নিউইয়র্ক ১০:২৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

জাতীয় ঐক্যের আহ্বান, পঞ্চদশ সংশোধনী বাতিল করে নির্বাচনই সঙ্কটের সমাধান, শান্তিপূর্ণ আন্দোলন অব্যাহত থাকবে: খালেদা জিয়া

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৮:৫১:০৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ মার্চ ২০১৫
  • / ৫৩৮ বার পঠিত

ঢাকা: বিএনপি চেয়ারপার্রসন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও ২০ দলীয় জোট নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ‘অংগ্রহণমূলক নির্বাচনের দাবিতে ২০-দলীয় জোট ঘোষিত চলমান শান্তিপূর্ণ আন্দোলন কর্মসূচি অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘তথাকথিত হলেও বর্তমানে একটি সংসদ চলছে। আমি এই সংসদে পঞ্চদশ সংশোধনী বাতিল করে সরকারকে পদত্যাগ এবং সংলাপের উদ্যোগ নিয়ে নতুন নির্বাচন দেওয়ার মাধ্যমে সংকট নিরসনের আহ্বান জানাচ্ছি।’ তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, ‘সংলাপের মাধ্যমে সমস্যার সমাধানে এগিয়ে না এলে একতরফাভাবে এই সরকারের ওপরই দায় বর্তাবে।’ তিনি বলেন, ‘সঙ্কট নিরসনের জন্য ১৯৯৬ সালে আমরা নিয়ম রক্ষার নির্বাচন করে সংবিধান সংশোধনের পর পদত্যাগ করে আমাদের অঙ্গীকার পূরণ করেছিলাম। এখন শেখ হাসিনা অন্তত: এবার যদি তার অঙ্গীকার পূরণ করেন তাহলেই দেশে শান্তি, স্বস্তি ও সমঝোতার পরিবেশ ফিরে আসবে। মানুষ মুক্তি পাবে’।
শুক্রবার (১৩ মার্চ) বিকেলে (বাংলাদেশ সময়) গুলশানে তার রাজনৈতিক কার্যালয়ে জনাকীর্ণএক সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি এই ঘোষণা দেন। এই সাংবাদিক সম্মেলনের মধ্য দিয়ে ৫৩ দিন পর গণমাধ্যমের মুখোমুখি হলেন বেগম খালেদা জিয়া। সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি লিখিত বক্তব্য দিলেও সাংবাদিকদের কোন প্রশ্নের উত্তর দেননি।
সাংবাদিক সম্মেলনে খালেদা জিয়া বলেন, ‘সংকট নিরসনে আমরা ৭ দফা প্রস্তাব দিয়েছিলাম। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। এজন্য আমরা আন্দোলনের কর্মসূচি দিতে বাধ্য হয়েছি।’ যৌক্তিক পরিণতিতে না পৌঁছা পর্যন্ত আমাদের এই শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া চলমান আন্দোলনে সাময়িক যে ক্ষতি হচ্ছে, তা জনগণকে মেনে নেওয়ারও আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘আন্দোলনে জনগণের ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে আমরা অবহিত। তাদের কষ্টও আমরা বুঝি।’ খালেদা জিয়া বলেন, ‘কিন্তু অবৈধ এই সরকারের কাছে ক্ষমতায় টিকে থাকায় মূল লক্ষ্য। আমাদের এই আন্দোলন কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যক্তির আন্দোলন নয়। কোনো দলের বিরুদ্ধে দলের আন্দোলন নয়। এটি আদর্শিক আন্দোলন। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলন।’ তিনি বলেন, ‘জীবনের এই প্রান্তসীমায় এসে আমার কাছে ক্ষমতা বড় নয়। আমরা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে নেমেছি। আমাদের এই আন্দোলন দেশবাসীর কাছে শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ ফিরিয়ে দেওয়ার আন্দোলন। এজন্য আমি দেশবাসীকে আন্দোলনের সময় সাময়িক যে ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে, তা মেনে নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।’ একই সঙ্গে তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার যে প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে, আমার বিশ্বাস এই প্রক্রিয়াতেই এগিয়ে যেতে পারব। আমি চলমান আন্দোলনে দল-মত নির্বিশেষে সবাইকে সক্রিয় হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। স্ব স্ব অবস্থান থেকে নিজ নিজ এলাকায় আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানাচ্ছি।’
বিএনপি হত্যার রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা দৃঢ়ভাবে মনে করি, গণতন্ত্রিক রাজনীতিতে হত্যা ও সন্ত্রাসের কোন স্থান নেই। তারপরও আমরা লক্ষ্য করেছি যে, জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ের বর্তমান আন্দোলন চলাকালে সরকার বিভিন্ন হিংসাত্মক পন্থার আশ্রয় নিয়েছে। সরকারের এই দমন-পীড়ন জাতীয় ঐক্যকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে এবং দেশকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। এই অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা মনে করি যে, বিরাজমান সমস্যা সমাধানে জনগণের গণতান্ত্রিক আন্দোলন দমনের উদ্দেশ্যে সারাদেশে যে সব নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদেরকে অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে। গুম, খুন ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকান্ড বন্ধ করতে হবে। পুলিশী ও যৌথবাহিনীর হয়রানি বন্ধ করতে হবে এবং নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত হয়রানিমূলক সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। বিচার বহির্ভূত প্রতিটি হত্যাকান্ডের সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য তদন্ত করে দায়ী ব্যক্তিদের শাস্তি দিতে হবে। সভা-সমাবেশ-মিছিলসহ রাজনৈতিক কর্মকান্ডের ওপর আরোপিত সকল প্রকার বিধিনিষেধ অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে।
খালেদা জিয়া বলেন, স্বাধীনতাকে অর্থবহ করতে, জনগণের স্বাধীনতা এবং মৌলিক ও গণতান্ত্রিক অধিকার পুন:প্রতিষ্ঠা করতে হলে আমাদের জাতীয় ঐক্যের বিকল্প নেই। আজকের সংকট সমাধানের চাবিকাঠি ক্ষমতাসীনদের হাতে। সংকট নিরসনের মাধ্যমে তারা সেই কাঙ্খিত জাতীয় ঐক্যের পথ খুলে দিতে পারে। তাহলেই আমরা সংকট মুক্ত হয়ে সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধভাবে জাতির ৪৫তম স্বাধীনতা দিবস পালন করতে পারবো। আমি আশা করি, ক্ষমতাসীনদের শুভবুদ্ধির উদয় হবে। তারা সমঝোতার পথে ফিরে আসবে। আলোচনার মাধ্যমে বিদ্যমান সঙ্কট দ্রুত নিরসনের উদ্যাগ নিবে।
বিকেল চারটা ৪৭ মিনিটে এই সাংবাদিক সম্মেলন শুরু হয়। প্রায় আধা-ঘণ্টাব্যাপী এই সাংবাদিক সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুল কাইয়ূম, প্রেস সচিব মারুফ কামাল খান, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শিমুল বিশ্বাস প্রমুখ।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

