নিউইয়র্ক ০৮:০৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

জিয়াউর রহমানের ৩৪তম শাহাদত বার্ষিকী ৩০ মে

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৮:৪২:১২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩০ মে ২০১৫
  • / ১৭৫১ বার পঠিত

ঢাকা: বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষক, বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তক, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের (বীর উত্তম) ৩৪তম শাহাদত বার্ষিকী ৩০ মে। ১৯৮১ সালের এই দিন ভোরে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে বিপদগামী কিছু সেনাসদস্যের হাতে নির্মমভাবে নিহত হন তিনি। এরপর থেকে বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনগুলো দিনটি ‘জিয়াউর রহমানের শাহাদত’বার্ষিকী হিসেবে পালন করে আসছে। দিবসটি পালন উপলক্ষে প্রতিবছরের মতো এবারও নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে বিএনপি। কেন্দ্রীয় বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের পক্ষ থেকে এ বছর পনেরো দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। ২৭ মে বুধবার বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে কর্মসূচি শুরু হয়েছে। ২৮ মে বৃহস্পতিবার বিএনপি’র উদ্যোগে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। দিবসটি উপলক্ষে বিভিন্ন সংবাদপত্রে বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করা হয়েছে।
জিয়াউর রহমানের সংক্ষিপ্ত জীবনী: জিয়াউর রহমান ১৯৩৬ সালের ১৯ জানুয়ারী বগুড়ার গাবতলীতে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ইস্ট বাংলা রেজিমেন্ট-ইপিআরের বাঙালী পল্টুনের মেজর ছিলেন। স্বাধীনতার পর তিনি তৎকালীন বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক বীর উত্তম খেতাবে ভূষিত হন। এরপর তিনি সেনাবাহিনীর প্রধান হন। খন্দকার মোশতাক সরকারের ৮১ দিনের শাসনের পর ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর তিনি বাংলাদেশের প্রধান সেনা প্রশাসক ও রাষ্ট্রপতির দায়িত্বগ্রহণ করেন। তিনি প্রথমে জাতীয় গণতান্ত্রিক দল (জাগদল) এবং ১৯৭৭ সালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি গঠন করেন।
জিয়ার শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষে ৩০ মে দুপুর থেকে দু’দিন রাজধানীর বিভিন্ন স্পটে দুস্থদের মাঝে খাবার বিতরণ করবেন দলটির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। এ কর্মসূচি নির্বিঘেœ করতে দলের নেতাকর্মীদের বিভিন্ন নির্দেশনা দেয়া হয়েছে দলের পক্ষ থেকে। ২৯ মে শুক্রবার রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের শীর্ষ নেতাদের উপস্থিতিতে একটি যৌথ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় এসব নির্দেশনা দেয়া হয়।
