিক সঙ্গী কাদের জোয়ার্দ্দারের কাছ থেকে দুটি পিস্তল, তিনটি ম্যাগাজিন ও তিনটি গুলি উদ্ধার করেছে পুলিশ। কাদের পুলিশকে জানিয়েছেন, পিস্তল দুটি মেয়র সহিদুর রহমানের। পুলিশ বলেছে, আগামী সাত দিনের মধ্যে এই অস্ত্র মামলায় অভিযোগপত্র দেওয়া হবে। এতে মেয়র সহিদুর, কাদের ও মেয়রের আরেক সার্বক্ষণিক সঙ্গী নাসিরুদ্দীন নুরুকে আসামি করা হচ্ছে। এর আগে বিভিন্ন সময়ে মেয়রের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় হত্যাসহ ৩৭টি মামলা হয়েছে। অবশ্য এর কোনোটিতে তাঁকে বিচারের মুখোমুখি হতে হয়নি।
গত বৃহস্পতিবার (৩০ জুলাই) দুপুরে টাঙ্গাইল সদরের পোড়াবাড়ী নামক স্থানে কাদেরের বাড়ি থেকে একটি ও তাঁদের শ্যালো মেশিনঘরের মাটির নিচ থেকে অপর অস্ত্রটি উদ্ধার করা হয়। গত ১৬ জুলাই রাতে মেয়রের শহরের বাসায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ ২৭ জনকে গ্রেপ্তার করে। এর মধ্যে কাদের জোয়ার্দ্দারও ছিলেন। পরে অবশ্য কাদের আদালত থেকে জামিনে মুক্ত হন। জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কাছে খবর ছিল, কাদেরের কাছে মেয়রের অস্ত্র আছে। এর ভিত্তিতেই বৃহস্প্রতিবার সকাল ১০টার দিকে টাঙ্গাইল শহর বাইপাসের রাবনা মোড় থেকে কাদেরকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশ। পরে গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-ডিবি) গোলাম মাহফীজুর রহমানের নেতৃত্বে কাদেরের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তাঁকে সঙ্গে নিয়েই অস্ত্র দুটি উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ জানায়, কাদের পুলিশের কাছে স্বীকারোক্তি দিয়ে বলেছেন, কয়েক মাস আগে শহরের কলেজপাড়া এলাকায় মেয়রের বাসার বৈঠকখানায় এই অস্ত্র দুটি তাঁর কাছে রাখতে দেওয়া হয়। প্রয়োজনে ব্যবহার করতেও বলা হয়। মেয়রের সামনে অস্ত্র দুটি তাঁর কাছে দেন মেয়রের দেহরক্ষী হিসেবে পরিচিত নাসিরুদ্দীন নুরু। পিস্তলের সঙ্গে একটি গুলির খোসা পাওয়া গেছে। পুলিশ বলছে, এই গুলিটি ব্যবহার করা হয়েছে। এ ছাড়া আরও তিনটি গুলি পিস্তলের সঙ্গে পাওয়া গেছে।
অস্ত্র উদ্ধারের পর বৃহস্প্রতিবার মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নেয় গোয়েন্দা পুলিশ। গোয়েন্দা পুলিশের উপ পরিদর্শক রাশিদুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা করছেন। এতে মেয়র সহিদুর, কাদের জোয়ার্দ্দার ও নুরুকে আসামি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন গোলাম মাহফীজুর। তিনি বলেন, আজ শুক্রবার কাদেরকে আদালতে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড চাওয়া হবে। তিনি বলেন, আশা করা যাচ্ছে তদন্ত শেষে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে এই মামলার অভিযোগপত্র আদালতে জমা দেওয়া সম্ভব হবে।
এঁদের মধ্যে মেয়র ও নুরু টাঙ্গাইলের আওয়ামী লীগ নেতা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলার অন্যতম সন্দেহভাজন। তবে ওই মামলার সঙ্গে কাদেরের কোনো সম্পৃক্ততা পুলিশ এখনো পর্যন্ত পায়নি।
এর আগে গত ২৭ ডিসেম্বর মেয়র সহিদুরের মামাতো ভাই পুনমকে চারটি অস্ত্রসহ পুলিশ গ্রেপ্তার করে। এই মামলায় মেয়রের অপর দুই ভাই ব্যবসায়ী নেতা জাহিদুর রহমান কাকন ও ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি সানিয়াত খান বাপ্পার বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে অভিযোগপত্র দিয়েছে পুলিশ।
এ ছাড়া কয়েক মাস আগে পুলিশ একটি বিদেশি পিস্তলসহ শহরের বিশ্বাস বেতকা এলাকা থেকে স্বপন নামক এক যুবককে গ্রেপ্তার করে। স্বপন পুলিশকে জানায়, এটি জাহিদুর রহমান কাকন দিয়েছিল। এই মামলায় কাকন ও স্বপনের বিরুদ্ধে পুলিশ অভিযোগপত্র দিয়েছে। (প্রথম আলো)