About Author Information

জাতীয় ঐক্যের আহ্বান, পঞ্চদশ সংশোধনী বাতিল করে নির্বাচনই সঙ্কটের সমাধান, শান্তিপূর্ণ আন্দোলন অব্যাহত থাকবে: খালেদা জিয়া

প্রকাশের সময় : ০৮:৫১:০৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ মার্চ ২০১৫

ঢাকা: বিএনপি চেয়ারপার্রসন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও ২০ দলীয় জোট নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ‘অংগ্রহণমূলক নির্বাচনের দাবিতে ২০-দলীয় জোট ঘোষিত চলমান শান্তিপূর্ণ আন্দোলন কর্মসূচি অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘তথাকথিত হলেও বর্তমানে একটি সংসদ চলছে। আমি এই সংসদে পঞ্চদশ সংশোধনী বাতিল করে সরকারকে পদত্যাগ এবং সংলাপের উদ্যোগ নিয়ে নতুন নির্বাচন দেওয়ার মাধ্যমে সংকট নিরসনের আহ্বান জানাচ্ছি।’ তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, ‘সংলাপের মাধ্যমে সমস্যার সমাধানে এগিয়ে না এলে একতরফাভাবে এই সরকারের ওপরই দায় বর্তাবে।’ তিনি বলেন, ‘সঙ্কট নিরসনের জন্য ১৯৯৬ সালে আমরা নিয়ম রক্ষার নির্বাচন করে সংবিধান সংশোধনের পর পদত্যাগ করে আমাদের অঙ্গীকার পূরণ করেছিলাম। এখন শেখ হাসিনা অন্তত: এবার যদি তার অঙ্গীকার পূরণ করেন তাহলেই দেশে শান্তি, স্বস্তি ও সমঝোতার পরিবেশ ফিরে আসবে। মানুষ মুক্তি পাবে’।
শুক্রবার (১৩ মার্চ) বিকেলে (বাংলাদেশ সময়) গুলশানে তার রাজনৈতিক কার্যালয়ে জনাকীর্ণএক সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি এই ঘোষণা দেন। এই সাংবাদিক সম্মেলনের মধ্য দিয়ে ৫৩ দিন পর গণমাধ্যমের মুখোমুখি হলেন বেগম খালেদা জিয়া। সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি লিখিত বক্তব্য দিলেও সাংবাদিকদের কোন প্রশ্নের উত্তর দেননি।
সাংবাদিক সম্মেলনে খালেদা জিয়া বলেন, ‘সংকট নিরসনে আমরা ৭ দফা প্রস্তাব দিয়েছিলাম। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। এজন্য আমরা আন্দোলনের কর্মসূচি দিতে বাধ্য হয়েছি।’ যৌক্তিক পরিণতিতে না পৌঁছা পর্যন্ত আমাদের এই শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া চলমান আন্দোলনে সাময়িক যে ক্ষতি হচ্ছে, তা জনগণকে মেনে নেওয়ারও আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘আন্দোলনে জনগণের ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে আমরা অবহিত। তাদের কষ্টও আমরা বুঝি।’ খালেদা জিয়া বলেন, ‘কিন্তু অবৈধ এই সরকারের কাছে ক্ষমতায় টিকে থাকায় মূল লক্ষ্য। আমাদের এই আন্দোলন কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যক্তির আন্দোলন নয়। কোনো দলের বিরুদ্ধে দলের আন্দোলন নয়। এটি আদর্শিক আন্দোলন। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলন।’ তিনি বলেন, ‘জীবনের এই প্রান্তসীমায় এসে আমার কাছে ক্ষমতা বড় নয়। আমরা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে নেমেছি। আমাদের এই আন্দোলন দেশবাসীর কাছে শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ ফিরিয়ে দেওয়ার আন্দোলন। এজন্য আমি দেশবাসীকে আন্দোলনের সময় সাময়িক যে ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে, তা মেনে নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।’ একই সঙ্গে তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার যে প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে, আমার বিশ্বাস এই প্রক্রিয়াতেই এগিয়ে যেতে পারব। আমি চলমান আন্দোলনে দল-মত নির্বিশেষে সবাইকে সক্রিয় হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। স্ব স্ব অবস্থান থেকে নিজ নিজ এলাকায় আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানাচ্ছি।’
বিএনপি হত্যার রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা দৃঢ়ভাবে মনে করি, গণতন্ত্রিক রাজনীতিতে হত্যা ও সন্ত্রাসের কোন স্থান নেই। তারপরও আমরা লক্ষ্য করেছি যে, জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ের বর্তমান আন্দোলন চলাকালে সরকার বিভিন্ন হিংসাত্মক পন্থার আশ্রয় নিয়েছে। সরকারের এই দমন-পীড়ন জাতীয় ঐক্যকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে এবং দেশকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। এই অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা মনে করি যে, বিরাজমান সমস্যা সমাধানে জনগণের গণতান্ত্রিক আন্দোলন দমনের উদ্দেশ্যে সারাদেশে যে সব নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদেরকে অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে। গুম, খুন ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকান্ড বন্ধ করতে হবে। পুলিশী ও যৌথবাহিনীর হয়রানি বন্ধ করতে হবে এবং নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত হয়রানিমূলক সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। বিচার বহির্ভূত প্রতিটি হত্যাকান্ডের সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য তদন্ত করে দায়ী ব্যক্তিদের শাস্তি দিতে হবে। সভা-সমাবেশ-মিছিলসহ রাজনৈতিক কর্মকান্ডের ওপর আরোপিত সকল প্রকার বিধিনিষেধ অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে।
খালেদা জিয়া বলেন, স্বাধীনতাকে অর্থবহ করতে, জনগণের স্বাধীনতা এবং মৌলিক ও গণতান্ত্রিক অধিকার পুন:প্রতিষ্ঠা করতে হলে আমাদের জাতীয় ঐক্যের বিকল্প নেই। আজকের সংকট সমাধানের চাবিকাঠি ক্ষমতাসীনদের হাতে। সংকট নিরসনের মাধ্যমে তারা সেই কাঙ্খিত জাতীয় ঐক্যের পথ খুলে দিতে পারে। তাহলেই আমরা সংকট মুক্ত হয়ে সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধভাবে জাতির ৪৫তম স্বাধীনতা দিবস পালন করতে পারবো। আমি আশা করি, ক্ষমতাসীনদের শুভবুদ্ধির উদয় হবে। তারা সমঝোতার পথে ফিরে আসবে। আলোচনার মাধ্যমে বিদ্যমান সঙ্কট দ্রুত নিরসনের উদ্যাগ নিবে।
বিকেল চারটা ৪৭ মিনিটে এই সাংবাদিক সম্মেলন শুরু হয়। প্রায় আধা-ঘণ্টাব্যাপী এই সাংবাদিক সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুল কাইয়ূম, প্রেস সচিব মারুফ কামাল খান, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শিমুল বিশ্বাস প্রমুখ।