এদিকে জিয়াউর রহমানের শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষে ৩০ সকাল ৬টায় নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সারা দেশের দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হবে। নেতা-কর্মীরা কালো ব্যাজ ধারণ করবেন। কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে নিয়ে বেলা ১১টায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া শেরেবাংলা নগরে জিয়ার মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন ও ফাতেহা পাঠ করবেন। মাজার প্রাঙ্গণে ওলামা দলের উদ্যোগে দোয়া মাহফিলে অংশ নেবেন তিনি। ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) উদ্যোগে মাজার প্রাঙ্গণে স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচির উদ্বোধন করবেন খালেদা জিয়া। এ ছাড়া সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত ড্যাবের উদ্যোগে নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মেডিকেল ক্যাম্প ও বিনা মূল্যে চিকিৎসাসেবা এবং ওষুধ বিতরণ করা হবে।
সকালে জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা শেষে রাজধানীতে তিন দিনব্যাপী দুস্থদের মাঝে খাবার বিতরণ কর্মসূচি উদ্বোধন করবেন খালেদা জিয়া। মোহাম্মদপুর টাউন হল থেকে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এ কর্মসূচি শুরু করার কথা রয়েছে।
১৯৭১ সালে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার হিসেবে জিয়াউর রহমানের ভূমিকা অবিস্মরণীয় হয়ে আছে। ‘জেড ফোর্সে’র অধিনায়ক হিসেবে রণাঙ্গনে যুদ্ধ করেন তিনি। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সেনাবাহিনীর একাংশের অভ্যুত্থানে নির্মমভাবে নিহত হওয়ার পর জিয়াউর রহমান সেনাপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেন। একই বছর ৭ নভেম্বর সিপাহি-জনতার বিপ্লবের মধ্য দিয়ে তিনি প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক হিসেবে রাষ্ট্রক্ষমতায় বসেন। ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর প্রতিষ্ঠা করেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)।
অপরদিকে জিয়াউর রহমানের শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষে দলের মুখপাত্র ড. আসাদুজ্জামান রিপন এক বিবৃতিতে জিয়াউর রহমানকে মহান স্বাধীনতার ঘোষক, বহুদলীয় গণতন্ত্রের পুনঃপ্রবর্তনকারী দাবি করে তার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন। তিনি বলেন, ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকেই দেশী-বিদেশী চক্র তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করতে থাকে। এই চক্রান্তকারীরা ১৯৮১ সালের ৩০ মে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে হত্যা করে। এ মর্মান্তিক ঘটনার মধ্য দিয়ে একজন মহান দেশপ্রেমিককে দেশবাসী হারায়। জাতীয় জীবনের চলমান সংকটে দলের নেতাকর্মীদের জিয়ার প্রদর্শিত পথ ও আদর্শ বুকে ধারণ করেই সামনে এগিয়ে যেতে হবে। জাতীয় স্বার্থ, বহুমাত্রিক গণতন্ত্র এবং জনগণের অধিকার সুরক্ষায় ইস্পাতকঠিন গণঐক্য গড়ে তোলার আহ্বান জানান রিপন।
জিয়ারউর রহমানের শাহাদত বার্ষিকী উপলক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি এবং এর বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন আলোচনা সভা ও দোয়া মহাফিলের আয়োজন করেছে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

About Author Information

জিয়াউর রহমানের ৩৪তম শাহাদত বার্ষিকী ৩০ মে

প্রকাশের সময় : ০৮:৪২:১২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩০ মে ২০১৫

ঢাকা: বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষক, বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তক, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের (বীর উত্তম) ৩৪তম শাহাদত বার্ষিকী ৩০ মে। ১৯৮১ সালের এই দিন ভোরে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে বিপদগামী কিছু সেনাসদস্যের হাতে নির্মমভাবে নিহত হন তিনি। এরপর থেকে বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনগুলো দিনটি ‘জিয়াউর রহমানের শাহাদত’বার্ষিকী হিসেবে পালন করে আসছে। দিবসটি পালন উপলক্ষে প্রতিবছরের মতো এবারও নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে বিএনপি। কেন্দ্রীয় বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের পক্ষ থেকে এ বছর পনেরো দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। ২৭ মে বুধবার বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে কর্মসূচি শুরু হয়েছে। ২৮ মে বৃহস্পতিবার বিএনপি’র উদ্যোগে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। দিবসটি উপলক্ষে বিভিন্ন সংবাদপত্রে বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করা হয়েছে।
জিয়াউর রহমানের সংক্ষিপ্ত জীবনী: জিয়াউর রহমান ১৯৩৬ সালের ১৯ জানুয়ারী বগুড়ার গাবতলীতে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ইস্ট বাংলা রেজিমেন্ট-ইপিআরের বাঙালী পল্টুনের মেজর ছিলেন। স্বাধীনতার পর তিনি তৎকালীন বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক বীর উত্তম খেতাবে ভূষিত হন। এরপর তিনি সেনাবাহিনীর প্রধান হন। খন্দকার মোশতাক সরকারের ৮১ দিনের শাসনের পর ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর তিনি বাংলাদেশের প্রধান সেনা প্রশাসক ও রাষ্ট্রপতির দায়িত্বগ্রহণ করেন। তিনি প্রথমে জাতীয় গণতান্ত্রিক দল (জাগদল) এবং ১৯৭৭ সালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি গঠন করেন।
জিয়ার শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষে ৩০ মে দুপুর থেকে দু’দিন রাজধানীর বিভিন্ন স্পটে দুস্থদের মাঝে খাবার বিতরণ করবেন দলটির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। এ কর্মসূচি নির্বিঘেœ করতে দলের নেতাকর্মীদের বিভিন্ন নির্দেশনা দেয়া হয়েছে দলের পক্ষ থেকে। ২৯ মে শুক্রবার রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের শীর্ষ নেতাদের উপস্থিতিতে একটি যৌথ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় এসব নির্দেশনা দেয়া হয়।
এদিকে জিয়াউর রহমানের শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষে ৩০ সকাল ৬টায় নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সারা দেশের দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হবে। নেতা-কর্মীরা কালো ব্যাজ ধারণ করবেন। কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে নিয়ে বেলা ১১টায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া শেরেবাংলা নগরে জিয়ার মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন ও ফাতেহা পাঠ করবেন। মাজার প্রাঙ্গণে ওলামা দলের উদ্যোগে দোয়া মাহফিলে অংশ নেবেন তিনি। ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) উদ্যোগে মাজার প্রাঙ্গণে স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচির উদ্বোধন করবেন খালেদা জিয়া। এ ছাড়া সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত ড্যাবের উদ্যোগে নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মেডিকেল ক্যাম্প ও বিনা মূল্যে চিকিৎসাসেবা এবং ওষুধ বিতরণ করা হবে।
সকালে জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা শেষে রাজধানীতে তিন দিনব্যাপী দুস্থদের মাঝে খাবার বিতরণ কর্মসূচি উদ্বোধন করবেন খালেদা জিয়া। মোহাম্মদপুর টাউন হল থেকে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এ কর্মসূচি শুরু করার কথা রয়েছে।
১৯৭১ সালে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার হিসেবে জিয়াউর রহমানের ভূমিকা অবিস্মরণীয় হয়ে আছে। ‘জেড ফোর্সে’র অধিনায়ক হিসেবে রণাঙ্গনে যুদ্ধ করেন তিনি। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সেনাবাহিনীর একাংশের অভ্যুত্থানে নির্মমভাবে নিহত হওয়ার পর জিয়াউর রহমান সেনাপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেন। একই বছর ৭ নভেম্বর সিপাহি-জনতার বিপ্লবের মধ্য দিয়ে তিনি প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক হিসেবে রাষ্ট্রক্ষমতায় বসেন। ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর প্রতিষ্ঠা করেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)।
অপরদিকে জিয়াউর রহমানের শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষে দলের মুখপাত্র ড. আসাদুজ্জামান রিপন এক বিবৃতিতে জিয়াউর রহমানকে মহান স্বাধীনতার ঘোষক, বহুদলীয় গণতন্ত্রের পুনঃপ্রবর্তনকারী দাবি করে তার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন। তিনি বলেন, ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকেই দেশী-বিদেশী চক্র তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করতে থাকে। এই চক্রান্তকারীরা ১৯৮১ সালের ৩০ মে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে হত্যা করে। এ মর্মান্তিক ঘটনার মধ্য দিয়ে একজন মহান দেশপ্রেমিককে দেশবাসী হারায়। জাতীয় জীবনের চলমান সংকটে দলের নেতাকর্মীদের জিয়ার প্রদর্শিত পথ ও আদর্শ বুকে ধারণ করেই সামনে এগিয়ে যেতে হবে। জাতীয় স্বার্থ, বহুমাত্রিক গণতন্ত্র এবং জনগণের অধিকার সুরক্ষায় ইস্পাতকঠিন গণঐক্য গড়ে তোলার আহ্বান জানান রিপন।
জিয়ারউর রহমানের শাহাদত বার্ষিকী উপলক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি এবং এর বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন আলোচনা সভা ও দোয়া মহাফিলের আয়োজন করেছে।